ফারুক মেহেদী, ঢাকা
যথাসময়ে তেল দিতে ব্যর্থ হয়েও উল্টো ভ্যাট-সুবিধা চেয়েছে বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আলম ভেজিটেবল লিমিটেড। কোম্পানিটি সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) যে সময়ে ভোজ্যতেল সরবরাহ করার কথা, তা তারা করতে পারেনি। কথা ছিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোজ্যতেল সরবরাহ করতে পারলে কোম্পানিটি সরবরাহকৃত ওই পণ্যের ভ্যাট ছাড় পাবে। এখন নিয়ম মেনে পণ্য সরবরাহ করতে না পারলেও ভ্যাট ছাড়ের সুবিধা ঠিকই চেয়েছে এস আলম ভেজিটেবল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে ওই কোম্পানিকে ভ্যাট-সুবিধা দেওয়া হবে কি না, তা জানতে চেয়েছে টিসিবি। ওই চিঠির কপি এনবিআরকেও দেওয়া হয়েছে। তবে এনবিআর এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
এ সময়ের সবচেয়ে বিতর্কিত-সমালোচিত ব্যবসায়িক গ্রুপ এস আলম গ্রুপ। এটি গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ গ্রুপ বলে পরিচিত। ওই সরকারের শীর্ষ মহলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগে এ গ্রুপটি কয়েকটি ব্যাংক থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নামে-বেনামে লোপাট করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে এরই মধ্যে গ্রুপের মালিক এস আলমসহ তাঁর পরিবারের সবার ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে কর বিভাগ। ব্যাংকগুলোতে চলছে অস্থিরতা। এমন সময়ে সরকারকে ভোজ্যতেল সরবরাহের কাজ নিয়ে তা যথাসময়ে দিতে ব্যর্থ হয়ে এখন উল্টো ভ্যাট-সুবিধা পেতে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবালের চিঠির সূত্র ধরে জানা যায়, এস আলম ভেজিটেবলের সঙ্গে ভোজ্যতেল সরবরাহের চুক্তি করে টিসিবি। কথা ছিল টিসিবিকে বোতলজাত করে ভোজ্যতেল সরবরাহ করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৮ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে দেড় হাজার টন ভোজ্যতেল সরবরাহ করার কথা। তবে এস আলম ভেজিটেবল ওই সময়ের মধ্যে সরবরাহ করেছে মাত্র ৫০০ টন ভোজ্যতেল। ফলে একটি বড় অংশই সরবরাহ করতে পারেনি কোম্পানিটি। এটা টিসিবির সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গের শামিল। এই ব্যর্থতার জন্য এস আলম ভেজিটেবল ওই সময়ে ঈদের ছুটি থাকাকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়েছে। তবে চুক্তি ভঙ্গ করায় টিসিবি ঠিকই অসরবরাহকৃত ভোজ্যতেলের বিপরীতে ভ্যাট কেটে রাখে।
পরে এস আলম ভেজিটেবল কেটে রাখা ভ্যাট ফেরত চেয়ে চিঠি দেয় টিসিবিকে। তবে টিসিবির চিঠিতে বলা হয়, কোম্পানিটির সঙ্গে করা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভ্যাট ছাড়ের সুবিধা বলবৎ ছিল। কোম্পানিটি এ সময়ের পরে আরও ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯৪ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ করে। তাই টিসিবি প্রযোজ্য ভ্যাট কেটে রাখে। এখন টিসিবি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এনবিআরের কাছে জানতে চেয়েছে যে ওই কেটে রাখা ভ্যাট এস আলম ভেজিটেবলকে ফেরত দেওয়া হবে, নাকি সরকারের কোষাগারে জমা
করা হবে?
এ ব্যাপারে এনবিআরের ভ্যাট শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাধারণত চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হলে স্বাভাবিক নিয়মেই ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ার কথা। তবে এ ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত হবে–এই নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। আলোচনা করে নিয়ম অনুযায়ী যা হবে, তা-ই করবে এনবিআর।
আরও খবর পড়ুন:
যথাসময়ে তেল দিতে ব্যর্থ হয়েও উল্টো ভ্যাট-সুবিধা চেয়েছে বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আলম ভেজিটেবল লিমিটেড। কোম্পানিটি সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) যে সময়ে ভোজ্যতেল সরবরাহ করার কথা, তা তারা করতে পারেনি। কথা ছিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোজ্যতেল সরবরাহ করতে পারলে কোম্পানিটি সরবরাহকৃত ওই পণ্যের ভ্যাট ছাড় পাবে। এখন নিয়ম মেনে পণ্য সরবরাহ করতে না পারলেও ভ্যাট ছাড়ের সুবিধা ঠিকই চেয়েছে এস আলম ভেজিটেবল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে ওই কোম্পানিকে ভ্যাট-সুবিধা দেওয়া হবে কি না, তা জানতে চেয়েছে টিসিবি। ওই চিঠির কপি এনবিআরকেও দেওয়া হয়েছে। তবে এনবিআর এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
এ সময়ের সবচেয়ে বিতর্কিত-সমালোচিত ব্যবসায়িক গ্রুপ এস আলম গ্রুপ। এটি গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ গ্রুপ বলে পরিচিত। ওই সরকারের শীর্ষ মহলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগে এ গ্রুপটি কয়েকটি ব্যাংক থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নামে-বেনামে লোপাট করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে এরই মধ্যে গ্রুপের মালিক এস আলমসহ তাঁর পরিবারের সবার ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে কর বিভাগ। ব্যাংকগুলোতে চলছে অস্থিরতা। এমন সময়ে সরকারকে ভোজ্যতেল সরবরাহের কাজ নিয়ে তা যথাসময়ে দিতে ব্যর্থ হয়ে এখন উল্টো ভ্যাট-সুবিধা পেতে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবালের চিঠির সূত্র ধরে জানা যায়, এস আলম ভেজিটেবলের সঙ্গে ভোজ্যতেল সরবরাহের চুক্তি করে টিসিবি। কথা ছিল টিসিবিকে বোতলজাত করে ভোজ্যতেল সরবরাহ করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৮ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে দেড় হাজার টন ভোজ্যতেল সরবরাহ করার কথা। তবে এস আলম ভেজিটেবল ওই সময়ের মধ্যে সরবরাহ করেছে মাত্র ৫০০ টন ভোজ্যতেল। ফলে একটি বড় অংশই সরবরাহ করতে পারেনি কোম্পানিটি। এটা টিসিবির সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গের শামিল। এই ব্যর্থতার জন্য এস আলম ভেজিটেবল ওই সময়ে ঈদের ছুটি থাকাকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়েছে। তবে চুক্তি ভঙ্গ করায় টিসিবি ঠিকই অসরবরাহকৃত ভোজ্যতেলের বিপরীতে ভ্যাট কেটে রাখে।
পরে এস আলম ভেজিটেবল কেটে রাখা ভ্যাট ফেরত চেয়ে চিঠি দেয় টিসিবিকে। তবে টিসিবির চিঠিতে বলা হয়, কোম্পানিটির সঙ্গে করা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভ্যাট ছাড়ের সুবিধা বলবৎ ছিল। কোম্পানিটি এ সময়ের পরে আরও ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯৪ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ করে। তাই টিসিবি প্রযোজ্য ভ্যাট কেটে রাখে। এখন টিসিবি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এনবিআরের কাছে জানতে চেয়েছে যে ওই কেটে রাখা ভ্যাট এস আলম ভেজিটেবলকে ফেরত দেওয়া হবে, নাকি সরকারের কোষাগারে জমা
করা হবে?
এ ব্যাপারে এনবিআরের ভ্যাট শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাধারণত চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হলে স্বাভাবিক নিয়মেই ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ার কথা। তবে এ ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত হবে–এই নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। আলোচনা করে নিয়ম অনুযায়ী যা হবে, তা-ই করবে এনবিআর।
আরও খবর পড়ুন:
মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান সম্মানজনক হলেও রপ্তানি সেভাবে নেই বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বে মাছ উৎপাদনে আমাদের অবস্থান সম্মানজনক হলেও রপ্তানি সেভাবে নেই। মৎস্য রপ্তানি বাড়াতে সরকারের আলাদা ইকোনমিক জোন করা প্রয়োজন; যেখানে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা
১ ঘণ্টা আগেসব প্রকার জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি এক টাকা কমিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। মে মাসের ১ তারিখ থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের টেক জায়ান্ট ওয়ালটনের তৈরি ইউরোপের ঐতিহ্যবাহী এসিসি ব্র্যান্ডের এসি কিনে এবার মিলিয়নিয়ার হয়েছেন খুলনার খালিশপুরের জুয়েলারি ব্যবসায়ী মিঠুন দত্ত। ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২–এর আওতায় কিস্তিতে এসি কিনে তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। এই বিশাল অঙ্কের টাকা পাওয়ায় মিঠুন দত্তের পর
৩ ঘণ্টা আগেদেশের শীর্ষস্থানীয় নিত্য-ব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপনার বাইরে থাকা (অব্যবস্থাপিত) ১০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পর ২০২৫
৩ ঘণ্টা আগে