নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বিমা কোম্পানিগুলো সময়মতো গ্রাহকের বিমা দাবি শোধ করতে না পারলেও খরচের বেলায় কার্পণ্য করে না। তাই খরচে লাগাম টানতে বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারণ করে দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ); কিন্তু তা-ও মানছে তারা। ২০২৪ সালে ৪২ বিমা কোম্পানি অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেছে, যার পরিমাণ ৮৩৩ কোটি টাকা। এই অতিরিক্ত ব্যয়ের বড় অংশই লোপাট হয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
আইডিআরএর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ব্যবস্থাপনা ব্যয় বাবদ ২০ জীবনবিমা কোম্পানি ১৫৯ কোটি এবং ২২টি সাধারণ বিমা কোম্পানি ৬৭৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে। কমিশন প্রদান, উন্নয়ন সভা, বাড়িভাড়া, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, বিজ্ঞাপন খরচ, কর্মকর্তাদের দেশ-বিদেশে ভ্রমণ, গাড়ি কেনা ও মেরামত, জ্বালানি, আপ্যায়ন, ড্রাইভার খরচসহ বিভিন্ন খাতে এ ব্যয় দেখানো হয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানির পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিলেমিশে লাগামহীন ব্যয় দেখিয়ে প্রিমিয়ামের অর্থ লোপাট করেন। বেশ কয়েকটি বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও) অতিরিক্ত খরচের কথা স্বীকারও করেছেন। তবে তাঁদের দাবি, এ খরচ লোপাট নয়, প্রয়োজনের তাগিদেই কিছু অর্থ বেশি খরচ হয়েছে।
আইডিআরএর তথ্য অনুযায়ী, জীবনবিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা খাতে ৪৫ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করেছে।
জানতে চাইলে কোম্পানির সিইও কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কোম্পানিটিতে জয়েন করেছি কয়েক দিন হলো, তবে শুনেছি এখানে আগে অনিয়ম হয়েছে।’
অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা কর্পোরেশন। কোম্পানিটি ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা সীমার অতিরিক্ত খরচ করেছে। এ ছাড়া নতুন প্রজন্মের কোম্পানি সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স ১৫ কোটি ৭৫৫ লাখ, এনআরবি ইসলামিক লাইফ ১১ কোটি ৪২ লাখ এবং সানলাইফ ইনস্যুরেন্স ৯ কোটি ৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে।
অন্যদিকে সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটি ২০২৪ সালের নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ১১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা ব্যয় দেখিয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানির সিইও জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সরকারনির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছি, যা দেখিয়েছি তা-ই সঠিক। খরচ এর চেয়ে কমানো অসম্ভব ব্যাপার।’ অন্য কোম্পানিগুলো কীভাবে ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাঁরা করেছেন তাঁরাই জানেন।
সীমার অতিরিক্ত খরচ করা নন-লাইফ কোম্পানির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্কেন্টাইল ইসলামী ইনস্যুরেন্স। কোম্পানিটি গত বছর ৯৩ কোটি ৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইনস্যুরেন্স ৯১ কোটি ৫৩ লাখ, ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স ৬৩ কোটি ৬৯ লাখ এবং দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স ৪৩ কোটি ১ লাখ টাকা বাড়তি ব্যয় করে তালিকায় পর্যায়ক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
অতিরিক্ত খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক সিইও এবং বিমা বিশেষজ্ঞ এস এম জিয়াউল হক বলেন, ম্যানেজমেন্টের অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতার কারণে বিমা কোম্পানিতে এই অনিয়ম হচ্ছে।
প্রায় একই মতামত প্রকাশ করেন অর্থনীতিবিদ, গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা রয়েছে, নিজের স্বার্থেই কোম্পানিকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির আওতায় আসতে হবে।
পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের সিইও সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বলেন, কোম্পানিতে অডিট সিস্টেম থাকা দরকার, নিয়মিত অডিট হলে এই অবস্থা হতো না।
বিমা আইন, ২০১০ এবং বিমা বিধিমালা অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ৩৬ জীবনবিমা কোম্পানি সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৭৯৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা ব্যয় করতে পারত। অথচ কোম্পানিগুলো ব্যয় দেখিয়েছে ৩ হাজার ৮৫২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৫২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বেশি খরচ করেছে। তবে একই সময়ে ১৬ কোম্পানি নির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের চেয়ে ১৬৬ কোটি টাকা কম খরচ করেছে। এর মধ্যে ন্যাশনাল লাইফ একাই ৯০ কোটি টাকা খরচ কম করেছে।
জীবনবিমা কোম্পানির মধ্যে ২০২৪ সালে হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স ৮ কোটি ১২ লাখ টাকা অনুমোদনহীন ব্যয় করেছে। একইভাবে চার্টার্ড লাইফ ৬ কোটি ৮৭ লাখ, সানফ্লাওয়ার লাইফ ৬ কোটি ১১ লাখ, পদ্মা ইসলামী লাইফ ৫ কোটি ৫৯ লাখ, গোল্ডেন লাইফ ৪ কোটি ৩৮ লাখ, জেনিথ ৪ কোটি ৩৩ লাখ, যমুনা লাইফ ৪ কোটি ২ লাখ, সান্তা লাইফ ৩ কোটি ৭০ লাখ, ডায়মন্ড লাইফ ৩ কোটি ২৬ লাখ, মেঘনা লাইফ ৩ কোটি ২৫ লাখ, স্বদেশ লাইফ ২ কোটি ৬৫ লাখ, লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব বাংলাদেশ ২ কোটি ২০ লাখ, বায়রা লাইফ ১ কোটি ১৫ লাখ, বেস্ট লাইফ ১ কোটি ৯ লাখ এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স ১ লাখ টাকা বেশি ব্যয় করে।
২০২৪ সালে ৪৬ সাধারণ বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ১ হাজার ৫৭৬ কোটি ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার ২৩ টাকা। এই সময়ে তারা ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে ১ হাজার ৩১১ কোটি ১৯ লাখ ১১ হাজার ২৩৮ টাকা। অর্থাৎ সার্বিকভাবে ২৬৫ কোটি টাকা কম হয়েছে। ২৪টি কোম্পানি ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম করেছে।
অন্যদিকে একই খাতের ২২টি কোম্পানি অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের নামে লুটপাট করেছে। এসব কোম্পানির মধ্যে অগ্রণী ইনস্যুরেন্স ৩ কোটি ৩৭ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল দশমিক ৮৭ শতাংশ, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ৯১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ৩৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ, সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ, দেশ জেনারেল ৪৩ দশমিক ১ শতাংশ, ঢাকা ইনস্যুরেন্স ২০ দশমিক ২৬ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স ১১৫ শতাংশ, ইসলামী ইনস্যুরেন্স বাংলাদেশ ৩৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স ৬৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইসলামী ৯৩ দশমিক ৮ শতাংশ, নিটল ইনস্যুরেন্স ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, পিপলস্ ইনস্যুরেন্স ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাইম ইনস্যুরেন্স ১ দশমিক ৪২ শতাংশ, প্রভাতি ইনস্যুরেন্স ২ দশমিক ৬ শতাংশ, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ, রূপালী ইনস্যুরেন্স ১ দশমিক ৬১ শতাংশ, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স দশমিক ৬৬ শতাংশ, সাউথ এশিয়া ইনস্যুরেন্স দশমিক ৮৯ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ইনস্যুরেন্স ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, তাকাফুল ইসলামী ইনস্যুরেন্স ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যয় করেছে।
বিমা খাতের স্বার্থেই বিমা কোম্পানিকে ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে বলে মনে করেন বিমা মালিক ও সিইওদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এ এস এম নূরুজ্জামান। তিনি বলেন, বিমা কোম্পানি দাবি পূরণের মাধ্যমে বিমা খাতের ভাবমূর্তি বাড়াতে হবে। এতে কম খরচে ব্যবসা বাড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম জাহীদ বলেছেন, বিমা খাতে তিনটি বড় সংকট দেখা দিয়েছে—কোম্পানিগুলোর নৈতিক বিপত্তি, তথ্যের ঘাটতি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা। অনেক বিমা কোম্পানি অযথা ব্যয় করে গ্রাহকের অর্থ লুটপাট করছে। এ অবস্থায় আইডিআরএর কঠোর নজরদারি ও সীমা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আগেভাগে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
বিমা কোম্পানিগুলোকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ঝুঁকি কমাতে গিয়ে গ্রাহকই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে গ্রাহকের আস্থা ভেঙে পড়বে, যা বিমা খাতের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলবে।
আইডিআরএর মিডিয়া ও যোগাযোগ পরামর্শক (মুখপাত্র) সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, নিয়ম ভঙ্গ করায় ২০২৩ সালে বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়েছে। ২০২৪ সালেও যারা আইন লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশের বিমা কোম্পানিগুলো সময়মতো গ্রাহকের বিমা দাবি শোধ করতে না পারলেও খরচের বেলায় কার্পণ্য করে না। তাই খরচে লাগাম টানতে বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারণ করে দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ); কিন্তু তা-ও মানছে তারা। ২০২৪ সালে ৪২ বিমা কোম্পানি অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেছে, যার পরিমাণ ৮৩৩ কোটি টাকা। এই অতিরিক্ত ব্যয়ের বড় অংশই লোপাট হয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
আইডিআরএর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ব্যবস্থাপনা ব্যয় বাবদ ২০ জীবনবিমা কোম্পানি ১৫৯ কোটি এবং ২২টি সাধারণ বিমা কোম্পানি ৬৭৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে। কমিশন প্রদান, উন্নয়ন সভা, বাড়িভাড়া, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, বিজ্ঞাপন খরচ, কর্মকর্তাদের দেশ-বিদেশে ভ্রমণ, গাড়ি কেনা ও মেরামত, জ্বালানি, আপ্যায়ন, ড্রাইভার খরচসহ বিভিন্ন খাতে এ ব্যয় দেখানো হয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানির পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিলেমিশে লাগামহীন ব্যয় দেখিয়ে প্রিমিয়ামের অর্থ লোপাট করেন। বেশ কয়েকটি বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও) অতিরিক্ত খরচের কথা স্বীকারও করেছেন। তবে তাঁদের দাবি, এ খরচ লোপাট নয়, প্রয়োজনের তাগিদেই কিছু অর্থ বেশি খরচ হয়েছে।
আইডিআরএর তথ্য অনুযায়ী, জীবনবিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা খাতে ৪৫ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করেছে।
জানতে চাইলে কোম্পানির সিইও কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কোম্পানিটিতে জয়েন করেছি কয়েক দিন হলো, তবে শুনেছি এখানে আগে অনিয়ম হয়েছে।’
অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা কর্পোরেশন। কোম্পানিটি ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা সীমার অতিরিক্ত খরচ করেছে। এ ছাড়া নতুন প্রজন্মের কোম্পানি সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স ১৫ কোটি ৭৫৫ লাখ, এনআরবি ইসলামিক লাইফ ১১ কোটি ৪২ লাখ এবং সানলাইফ ইনস্যুরেন্স ৯ কোটি ৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে।
অন্যদিকে সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটি ২০২৪ সালের নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ১১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা ব্যয় দেখিয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানির সিইও জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সরকারনির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছি, যা দেখিয়েছি তা-ই সঠিক। খরচ এর চেয়ে কমানো অসম্ভব ব্যাপার।’ অন্য কোম্পানিগুলো কীভাবে ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাঁরা করেছেন তাঁরাই জানেন।
সীমার অতিরিক্ত খরচ করা নন-লাইফ কোম্পানির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্কেন্টাইল ইসলামী ইনস্যুরেন্স। কোম্পানিটি গত বছর ৯৩ কোটি ৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইনস্যুরেন্স ৯১ কোটি ৫৩ লাখ, ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স ৬৩ কোটি ৬৯ লাখ এবং দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স ৪৩ কোটি ১ লাখ টাকা বাড়তি ব্যয় করে তালিকায় পর্যায়ক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
অতিরিক্ত খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক সিইও এবং বিমা বিশেষজ্ঞ এস এম জিয়াউল হক বলেন, ম্যানেজমেন্টের অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতার কারণে বিমা কোম্পানিতে এই অনিয়ম হচ্ছে।
প্রায় একই মতামত প্রকাশ করেন অর্থনীতিবিদ, গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা রয়েছে, নিজের স্বার্থেই কোম্পানিকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির আওতায় আসতে হবে।
পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের সিইও সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বলেন, কোম্পানিতে অডিট সিস্টেম থাকা দরকার, নিয়মিত অডিট হলে এই অবস্থা হতো না।
বিমা আইন, ২০১০ এবং বিমা বিধিমালা অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ৩৬ জীবনবিমা কোম্পানি সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৭৯৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা ব্যয় করতে পারত। অথচ কোম্পানিগুলো ব্যয় দেখিয়েছে ৩ হাজার ৮৫২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৫২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বেশি খরচ করেছে। তবে একই সময়ে ১৬ কোম্পানি নির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের চেয়ে ১৬৬ কোটি টাকা কম খরচ করেছে। এর মধ্যে ন্যাশনাল লাইফ একাই ৯০ কোটি টাকা খরচ কম করেছে।
জীবনবিমা কোম্পানির মধ্যে ২০২৪ সালে হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স ৮ কোটি ১২ লাখ টাকা অনুমোদনহীন ব্যয় করেছে। একইভাবে চার্টার্ড লাইফ ৬ কোটি ৮৭ লাখ, সানফ্লাওয়ার লাইফ ৬ কোটি ১১ লাখ, পদ্মা ইসলামী লাইফ ৫ কোটি ৫৯ লাখ, গোল্ডেন লাইফ ৪ কোটি ৩৮ লাখ, জেনিথ ৪ কোটি ৩৩ লাখ, যমুনা লাইফ ৪ কোটি ২ লাখ, সান্তা লাইফ ৩ কোটি ৭০ লাখ, ডায়মন্ড লাইফ ৩ কোটি ২৬ লাখ, মেঘনা লাইফ ৩ কোটি ২৫ লাখ, স্বদেশ লাইফ ২ কোটি ৬৫ লাখ, লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব বাংলাদেশ ২ কোটি ২০ লাখ, বায়রা লাইফ ১ কোটি ১৫ লাখ, বেস্ট লাইফ ১ কোটি ৯ লাখ এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স ১ লাখ টাকা বেশি ব্যয় করে।
২০২৪ সালে ৪৬ সাধারণ বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ১ হাজার ৫৭৬ কোটি ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার ২৩ টাকা। এই সময়ে তারা ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে ১ হাজার ৩১১ কোটি ১৯ লাখ ১১ হাজার ২৩৮ টাকা। অর্থাৎ সার্বিকভাবে ২৬৫ কোটি টাকা কম হয়েছে। ২৪টি কোম্পানি ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম করেছে।
অন্যদিকে একই খাতের ২২টি কোম্পানি অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের নামে লুটপাট করেছে। এসব কোম্পানির মধ্যে অগ্রণী ইনস্যুরেন্স ৩ কোটি ৩৭ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল দশমিক ৮৭ শতাংশ, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ৯১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ৩৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ, সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ, দেশ জেনারেল ৪৩ দশমিক ১ শতাংশ, ঢাকা ইনস্যুরেন্স ২০ দশমিক ২৬ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স ১১৫ শতাংশ, ইসলামী ইনস্যুরেন্স বাংলাদেশ ৩৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স ৬৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইসলামী ৯৩ দশমিক ৮ শতাংশ, নিটল ইনস্যুরেন্স ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, পিপলস্ ইনস্যুরেন্স ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাইম ইনস্যুরেন্স ১ দশমিক ৪২ শতাংশ, প্রভাতি ইনস্যুরেন্স ২ দশমিক ৬ শতাংশ, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ, রূপালী ইনস্যুরেন্স ১ দশমিক ৬১ শতাংশ, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স দশমিক ৬৬ শতাংশ, সাউথ এশিয়া ইনস্যুরেন্স দশমিক ৮৯ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ইনস্যুরেন্স ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, তাকাফুল ইসলামী ইনস্যুরেন্স ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যয় করেছে।
বিমা খাতের স্বার্থেই বিমা কোম্পানিকে ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে বলে মনে করেন বিমা মালিক ও সিইওদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এ এস এম নূরুজ্জামান। তিনি বলেন, বিমা কোম্পানি দাবি পূরণের মাধ্যমে বিমা খাতের ভাবমূর্তি বাড়াতে হবে। এতে কম খরচে ব্যবসা বাড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম জাহীদ বলেছেন, বিমা খাতে তিনটি বড় সংকট দেখা দিয়েছে—কোম্পানিগুলোর নৈতিক বিপত্তি, তথ্যের ঘাটতি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা। অনেক বিমা কোম্পানি অযথা ব্যয় করে গ্রাহকের অর্থ লুটপাট করছে। এ অবস্থায় আইডিআরএর কঠোর নজরদারি ও সীমা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আগেভাগে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
বিমা কোম্পানিগুলোকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ঝুঁকি কমাতে গিয়ে গ্রাহকই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে গ্রাহকের আস্থা ভেঙে পড়বে, যা বিমা খাতের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলবে।
আইডিআরএর মিডিয়া ও যোগাযোগ পরামর্শক (মুখপাত্র) সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, নিয়ম ভঙ্গ করায় ২০২৩ সালে বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়েছে। ২০২৪ সালেও যারা আইন লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বিমা কোম্পানিগুলো সময়মতো গ্রাহকের বিমা দাবি শোধ করতে না পারলেও খরচের বেলায় কার্পণ্য করে না। তাই খরচে লাগাম টানতে বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারণ করে দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ); কিন্তু তা-ও মানছে তারা। ২০২৪ সালে ৪২ বিমা কোম্পানি অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেছে, যার পরিমাণ ৮৩৩ কোটি টাকা। এই অতিরিক্ত ব্যয়ের বড় অংশই লোপাট হয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
আইডিআরএর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ব্যবস্থাপনা ব্যয় বাবদ ২০ জীবনবিমা কোম্পানি ১৫৯ কোটি এবং ২২টি সাধারণ বিমা কোম্পানি ৬৭৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে। কমিশন প্রদান, উন্নয়ন সভা, বাড়িভাড়া, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, বিজ্ঞাপন খরচ, কর্মকর্তাদের দেশ-বিদেশে ভ্রমণ, গাড়ি কেনা ও মেরামত, জ্বালানি, আপ্যায়ন, ড্রাইভার খরচসহ বিভিন্ন খাতে এ ব্যয় দেখানো হয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানির পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিলেমিশে লাগামহীন ব্যয় দেখিয়ে প্রিমিয়ামের অর্থ লোপাট করেন। বেশ কয়েকটি বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও) অতিরিক্ত খরচের কথা স্বীকারও করেছেন। তবে তাঁদের দাবি, এ খরচ লোপাট নয়, প্রয়োজনের তাগিদেই কিছু অর্থ বেশি খরচ হয়েছে।
আইডিআরএর তথ্য অনুযায়ী, জীবনবিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা খাতে ৪৫ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করেছে।
জানতে চাইলে কোম্পানির সিইও কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কোম্পানিটিতে জয়েন করেছি কয়েক দিন হলো, তবে শুনেছি এখানে আগে অনিয়ম হয়েছে।’
অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা কর্পোরেশন। কোম্পানিটি ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা সীমার অতিরিক্ত খরচ করেছে। এ ছাড়া নতুন প্রজন্মের কোম্পানি সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স ১৫ কোটি ৭৫৫ লাখ, এনআরবি ইসলামিক লাইফ ১১ কোটি ৪২ লাখ এবং সানলাইফ ইনস্যুরেন্স ৯ কোটি ৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে।
অন্যদিকে সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটি ২০২৪ সালের নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ১১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা ব্যয় দেখিয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানির সিইও জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সরকারনির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছি, যা দেখিয়েছি তা-ই সঠিক। খরচ এর চেয়ে কমানো অসম্ভব ব্যাপার।’ অন্য কোম্পানিগুলো কীভাবে ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাঁরা করেছেন তাঁরাই জানেন।
সীমার অতিরিক্ত খরচ করা নন-লাইফ কোম্পানির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্কেন্টাইল ইসলামী ইনস্যুরেন্স। কোম্পানিটি গত বছর ৯৩ কোটি ৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইনস্যুরেন্স ৯১ কোটি ৫৩ লাখ, ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স ৬৩ কোটি ৬৯ লাখ এবং দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স ৪৩ কোটি ১ লাখ টাকা বাড়তি ব্যয় করে তালিকায় পর্যায়ক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
অতিরিক্ত খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক সিইও এবং বিমা বিশেষজ্ঞ এস এম জিয়াউল হক বলেন, ম্যানেজমেন্টের অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতার কারণে বিমা কোম্পানিতে এই অনিয়ম হচ্ছে।
প্রায় একই মতামত প্রকাশ করেন অর্থনীতিবিদ, গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা রয়েছে, নিজের স্বার্থেই কোম্পানিকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির আওতায় আসতে হবে।
পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের সিইও সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বলেন, কোম্পানিতে অডিট সিস্টেম থাকা দরকার, নিয়মিত অডিট হলে এই অবস্থা হতো না।
বিমা আইন, ২০১০ এবং বিমা বিধিমালা অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ৩৬ জীবনবিমা কোম্পানি সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৭৯৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা ব্যয় করতে পারত। অথচ কোম্পানিগুলো ব্যয় দেখিয়েছে ৩ হাজার ৮৫২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৫২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বেশি খরচ করেছে। তবে একই সময়ে ১৬ কোম্পানি নির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের চেয়ে ১৬৬ কোটি টাকা কম খরচ করেছে। এর মধ্যে ন্যাশনাল লাইফ একাই ৯০ কোটি টাকা খরচ কম করেছে।
জীবনবিমা কোম্পানির মধ্যে ২০২৪ সালে হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স ৮ কোটি ১২ লাখ টাকা অনুমোদনহীন ব্যয় করেছে। একইভাবে চার্টার্ড লাইফ ৬ কোটি ৮৭ লাখ, সানফ্লাওয়ার লাইফ ৬ কোটি ১১ লাখ, পদ্মা ইসলামী লাইফ ৫ কোটি ৫৯ লাখ, গোল্ডেন লাইফ ৪ কোটি ৩৮ লাখ, জেনিথ ৪ কোটি ৩৩ লাখ, যমুনা লাইফ ৪ কোটি ২ লাখ, সান্তা লাইফ ৩ কোটি ৭০ লাখ, ডায়মন্ড লাইফ ৩ কোটি ২৬ লাখ, মেঘনা লাইফ ৩ কোটি ২৫ লাখ, স্বদেশ লাইফ ২ কোটি ৬৫ লাখ, লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব বাংলাদেশ ২ কোটি ২০ লাখ, বায়রা লাইফ ১ কোটি ১৫ লাখ, বেস্ট লাইফ ১ কোটি ৯ লাখ এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স ১ লাখ টাকা বেশি ব্যয় করে।
২০২৪ সালে ৪৬ সাধারণ বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ১ হাজার ৫৭৬ কোটি ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার ২৩ টাকা। এই সময়ে তারা ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে ১ হাজার ৩১১ কোটি ১৯ লাখ ১১ হাজার ২৩৮ টাকা। অর্থাৎ সার্বিকভাবে ২৬৫ কোটি টাকা কম হয়েছে। ২৪টি কোম্পানি ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম করেছে।
অন্যদিকে একই খাতের ২২টি কোম্পানি অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের নামে লুটপাট করেছে। এসব কোম্পানির মধ্যে অগ্রণী ইনস্যুরেন্স ৩ কোটি ৩৭ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল দশমিক ৮৭ শতাংশ, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ৯১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ৩৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ, সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ, দেশ জেনারেল ৪৩ দশমিক ১ শতাংশ, ঢাকা ইনস্যুরেন্স ২০ দশমিক ২৬ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স ১১৫ শতাংশ, ইসলামী ইনস্যুরেন্স বাংলাদেশ ৩৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স ৬৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইসলামী ৯৩ দশমিক ৮ শতাংশ, নিটল ইনস্যুরেন্স ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, পিপলস্ ইনস্যুরেন্স ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাইম ইনস্যুরেন্স ১ দশমিক ৪২ শতাংশ, প্রভাতি ইনস্যুরেন্স ২ দশমিক ৬ শতাংশ, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ, রূপালী ইনস্যুরেন্স ১ দশমিক ৬১ শতাংশ, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স দশমিক ৬৬ শতাংশ, সাউথ এশিয়া ইনস্যুরেন্স দশমিক ৮৯ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ইনস্যুরেন্স ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, তাকাফুল ইসলামী ইনস্যুরেন্স ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যয় করেছে।
বিমা খাতের স্বার্থেই বিমা কোম্পানিকে ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে বলে মনে করেন বিমা মালিক ও সিইওদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এ এস এম নূরুজ্জামান। তিনি বলেন, বিমা কোম্পানি দাবি পূরণের মাধ্যমে বিমা খাতের ভাবমূর্তি বাড়াতে হবে। এতে কম খরচে ব্যবসা বাড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম জাহীদ বলেছেন, বিমা খাতে তিনটি বড় সংকট দেখা দিয়েছে—কোম্পানিগুলোর নৈতিক বিপত্তি, তথ্যের ঘাটতি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা। অনেক বিমা কোম্পানি অযথা ব্যয় করে গ্রাহকের অর্থ লুটপাট করছে। এ অবস্থায় আইডিআরএর কঠোর নজরদারি ও সীমা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আগেভাগে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
বিমা কোম্পানিগুলোকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ঝুঁকি কমাতে গিয়ে গ্রাহকই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে গ্রাহকের আস্থা ভেঙে পড়বে, যা বিমা খাতের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলবে।
আইডিআরএর মিডিয়া ও যোগাযোগ পরামর্শক (মুখপাত্র) সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, নিয়ম ভঙ্গ করায় ২০২৩ সালে বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়েছে। ২০২৪ সালেও যারা আইন লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশের বিমা কোম্পানিগুলো সময়মতো গ্রাহকের বিমা দাবি শোধ করতে না পারলেও খরচের বেলায় কার্পণ্য করে না। তাই খরচে লাগাম টানতে বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারণ করে দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ); কিন্তু তা-ও মানছে তারা। ২০২৪ সালে ৪২ বিমা কোম্পানি অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেছে, যার পরিমাণ ৮৩৩ কোটি টাকা। এই অতিরিক্ত ব্যয়ের বড় অংশই লোপাট হয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
আইডিআরএর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ব্যবস্থাপনা ব্যয় বাবদ ২০ জীবনবিমা কোম্পানি ১৫৯ কোটি এবং ২২টি সাধারণ বিমা কোম্পানি ৬৭৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে। কমিশন প্রদান, উন্নয়ন সভা, বাড়িভাড়া, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, বিজ্ঞাপন খরচ, কর্মকর্তাদের দেশ-বিদেশে ভ্রমণ, গাড়ি কেনা ও মেরামত, জ্বালানি, আপ্যায়ন, ড্রাইভার খরচসহ বিভিন্ন খাতে এ ব্যয় দেখানো হয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানির পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিলেমিশে লাগামহীন ব্যয় দেখিয়ে প্রিমিয়ামের অর্থ লোপাট করেন। বেশ কয়েকটি বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও) অতিরিক্ত খরচের কথা স্বীকারও করেছেন। তবে তাঁদের দাবি, এ খরচ লোপাট নয়, প্রয়োজনের তাগিদেই কিছু অর্থ বেশি খরচ হয়েছে।
আইডিআরএর তথ্য অনুযায়ী, জীবনবিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা খাতে ৪৫ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করেছে।
জানতে চাইলে কোম্পানির সিইও কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কোম্পানিটিতে জয়েন করেছি কয়েক দিন হলো, তবে শুনেছি এখানে আগে অনিয়ম হয়েছে।’
অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা কর্পোরেশন। কোম্পানিটি ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা সীমার অতিরিক্ত খরচ করেছে। এ ছাড়া নতুন প্রজন্মের কোম্পানি সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স ১৫ কোটি ৭৫৫ লাখ, এনআরবি ইসলামিক লাইফ ১১ কোটি ৪২ লাখ এবং সানলাইফ ইনস্যুরেন্স ৯ কোটি ৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে।
অন্যদিকে সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটি ২০২৪ সালের নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ১১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা ব্যয় দেখিয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানির সিইও জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সরকারনির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছি, যা দেখিয়েছি তা-ই সঠিক। খরচ এর চেয়ে কমানো অসম্ভব ব্যাপার।’ অন্য কোম্পানিগুলো কীভাবে ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাঁরা করেছেন তাঁরাই জানেন।
সীমার অতিরিক্ত খরচ করা নন-লাইফ কোম্পানির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্কেন্টাইল ইসলামী ইনস্যুরেন্স। কোম্পানিটি গত বছর ৯৩ কোটি ৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইনস্যুরেন্স ৯১ কোটি ৫৩ লাখ, ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স ৬৩ কোটি ৬৯ লাখ এবং দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স ৪৩ কোটি ১ লাখ টাকা বাড়তি ব্যয় করে তালিকায় পর্যায়ক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
অতিরিক্ত খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক সিইও এবং বিমা বিশেষজ্ঞ এস এম জিয়াউল হক বলেন, ম্যানেজমেন্টের অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতার কারণে বিমা কোম্পানিতে এই অনিয়ম হচ্ছে।
প্রায় একই মতামত প্রকাশ করেন অর্থনীতিবিদ, গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা রয়েছে, নিজের স্বার্থেই কোম্পানিকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির আওতায় আসতে হবে।
পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের সিইও সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বলেন, কোম্পানিতে অডিট সিস্টেম থাকা দরকার, নিয়মিত অডিট হলে এই অবস্থা হতো না।
বিমা আইন, ২০১০ এবং বিমা বিধিমালা অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ৩৬ জীবনবিমা কোম্পানি সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৭৯৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা ব্যয় করতে পারত। অথচ কোম্পানিগুলো ব্যয় দেখিয়েছে ৩ হাজার ৮৫২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৫২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বেশি খরচ করেছে। তবে একই সময়ে ১৬ কোম্পানি নির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের চেয়ে ১৬৬ কোটি টাকা কম খরচ করেছে। এর মধ্যে ন্যাশনাল লাইফ একাই ৯০ কোটি টাকা খরচ কম করেছে।
জীবনবিমা কোম্পানির মধ্যে ২০২৪ সালে হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স ৮ কোটি ১২ লাখ টাকা অনুমোদনহীন ব্যয় করেছে। একইভাবে চার্টার্ড লাইফ ৬ কোটি ৮৭ লাখ, সানফ্লাওয়ার লাইফ ৬ কোটি ১১ লাখ, পদ্মা ইসলামী লাইফ ৫ কোটি ৫৯ লাখ, গোল্ডেন লাইফ ৪ কোটি ৩৮ লাখ, জেনিথ ৪ কোটি ৩৩ লাখ, যমুনা লাইফ ৪ কোটি ২ লাখ, সান্তা লাইফ ৩ কোটি ৭০ লাখ, ডায়মন্ড লাইফ ৩ কোটি ২৬ লাখ, মেঘনা লাইফ ৩ কোটি ২৫ লাখ, স্বদেশ লাইফ ২ কোটি ৬৫ লাখ, লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব বাংলাদেশ ২ কোটি ২০ লাখ, বায়রা লাইফ ১ কোটি ১৫ লাখ, বেস্ট লাইফ ১ কোটি ৯ লাখ এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স ১ লাখ টাকা বেশি ব্যয় করে।
২০২৪ সালে ৪৬ সাধারণ বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ১ হাজার ৫৭৬ কোটি ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার ২৩ টাকা। এই সময়ে তারা ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে ১ হাজার ৩১১ কোটি ১৯ লাখ ১১ হাজার ২৩৮ টাকা। অর্থাৎ সার্বিকভাবে ২৬৫ কোটি টাকা কম হয়েছে। ২৪টি কোম্পানি ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম করেছে।
অন্যদিকে একই খাতের ২২টি কোম্পানি অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের নামে লুটপাট করেছে। এসব কোম্পানির মধ্যে অগ্রণী ইনস্যুরেন্স ৩ কোটি ৩৭ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল দশমিক ৮৭ শতাংশ, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ৯১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ৩৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ, সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ, দেশ জেনারেল ৪৩ দশমিক ১ শতাংশ, ঢাকা ইনস্যুরেন্স ২০ দশমিক ২৬ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স ১১৫ শতাংশ, ইসলামী ইনস্যুরেন্স বাংলাদেশ ৩৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স ৬৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইসলামী ৯৩ দশমিক ৮ শতাংশ, নিটল ইনস্যুরেন্স ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, পিপলস্ ইনস্যুরেন্স ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাইম ইনস্যুরেন্স ১ দশমিক ৪২ শতাংশ, প্রভাতি ইনস্যুরেন্স ২ দশমিক ৬ শতাংশ, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ, রূপালী ইনস্যুরেন্স ১ দশমিক ৬১ শতাংশ, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স দশমিক ৬৬ শতাংশ, সাউথ এশিয়া ইনস্যুরেন্স দশমিক ৮৯ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ইনস্যুরেন্স ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, তাকাফুল ইসলামী ইনস্যুরেন্স ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যয় করেছে।
বিমা খাতের স্বার্থেই বিমা কোম্পানিকে ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে বলে মনে করেন বিমা মালিক ও সিইওদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এ এস এম নূরুজ্জামান। তিনি বলেন, বিমা কোম্পানি দাবি পূরণের মাধ্যমে বিমা খাতের ভাবমূর্তি বাড়াতে হবে। এতে কম খরচে ব্যবসা বাড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম জাহীদ বলেছেন, বিমা খাতে তিনটি বড় সংকট দেখা দিয়েছে—কোম্পানিগুলোর নৈতিক বিপত্তি, তথ্যের ঘাটতি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা। অনেক বিমা কোম্পানি অযথা ব্যয় করে গ্রাহকের অর্থ লুটপাট করছে। এ অবস্থায় আইডিআরএর কঠোর নজরদারি ও সীমা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আগেভাগে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
বিমা কোম্পানিগুলোকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ঝুঁকি কমাতে গিয়ে গ্রাহকই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে গ্রাহকের আস্থা ভেঙে পড়বে, যা বিমা খাতের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলবে।
আইডিআরএর মিডিয়া ও যোগাযোগ পরামর্শক (মুখপাত্র) সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, নিয়ম ভঙ্গ করায় ২০২৩ সালে বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়েছে। ২০২৪ সালেও যারা আইন লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৭ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। এ কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়ে ব্যয় করছে বাংলাদেশি রোগীরা। অথচ দেশের স্বাস্থ্যসেবার বাজার বর্তমানে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী আট বছরে আরও ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২০৩৩ সালে ২৩ বিলিয়নে উন্নীত হতে পারে।
গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি; মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান প্রধান অতিথি ছিলেন।
আলোচকেরা বলেন, অবকাঠামোর ঘাটতি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পশ্চাৎপদতা, দক্ষ মানবসম্পদের সংকট, সেবার উচ্চ ব্যয়, কার্যকর তদারকির অভাব—এসব মিলিয়েই কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য উন্নয়ন অর্জিত হয়নি। অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে অর্জন থাকলেও সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। উন্নত দেশ তো দূরের কথা, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। তাঁর মতে, ইউনিভার্সেল হেলথকেয়ার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ও বিকেন্দ্রীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী। তিনি জানান, সীমিত বাজেট, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, মানের ঘাটতি, শহর-গ্রামের বৈষম্য, বাড়তি ব্যয়, দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা—এসব কারণেই স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যার ফলে তুলনামূলক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিপুলসংখ্যক রোগী বিদেশমুখী হওয়ায় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, মানসম্মত ও রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিতে কাঠামোগত ঘাটতি, দক্ষ জনবলস্বল্পতা, অনুমোদনহীন ক্লিনিক-ফার্মেসির বিস্তার, ভুল রোগনির্ণয়, ভুয়া ওষুধ এবং আইন প্রয়োগের দুর্বলতা জনস্বাস্থ্য আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্বাস্থ্যবিমা কার্যকর না হওয়ায় ৭৪ শতাংশ ব্যয় রোগীকেই বহন করতে হয়, যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য বড় ঝুঁকি।
নির্ধারিত আলোচনায় অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক সরকারি হাসপাতালের মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ জরুরি বলে মনে করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেলের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী স্বাস্থ্য খাতে আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় ও পিপিপি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। এ কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়ে ব্যয় করছে বাংলাদেশি রোগীরা। অথচ দেশের স্বাস্থ্যসেবার বাজার বর্তমানে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী আট বছরে আরও ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২০৩৩ সালে ২৩ বিলিয়নে উন্নীত হতে পারে।
গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি; মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান প্রধান অতিথি ছিলেন।
আলোচকেরা বলেন, অবকাঠামোর ঘাটতি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পশ্চাৎপদতা, দক্ষ মানবসম্পদের সংকট, সেবার উচ্চ ব্যয়, কার্যকর তদারকির অভাব—এসব মিলিয়েই কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য উন্নয়ন অর্জিত হয়নি। অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে অর্জন থাকলেও সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। উন্নত দেশ তো দূরের কথা, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। তাঁর মতে, ইউনিভার্সেল হেলথকেয়ার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ও বিকেন্দ্রীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী। তিনি জানান, সীমিত বাজেট, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, মানের ঘাটতি, শহর-গ্রামের বৈষম্য, বাড়তি ব্যয়, দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা—এসব কারণেই স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যার ফলে তুলনামূলক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিপুলসংখ্যক রোগী বিদেশমুখী হওয়ায় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, মানসম্মত ও রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিতে কাঠামোগত ঘাটতি, দক্ষ জনবলস্বল্পতা, অনুমোদনহীন ক্লিনিক-ফার্মেসির বিস্তার, ভুল রোগনির্ণয়, ভুয়া ওষুধ এবং আইন প্রয়োগের দুর্বলতা জনস্বাস্থ্য আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্বাস্থ্যবিমা কার্যকর না হওয়ায় ৭৪ শতাংশ ব্যয় রোগীকেই বহন করতে হয়, যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য বড় ঝুঁকি।
নির্ধারিত আলোচনায় অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক সরকারি হাসপাতালের মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ জরুরি বলে মনে করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেলের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী স্বাস্থ্য খাতে আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় ও পিপিপি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

দেশের বিমা কোম্পানিগুলো সময়মতো গ্রাহকের বিমা দাবি শোধ করতে না পারলেও খরচের বেলায় কার্পণ্য করে না। তাই খরচে লাগাম টানতে বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারণ করে দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ); কিন্তু তা-ও মানছে তারা।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা। বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীতে গতকাল শনিবার জমে ওঠে বছরের বড় হাট।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বসা এই বাজারে এদিন প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। চাহিদা বাড়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ফুলের সরবরাহ ও কেনাবেচা হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন ফুলচাষিরা।
গতকাল বাজারে সবচেয়ে বেশি এসেছে গাঁদা ফুল। মানভেদে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ২০০-৪০০ টাকায়। তবে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক কম। বিপরীতে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে অন্যান্য ফুল।
চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হয় ২, জারবেরা ১৬-১৮, গ্লাডিওলাস ১৬-২০, রজনীগন্ধা ১০-১৪, গোলাপ ৮-১০ এবং ভুট্টা ফুল প্রতিটি সর্বোচ্চ ১৫ টাকা দরে।
ফুলচাষি খালেদুর রহমান টিটু বলেন, ‘বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসের বাজার ধরার জন্য কয়েক মাস ধরে গাঁদা ফুলের পরিচর্যা করেছি। গাঁদার কাঙ্ক্ষিত দাম পাইনি, তবে অন্য ফুলের দাম ভালো থাকায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’
রজনীগন্ধার চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে চাষ করা ফুল এবার ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজ ৯০০টি রজনীগন্ধা ১৪ টাকা পিস দরে বিক্রি করেছি। গতকাল ছিল ৯ টাকা। সামনে দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোর জেলায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে ১১ ধরনের ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়। ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই চার মাসই ফুলের প্রধান মৌসুম। এ সময় অন্তত ৭-৮টি গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে ঘিরে ১৫০-২০০ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার লক্ষ্য থাকে স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীদের।
গদখালী ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মঞ্জুর আলম বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে চাষিরা ফুল উৎপাদন করেন। এবার গাঁদা ফুলের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ায় এর দাম কম। তবে গাঁদা ছাড়া প্রায় সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে।

অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা। বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীতে গতকাল শনিবার জমে ওঠে বছরের বড় হাট।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বসা এই বাজারে এদিন প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। চাহিদা বাড়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ফুলের সরবরাহ ও কেনাবেচা হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন ফুলচাষিরা।
গতকাল বাজারে সবচেয়ে বেশি এসেছে গাঁদা ফুল। মানভেদে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ২০০-৪০০ টাকায়। তবে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক কম। বিপরীতে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে অন্যান্য ফুল।
চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হয় ২, জারবেরা ১৬-১৮, গ্লাডিওলাস ১৬-২০, রজনীগন্ধা ১০-১৪, গোলাপ ৮-১০ এবং ভুট্টা ফুল প্রতিটি সর্বোচ্চ ১৫ টাকা দরে।
ফুলচাষি খালেদুর রহমান টিটু বলেন, ‘বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসের বাজার ধরার জন্য কয়েক মাস ধরে গাঁদা ফুলের পরিচর্যা করেছি। গাঁদার কাঙ্ক্ষিত দাম পাইনি, তবে অন্য ফুলের দাম ভালো থাকায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’
রজনীগন্ধার চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে চাষ করা ফুল এবার ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজ ৯০০টি রজনীগন্ধা ১৪ টাকা পিস দরে বিক্রি করেছি। গতকাল ছিল ৯ টাকা। সামনে দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোর জেলায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে ১১ ধরনের ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়। ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই চার মাসই ফুলের প্রধান মৌসুম। এ সময় অন্তত ৭-৮টি গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে ঘিরে ১৫০-২০০ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার লক্ষ্য থাকে স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীদের।
গদখালী ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মঞ্জুর আলম বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে চাষিরা ফুল উৎপাদন করেন। এবার গাঁদা ফুলের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ায় এর দাম কম। তবে গাঁদা ছাড়া প্রায় সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে।

দেশের বিমা কোম্পানিগুলো সময়মতো গ্রাহকের বিমা দাবি শোধ করতে না পারলেও খরচের বেলায় কার্পণ্য করে না। তাই খরচে লাগাম টানতে বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারণ করে দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ); কিন্তু তা-ও মানছে তারা।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে। তবে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে এই লেনদেনের প্রবণতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মূলত নগদ বহনের ঝুঁকি, বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্টের সুবিধা—এ সব মিলিয়েই সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে ৫১ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশিরা বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করেছিলেন ৪৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। মাত্র এক মাস পর সেপ্টেম্বরে সেই ব্যয় দাঁড়ায় ৪৯৪ কোটি ২ লাখ টাকায়। অর্থাৎ বিদেশে কার্ড খরচ এক মাসে বেড়েছে ৫১ কোটি ১ লাখ টাকা।
তথ্য বলছে, বিদেশে বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে—৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা। থাইল্যান্ডে খরচ হয়েছে ৫৯ কোটি ৯ লাখ এবং যুক্তরাজ্যে ৫৪ কোটি ১ লাখ টাকা। সিঙ্গাপুরে ব্যয় ৪০ কোটি ৪ লাখ, মালয়েশিয়ায় ৩৪ কোটি, ভারতে ৩২ কোটি ৩ লাখ, নেদারল্যান্ডসে ২৫ কোটি, সৌদি আরবে ২৪ কোটি, কানাডায় ২১ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ১৭ কোটি এবং আয়ারল্যান্ডে ১৬ কোটি টাকা। চীনে ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অন্যান্য দেশে মোট খরচ ৯২ কোটি টাকার বেশি।
অন্যদিকে, বিদেশিরাও বাংলাদেশে এসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কত খরচ করে থাকেন। আগস্টে বিদেশিদের ব্যয় ছিল ১৮৩ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা সেপ্টেম্বরে সামান্য কমে দাঁড়ায় ১৭৫ কোটি ৯ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসে তাঁদের কার্ডব্যয় কমেছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। বিদেশিদের মধ্যেও বাংলাদেশে এসে সর্বোচ্চ খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা—৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। যুক্তরাজ্য ও ভারতের নাগরিকদের ব্যয় ছিল ১৭ কোটি টাকা করে।
এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, নগদ বহনের চেয়ে মানুষ কার্ডে লেনদেনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিদেশ ভ্রমণে এটি সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন পদ্ধতি। সাম্প্রতিক সময়ে চীনে যাত্রীপ্রবাহ রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে—তাই সে দেশে কার্ড ব্যয়েও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দৈনন্দিন খরচ, বেতন-ভাতা গ্রহণ এবং নগদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ডেবিট কার্ড। তুলনামূলকভাবে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা কম হলেও এর ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে এবং তা মূলত শহরকেন্দ্রিক। শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ক্রেডিট কার্ড এখন একটি স্বাভাবিক ব্যয়ের মাধ্যম হয়ে উঠছে। একইভাবে প্রি-পেইড কার্ডের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে—গত পাঁচ বছরে যার প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৬ গুণ।
বর্তমানে দেশের ৫৬টি ব্যাংক ও ১টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি) কার্ড সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে ৪৮টি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, দ্বৈত মুদ্রার ডেবিট কার্ড এবং প্রি-পেইড কার্ড—এই তিন ধরনের সেবা পরিচালনা করে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, সামগ্রিকভাবে মানুষ নগদের চেয়ে কার্ডে লেনদেনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাঁর ভাষায়, আঞ্চলিক কূটনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতিও ক্রস-বর্ডার কার্ড ব্যবহারে প্রভাব ফেলছে।
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে। তবে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে এই লেনদেনের প্রবণতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মূলত নগদ বহনের ঝুঁকি, বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্টের সুবিধা—এ সব মিলিয়েই সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে ৫১ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশিরা বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করেছিলেন ৪৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। মাত্র এক মাস পর সেপ্টেম্বরে সেই ব্যয় দাঁড়ায় ৪৯৪ কোটি ২ লাখ টাকায়। অর্থাৎ বিদেশে কার্ড খরচ এক মাসে বেড়েছে ৫১ কোটি ১ লাখ টাকা।
তথ্য বলছে, বিদেশে বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে—৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা। থাইল্যান্ডে খরচ হয়েছে ৫৯ কোটি ৯ লাখ এবং যুক্তরাজ্যে ৫৪ কোটি ১ লাখ টাকা। সিঙ্গাপুরে ব্যয় ৪০ কোটি ৪ লাখ, মালয়েশিয়ায় ৩৪ কোটি, ভারতে ৩২ কোটি ৩ লাখ, নেদারল্যান্ডসে ২৫ কোটি, সৌদি আরবে ২৪ কোটি, কানাডায় ২১ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ১৭ কোটি এবং আয়ারল্যান্ডে ১৬ কোটি টাকা। চীনে ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অন্যান্য দেশে মোট খরচ ৯২ কোটি টাকার বেশি।
অন্যদিকে, বিদেশিরাও বাংলাদেশে এসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কত খরচ করে থাকেন। আগস্টে বিদেশিদের ব্যয় ছিল ১৮৩ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা সেপ্টেম্বরে সামান্য কমে দাঁড়ায় ১৭৫ কোটি ৯ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসে তাঁদের কার্ডব্যয় কমেছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। বিদেশিদের মধ্যেও বাংলাদেশে এসে সর্বোচ্চ খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা—৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। যুক্তরাজ্য ও ভারতের নাগরিকদের ব্যয় ছিল ১৭ কোটি টাকা করে।
এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, নগদ বহনের চেয়ে মানুষ কার্ডে লেনদেনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিদেশ ভ্রমণে এটি সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন পদ্ধতি। সাম্প্রতিক সময়ে চীনে যাত্রীপ্রবাহ রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে—তাই সে দেশে কার্ড ব্যয়েও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দৈনন্দিন খরচ, বেতন-ভাতা গ্রহণ এবং নগদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ডেবিট কার্ড। তুলনামূলকভাবে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা কম হলেও এর ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে এবং তা মূলত শহরকেন্দ্রিক। শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ক্রেডিট কার্ড এখন একটি স্বাভাবিক ব্যয়ের মাধ্যম হয়ে উঠছে। একইভাবে প্রি-পেইড কার্ডের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে—গত পাঁচ বছরে যার প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৬ গুণ।
বর্তমানে দেশের ৫৬টি ব্যাংক ও ১টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি) কার্ড সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে ৪৮টি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, দ্বৈত মুদ্রার ডেবিট কার্ড এবং প্রি-পেইড কার্ড—এই তিন ধরনের সেবা পরিচালনা করে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, সামগ্রিকভাবে মানুষ নগদের চেয়ে কার্ডে লেনদেনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাঁর ভাষায়, আঞ্চলিক কূটনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতিও ক্রস-বর্ডার কার্ড ব্যবহারে প্রভাব ফেলছে।

দেশের বিমা কোম্পানিগুলো সময়মতো গ্রাহকের বিমা দাবি শোধ করতে না পারলেও খরচের বেলায় কার্পণ্য করে না। তাই খরচে লাগাম টানতে বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারণ করে দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ); কিন্তু তা-ও মানছে তারা।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৭ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে তামার দাম ইতিমধ্যে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পথে। গত শুক্রবার প্রতি টন তামার দাম ১১ হাজার ৯৫২ ডলার উঠে যায়।
উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহিতার কারণে তামা ডেটা সেন্টার, বৈদ্যুতিক যান, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং জ্বালানি রূপান্তর অবকাঠামোর জন্য অপরিহার্য কাঁচামাল। বিশ্বজুড়ে ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে বিপুল বিনিয়োগ তামার চাহিদাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
বেঞ্চমার্ক মিনারেল ইনটেলিজেন্সের বিশ্লেষক দান ডে ইয়ং বলেন, এআই খাতকে কেন্দ্র করে যাঁরা বিনিয়োগ করছেন, তাঁরা এমন পণ্য বেছে নিচ্ছেন, যেখানে ডেটা সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত। ফলে তামাভিত্তিক ইটিএফসহ সংশ্লিষ্ট সম্পদে বিনিয়োগ বাড়ছে।
এ প্রবণতার অংশ হিসেবে কানাডার স্প্রট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ২০২৪ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের প্রথম বাস্তব তামাসমর্থিত এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালু করে। প্রায় ১০ হাজার টন তামা সংরক্ষিত এই তহবিলের ইউনিট মূল্য চলতি বছরে ৪৬ শতাংশ বেড়ে প্রায় ১৪ কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছেছে।
রয়টার্সের এক জরিপে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে বৈশ্বিক তামার বাজারে ১ লাখ ২৪ হাজার টন এবং আগামী বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ম্যাকোয়ারির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বে তামার চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা দেশ চীনে চাহিদা বাড়বে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, আর চীনের বাইরে আগামী বছর চাহিদা বাড়তে পারে ৩ শতাংশ।
ম্যাকোয়ারির বিশ্লেষক অ্যালিস ফক্স বলেন, কঠোর সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে বাজারে যে আলোচনা চলছে, সেটিই তামার দামে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করছে।
সরবরাহ সংকটের পেছনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ফ্রিপোর্ট ম্যাকমোরানের গ্রাসবার্গ খনিতে দুর্ঘটনা, গ্লেনকোরসহ বড় খনি কোম্পানির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কমেক্স ও সাংহাই ফিউচার্স এক্সচেঞ্জে মোট তামার মজুত চলতি বছরে ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৬ লাখ ৬১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। তবে এর বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাচ্ছে।
কমেক্সে তামার মজুত রেকর্ড ৪ লাখ ৫ হাজার ৭৮২ টনে পৌঁছেছে, যা মোট বৈশ্বিক এক্সচেঞ্জ মজুতের ৬১ শতাংশ। বছরের শুরুতে যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে তামার দাম ইতিমধ্যে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পথে। গত শুক্রবার প্রতি টন তামার দাম ১১ হাজার ৯৫২ ডলার উঠে যায়।
উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহিতার কারণে তামা ডেটা সেন্টার, বৈদ্যুতিক যান, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং জ্বালানি রূপান্তর অবকাঠামোর জন্য অপরিহার্য কাঁচামাল। বিশ্বজুড়ে ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে বিপুল বিনিয়োগ তামার চাহিদাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
বেঞ্চমার্ক মিনারেল ইনটেলিজেন্সের বিশ্লেষক দান ডে ইয়ং বলেন, এআই খাতকে কেন্দ্র করে যাঁরা বিনিয়োগ করছেন, তাঁরা এমন পণ্য বেছে নিচ্ছেন, যেখানে ডেটা সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত। ফলে তামাভিত্তিক ইটিএফসহ সংশ্লিষ্ট সম্পদে বিনিয়োগ বাড়ছে।
এ প্রবণতার অংশ হিসেবে কানাডার স্প্রট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ২০২৪ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের প্রথম বাস্তব তামাসমর্থিত এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালু করে। প্রায় ১০ হাজার টন তামা সংরক্ষিত এই তহবিলের ইউনিট মূল্য চলতি বছরে ৪৬ শতাংশ বেড়ে প্রায় ১৪ কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছেছে।
রয়টার্সের এক জরিপে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে বৈশ্বিক তামার বাজারে ১ লাখ ২৪ হাজার টন এবং আগামী বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ম্যাকোয়ারির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বে তামার চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা দেশ চীনে চাহিদা বাড়বে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, আর চীনের বাইরে আগামী বছর চাহিদা বাড়তে পারে ৩ শতাংশ।
ম্যাকোয়ারির বিশ্লেষক অ্যালিস ফক্স বলেন, কঠোর সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে বাজারে যে আলোচনা চলছে, সেটিই তামার দামে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করছে।
সরবরাহ সংকটের পেছনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ফ্রিপোর্ট ম্যাকমোরানের গ্রাসবার্গ খনিতে দুর্ঘটনা, গ্লেনকোরসহ বড় খনি কোম্পানির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কমেক্স ও সাংহাই ফিউচার্স এক্সচেঞ্জে মোট তামার মজুত চলতি বছরে ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৬ লাখ ৬১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। তবে এর বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাচ্ছে।
কমেক্সে তামার মজুত রেকর্ড ৪ লাখ ৫ হাজার ৭৮২ টনে পৌঁছেছে, যা মোট বৈশ্বিক এক্সচেঞ্জ মজুতের ৬১ শতাংশ। বছরের শুরুতে যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।

দেশের বিমা কোম্পানিগুলো সময়মতো গ্রাহকের বিমা দাবি শোধ করতে না পারলেও খরচের বেলায় কার্পণ্য করে না। তাই খরচে লাগাম টানতে বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারণ করে দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ); কিন্তু তা-ও মানছে তারা।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৭ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৮ ঘণ্টা আগে