আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
কয়েক বছর ধরে ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। সর্বশেষ অর্থবছরে বড় লোকসান গুনতে হয়েছে কোম্পানিটিকে। চলতি মূলধনের সংকটের কারণে দ্রুত বাড়ছে ব্যাংকঋণ। সম্পদের চেয়ে দেনার পরিমাণ অনেক বেশি দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অসংগতি উঠে এসেছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে। এমতাবস্থায় কোম্পানিটির ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম, তবু কোম্পানিটির শেয়ারদর চড়া। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এমন ভঙ্গুর আর্থিক স্বাস্থ্য প্রকাশের পরেও কেবল ১০ কর্মদিবসে শেয়ারদর বেড়েছে প্রায় ৮২ টাকার বেশি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, ১২ ডিসেম্বর স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের শেয়ারের দাম ওঠে ১৯১ টাকা ৪০ পয়সা। অথচ সপ্তাহ দুয়েক আগে ২৮ নভেম্বরও শেয়ারদর ছিল ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ কেবল ১০ কর্মদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৮২ টাকা ৭০ পয়সা বা ৭৬ শতাংশের বেশি। অবশ্য এরপরে কয়েক দিন দর ওঠানামা করেছে। গত বুধবার ১৮৭ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেনের পর বৃহস্পতিবার ১৬ টাকা ৪০ পয়সা কমে শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ১৭১ টাকা ৩০ পয়সায়।
শেয়ারের এমন অস্বাভাবিক দর ও লেনদেন বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে কোম্পানিটিকে চিঠি দেয় ডিএসই। এর জবাবে ১৩ ডিসেম্বর কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে অস্বাভাবিক দর ও লেনদেন বাড়ার পেছনে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
দুর্বল আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়েও শেয়ারের এমন দর বাড়া অস্বাভাবিক হলেও দেশের পুঁজিবাজারে এটা নতুন ঘটনা নয় বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়টা নতুন নয়। দর বাড়ার সঙ্গে কোম্পানির ফান্ডামেন্টালের কোনো সম্পর্ক নেই। সবই জুয়াখেলা। এসব কারসাজিতে অনেক সময় কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকেরাও জড়িত থাকেন। এসব বলেও কোনো লাভ হয় না।নিরী
ক্ষক জানিয়েছেন, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে সম্পদ হিসেবে ১২ কোটি ৩২ লাখ টাকার মজুত পণ্য দেখিয়েছেন। এর মধ্যে পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় (ওয়ার্ক ইন প্রসেস) ৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকার কাঁচামাল ছিল। তবে ওই মজুত পণ্যের অস্তিত্ব এবং মূল্য যাচাইয়ের মতো কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি তাঁরা।
২০২২-২৩ অর্থবছরে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ১২ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যা আগের বছরে ছিল কেবল ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে নিট লোকসান বেড়েছে ৫৯৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। লোকসানের কারণে ২০২২ ও ২০২৩ সালে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ বঞ্চিত হয়েছেন। কোম্পানিটির এই শোচনীয় অবস্থায় ভবিষ্যতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা হুমকিতে ফেলেছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।
কোম্পানি সচিব জামাল উদ্দীন ভূঁইয়াকে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ভিড়ের মধ্যে আছি। আগামী সপ্তাহে ফোন দিয়েন।’ প্রয়োজনীয়তার কথা জানালেও তিনি পরে কথা বলবেন জানিয়ে ফোন রেখে দেন।
কয়েক বছর ধরে ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। সর্বশেষ অর্থবছরে বড় লোকসান গুনতে হয়েছে কোম্পানিটিকে। চলতি মূলধনের সংকটের কারণে দ্রুত বাড়ছে ব্যাংকঋণ। সম্পদের চেয়ে দেনার পরিমাণ অনেক বেশি দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অসংগতি উঠে এসেছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে। এমতাবস্থায় কোম্পানিটির ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম, তবু কোম্পানিটির শেয়ারদর চড়া। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এমন ভঙ্গুর আর্থিক স্বাস্থ্য প্রকাশের পরেও কেবল ১০ কর্মদিবসে শেয়ারদর বেড়েছে প্রায় ৮২ টাকার বেশি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, ১২ ডিসেম্বর স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের শেয়ারের দাম ওঠে ১৯১ টাকা ৪০ পয়সা। অথচ সপ্তাহ দুয়েক আগে ২৮ নভেম্বরও শেয়ারদর ছিল ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ কেবল ১০ কর্মদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৮২ টাকা ৭০ পয়সা বা ৭৬ শতাংশের বেশি। অবশ্য এরপরে কয়েক দিন দর ওঠানামা করেছে। গত বুধবার ১৮৭ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেনের পর বৃহস্পতিবার ১৬ টাকা ৪০ পয়সা কমে শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ১৭১ টাকা ৩০ পয়সায়।
শেয়ারের এমন অস্বাভাবিক দর ও লেনদেন বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে কোম্পানিটিকে চিঠি দেয় ডিএসই। এর জবাবে ১৩ ডিসেম্বর কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে অস্বাভাবিক দর ও লেনদেন বাড়ার পেছনে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
দুর্বল আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়েও শেয়ারের এমন দর বাড়া অস্বাভাবিক হলেও দেশের পুঁজিবাজারে এটা নতুন ঘটনা নয় বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়টা নতুন নয়। দর বাড়ার সঙ্গে কোম্পানির ফান্ডামেন্টালের কোনো সম্পর্ক নেই। সবই জুয়াখেলা। এসব কারসাজিতে অনেক সময় কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকেরাও জড়িত থাকেন। এসব বলেও কোনো লাভ হয় না।নিরী
ক্ষক জানিয়েছেন, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে সম্পদ হিসেবে ১২ কোটি ৩২ লাখ টাকার মজুত পণ্য দেখিয়েছেন। এর মধ্যে পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় (ওয়ার্ক ইন প্রসেস) ৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকার কাঁচামাল ছিল। তবে ওই মজুত পণ্যের অস্তিত্ব এবং মূল্য যাচাইয়ের মতো কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি তাঁরা।
২০২২-২৩ অর্থবছরে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ১২ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যা আগের বছরে ছিল কেবল ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে নিট লোকসান বেড়েছে ৫৯৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। লোকসানের কারণে ২০২২ ও ২০২৩ সালে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ বঞ্চিত হয়েছেন। কোম্পানিটির এই শোচনীয় অবস্থায় ভবিষ্যতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা হুমকিতে ফেলেছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।
কোম্পানি সচিব জামাল উদ্দীন ভূঁইয়াকে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ভিড়ের মধ্যে আছি। আগামী সপ্তাহে ফোন দিয়েন।’ প্রয়োজনীয়তার কথা জানালেও তিনি পরে কথা বলবেন জানিয়ে ফোন রেখে দেন।
দেশের শিল্পকারখানায় চরম গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস না থাকায় অনেক স্থানে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও উৎপাদন নেমে এসেছে তিন ভাগের এক ভাগে। শুধু শিল্প নয়, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনেও চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার। গ্রীষ্মে লোডশেডিং কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোয় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে
৬ ঘণ্টা আগেহংকংয়ের একটি বিউটি সেলুনের মালিক ক্রিস্টাল এনজি এইচএসবিসি ও ডাহ সিং ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন করলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। তিনি জানান, ২০২৩ সালের শেষদিকে যখন তিনি নতুন অফিসে স্থানান্তর করেন, তখন ব্যাংকগুলোর একটির মাধ্যমে জানতে পারেন, তার নতুন ঠিকানাটি যুক্তরাষ্ট্রের এনটিটি তালিকাভুক্ত। ওই ঠিকানার..
১৪ ঘণ্টা আগেআদানি গ্রুপ আগে বলেছিল, প্রকল্পটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে, কিন্তু এখন ভারতীয় এই সংস্থার অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে দেখা গেছে, এই ব্যবসা থেকে কতটা চাহিদা তৈরি হবে, বিশেষ করে ভারতের বাজারে, সে সম্পর্কে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। এরপরই টাওয়ারের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেতিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সৌদি আরবের সরবরাহ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও এই দরপতনে প্রভাব ফেলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
২ দিন আগে