নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। পাশাপাশি গ্যাসের দাম একবারে না বাড়িয়ে ক্রমান্বয়ে বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে সংগঠনটি শিল্পকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তাও চেয়েছে।
২৪ জানুয়ারি দুটি পৃথক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কাছে এ দাবি জানায় বিজিএমইএ।
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়াই শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে উল্লেখ করে বিজিএমইএর চিঠিতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অত্যধিক বৃদ্ধিতে শ্রমিকেরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়বে এবং শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে। এতে করে সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার শঙ্কা রয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে দাবি করা হয়, ‘বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকঋণের সুদের হারও বেড়ে গেছে এবং সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে। এই অবস্থায় তৈরি পোশাকশিল্পকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যাবে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়াই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
চিঠিতে বলা হয়, তৈরি পোশাকশিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে তৈরি পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৩ শতাংশ অর্জিত হচ্ছে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া টেরিটাওয়েল, বস্ত্রশিল্প, অন্যান্য খাতসহ অর্জিত হয় প্রায় ৮৮ শতাংশ।
বিজিএমইএ চিঠিতে আরও বলেছে, ‘অনিয়মিত বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের কারণে পোশাক কারখানাগুলোতে উৎপাদন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তার মধ্যেও সরকার ১২ জানুয়ারি গ্যাসের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর কিছুদিন পূর্বে বিদ্যুতের খুচরা মূল্যও বৃদ্ধি করা হয়। এ অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে ইতিমধ্যেই কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে এবং একই সাথে পোশাক উৎপাদন খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
আগামী এক বছরের জন্য আমদানি করা জ্বালানি পণ্যে কাস্টমস ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে বিজিএমইএর চিঠিতে বলা হয়, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে একসাথে এত মূল্যবৃদ্ধি না করে ক্রমান্বয়ে সহনীয় পর্যায়ে বৃদ্ধি করা হলে পোশাক উৎপাদন খরচ ও মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা যেতে পারে।’
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। পাশাপাশি গ্যাসের দাম একবারে না বাড়িয়ে ক্রমান্বয়ে বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে সংগঠনটি শিল্পকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তাও চেয়েছে।
২৪ জানুয়ারি দুটি পৃথক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কাছে এ দাবি জানায় বিজিএমইএ।
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়াই শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে উল্লেখ করে বিজিএমইএর চিঠিতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অত্যধিক বৃদ্ধিতে শ্রমিকেরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়বে এবং শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে। এতে করে সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার শঙ্কা রয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে দাবি করা হয়, ‘বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকঋণের সুদের হারও বেড়ে গেছে এবং সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে। এই অবস্থায় তৈরি পোশাকশিল্পকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যাবে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়াই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
চিঠিতে বলা হয়, তৈরি পোশাকশিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে তৈরি পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৩ শতাংশ অর্জিত হচ্ছে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া টেরিটাওয়েল, বস্ত্রশিল্প, অন্যান্য খাতসহ অর্জিত হয় প্রায় ৮৮ শতাংশ।
বিজিএমইএ চিঠিতে আরও বলেছে, ‘অনিয়মিত বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের কারণে পোশাক কারখানাগুলোতে উৎপাদন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তার মধ্যেও সরকার ১২ জানুয়ারি গ্যাসের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর কিছুদিন পূর্বে বিদ্যুতের খুচরা মূল্যও বৃদ্ধি করা হয়। এ অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে ইতিমধ্যেই কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে এবং একই সাথে পোশাক উৎপাদন খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
আগামী এক বছরের জন্য আমদানি করা জ্বালানি পণ্যে কাস্টমস ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে বিজিএমইএর চিঠিতে বলা হয়, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে একসাথে এত মূল্যবৃদ্ধি না করে ক্রমান্বয়ে সহনীয় পর্যায়ে বৃদ্ধি করা হলে পোশাক উৎপাদন খরচ ও মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা যেতে পারে।’
কর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে...
৩ ঘণ্টা আগেআগামী এক বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (এফটিজেড) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র বা গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর অলিগলিতে প্রতিদিনের চেনা দৃশ্য—রোদে ঝলসে গেলেও থামে না শ্রমিকের কাজ। কেউ ড্রেন খুঁড়ছেন, কেউ টানছেন ইট-বালু। কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি প্রকল্পে সড়ক আর ভবন গড়ে উঠলেও সেই সব নির্মাণের ভিত গাঁথা শ্রমিকদের মজুরি থাকে বড্ড কম। কাজের ভার আর দক্ষতার ভিত্তিতে নয়—তাঁদের ঘামের দাম ঠিক হয় মালিকের...
৩ ঘণ্টা আগেদেশে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাড়লেও বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের প্রকল্প ঋণের প্রতিশ্রুতি আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। বিপরীতে পুরোনো ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে