নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদায়ী গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, ‘করোনার সময় অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। সবার ধারণা ছিল টিকা কার্যক্রম শেষ হলে চ্যালেঞ্জ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জ তার কোনো সীমা নেই। আমি এক মেয়াদি চ্যালেঞ্জ রেখে বিদায় নিচ্ছি। আমার যোগ্য উত্তরসূরি হিসাবে যিনি গভর্নর হিসেবে আসছেন, তিনি মূল্যস্ফীতি ও ডলার রেটের মত চ্যালেঞ্জ শক্ত হাতে মোকাবিলা করবেন।’
আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হল রুমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাচিত সংগঠনসমূহ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী গভর্নর ফজলে কবির এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত কাউন্সিলের সভাপতি ও সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক এইচ এম দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মানীয় বিশেষ অতিথি হিসেবে গভর্নরের সহধর্মিণী ও সাবেক সচিব মাহমুদা শারমীন বেনু, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররা ও পরিচালকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়ী বক্তব্যে আবেগ আপ্লুত হয়ে গভর্নর বলেন, ‘আমার দায়িত্ব নেওয়ার ৬ বছর ৩ মাস পার হয়ে গেল। অথচ মনে হচ্ছে এই তো সেদিন দায়িত্ব নিলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার পর যখন দেশে ফিরছিলাম। বিমানবন্দরে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলেন আপনার প্রথম কাজ কি হবে? আমি বলেছিলাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাব মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা। এরপরে কর্মকর্তাদের মনবল চাঙা করা।’
বিদায় মুহূর্তে গভর্নর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পারফরম্যান্স অসাধারণ। অন্য কোনো দেশে এমনটা পাওয়া যায় না। এখানে অনেক মেধাবীদের সমন্বয়ে আছে। দেশের অন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানেও এমনটা দেখা যায় না। যা আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে এসে পেয়েছি।’
ফজলে কবির বলেন, ‘আমি দেশের অর্থনীতির জন্য যা করতে পেরেছি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি। আর তা হল সম্মান যুক্ত ভালোবাসা। আমি সরকারের কাছ থেকেও অনেক সম্মান পেয়েছি। এর মধ্যে মুজিববর্ষ, পদ্মা সেতুর স্মারক নোটে আমার স্বাক্ষর রয়েছে। এটি অনেক সম্মানের।’
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেখ মুহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, ‘চাকরি জীবনে প্রশাসক হিসেবে গভর্নর ফজলে কবির যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তার সংমিশ্রণে তিনি দক্ষতার সঙ্গে আর্থিক খাতের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে আমি তার সঙ্গে কাজ করেছি। ব্যক্তি ও কর্ম জীবনে তিনি সবার জন্য অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।’
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, ‘অসাধারণ একটি সময় পার করেছেন ফজলে কবির স্যার। যেটা নট আউট বলা যায়। করোনা মোকাবিলা তার ব্যাংকিং খাতে অবদান ছিল অতুলনীয়।’
নির্বাহী পরিচালক হুমায়ূন কবির বলেন, ‘গভর্নর স্যার অনেক কঠিন সময়ে দায়িত্ব নিয়েছে। রিজার্ভ হ্যাকের মাধ্যমে যে ক্রান্তিলগ্নের আবির্ভাব হয় তা তিনি সুন্দরভাবে ও দক্ষতার সঙ্গে গুছিয়ে নিয়েছেন। তিনি একজন মানবিক মানুষ। করোনাকালে ১৮৩ জন ব্যাংকার মারা গেছে, তাদের পরিবারের পাশে ছিলেন তিনি। ব্যাংকারদের ন্যূনতম বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করছেন।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক গভর্নর লুৎফর রহমান স্যারের মতো ফজলে কবির স্যারের মানবিকতা দেখেছি। তিনি একজন ব্যতিক্রম ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। দেশের মানুষের জন্য তিনি যে কাজ করেছেন তাতে আমি অভিভূত।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদায়ী গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, ‘করোনার সময় অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। সবার ধারণা ছিল টিকা কার্যক্রম শেষ হলে চ্যালেঞ্জ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জ তার কোনো সীমা নেই। আমি এক মেয়াদি চ্যালেঞ্জ রেখে বিদায় নিচ্ছি। আমার যোগ্য উত্তরসূরি হিসাবে যিনি গভর্নর হিসেবে আসছেন, তিনি মূল্যস্ফীতি ও ডলার রেটের মত চ্যালেঞ্জ শক্ত হাতে মোকাবিলা করবেন।’
আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হল রুমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাচিত সংগঠনসমূহ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী গভর্নর ফজলে কবির এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত কাউন্সিলের সভাপতি ও সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক এইচ এম দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মানীয় বিশেষ অতিথি হিসেবে গভর্নরের সহধর্মিণী ও সাবেক সচিব মাহমুদা শারমীন বেনু, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররা ও পরিচালকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়ী বক্তব্যে আবেগ আপ্লুত হয়ে গভর্নর বলেন, ‘আমার দায়িত্ব নেওয়ার ৬ বছর ৩ মাস পার হয়ে গেল। অথচ মনে হচ্ছে এই তো সেদিন দায়িত্ব নিলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার পর যখন দেশে ফিরছিলাম। বিমানবন্দরে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলেন আপনার প্রথম কাজ কি হবে? আমি বলেছিলাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাব মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা। এরপরে কর্মকর্তাদের মনবল চাঙা করা।’
বিদায় মুহূর্তে গভর্নর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পারফরম্যান্স অসাধারণ। অন্য কোনো দেশে এমনটা পাওয়া যায় না। এখানে অনেক মেধাবীদের সমন্বয়ে আছে। দেশের অন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানেও এমনটা দেখা যায় না। যা আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে এসে পেয়েছি।’
ফজলে কবির বলেন, ‘আমি দেশের অর্থনীতির জন্য যা করতে পেরেছি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি। আর তা হল সম্মান যুক্ত ভালোবাসা। আমি সরকারের কাছ থেকেও অনেক সম্মান পেয়েছি। এর মধ্যে মুজিববর্ষ, পদ্মা সেতুর স্মারক নোটে আমার স্বাক্ষর রয়েছে। এটি অনেক সম্মানের।’
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেখ মুহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, ‘চাকরি জীবনে প্রশাসক হিসেবে গভর্নর ফজলে কবির যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তার সংমিশ্রণে তিনি দক্ষতার সঙ্গে আর্থিক খাতের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে আমি তার সঙ্গে কাজ করেছি। ব্যক্তি ও কর্ম জীবনে তিনি সবার জন্য অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।’
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, ‘অসাধারণ একটি সময় পার করেছেন ফজলে কবির স্যার। যেটা নট আউট বলা যায়। করোনা মোকাবিলা তার ব্যাংকিং খাতে অবদান ছিল অতুলনীয়।’
নির্বাহী পরিচালক হুমায়ূন কবির বলেন, ‘গভর্নর স্যার অনেক কঠিন সময়ে দায়িত্ব নিয়েছে। রিজার্ভ হ্যাকের মাধ্যমে যে ক্রান্তিলগ্নের আবির্ভাব হয় তা তিনি সুন্দরভাবে ও দক্ষতার সঙ্গে গুছিয়ে নিয়েছেন। তিনি একজন মানবিক মানুষ। করোনাকালে ১৮৩ জন ব্যাংকার মারা গেছে, তাদের পরিবারের পাশে ছিলেন তিনি। ব্যাংকারদের ন্যূনতম বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করছেন।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক গভর্নর লুৎফর রহমান স্যারের মতো ফজলে কবির স্যারের মানবিকতা দেখেছি। তিনি একজন ব্যতিক্রম ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। দেশের মানুষের জন্য তিনি যে কাজ করেছেন তাতে আমি অভিভূত।’
দীর্ঘ ২৯ বছর পর বদলে যাচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) নাম। ১৯৯৫ সাল থেকে শুরু হওয়া এই মেলা আগামী বছর থেকে আর ‘আন্তর্জাতিক’ থাকবে না। এখন থেকে এর নতুন নাম হবে ‘ঢাকা বাণিজ্য মেলা’ (ডিটিএফ)।
২ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির রসুলপুর গ্রামের টিলায় দাঁড়ালে এখন চোখে পড়ে সারি সারি খেজুরগাছ। হলুদাভ বারহি জাতের খেজুর থোকায় থোকায় ঝুলে রয়েছে, যা বছর কয়েক আগেও স্থানীয় বাসিন্দাদের কল্পনায় ছিল না। অথচ এখন সেই বাগানে ভিড় করছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
৯ ঘণ্টা আগেগত দশকে পাহাড়ি এলাকায় কাজুবাদামের চাষ দ্রুত বেড়েছে। চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকা এখন দেশের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার, স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের খাদ্যাভ্যাসে কাজুবাদামের চাহিদা বৃদ্ধি এবং দেশীয় প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির বিনিয়োগের কারণে দেশীয় উৎপাদন...
১১ ঘণ্টা আগেমিথ্যা ঘোষণা দিয়ে কর ফাঁকির ওই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযুক্ত প্রভাবশালী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে তদন্ত হয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ে প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
১১ ঘণ্টা আগে