আয়নাল হোসেন, ঢাকা
বাংলাদেশের হালাল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চুক্তি দুই দেশের মধ্যে হালাল পণ্য আমদানি-রপ্তানি সহজ করবে এবং বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ চুক্তি শুধু বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে জোরদার করবে না, বৈশ্বিক হালাল পণ্যের বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও দৃঢ় করবে।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে সম্ভাবনা
বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজার প্রতিবছর কয়েক হাজার কোটি ডলার বাড়ছে। বিশেষভাবে মুসলিম দেশের বাজারে এই পণ্যের চাহিদা ব্যাপক। পাকিস্তান, যেটি বিশ্বের অন্যতম মুসলিমপ্রধান দেশ, তার বাজারে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে বাংলাদেশি হালাল পণ্যের প্রবাহ বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) কর্মকর্তারা জানান, পাকিস্তানের হালাল অথরিটি বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) মাধ্যমে চুক্তির খসড়া প্রস্তাব পাঠায়। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই প্রস্তাব বিএসটিআইয়ে পৌঁছায়। বর্তমানে এ প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদের পর্যালোচনায় রয়েছে।
বিএসটিআই মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম বলেন, ‘পাকিস্তানের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তি ইতিমধ্যে আমাদের হাতে এসেছে। এখন আমরা শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। সমঝোতার চূড়ান্ত বাস্তবায়ন হলে উভয় দেশের জন্য বাণিজ্যিক সুযোগ আরও বিস্তৃত হবে।’
হালাল পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি: বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
বিশ্বজুড়ে হালাল পণ্যের বাজারের চাহিদা বাড়ছে; বিশেষ করে খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও ফ্যাশন আইটেমের ক্ষেত্রে। ২০২৩ সালে বৈশ্বিক হালাল বাজারের আকার প্রায় ৪.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল এবং এটি প্রতিবছর ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই বাজারের আকার ৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে, যা বাংলাদেশি পণ্যের জন্য বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশের হালাল পণ্য, বিশেষ করে কৃষিপণ্য, মৎস্যজাত পণ্য, দুগ্ধজাত পণ্য ও বেকারি আইটেমের চাহিদা আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমবর্ধমান। বিএসটিআইয়ের মতে, বর্তমানে বাংলাদেশ ১৬১টি পণ্যের জন্য হালাল সনদ দিচ্ছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাদা চিনি, চাল, মিষ্টান্ন ও মাংসের পণ্য।
এফবিসিসিআই প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান বলেন, এ চুক্তি হবে একটি মাইলফলক। হালাল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে দুটি দেশের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিনিময় ও সনদপ্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটবে। এর ফলে বাংলাদেশের বাজারে পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের পণ্য গ্রহণযোগ্য হবে এবং বাংলাদেশি পণ্য সহজে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পারবে।
সার্টিফিকেশন প্রযুক্তি: বাংলাদেশের জন্য নতুন দিশা
এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দেশের হালাল পণ্যের জন্য সার্টিফিকেশন প্রযুক্তি বিনিময় করবে। বর্তমানে বিএসটিআই ওআইসিভুক্ত দেশের নির্ধারিত মান অনুযায়ী হালাল সনদ দিচ্ছে। পাকিস্তানের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে হালাল সার্টিফিকেশনের প্রক্রিয়া আরও উন্নত হবে এবং পণ্যটির মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও গ্রহণযোগ্য হবে।
বিশ্বের বৃহত্তম হালাল বাজার বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায়। বিশেষত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও মালয়েশিয়ায় হালাল পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত হালাল পণ্যের জন্য এ বাজারগুলো লাভজনক লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।
বাংলাদেশের সম্ভাবনা: ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা
বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য ও খাদ্যশিল্পে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসছে। সরকার কৃষকদের হালাল উৎপাদনের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং বিশেষভাবে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে পণ্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক পদ্ধতির মাধ্যমে হালাল পণ্যের উৎপাদন দ্রুত বাড়ছে।
বিএসটিআই কর্মকর্তারা জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ২০ কোটি ডলারের হালাল পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগামী ৫ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হতে পারে।
বাংলাদেশের হালাল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চুক্তি দুই দেশের মধ্যে হালাল পণ্য আমদানি-রপ্তানি সহজ করবে এবং বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ চুক্তি শুধু বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে জোরদার করবে না, বৈশ্বিক হালাল পণ্যের বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও দৃঢ় করবে।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে সম্ভাবনা
বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজার প্রতিবছর কয়েক হাজার কোটি ডলার বাড়ছে। বিশেষভাবে মুসলিম দেশের বাজারে এই পণ্যের চাহিদা ব্যাপক। পাকিস্তান, যেটি বিশ্বের অন্যতম মুসলিমপ্রধান দেশ, তার বাজারে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে বাংলাদেশি হালাল পণ্যের প্রবাহ বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) কর্মকর্তারা জানান, পাকিস্তানের হালাল অথরিটি বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) মাধ্যমে চুক্তির খসড়া প্রস্তাব পাঠায়। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই প্রস্তাব বিএসটিআইয়ে পৌঁছায়। বর্তমানে এ প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদের পর্যালোচনায় রয়েছে।
বিএসটিআই মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম বলেন, ‘পাকিস্তানের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তি ইতিমধ্যে আমাদের হাতে এসেছে। এখন আমরা শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। সমঝোতার চূড়ান্ত বাস্তবায়ন হলে উভয় দেশের জন্য বাণিজ্যিক সুযোগ আরও বিস্তৃত হবে।’
হালাল পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি: বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
বিশ্বজুড়ে হালাল পণ্যের বাজারের চাহিদা বাড়ছে; বিশেষ করে খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও ফ্যাশন আইটেমের ক্ষেত্রে। ২০২৩ সালে বৈশ্বিক হালাল বাজারের আকার প্রায় ৪.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল এবং এটি প্রতিবছর ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই বাজারের আকার ৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে, যা বাংলাদেশি পণ্যের জন্য বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশের হালাল পণ্য, বিশেষ করে কৃষিপণ্য, মৎস্যজাত পণ্য, দুগ্ধজাত পণ্য ও বেকারি আইটেমের চাহিদা আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমবর্ধমান। বিএসটিআইয়ের মতে, বর্তমানে বাংলাদেশ ১৬১টি পণ্যের জন্য হালাল সনদ দিচ্ছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাদা চিনি, চাল, মিষ্টান্ন ও মাংসের পণ্য।
এফবিসিসিআই প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান বলেন, এ চুক্তি হবে একটি মাইলফলক। হালাল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে দুটি দেশের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিনিময় ও সনদপ্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটবে। এর ফলে বাংলাদেশের বাজারে পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের পণ্য গ্রহণযোগ্য হবে এবং বাংলাদেশি পণ্য সহজে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পারবে।
সার্টিফিকেশন প্রযুক্তি: বাংলাদেশের জন্য নতুন দিশা
এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দেশের হালাল পণ্যের জন্য সার্টিফিকেশন প্রযুক্তি বিনিময় করবে। বর্তমানে বিএসটিআই ওআইসিভুক্ত দেশের নির্ধারিত মান অনুযায়ী হালাল সনদ দিচ্ছে। পাকিস্তানের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে হালাল সার্টিফিকেশনের প্রক্রিয়া আরও উন্নত হবে এবং পণ্যটির মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও গ্রহণযোগ্য হবে।
বিশ্বের বৃহত্তম হালাল বাজার বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায়। বিশেষত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও মালয়েশিয়ায় হালাল পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত হালাল পণ্যের জন্য এ বাজারগুলো লাভজনক লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।
বাংলাদেশের সম্ভাবনা: ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা
বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য ও খাদ্যশিল্পে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসছে। সরকার কৃষকদের হালাল উৎপাদনের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং বিশেষভাবে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে পণ্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক পদ্ধতির মাধ্যমে হালাল পণ্যের উৎপাদন দ্রুত বাড়ছে।
বিএসটিআই কর্মকর্তারা জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ২০ কোটি ডলারের হালাল পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগামী ৫ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়েছেন কাস্টমস (শুল্ক) ও ট্যাক্স (আয়কর) ক্যাডারের শতাধিক কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাঁরা এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে জড়ো হন।
২ মিনিট আগেসিটি ব্যাংক পিএলসির শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন ২০২৫ গত ২৬ এপ্রিল কক্সবাজারের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। ‘হ্যাপি এমপ্লয়িজ, হ্যাপি কাস্টমারস, হ্যাপি শেয়ারহোল্ডারস’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল ব্যাংকের কৌশল নির্ধারণ, শাখাসমূহের পারফরমেন্স বিশ্লেষণ, প্রযুক্তিনির্ভর সেবা বিস্তার,
৭ মিনিট আগেকেবল বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে সীমাবদ্ধ না থেকে অভিবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে লা গুয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্ট ম্যারিয়ট হোটেলে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-আমেরিকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃক আয়োজিত ১৯-২১ এপ্রিল নিউইয়র্কে চতুর্থ বাংলাদেশ
১৬ মিনিট আগেলেন্ডিং ট্রির এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে, মার্কিন ভোক্তারা অনিশ্চিত অর্থনৈতিক চাপে হিমশিম খাচ্ছেন। স্থায়ী মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হার এবং শুল্কসংক্রান্ত উদ্বেগের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে মুদিসামগ্রীর মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সামর্থ্যও তাঁদের কমে আসছে।
২২ মিনিট আগে