আজকের পত্রিকা ডেস্ক

শতাধিক পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে ‘অপরিণামদর্শী’ হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার চলমান অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা তথা উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেই একশর বেশি পণ্যের ওপর বাড়তি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য, পোশাক, ওষুধ ও ইন্টারনেট সেবা। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিশেষ করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে ও চাপ বাড়বে।
তিনি বলেন, ‘এমন সিদ্ধান্তে সাধারণ জনগণের জীবনের ওপর প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি। আমরা সাধারণ জনগণের ওপর কর এবং ভ্যাট তথা পরোক্ষ কর আরোপের মত অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এর ফলে প্রায় ১৩ শতাংশ ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি আরও বৃদ্ধি পাবে, পরিবারের সঞ্চয় কমবে এবং ব্যাংক থেকে টাকা তোলার হারও বাড়বে। বর্তমানে নিম্নমুখী ৫.৮২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আছে তা আরও কমবে, কর্মসংস্থান আরও কমে যাবে, বৃদ্ধি পাবে বেকারত্মের সংখ্যা। নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জীবনধারণ আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। ব্যবসায়ে বিনিয়োগ কমবে, রপ্তানি প্রতিযোগিতার ক্ষমতা হ্রাস পাবে। সর্বোপরি অর্থনীতি ও দেশের জনগণের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক চিত্র বিবেচনায় এটা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায়, নতুন করে ভ্যাট আরোপে স্বল্প আয়ের মানুষের দুর্দশা চরমভাবে বৃদ্ধির আশংকা তৈরি হয়েছে।’
সরকারের এই সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহলে অসন্তোষ পরিলক্ষিত হচ্ছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্পষ্ট প্রমাণ করে যে সরকারের মুদ্রানীতি, রাজস্বনীতি ও বাজার ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়ের চরম ঘাটতি রয়েছে। যদিও এনবিআরের সাম্প্রতিক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, বর্ধিত করারোপ খাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই, তথাপি দেশের প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদেরা এনবিআরের এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁদের মতে, ওষুধ, এলপিজি, মোবাইল সেবা, রেস্তোরাঁর খাবার ও পোশাকের মতো নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রে করারোপ বৃদ্ধি পেলে জনজীবনে ভোগান্তি আরও ত্বরান্বিত হবে এবং মূল্যস্ফীতির উল্লম্ফন ঘটবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এমনিতেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। এই ভঙ্গুর অবস্থায় সহজ রাস্তায় হেঁটে ভ্যাটের হার তথা কর বাড়িয়ে সরকারের খরচ মেটানোর চেষ্টা করলে, তা দেশের জনগণের জন্য কোনোভাবেই কল্যাণকর হবে না। আমাদের মনে রাখা উচিত যে, এই দেশের জনগণ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে অকাতরে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছে। আমরা যেন ভুল নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে তাদেরকে আবার সেই দুঃশাসনের মাঝে ফিরিয়ে না নিয়ে যাই।’
যে কোনো নীতিমালা প্রণয়নে জনগণের কথা সর্বপ্রথম বিবেচনার এবং সেই বিচারে বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারকে ‘সর্বপ্রথমখরচ কমানোর দিকে’ নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন ফখরুল।
অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা পরোক্ষ কর না বাড়িয়ে প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিন। কারণ পরোক্ষ কর সকল শ্রেণির মানুষকে প্রায় সমানভাবে প্রভাবিত করে এবং নিম্নবিত্ত মানুষের ওপর বোঝা বাড়ায়। প্রত্যক্ষ কর না বাড়িয়েও সরকারি খরচ কমিয়ে এবং চলতি বাজেটের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা পুনর্বিন্যাস করেও চলমান আর্থিক সমস্যার সমাধান করা যায়।’

সরকারের বিভিন্ন শাখার মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ এনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রা ও রাজস্বনীতি ও বাজার ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত পদক্ষেপের অভাব রয়েছে। গোষ্ঠীস্বার্থ উপেক্ষা করতে পারছে না সরকার। মূল্যস্ফীতি কমাতে একদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে সরকার কর বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা মূল্যস্ফীতি বাড়াবে। এক মন্ত্রণালয় ডিম আমদানির অনুমতি দিচ্ছে, আরেক মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা তা আটকে দিচ্ছে। এই অদক্ষতা ও সমন্বয়হীনতার মাশুল সাধারণ জনগণকে দিতে হচ্ছে।’
মেগা প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় ও দুর্নীতিগ্রস্ত মেগা প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দকৃত অর্থ আপাতত বন্ধ রেখে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব। পতিত সরকার কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ বর্তমান বাজেটে ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিল, যার পরিমাণ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩২ হাজার কোটি টাকা। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও নিজেদের স্বার্থে বছরের পর বছর বাড়ানো হয়েছে এগুলোর মেয়াদ। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বছরের পর বছর ক্যাপাসিটি চার্জের নামে চলেছে হরিলুট। গত ১৪ বছরে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে এমন লুটপাট হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার ওপর।’
সংবাদ সম্মেলনে সংকট উত্তরণে অন্তবর্তীকালীন বাজেট প্রনয়ণের তাগিদ দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লুটপাটের যে বাজেট, তাদের (অন্তবর্তীকালীন সরকার) প্রথম উচিত ছিল, ওই লুটপাটের বাজেট বাদ দিয়ে একটা অন্তবর্তীকালীন বাজেট এড্রেস করা। কিন্তু সেটা না করে ওই লুটপাটের বাজেট বাস্তবায়ন করা বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুব কঠিন কাজ।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যে দূঃখ-কষ্টের মধ্যে অতিক্রম করছে, দৈনন্দিন জীবনে তারা দুই বেলা খেতে পারছে না, তাদের ক্রয়ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে, সেই অবস্থায় আপনি যদি আবার করারোপ করেন, আবার ভ্যাট আরোপ করেন সেখানে তো তারা আরও দরিদ্রসীমার নিচে যাবে। আমরা মনে করি, সরকার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের যে লুটপাটের বাজেট বাস্তবায়ন থেকে সরে এসে তাদের অন্তর্বতীকালীন বাজেট দিয়ে এগোনো উচিত।’

শতাধিক পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে ‘অপরিণামদর্শী’ হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার চলমান অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা তথা উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেই একশর বেশি পণ্যের ওপর বাড়তি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য, পোশাক, ওষুধ ও ইন্টারনেট সেবা। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিশেষ করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে ও চাপ বাড়বে।
তিনি বলেন, ‘এমন সিদ্ধান্তে সাধারণ জনগণের জীবনের ওপর প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি। আমরা সাধারণ জনগণের ওপর কর এবং ভ্যাট তথা পরোক্ষ কর আরোপের মত অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এর ফলে প্রায় ১৩ শতাংশ ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি আরও বৃদ্ধি পাবে, পরিবারের সঞ্চয় কমবে এবং ব্যাংক থেকে টাকা তোলার হারও বাড়বে। বর্তমানে নিম্নমুখী ৫.৮২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আছে তা আরও কমবে, কর্মসংস্থান আরও কমে যাবে, বৃদ্ধি পাবে বেকারত্মের সংখ্যা। নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জীবনধারণ আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। ব্যবসায়ে বিনিয়োগ কমবে, রপ্তানি প্রতিযোগিতার ক্ষমতা হ্রাস পাবে। সর্বোপরি অর্থনীতি ও দেশের জনগণের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক চিত্র বিবেচনায় এটা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায়, নতুন করে ভ্যাট আরোপে স্বল্প আয়ের মানুষের দুর্দশা চরমভাবে বৃদ্ধির আশংকা তৈরি হয়েছে।’
সরকারের এই সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহলে অসন্তোষ পরিলক্ষিত হচ্ছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্পষ্ট প্রমাণ করে যে সরকারের মুদ্রানীতি, রাজস্বনীতি ও বাজার ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়ের চরম ঘাটতি রয়েছে। যদিও এনবিআরের সাম্প্রতিক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, বর্ধিত করারোপ খাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই, তথাপি দেশের প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদেরা এনবিআরের এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁদের মতে, ওষুধ, এলপিজি, মোবাইল সেবা, রেস্তোরাঁর খাবার ও পোশাকের মতো নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রে করারোপ বৃদ্ধি পেলে জনজীবনে ভোগান্তি আরও ত্বরান্বিত হবে এবং মূল্যস্ফীতির উল্লম্ফন ঘটবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এমনিতেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। এই ভঙ্গুর অবস্থায় সহজ রাস্তায় হেঁটে ভ্যাটের হার তথা কর বাড়িয়ে সরকারের খরচ মেটানোর চেষ্টা করলে, তা দেশের জনগণের জন্য কোনোভাবেই কল্যাণকর হবে না। আমাদের মনে রাখা উচিত যে, এই দেশের জনগণ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে অকাতরে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছে। আমরা যেন ভুল নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে তাদেরকে আবার সেই দুঃশাসনের মাঝে ফিরিয়ে না নিয়ে যাই।’
যে কোনো নীতিমালা প্রণয়নে জনগণের কথা সর্বপ্রথম বিবেচনার এবং সেই বিচারে বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারকে ‘সর্বপ্রথমখরচ কমানোর দিকে’ নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন ফখরুল।
অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা পরোক্ষ কর না বাড়িয়ে প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিন। কারণ পরোক্ষ কর সকল শ্রেণির মানুষকে প্রায় সমানভাবে প্রভাবিত করে এবং নিম্নবিত্ত মানুষের ওপর বোঝা বাড়ায়। প্রত্যক্ষ কর না বাড়িয়েও সরকারি খরচ কমিয়ে এবং চলতি বাজেটের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা পুনর্বিন্যাস করেও চলমান আর্থিক সমস্যার সমাধান করা যায়।’

সরকারের বিভিন্ন শাখার মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ এনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রা ও রাজস্বনীতি ও বাজার ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত পদক্ষেপের অভাব রয়েছে। গোষ্ঠীস্বার্থ উপেক্ষা করতে পারছে না সরকার। মূল্যস্ফীতি কমাতে একদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে সরকার কর বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা মূল্যস্ফীতি বাড়াবে। এক মন্ত্রণালয় ডিম আমদানির অনুমতি দিচ্ছে, আরেক মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা তা আটকে দিচ্ছে। এই অদক্ষতা ও সমন্বয়হীনতার মাশুল সাধারণ জনগণকে দিতে হচ্ছে।’
মেগা প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় ও দুর্নীতিগ্রস্ত মেগা প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দকৃত অর্থ আপাতত বন্ধ রেখে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব। পতিত সরকার কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ বর্তমান বাজেটে ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিল, যার পরিমাণ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩২ হাজার কোটি টাকা। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও নিজেদের স্বার্থে বছরের পর বছর বাড়ানো হয়েছে এগুলোর মেয়াদ। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বছরের পর বছর ক্যাপাসিটি চার্জের নামে চলেছে হরিলুট। গত ১৪ বছরে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে এমন লুটপাট হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার ওপর।’
সংবাদ সম্মেলনে সংকট উত্তরণে অন্তবর্তীকালীন বাজেট প্রনয়ণের তাগিদ দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লুটপাটের যে বাজেট, তাদের (অন্তবর্তীকালীন সরকার) প্রথম উচিত ছিল, ওই লুটপাটের বাজেট বাদ দিয়ে একটা অন্তবর্তীকালীন বাজেট এড্রেস করা। কিন্তু সেটা না করে ওই লুটপাটের বাজেট বাস্তবায়ন করা বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুব কঠিন কাজ।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যে দূঃখ-কষ্টের মধ্যে অতিক্রম করছে, দৈনন্দিন জীবনে তারা দুই বেলা খেতে পারছে না, তাদের ক্রয়ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে, সেই অবস্থায় আপনি যদি আবার করারোপ করেন, আবার ভ্যাট আরোপ করেন সেখানে তো তারা আরও দরিদ্রসীমার নিচে যাবে। আমরা মনে করি, সরকার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের যে লুটপাটের বাজেট বাস্তবায়ন থেকে সরে এসে তাদের অন্তর্বতীকালীন বাজেট দিয়ে এগোনো উচিত।’

রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
১৭ মিনিট আগে
বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য নির্দেশনা প্রদান করে আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
৪ ঘণ্টা আগে
দুবাইয়ের বাজারে আজ বুধবার সোনার দাম আরও বেড়েছে। প্রতি গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা এখন ৪৯৫ দশমিক ৫০ দিরহাম বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪৭০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। গত সপ্তাহেই এই ক্যাটাগরির এক গ্রাম সোনার গড় মূল্য ছিল ৪৭৫ দিরহাম।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে হঠাৎ বেশি পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে নতুন অর্থবছরের শুরুতেই বৈদেশিক বাণিজ্যে চাপ তৈরি হয়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও তার চেয়ে দ্রুত হারে আমদানি ব্যয় বেড়েছে, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দেশ আবারও ঘাটতি বাণিজ্যের মুখে পড়ছে।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ গজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ নিষেধাজ্ঞা জারির এই আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের অন্য যেসব সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তাঁরা হলে—ওবায়েদ উল্লাহর স্ত্রী মর্জিনা বেগম ওরফে মুনমুন মাসুদ, ছেলে জুনায়েদ জুলকার নায়েন ভিয়ান ও জুলুন সাফওয়ান এবং মেয়ে তাসমিয়া তারাল্গুন নাওমী।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে ঋণের অর্থ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, বিশেষ করে ছেলের বিদেশে শিক্ষার খরচে ব্যবহার করেছেন। ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোতে তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে নগদ অর্থ জমা, ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অজানা উৎস থেকে অর্থ গ্রহণ এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমহীন প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করেন, যা অর্থপাচার ও মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেহেতু তাঁর দুই সন্তান দেশত্যাগ করেছেন, তাই তিনিসহ তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত কাজী হাসানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। তিনি যে কোনো সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন বলে অনুসন্ধানকালে জানা গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁর বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ গজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ নিষেধাজ্ঞা জারির এই আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের অন্য যেসব সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তাঁরা হলে—ওবায়েদ উল্লাহর স্ত্রী মর্জিনা বেগম ওরফে মুনমুন মাসুদ, ছেলে জুনায়েদ জুলকার নায়েন ভিয়ান ও জুলুন সাফওয়ান এবং মেয়ে তাসমিয়া তারাল্গুন নাওমী।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে ঋণের অর্থ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, বিশেষ করে ছেলের বিদেশে শিক্ষার খরচে ব্যবহার করেছেন। ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোতে তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে নগদ অর্থ জমা, ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অজানা উৎস থেকে অর্থ গ্রহণ এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমহীন প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করেন, যা অর্থপাচার ও মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেহেতু তাঁর দুই সন্তান দেশত্যাগ করেছেন, তাই তিনিসহ তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত কাজী হাসানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। তিনি যে কোনো সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন বলে অনুসন্ধানকালে জানা গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁর বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

শতাধিক পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে ‘অপরিণামদর্শী’ হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানান।
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য নির্দেশনা প্রদান করে আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
৪ ঘণ্টা আগে
দুবাইয়ের বাজারে আজ বুধবার সোনার দাম আরও বেড়েছে। প্রতি গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা এখন ৪৯৫ দশমিক ৫০ দিরহাম বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪৭০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। গত সপ্তাহেই এই ক্যাটাগরির এক গ্রাম সোনার গড় মূল্য ছিল ৪৭৫ দিরহাম।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে হঠাৎ বেশি পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে নতুন অর্থবছরের শুরুতেই বৈদেশিক বাণিজ্যে চাপ তৈরি হয়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও তার চেয়ে দ্রুত হারে আমদানি ব্যয় বেড়েছে, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দেশ আবারও ঘাটতি বাণিজ্যের মুখে পড়ছে।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য নির্দেশনা দিয়ে আজ বুধবার একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কিছু সদস্যের বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না জানতে চেয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস নির্দেশনা চায়। এর জবাবে গাড়িগুলো খালাসের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং আমদানিকারকেরা স্বাভাবিক হারে শুল্ক-কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো খালাস করতে পারবেন বলে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে নির্দেশনা প্রদান করে এনবিআর।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ওই ৩১টি গাড়ির মোট প্রদেয় শুল্ক-করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। উচ্চ মূল্যের এ সকল গাড়ির একক প্রতি প্রদেয় শুল্ক-করের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং একক প্রতি প্রদেয় সর্বনিম্ন শুল্ক-করের পরিমাণ ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে সব শুল্ক-কর পরিশোধ করে ওই ৩১টি গাড়ি আমদানিকারকেরা খালাস করেননি। বিধায় কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। ওই নিলামে কোনো নিলামকারী গাড়িগুলোর যৌক্তিক মূল্য বিড না করায় গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়নি। পরবর্তীতে জনস্বার্থে যথাযথ ব্যবহারের বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অতি মূল্যবান গাড়িগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের জন্য এই বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট গাড়ির আমদানিকারক ভবিষ্যতে প্রযোজ্য সমুদয় শুল্ক ও কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো আইনানুগ পদ্ধতিতে খালাস করতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ এবং শুল্কায়ন সংক্রান্ত আইন, বিধি ও আদেশ যথাযথভাবে পরিপালন করে তা আমদানিকারকের অনুকূলে খালাস করতে পারবে।
প্রযোজ্য শুল্ক-কর আদায়পূর্বক গাড়িগুলো ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস আমদানিকারকের অনুকূলে খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ওই গাড়িগুলো সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট ফেরত প্রদান করবে।

বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য নির্দেশনা দিয়ে আজ বুধবার একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কিছু সদস্যের বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না জানতে চেয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস নির্দেশনা চায়। এর জবাবে গাড়িগুলো খালাসের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং আমদানিকারকেরা স্বাভাবিক হারে শুল্ক-কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো খালাস করতে পারবেন বলে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে নির্দেশনা প্রদান করে এনবিআর।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ওই ৩১টি গাড়ির মোট প্রদেয় শুল্ক-করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। উচ্চ মূল্যের এ সকল গাড়ির একক প্রতি প্রদেয় শুল্ক-করের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং একক প্রতি প্রদেয় সর্বনিম্ন শুল্ক-করের পরিমাণ ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে সব শুল্ক-কর পরিশোধ করে ওই ৩১টি গাড়ি আমদানিকারকেরা খালাস করেননি। বিধায় কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। ওই নিলামে কোনো নিলামকারী গাড়িগুলোর যৌক্তিক মূল্য বিড না করায় গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়নি। পরবর্তীতে জনস্বার্থে যথাযথ ব্যবহারের বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অতি মূল্যবান গাড়িগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের জন্য এই বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট গাড়ির আমদানিকারক ভবিষ্যতে প্রযোজ্য সমুদয় শুল্ক ও কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো আইনানুগ পদ্ধতিতে খালাস করতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ এবং শুল্কায়ন সংক্রান্ত আইন, বিধি ও আদেশ যথাযথভাবে পরিপালন করে তা আমদানিকারকের অনুকূলে খালাস করতে পারবে।
প্রযোজ্য শুল্ক-কর আদায়পূর্বক গাড়িগুলো ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস আমদানিকারকের অনুকূলে খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ওই গাড়িগুলো সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট ফেরত প্রদান করবে।

শতাধিক পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে ‘অপরিণামদর্শী’ হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানান।
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
১৭ মিনিট আগে
দুবাইয়ের বাজারে আজ বুধবার সোনার দাম আরও বেড়েছে। প্রতি গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা এখন ৪৯৫ দশমিক ৫০ দিরহাম বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪৭০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। গত সপ্তাহেই এই ক্যাটাগরির এক গ্রাম সোনার গড় মূল্য ছিল ৪৭৫ দিরহাম।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে হঠাৎ বেশি পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে নতুন অর্থবছরের শুরুতেই বৈদেশিক বাণিজ্যে চাপ তৈরি হয়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও তার চেয়ে দ্রুত হারে আমদানি ব্যয় বেড়েছে, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দেশ আবারও ঘাটতি বাণিজ্যের মুখে পড়ছে।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুবাইয়ের বাজারে আজ বুধবার সোনার দাম আরও বেড়েছে। প্রতি গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা এখন ৪৯৫ দশমিক ৫০ দিরহাম বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪৭০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। গত সপ্তাহেই এই ক্যাটাগরির এক গ্রাম সোনার গড় মূল্য ছিল ৪৭৫ দিরহাম। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। একই দিনে, ২২ ক্যারেটের দাম প্রতি গ্রামে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫৮ দশমিক ৭৫ দিরহাম।
আরব আমিরাতের স্থানীয় সোনার বাজারে দামের এই বৃদ্ধি বাজারের শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত। বিশ্বে সোনার অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতি শিথিল হওয়ার সম্ভাবনা দামের এই বৃদ্ধির পেছনের অন্যতম কারণ। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়লেও ক্রেতাদের আগ্রহ এখনো আছে। তারা এখনো বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে সোনাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।
এদিকে, আরব আমিরাতের বাজারে সোনার দাম বাড়লেও আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম টান তিন দিন বাড়ার পর কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সুদহার কমানোর পরিকল্পনা এবং সরকারের শাটডাউন শেষ হওয়ার সম্ভাবনা বাজার স্থিতিশীল হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার শেষ প্রহরে প্রাথমিক লেনদেনে সোনা এক সময় আউন্স প্রতি ৪ হাজার ১৪৫ ডলার পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। তবে পরে কিছুটা হ্রাস পায়।
এদিকে, একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য বলছে—২৫ অক্টোবর পর্যন্ত আগের চার সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো গড়ে প্রতি সপ্তাহে ১১ হাজার ২৫০ পদ কমিয়েছে। এটি শ্রমবাজারের স্থিতিশীল দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই দুর্বলতা আরও নীতি শিথিলতার জন্য প্ররোচিত করতে পারে, যা সোনার জন্য সহায়ক, কারণ এতে কোনো সুদ আসে না।
বিনিয়োগকারীরা মার্কিন সরকার পুনরায় চালু হওয়ার পর প্রকাশিত সরকারি তথ্যের দিকে তাকিয়ে আছেন। তথ্য পুনরায় প্রকাশিত হলে অর্থনীতির পরিষ্কার ছবি মিলবে এবং ফেডের ডিসেম্বরে সুদের হার নির্ধারণে প্রভাব পড়বে।
সেঞ্চুরি ফিন্যান্সিয়ালের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা বিজয় ভ্যালেচা বলেছেন, সোনার দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। তিনি বলেন, ‘সোনার ভবিষ্যৎ বাজার গঠনমূলক। সরকারের পুনরায় খোলার ফলে ফেড মূল অর্থনৈতিক তথ্য পাবে, যা ডিসেম্বরে নীতি নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে।’ ভ্যালেচা আরও জানান, ‘যদি তথ্য প্রকাশে বিলম্ব হয় বা সুদহারের সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে, তাহলে স্বল্পমেয়াদে দামের ওঠা-নামা বাড়তে পারে।’

দুবাইয়ের বাজারে আজ বুধবার সোনার দাম আরও বেড়েছে। প্রতি গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা এখন ৪৯৫ দশমিক ৫০ দিরহাম বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪৭০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। গত সপ্তাহেই এই ক্যাটাগরির এক গ্রাম সোনার গড় মূল্য ছিল ৪৭৫ দিরহাম। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। একই দিনে, ২২ ক্যারেটের দাম প্রতি গ্রামে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫৮ দশমিক ৭৫ দিরহাম।
আরব আমিরাতের স্থানীয় সোনার বাজারে দামের এই বৃদ্ধি বাজারের শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত। বিশ্বে সোনার অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতি শিথিল হওয়ার সম্ভাবনা দামের এই বৃদ্ধির পেছনের অন্যতম কারণ। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়লেও ক্রেতাদের আগ্রহ এখনো আছে। তারা এখনো বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে সোনাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।
এদিকে, আরব আমিরাতের বাজারে সোনার দাম বাড়লেও আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম টান তিন দিন বাড়ার পর কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সুদহার কমানোর পরিকল্পনা এবং সরকারের শাটডাউন শেষ হওয়ার সম্ভাবনা বাজার স্থিতিশীল হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার শেষ প্রহরে প্রাথমিক লেনদেনে সোনা এক সময় আউন্স প্রতি ৪ হাজার ১৪৫ ডলার পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। তবে পরে কিছুটা হ্রাস পায়।
এদিকে, একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য বলছে—২৫ অক্টোবর পর্যন্ত আগের চার সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো গড়ে প্রতি সপ্তাহে ১১ হাজার ২৫০ পদ কমিয়েছে। এটি শ্রমবাজারের স্থিতিশীল দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই দুর্বলতা আরও নীতি শিথিলতার জন্য প্ররোচিত করতে পারে, যা সোনার জন্য সহায়ক, কারণ এতে কোনো সুদ আসে না।
বিনিয়োগকারীরা মার্কিন সরকার পুনরায় চালু হওয়ার পর প্রকাশিত সরকারি তথ্যের দিকে তাকিয়ে আছেন। তথ্য পুনরায় প্রকাশিত হলে অর্থনীতির পরিষ্কার ছবি মিলবে এবং ফেডের ডিসেম্বরে সুদের হার নির্ধারণে প্রভাব পড়বে।
সেঞ্চুরি ফিন্যান্সিয়ালের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা বিজয় ভ্যালেচা বলেছেন, সোনার দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। তিনি বলেন, ‘সোনার ভবিষ্যৎ বাজার গঠনমূলক। সরকারের পুনরায় খোলার ফলে ফেড মূল অর্থনৈতিক তথ্য পাবে, যা ডিসেম্বরে নীতি নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে।’ ভ্যালেচা আরও জানান, ‘যদি তথ্য প্রকাশে বিলম্ব হয় বা সুদহারের সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে, তাহলে স্বল্পমেয়াদে দামের ওঠা-নামা বাড়তে পারে।’

শতাধিক পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে ‘অপরিণামদর্শী’ হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানান।
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
১৭ মিনিট আগে
বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য নির্দেশনা প্রদান করে আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে হঠাৎ বেশি পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে নতুন অর্থবছরের শুরুতেই বৈদেশিক বাণিজ্যে চাপ তৈরি হয়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও তার চেয়ে দ্রুত হারে আমদানি ব্যয় বেড়েছে, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দেশ আবারও ঘাটতি বাণিজ্যের মুখে পড়ছে।
১৪ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশ থেকে হঠাৎ বেশি পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে নতুন অর্থবছরের শুরুতেই বৈদেশিক বাণিজ্যে চাপ তৈরি হয়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও তার চেয়ে দ্রুত হারে আমদানি ব্যয় বেড়েছে, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দেশ আবারও ঘাটতি বাণিজ্যের মুখে পড়ছে।
বাণিজ্য বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদদের মতে, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি প্রবাহ ইতিবাচক থাকলেও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও ডলারের অতিরিক্ত বহির্মুখী প্রবাহ আবার বাণিজ্য ঘাটতিকে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলেছে, যা অর্থনীতির স্থিতিশীলতার সামনে নতুন এক সতর্কবার্তা। এই প্রবণতার পেছনে অর্থ পাচারের কোনো গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭১ কোটি ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০৭ কোটি ডলার বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রমজানকে ঘিরে বাড়তি আমদানি, বিদেশ ভ্রমণ ও চিকিৎসা ব্যয়; ফলে দীর্ঘ সময় পর চলতি হিসাবও ঋণাত্মক হয়েছে, ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৮ কোটি ডলার।
এই সময়ে দেশে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ১০৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার, বিপরীতে আমদানি ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪৬৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরে ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর আমদানি ও রপ্তানিতে কিছুটা স্থিতি ফিরেছিল। তবে বিদেশে চিকিৎসা, শিক্ষা ও ভ্রমণ ব্যয় বাড়ায় আবারও ডলারের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। রমজানকে সামনে রেখে খাদ্য, তেল, চিনি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বাড়ানোয় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়লেও ব্যয়ের হার তার চেয়ে বেশি হওয়ায় চলতি হিসাব আবারও ঘাটতিতে পড়েছে।
তবে একই সময়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আগের বছর জুলাই-সেপ্টেম্বরে যেখানে এই সূচকে ঘাটতি ছিল ১৪৮ কোটি ডলার, চলতি অর্থবছরে তা ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৫ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়লেও ডলারের অস্বাভাবিক বহির্মুখী প্রবাহ উদ্বেগজনক। তাঁর ভাষায়, দেশ থেকে এত বেশি ডলার কোথায় যাচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। এর মধ্যে অর্থ পাচারের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমদানির কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করায় অনেকে সুযোগ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসীরা ৭ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগও বেড়ে ৩১ কোটি ৮০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ। তবে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের চিত্র উল্টো; গত বছর যেখানে নিট বিনিয়োগ ছিল ৫০ লাখ ডলার, এবার তা ঋণাত্মক ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলার-সংকট মোকাবিলায় আমরা কিছু নীতি শিথিল করেছি, যাতে আমদানিতে প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত থাকে। তবে এর ফলে ব্যয় বেড়ে গেছে, বিশেষ করে রমজানকেন্দ্রিক আমদানিতে। মূলত এ কারণেই বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে।’

দেশ থেকে হঠাৎ বেশি পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে নতুন অর্থবছরের শুরুতেই বৈদেশিক বাণিজ্যে চাপ তৈরি হয়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও তার চেয়ে দ্রুত হারে আমদানি ব্যয় বেড়েছে, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দেশ আবারও ঘাটতি বাণিজ্যের মুখে পড়ছে।
বাণিজ্য বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদদের মতে, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি প্রবাহ ইতিবাচক থাকলেও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও ডলারের অতিরিক্ত বহির্মুখী প্রবাহ আবার বাণিজ্য ঘাটতিকে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলেছে, যা অর্থনীতির স্থিতিশীলতার সামনে নতুন এক সতর্কবার্তা। এই প্রবণতার পেছনে অর্থ পাচারের কোনো গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭১ কোটি ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০৭ কোটি ডলার বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রমজানকে ঘিরে বাড়তি আমদানি, বিদেশ ভ্রমণ ও চিকিৎসা ব্যয়; ফলে দীর্ঘ সময় পর চলতি হিসাবও ঋণাত্মক হয়েছে, ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৮ কোটি ডলার।
এই সময়ে দেশে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ১০৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার, বিপরীতে আমদানি ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪৬৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরে ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর আমদানি ও রপ্তানিতে কিছুটা স্থিতি ফিরেছিল। তবে বিদেশে চিকিৎসা, শিক্ষা ও ভ্রমণ ব্যয় বাড়ায় আবারও ডলারের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। রমজানকে সামনে রেখে খাদ্য, তেল, চিনি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বাড়ানোয় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়লেও ব্যয়ের হার তার চেয়ে বেশি হওয়ায় চলতি হিসাব আবারও ঘাটতিতে পড়েছে।
তবে একই সময়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আগের বছর জুলাই-সেপ্টেম্বরে যেখানে এই সূচকে ঘাটতি ছিল ১৪৮ কোটি ডলার, চলতি অর্থবছরে তা ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৫ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়লেও ডলারের অস্বাভাবিক বহির্মুখী প্রবাহ উদ্বেগজনক। তাঁর ভাষায়, দেশ থেকে এত বেশি ডলার কোথায় যাচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। এর মধ্যে অর্থ পাচারের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমদানির কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করায় অনেকে সুযোগ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসীরা ৭ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগও বেড়ে ৩১ কোটি ৮০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ। তবে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের চিত্র উল্টো; গত বছর যেখানে নিট বিনিয়োগ ছিল ৫০ লাখ ডলার, এবার তা ঋণাত্মক ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলার-সংকট মোকাবিলায় আমরা কিছু নীতি শিথিল করেছি, যাতে আমদানিতে প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত থাকে। তবে এর ফলে ব্যয় বেড়ে গেছে, বিশেষ করে রমজানকেন্দ্রিক আমদানিতে। মূলত এ কারণেই বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে।’

শতাধিক পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে ‘অপরিণামদর্শী’ হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানান।
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
১৭ মিনিট আগে
বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য নির্দেশনা প্রদান করে আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
৪ ঘণ্টা আগে
দুবাইয়ের বাজারে আজ বুধবার সোনার দাম আরও বেড়েছে। প্রতি গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা এখন ৪৯৫ দশমিক ৫০ দিরহাম বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪৭০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। গত সপ্তাহেই এই ক্যাটাগরির এক গ্রাম সোনার গড় মূল্য ছিল ৪৭৫ দিরহাম।
৪ ঘণ্টা আগে