নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে প্রতিবছর কর ইনসেনটিভ (ভর্তুকি) ও কর ব্যয় নিয়ে নানা অনাচার হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিশাল অঙ্কের টাকা কর ভর্তুকি দেওয়া হয়। সরকারকে এসব বন্ধ করতে হবে। বিদ্যুতের মতো জায়গায় কোনোভাবেই করের টাকায় ভর্তুকি দেওয়া উচিত হবে না। সর্বোপরি দেশের স্বার্থে কর সিস্টেমসহ দেশের সামগ্রিক আর্থিক লেনদেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার জোরালো উদ্যোগ জরুরি।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘করপোরেট ইনকাম ট্যাক্স রিফর্ম ফর গ্র্যাজুয়েটিং বাংলাদেশ: দ্য জাস্টিস পারসপেক্টিভ’—শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
দেশের কর খাতে নানা অসংগতি ও অন্যায্যতা রয়েছে। করহার, ভিত্তি, ব্যয় এবং প্রশাসন ইস্যুতে রয়েছে নানা সমালোচনা। এমনকি কর আদায়কারী এবং দাতাদের মধ্যে রয়েছে একে এপরের প্রতি গুরুতর অবিশ্বাস। কর ফাঁকি এড়াতে ডিজিটাল সিস্টেমে চালু নিয়েও কর কর্মকর্তা এবং করদাতাদের আগ্রহের ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি করের অর্থ ব্যয় নিয়ে প্রশ্নের সীমা নেই।
এসব বিষয়ে আলোকপাত করে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘কর ফাঁকি ছাড়াও প্রণোদনা ও করছাড়ের কারণে সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে। বিনিয়োগের কথা বলে বিভিন্ন খাতভিত্তিক কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করা উচিত। প্রণোদনা বা কর ছাড় বিনিয়োগের ভিত্তি হতে পারে না। বাংলাদেশের প্রণোদনা কাঠামো পরিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হয়েছে। এই কাঠামো থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের করের টাকা মূলত সাধারণ জনগণের টাকা। এটা যেনতেনভাবে খরচ করার সুযোগ নেই। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ঢালাওভাবে কর রেওয়াত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, এটা ন্যায্য না। কারণ, বিদ্যুৎ যারা উৎপাদন করেন তারা তো অন্যান্য বড় কোম্পানির মত সক্ষমতা রাখেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘করব্যয় এক বছরে ৭১ হাজার হাজার কোটি টাকা। এত ব্যয় কমাতে হবে। পাশাপাশি সরকারের উচিত হবে, করবৈষম্য দূর করা, যা আগামী দিনে সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়তা করবে। তবে এ জন্য যেকোনো মূল্যে ডিজিটাল কর সিস্টেম ও আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে।’
গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, ‘কর ফাঁকির কারণে ২০২৩ অর্থবছরে (২০২২-২৩ অর্থবছর) আনুমানিক ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালে কর ফাঁকির এই পরিমাণ ছিল ৯৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ, গত ১১ বছরে দেশে কর ফাঁকির পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।’
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় থাকা বাংলাদেশের জন্য করছাড় ও কর ভর্তুকি বড় চ্যালেঞ্জ। এলডিসি উত্তরণের পর বহুজাতিক কোম্পানির বিনিয়োগ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে কর ফাঁকি ও কর পরিহারের ঝুঁকিও বাড়বে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সিপিডি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর ব্যবস্থার ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন ও নীতিগত সংস্কারের সুপারিশ করেছে।’
তিনি জানান, সিপিডির গবেষণায় উঠে এসেছে—একদিকে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে অনেক প্রতিষ্ঠান কর দিতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন। গবেষণায় অংশ নেওয়া ৪৫ শতাংশ কোম্পানি জানিয়েছে, করপোরেট কর দেওয়ার সময় কর কর্মকর্তারা ঘুষ চেয়েছেন। এ ছাড়া বিদ্যমান কর হার অন্যায্য বলে দাবি করেছে ৮২ শতাংশ কোম্পানি।
মূল প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী তামিম আহমেদ বলেন, ‘করপোরেট আয়কর নিয়ে গবেষণার জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়—এমন মোট ১২৩টি কোম্পানির তথ্য নিয়েছে সিপিডি। এ ছাড়া তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক, তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও চামড়া—এই পাঁচটি খাতের ব্যবসায়ী নেতাদের মতামত নেওয়া হয়েছে। জরিপটি পরিচালিত হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে।’
সিপিডির মতে, ২০২৩ সালে আনুমানিক ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা কর ফাঁকি হয়েছে। এর মধ্যে করপোরেট কর ফাঁকির পরিমাণই অর্ধেক বা ৫০ শতাংশ; সেই হিসাবে ২০২৩ সালে আনুমানিক ১ লাখ ১৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা করপোরেট কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
তামিম আহম্মেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির জন্য গণহারে বিপুল অর্থ ব্যয় অন্যায্য। অথচ এ খাতে অর্থ অপচয়ের জন্য অন্য খাতে চাপ বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশন কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। ব্যবসায়ী ও এনবিআরে স্বার্থে এটা করা জরুরি। অথচ এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের এক ধরনের অনীহা রয়েছে। বাংলাদেশে যে কোনো লেনদেন একক ডিজিটাল সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। যাতে করে, যেকোনো লেনদেন ট্রেস ও ট্র্যাক করা যায়। সেটার আলোকে দাখিলকৃত রিটার্নকে ভেরিফাই করা যায়।’
তিনি সুপারিশমালায় বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামনের বাজেটে সর্বনিম্ন কর ১৫ শতাংশ করতে পারে। আর ক্যাপিটাল মার্কেটে ঢালাওভাবে আড়াই শতাংশ করছাড় বন্ধ করতে হবে। বরং, কোম্পানির অবস্থা ভেদে তা হতে পারে। কর আদায়ে একটি নির্দিষ্ট ফ্রেমওয়ার্ক ও কমিটি থাকতে হবে। করের অমীমাংসিত ইস্যু কমিটির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে।
সুপারিশে তিনি আরও বলেন, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বৃদ্ধি করে কর বাড়ানো যেতে পারে। নিবন্ধনকৃত কোম্পানির মধ্যে যারা কর দেয় না তাদের তালিকা প্রকাশ করে জনগণকে অবহিত করা যেতে পারে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে কর রিটার্ন জমা দিয়ে কর প্রদানে নাগরিককে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। কর পদ্ধতি শতভাগে ডিজিটাল করতে হবে।
দেশে প্রতিবছর কর ইনসেনটিভ (ভর্তুকি) ও কর ব্যয় নিয়ে নানা অনাচার হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিশাল অঙ্কের টাকা কর ভর্তুকি দেওয়া হয়। সরকারকে এসব বন্ধ করতে হবে। বিদ্যুতের মতো জায়গায় কোনোভাবেই করের টাকায় ভর্তুকি দেওয়া উচিত হবে না। সর্বোপরি দেশের স্বার্থে কর সিস্টেমসহ দেশের সামগ্রিক আর্থিক লেনদেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার জোরালো উদ্যোগ জরুরি।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘করপোরেট ইনকাম ট্যাক্স রিফর্ম ফর গ্র্যাজুয়েটিং বাংলাদেশ: দ্য জাস্টিস পারসপেক্টিভ’—শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
দেশের কর খাতে নানা অসংগতি ও অন্যায্যতা রয়েছে। করহার, ভিত্তি, ব্যয় এবং প্রশাসন ইস্যুতে রয়েছে নানা সমালোচনা। এমনকি কর আদায়কারী এবং দাতাদের মধ্যে রয়েছে একে এপরের প্রতি গুরুতর অবিশ্বাস। কর ফাঁকি এড়াতে ডিজিটাল সিস্টেমে চালু নিয়েও কর কর্মকর্তা এবং করদাতাদের আগ্রহের ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি করের অর্থ ব্যয় নিয়ে প্রশ্নের সীমা নেই।
এসব বিষয়ে আলোকপাত করে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘কর ফাঁকি ছাড়াও প্রণোদনা ও করছাড়ের কারণে সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে। বিনিয়োগের কথা বলে বিভিন্ন খাতভিত্তিক কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করা উচিত। প্রণোদনা বা কর ছাড় বিনিয়োগের ভিত্তি হতে পারে না। বাংলাদেশের প্রণোদনা কাঠামো পরিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হয়েছে। এই কাঠামো থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের করের টাকা মূলত সাধারণ জনগণের টাকা। এটা যেনতেনভাবে খরচ করার সুযোগ নেই। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ঢালাওভাবে কর রেওয়াত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, এটা ন্যায্য না। কারণ, বিদ্যুৎ যারা উৎপাদন করেন তারা তো অন্যান্য বড় কোম্পানির মত সক্ষমতা রাখেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘করব্যয় এক বছরে ৭১ হাজার হাজার কোটি টাকা। এত ব্যয় কমাতে হবে। পাশাপাশি সরকারের উচিত হবে, করবৈষম্য দূর করা, যা আগামী দিনে সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়তা করবে। তবে এ জন্য যেকোনো মূল্যে ডিজিটাল কর সিস্টেম ও আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে।’
গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, ‘কর ফাঁকির কারণে ২০২৩ অর্থবছরে (২০২২-২৩ অর্থবছর) আনুমানিক ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালে কর ফাঁকির এই পরিমাণ ছিল ৯৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ, গত ১১ বছরে দেশে কর ফাঁকির পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।’
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় থাকা বাংলাদেশের জন্য করছাড় ও কর ভর্তুকি বড় চ্যালেঞ্জ। এলডিসি উত্তরণের পর বহুজাতিক কোম্পানির বিনিয়োগ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে কর ফাঁকি ও কর পরিহারের ঝুঁকিও বাড়বে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সিপিডি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর ব্যবস্থার ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন ও নীতিগত সংস্কারের সুপারিশ করেছে।’
তিনি জানান, সিপিডির গবেষণায় উঠে এসেছে—একদিকে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে অনেক প্রতিষ্ঠান কর দিতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন। গবেষণায় অংশ নেওয়া ৪৫ শতাংশ কোম্পানি জানিয়েছে, করপোরেট কর দেওয়ার সময় কর কর্মকর্তারা ঘুষ চেয়েছেন। এ ছাড়া বিদ্যমান কর হার অন্যায্য বলে দাবি করেছে ৮২ শতাংশ কোম্পানি।
মূল প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী তামিম আহমেদ বলেন, ‘করপোরেট আয়কর নিয়ে গবেষণার জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়—এমন মোট ১২৩টি কোম্পানির তথ্য নিয়েছে সিপিডি। এ ছাড়া তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক, তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও চামড়া—এই পাঁচটি খাতের ব্যবসায়ী নেতাদের মতামত নেওয়া হয়েছে। জরিপটি পরিচালিত হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে।’
সিপিডির মতে, ২০২৩ সালে আনুমানিক ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা কর ফাঁকি হয়েছে। এর মধ্যে করপোরেট কর ফাঁকির পরিমাণই অর্ধেক বা ৫০ শতাংশ; সেই হিসাবে ২০২৩ সালে আনুমানিক ১ লাখ ১৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা করপোরেট কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
তামিম আহম্মেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির জন্য গণহারে বিপুল অর্থ ব্যয় অন্যায্য। অথচ এ খাতে অর্থ অপচয়ের জন্য অন্য খাতে চাপ বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশন কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। ব্যবসায়ী ও এনবিআরে স্বার্থে এটা করা জরুরি। অথচ এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের এক ধরনের অনীহা রয়েছে। বাংলাদেশে যে কোনো লেনদেন একক ডিজিটাল সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। যাতে করে, যেকোনো লেনদেন ট্রেস ও ট্র্যাক করা যায়। সেটার আলোকে দাখিলকৃত রিটার্নকে ভেরিফাই করা যায়।’
তিনি সুপারিশমালায় বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামনের বাজেটে সর্বনিম্ন কর ১৫ শতাংশ করতে পারে। আর ক্যাপিটাল মার্কেটে ঢালাওভাবে আড়াই শতাংশ করছাড় বন্ধ করতে হবে। বরং, কোম্পানির অবস্থা ভেদে তা হতে পারে। কর আদায়ে একটি নির্দিষ্ট ফ্রেমওয়ার্ক ও কমিটি থাকতে হবে। করের অমীমাংসিত ইস্যু কমিটির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে।
সুপারিশে তিনি আরও বলেন, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বৃদ্ধি করে কর বাড়ানো যেতে পারে। নিবন্ধনকৃত কোম্পানির মধ্যে যারা কর দেয় না তাদের তালিকা প্রকাশ করে জনগণকে অবহিত করা যেতে পারে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে কর রিটার্ন জমা দিয়ে কর প্রদানে নাগরিককে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। কর পদ্ধতি শতভাগে ডিজিটাল করতে হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
৪ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
৭ ঘণ্টা আগেচতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক ‘ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া এই ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। এই ঋণের প্রায় ৬২ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ হাজার ২২৯ কোটি টাকাই নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম। ঋণের নামে লুট করা এই টাকা সবচেয়ে বেশি নেওয়া হয়েছে
১ দিন আগে