Ajker Patrika

ভ্যাট না কমলে রুটির প্যাকেট ছোট হবে, সংখ্যা কমবে বিস্কুটের—বেকারির মালিকদের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০: ২৭
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার পাউরুটি ও বিস্কুটে আরোপিত ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএবিবিএমএ)। সংগঠনের নেতারা বলেছেন, সরকার দাবি না মানলে বাধ্য হয়ে দাম বাড়ানো এবং ওজন কমানোর পথে যেতে হবে, আর এর দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।

আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘গরিবের নিত্যখাদ্য রুটি-বিস্কুটে বাড়তি ভ্যাটের প্রভাব ও প্রতিবাদ’ শীর্ষক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএবিবিএমএ সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন মামুন, সহকারী সহসভাপতি ইন্দ্রজিৎ সরকার ও কিষওয়ান ফুড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আবদুর রহমান প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে রুটি-বিস্কুটে ৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার তা বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করেছে। অথচ এই সময়ের মধ্যে প্যাকেট ছোট করা হয়নি, দামও বাড়ানো হয়নি। প্রত্যাশা করা হয়েছিল, নিত্যপ্রয়োজনীয় এই খাবারে ভ্যাট কমবে। তবে এবারের বাজেটের কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি।

ভ্যাট না কমালে ভবিষ্যতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান বিএবিবিএমএ সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের পণ্যে ভ্যাট কমানোর দাবি না মেনে নিলে পণ্যের দাম বাড়াতে এবং ওজন কমাতে বাধ্য হব। ফলে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।’

বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট, গবেষণা প্রতিবেদন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও অর্থনীতিবিদদের সমালোচনা উপেক্ষা করে সরকার সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের খাবার রুটি-বিস্কুটের ওপর বাড়তি ভ্যাট বহাল রেখেছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। একদিকে সুপারশপ থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে, অথচ গরিবের নিত্যখাদ্যে ভ্যাট বহাল রাখা হয়েছে। ধনীদের জন্য ছাড়, আর গরিবের খাবারে কর কেন? এটা কেবল বৈষম্যমূলক নয়, বরং অনৈতিক এবং জাতিকে অপমান করার শামিল।’

সংগঠনের সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন মামুন বলেন, গবেষণা প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে, শ্রমজীবী মানুষ ও ছাত্রছাত্রী প্রতিদিন রুটি ও বিস্কুট খেয়ে তাঁদের ক্ষুধা নিবারণ করেন। আবার বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট বলছে, খাদ্যনিরাপত্তার দিক থেকে বাংলাদেশ ‘রেড জোনে’। এ পরিস্থিতির মধ্যে গরিবকে শোষণের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের অনৈতিক ও পশ্চাৎপদ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরকারকে বহুবার বলেছি, যদি রাজস্ব সংগ্রহ করতে চান, তাহলে আমাদের শিল্পের চেয়ারম্যান ও ধনী ব্যবসায়ীদের ওপর ট্যাক্স আরোপ করুন। কিন্তু ভ্যাট কেন? সরকার আসলে বিস্কুট-রুটি কোম্পানিকে ব্যবহার করছে গরিব শোষণের হাতিয়ার হিসেবে। আমরা এই ভূমিকা পালন করতে চাই না। এ ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত