Ajker Patrika

সহায়তা কমিয়ে দরিদ্রদের দুর্ভোগ বাড়াল যুক্তরাজ্য, বিশ্বব্যাংকের সমালোচনা

সহায়তা কমিয়ে দরিদ্রদের দুর্ভোগ বাড়াল যুক্তরাজ্য, বিশ্বব্যাংকের সমালোচনা

বৈদেশিক সহায়তায় বরাদ্দ কমিয়ে দিয়ে বিশ্বব্যাংকের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে যুক্তরাজ্য। বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি বলছে, সবাই যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে বড় আকারের আর্থিক সহায়তা প্রত্যাশা করে। কিন্তু দেশটি বাজেট কমিয়ে দিয়ে বিশ্বের দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তার জন্য যে তহবিল গঠন করে বিশ্বব্যাংক, সেখানে একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বড় আকারের সহায়তা দেওয়া দেশ ছিল যুক্তরাজ্য। তবে ২০২০ সাল ঠেকে এই সহায়তার পরিমাণ কমিয়ে দেয় তারা। ব্রিটেনের মন্ত্রীরা বলেছেন, যত দিন না তাদের বাণিজ্য আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে তত দিন এই সহায়তা বাড়বে না।

বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন তহবিলে যুক্তরাজ্য তার আর্থিক সহায়তা অর্ধেক কমিয়ে বছরে ৫০ কোটি পাউন্ড করেছে। আর এতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বিশ্বব্যাংক। দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে তহবিল গঠনের অর্থ জোগাড় করাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্বব্যাংকের জন্য।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ বলেছেন, ‘প্রতিটি ডলারের মূল্য আছে। প্রতিটি ডলারই জীবন বাঁচায়। আর্থিক সহায়তার বিষয়টি আমরা এভাবেই মূল্যায়ন করি বলে সমস্যার স্বরূপটাও বেশ কঠিন। আমরা চাই সহায়তা দেওয়ায় যুক্তরাজ্য আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাক।’
 
বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য হ্রাসে কয়েক দশকের অগ্রগতি গত তিন বছরের সংকটে অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। করোনা মহামারির পরে চরম দারিদ্র্যের শিকার বিশ্বের ১০ কোটির বেশি মানুষ, যাদের দৈনিক আয় ২ ডলারেরও (১.৬ পাউন্ড) কম। এই অবস্থায়, ডিসেম্বরের আগেই সংকট পীড়িত দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তার জন্য আরও তহবিল প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

তবে, শরণার্থীদের জন্য ব্যয় করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়ছে অন্যান্য খাতে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সাব-সাহারান আফ্রিকায় যে পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ছিল, সে অর্থ কমেছে ৭ শতাংশেরও বেশি।

অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্য সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্য বিশ্বের বৃহত্তম সাহায্য দাতাদের মধ্যে একটি। ২০২২ সালে আমরা সাহায্যের জন্য ব্যয় করেছি প্রায় ১২৮০ কোটি পাউন্ড, যা জি-৭ ভুক্ত অনেক দেশের চেয়েই বেশি। দারিদ্র্য হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাবগুলো হ্রাস করা এবং বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে সহায়তা করছি আমরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈদেশিক সহায়তার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মানুষের দারিদ্র্য হ্রাসে কাজ করছি আমরা। গত বছর পূর্ব আফ্রিকায় খরা, আফগানিস্তানে খাদ্য সংকট এবং পাকিস্তানে বন্যার প্রতিক্রিয়ায় আমরা সহায়তা করেছি। গত বছর ইন্ডিপেনডেন্ট কমিশন ফর এইড ইমপ্যাক্টের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত এক দশকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনে যুক্তরাজ্য ১০০০ কোটি পাউন্ড সহায়তা করলেও আমাদের প্রভাব এই অর্থের চেয়েও বেশি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি বাসভবনে একাই থাকতেন শরীয়তপুরের ডিসি, পরিবার থাকত ঢাকায়

‘তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস’ বলেই জুলাই যোদ্ধাকে মারধর

বুশেহরে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘ফুকুশিমা’ ঘটতে পারে, বিশ্লেষকদের হুঁশিয়ারি

কারাগারে ১০৫ মন্ত্রী-এমপি

ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ও পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত