আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
বছরের পর বছর চলে আসা মন্দার আরও একটি বছর পার হলো পুঁজিবাজারে। তবে এবার পতন কৃত্রিমভাবে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে ফ্লোর প্রাইস নামে প্রতিটি শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দিয়ে। অর্থনীতির চাপের মধ্যেও ভালো ব্যবসা করা কোম্পানিগুলোর শেয়ার একটি জায়গায় আটকে আছে বছরজুড়ে, নেই ক্রেতা। কিন্তু এর মধ্যেও বছরের পর বছর লোকসান দেওয়া এমনকি উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানির দর কোনোটা বেড়ে চার গুণ হয়েছে, কোনোটা হয়েছে ১০ গুণ।
লোকসানি খান ব্রাদার্সের দর ১০ টাকার ঘর থেকে ১১০ টাকা ছাড়িয়েছে, পাঁচ বছর পর উৎপাদনে ফেরা এমারেল্ড অয়েল ২৮ টাকা থেকে ১৮৭ টাকা পর্যন্ত উঠেছে, ৬২ টাকা থেকে ২৩২ টাকা পর্যন্ত উঠেছে শ্যামপুর সুগার। এমন আরও অনেক কোম্পানি আছে। এর পেছনে কারসাজি জড়িত, তা বোঝে সবাই, কিন্তু তাদের ধরা যায় না। অথচ বিএটিবিসি, স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, লাফার্জহোলসিম, ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মতো শক্তিশালী কোম্পানির শেয়ারদর একই জায়গায় পড়ে ছিল।
বছরজুড়েই বাজারে ছিল লেনদেনে খরা। দুই বছর আগে যে বাজারে দিনে আড়াই হাজার বা তিন হাজার কোটি টাকার লেনদেন হতো, এখন গোটা সপ্তাহেই এই পরিমাণ লেনদেন হয় না। কমেছে নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তির সংখ্যা বা আইপিওর মাধ্যমে পুঁজি উত্তোলন। স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউসের মুনাফায় ধস নেমেছে। ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ার বিক্রি করতে না পারায় আটকে গেছে বিনিয়োগ। মার্জিন ঋণের সুদের ভারে পিষ্ট হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারের জন্য খুবই খারাপ বছর গেছে। অনেক বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়েছেন।’
বছরের শুরুর দিন দেশে বেনিফিশিয়ারি ওনার বা বিও হিসাব ছিল ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৭২২টি। বছর শেষের দিকে তা নেমে এসেছে ১৭ লাখ ৭২ হাজারের ঘরে। অর্থাৎ এক বছরে বিও হিসাব বন্ধ হয়েছে ৮৮ হাজারের বেশি।
২০২৩ সালে শুধু ১২ কর্মদিবসে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তবে সিংহভাগ সময়েই লেনদেন আবর্তিত হয়েছে ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে। ২০০ কোটি টাকার নিচেও নেমেছে একাধিক দিন।
একটি বৃত্তে ঘুরতে থাকা সূচকে বছর শেষে যোগ হয়েছে ৫০ পয়েন্টের মতো। তবে তাতে সিংহভাগ বিনিয়োগকারীর লোকসান ছাড়া কিছুই হয়নি।
কমেছে ব্রোকারেজ হাউস ও স্টক এক্সচেঞ্জের মুনাফাও। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ২৫ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মুনাফা কমেছে ১২ শতাংশ।
মন্দা বাজারে কমেছে আইপিওর সংখ্যাও। বিদায়ী বছরে মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স পুঁজিবাজার থেকে ৮১ কোটি টাকা তুলেছে। আগের বছর ৬টি প্রতিষ্ঠান তোলে ৬২৬ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।
বছরের পর বছর চলে আসা মন্দার আরও একটি বছর পার হলো পুঁজিবাজারে। তবে এবার পতন কৃত্রিমভাবে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে ফ্লোর প্রাইস নামে প্রতিটি শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দিয়ে। অর্থনীতির চাপের মধ্যেও ভালো ব্যবসা করা কোম্পানিগুলোর শেয়ার একটি জায়গায় আটকে আছে বছরজুড়ে, নেই ক্রেতা। কিন্তু এর মধ্যেও বছরের পর বছর লোকসান দেওয়া এমনকি উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানির দর কোনোটা বেড়ে চার গুণ হয়েছে, কোনোটা হয়েছে ১০ গুণ।
লোকসানি খান ব্রাদার্সের দর ১০ টাকার ঘর থেকে ১১০ টাকা ছাড়িয়েছে, পাঁচ বছর পর উৎপাদনে ফেরা এমারেল্ড অয়েল ২৮ টাকা থেকে ১৮৭ টাকা পর্যন্ত উঠেছে, ৬২ টাকা থেকে ২৩২ টাকা পর্যন্ত উঠেছে শ্যামপুর সুগার। এমন আরও অনেক কোম্পানি আছে। এর পেছনে কারসাজি জড়িত, তা বোঝে সবাই, কিন্তু তাদের ধরা যায় না। অথচ বিএটিবিসি, স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, লাফার্জহোলসিম, ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মতো শক্তিশালী কোম্পানির শেয়ারদর একই জায়গায় পড়ে ছিল।
বছরজুড়েই বাজারে ছিল লেনদেনে খরা। দুই বছর আগে যে বাজারে দিনে আড়াই হাজার বা তিন হাজার কোটি টাকার লেনদেন হতো, এখন গোটা সপ্তাহেই এই পরিমাণ লেনদেন হয় না। কমেছে নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তির সংখ্যা বা আইপিওর মাধ্যমে পুঁজি উত্তোলন। স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউসের মুনাফায় ধস নেমেছে। ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ার বিক্রি করতে না পারায় আটকে গেছে বিনিয়োগ। মার্জিন ঋণের সুদের ভারে পিষ্ট হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারের জন্য খুবই খারাপ বছর গেছে। অনেক বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়েছেন।’
বছরের শুরুর দিন দেশে বেনিফিশিয়ারি ওনার বা বিও হিসাব ছিল ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৭২২টি। বছর শেষের দিকে তা নেমে এসেছে ১৭ লাখ ৭২ হাজারের ঘরে। অর্থাৎ এক বছরে বিও হিসাব বন্ধ হয়েছে ৮৮ হাজারের বেশি।
২০২৩ সালে শুধু ১২ কর্মদিবসে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তবে সিংহভাগ সময়েই লেনদেন আবর্তিত হয়েছে ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে। ২০০ কোটি টাকার নিচেও নেমেছে একাধিক দিন।
একটি বৃত্তে ঘুরতে থাকা সূচকে বছর শেষে যোগ হয়েছে ৫০ পয়েন্টের মতো। তবে তাতে সিংহভাগ বিনিয়োগকারীর লোকসান ছাড়া কিছুই হয়নি।
কমেছে ব্রোকারেজ হাউস ও স্টক এক্সচেঞ্জের মুনাফাও। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ২৫ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মুনাফা কমেছে ১২ শতাংশ।
মন্দা বাজারে কমেছে আইপিওর সংখ্যাও। বিদায়ী বছরে মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স পুঁজিবাজার থেকে ৮১ কোটি টাকা তুলেছে। আগের বছর ৬টি প্রতিষ্ঠান তোলে ৬২৬ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।
ইরানে মার্কিন হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাব পড়তে যাচ্ছে বৈশ্বিক তেলের বাজারেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহের শুরুতে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫ ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়সড় অভিঘাতের আভাস মিলছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম ১ লাখ মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে; যা গত ২৫ মের পর প্রথমবারের মতো ঘটল।
৪ ঘণ্টা আগেঅর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদারে ‘সেবাগ্রহীতা ও অংশীজনদের অবহিতকরণ সভা’ করেছে সোনালী ব্যাংক পিএলসি। আজ রোববার (২২ জুন) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স...
৬ ঘণ্টা আগেপূবালী ব্যাংক পিএলসি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতে অবদান রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে পূবালী ব্যাংক।
৭ ঘণ্টা আগে