নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলকে পরিকল্পিতভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমার কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতারা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমার কো-অর্ডিনেশন কমিটির সহ-সমন্বয়ক সাকিব হাসান বলেন, ‘টাকা আমাদের, আমরা যদি অভিযোগ না দেই তাহলে রাসেল সাহেব কেন জেলে থাকবেন? রাসেল সাহেবকে সুপরিকল্পিতভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে এবং ইভ্যালি বন্ধ করার পাঁয়তারা চলছে। অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ আছে। কিন্তু এমন কোনো অভিযোগ ইভ্যালির নামে নেই।’
বক্তারা বলেন, আমরা গ্রাহক ও মার্চেন্টরা এখন বকেয়া টাকা চাচ্ছি না। চাচ্ছি ব্যবসা চলমান থাকুক। ব্যবসা চলমান থাকলে টাকা দিতে পারবে, আর বকেয়া টাকা আস্তে আস্তে পরিশোধ করা সম্ভব।
এ সময় গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের জিম্মায় মোহাম্মদ রাসেলকে মুক্তি দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমার কো-অর্ডিনেশন কমিটির সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘একটা সমস্যা হলে সেটাকে ওভারকাম করা সম্ভব। সেটাকে বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান না। যে কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতে পারে, সেটা বিচারাধীন থাকুক। রাসেল সাহেব বাইরে থাকুক, আমরা তাঁকে সময় দিতে চাই।’
ইভ্যালির লকারের বিষয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজুমার কো-অর্ডিনেশন কমিটির সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অফিসের লকারে যে টাকা থাকে সেটার ওপরে নির্ভর করে কোনো অফিস চলে না। ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক ভ্যালু ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক মার্চেন্টদের ওপরে নির্ভর করে তার সক্ষমতা। তাই ইভ্যালির লকারে কত টাকা পাওয়া গেছে সেটা মুখ্য বিষয় নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ব্যবসা পরিকল্পনা করেছি। রাসেল সাহেব মুক্তি পেলে আমরা তার সঙ্গে বসে এসব ঠিক করব। এতে আমরা কেউই ক্ষতিগ্রস্ত হবো না। এটা আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেও জানিয়েছি।’
টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সিইও রাসেল সাহেব ছয় থেকে সাতশ কোটি টাকা পাচার করেছেন, এমনটা বলা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা গ্রাহক ও মার্চেন্টরা এমন তথ্য পাইনি। সাংবাদিকদের কাছে এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে আপনারা প্রকাশ করুন। তাহলে আমরা রাসেল সাহেবের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাব।’
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মোহাম্মদ আরিফ নামে এক গ্রাহকের করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকেই মোহাম্মদ রাসেলের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের একাংশ।
ই-কমার্স সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলকে পরিকল্পিতভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমার কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতারা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমার কো-অর্ডিনেশন কমিটির সহ-সমন্বয়ক সাকিব হাসান বলেন, ‘টাকা আমাদের, আমরা যদি অভিযোগ না দেই তাহলে রাসেল সাহেব কেন জেলে থাকবেন? রাসেল সাহেবকে সুপরিকল্পিতভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে এবং ইভ্যালি বন্ধ করার পাঁয়তারা চলছে। অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ আছে। কিন্তু এমন কোনো অভিযোগ ইভ্যালির নামে নেই।’
বক্তারা বলেন, আমরা গ্রাহক ও মার্চেন্টরা এখন বকেয়া টাকা চাচ্ছি না। চাচ্ছি ব্যবসা চলমান থাকুক। ব্যবসা চলমান থাকলে টাকা দিতে পারবে, আর বকেয়া টাকা আস্তে আস্তে পরিশোধ করা সম্ভব।
এ সময় গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের জিম্মায় মোহাম্মদ রাসেলকে মুক্তি দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমার কো-অর্ডিনেশন কমিটির সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘একটা সমস্যা হলে সেটাকে ওভারকাম করা সম্ভব। সেটাকে বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান না। যে কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতে পারে, সেটা বিচারাধীন থাকুক। রাসেল সাহেব বাইরে থাকুক, আমরা তাঁকে সময় দিতে চাই।’
ইভ্যালির লকারের বিষয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজুমার কো-অর্ডিনেশন কমিটির সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অফিসের লকারে যে টাকা থাকে সেটার ওপরে নির্ভর করে কোনো অফিস চলে না। ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক ভ্যালু ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক মার্চেন্টদের ওপরে নির্ভর করে তার সক্ষমতা। তাই ইভ্যালির লকারে কত টাকা পাওয়া গেছে সেটা মুখ্য বিষয় নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ব্যবসা পরিকল্পনা করেছি। রাসেল সাহেব মুক্তি পেলে আমরা তার সঙ্গে বসে এসব ঠিক করব। এতে আমরা কেউই ক্ষতিগ্রস্ত হবো না। এটা আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেও জানিয়েছি।’
টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সিইও রাসেল সাহেব ছয় থেকে সাতশ কোটি টাকা পাচার করেছেন, এমনটা বলা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা গ্রাহক ও মার্চেন্টরা এমন তথ্য পাইনি। সাংবাদিকদের কাছে এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে আপনারা প্রকাশ করুন। তাহলে আমরা রাসেল সাহেবের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাব।’
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মোহাম্মদ আরিফ নামে এক গ্রাহকের করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকেই মোহাম্মদ রাসেলের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের একাংশ।
ই-কমার্স সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার ৩৯ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করা হবে, যা গত অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার কোটি। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য ২৫ হাজার ১২০ কোটি।
২ ঘণ্টা আগেএক বছর আগে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের যখন পতন হয়, তখন দেশের অর্থনীতি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতির সেই অবস্থায় কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে বলে মনে করেন তিনি...
৩ ঘণ্টা আগেসদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কিছু প্রাথমিক চিহ্ন দেখা গেলেও কাঠামোগত সমস্যা এখনো অর্থনীতির গতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য...
৬ ঘণ্টা আগেবৈশ্বিক বাজারের অনিশ্চয়তা, কাঁচামালের দাম ওঠানামা ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন সংকটের মধ্যেও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি মিলিয়ে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার; যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৬.৫ শতাংশ বেশি। এই লক্ষ্য শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়, বরং বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের...
৬ ঘণ্টা আগে