নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অব্যাহত পতনের মধ্যে পরপর দুই মাস রপ্তানি আয়ও কমেছে। গত নভেম্বরে রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
আজ সোমবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত নভেম্বরে মোট পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৪৭৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার মূল্যমানের। গত বছরের নভেম্বরে এই আয় ছিল ৫০৯ কোটি ২৫ লাখ ডলারের বেশি।
যেখানে নভেম্বরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এ হিসাবে লক্ষ্যের চেয়ে রপ্তানি আয় কম এসেছে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
এর আগে গত অক্টোবরেও রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। সে মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
তবে অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে রপ্তানি আয় কিছুটা বেড়েছে—১০২ কোটি ডলার বা ২৭ শতাংশ। অক্টোবরে ৩৭৬ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্যমতে, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক থেকে। গত দুই মাস তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মন্দার প্রভাব পড়েছে সার্বিক রপ্তানিতে। গত নভেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪০৫ কোটি ২৫ লাখ ডলারের, যেখানে আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪৩৭ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
সে হিসাবে, এই খাত থেকে আয় কমেছে ৩২ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ কম। অক্টোবর মাসেও পোশাক রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ২২৭ কোটি ২ লাখ ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জুলাই–নভেম্বর এই পাঁচ মাসের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬৪ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। কিন্তু রপ্তানি আয় এসেছে ১ হাজার ৮৮৩ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ কম।
তৈরি পোশাক রপ্তানি কমার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপে সামগ্রিকভাবে পোশাকে চাহিদা কমে গেছে। তার মধ্যে শ্রমিক আন্দোলনের কারণে কিছু কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকার প্রভাব পড়েছে নভেম্বরের রপ্তানিতে।’
গত বছরের জুলাই–নভেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে হোম টেক্সটাইলে ৪২ দশমিক ২৭ শতাংশ, ফুটওয়্যারে ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ, পাটজাত পণ্যে ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ, চামড়াজাত পণ্যে ২০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, হিমায়িত মাছে ১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
অন্যদিকে ইতিবাচক ধারায় আছে প্লাস্টিকপণ্য। এ পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ ছাড়া রাবারে ১৬ দশমিক ৯১ শতাংশ, তুলা বর্জ্যে ৬৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ইপিবির তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) সার্বিক রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে রিজার্ভ কমেছে ১২ কোটি ডলার। ফলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী গত বুধবার রিজার্ভ কমে ১ হাজার ৯৪০ কোটি বা ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। প্রকৃত বা নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়নের কম।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অব্যাহত পতনের মধ্যে পরপর দুই মাস রপ্তানি আয়ও কমেছে। গত নভেম্বরে রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
আজ সোমবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত নভেম্বরে মোট পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৪৭৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার মূল্যমানের। গত বছরের নভেম্বরে এই আয় ছিল ৫০৯ কোটি ২৫ লাখ ডলারের বেশি।
যেখানে নভেম্বরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এ হিসাবে লক্ষ্যের চেয়ে রপ্তানি আয় কম এসেছে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
এর আগে গত অক্টোবরেও রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। সে মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
তবে অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে রপ্তানি আয় কিছুটা বেড়েছে—১০২ কোটি ডলার বা ২৭ শতাংশ। অক্টোবরে ৩৭৬ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্যমতে, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক থেকে। গত দুই মাস তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মন্দার প্রভাব পড়েছে সার্বিক রপ্তানিতে। গত নভেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪০৫ কোটি ২৫ লাখ ডলারের, যেখানে আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪৩৭ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
সে হিসাবে, এই খাত থেকে আয় কমেছে ৩২ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ কম। অক্টোবর মাসেও পোশাক রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ২২৭ কোটি ২ লাখ ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জুলাই–নভেম্বর এই পাঁচ মাসের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬৪ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। কিন্তু রপ্তানি আয় এসেছে ১ হাজার ৮৮৩ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ কম।
তৈরি পোশাক রপ্তানি কমার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপে সামগ্রিকভাবে পোশাকে চাহিদা কমে গেছে। তার মধ্যে শ্রমিক আন্দোলনের কারণে কিছু কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকার প্রভাব পড়েছে নভেম্বরের রপ্তানিতে।’
গত বছরের জুলাই–নভেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে হোম টেক্সটাইলে ৪২ দশমিক ২৭ শতাংশ, ফুটওয়্যারে ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ, পাটজাত পণ্যে ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ, চামড়াজাত পণ্যে ২০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, হিমায়িত মাছে ১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
অন্যদিকে ইতিবাচক ধারায় আছে প্লাস্টিকপণ্য। এ পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ ছাড়া রাবারে ১৬ দশমিক ৯১ শতাংশ, তুলা বর্জ্যে ৬৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ইপিবির তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) সার্বিক রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে রিজার্ভ কমেছে ১২ কোটি ডলার। ফলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী গত বুধবার রিজার্ভ কমে ১ হাজার ৯৪০ কোটি বা ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। প্রকৃত বা নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়নের কম।
দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পেগাসাস লেদারস লিমিটেডের পরিবেশক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২১ জুন) যমুনা ফিউচার পার্কের কনভেনশন হলে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। দেশি ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জুতার ব্যান্ডগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত পরিবেশকেরা এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।
৪৪ মিনিট আগেপারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাব কী দেবে ইরান, এই প্রশ্ন পুরো বিশ্বের। তবে প্রথম প্রতিক্রিয়া হিসেবে হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়েছে, বিশ্বের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্যিক পথটি বন্ধ করা হবে ইরানের ‘অর্থনৈতিক...
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর বিমান হামলার পর বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের আশঙ্কা এবং জ্বালানির সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্ন ঘটতে পারে—এই আতঙ্কে আজ দিনের শুরুতেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৯৮১ টাকা ব্যয় করেন শুধু হাত ধোয়ার পেছনে। এ খরচ শহরে ১৩১১ টাকা হলেও গ্রামে ৮৩১ টাকা। পানি ব্যবহারের দিক থেকেও পার্থক্য লক্ষণীয়—একজন গ্রামীণ নাগরিক বছরে গড়ে ৩১ হাজার ১৮৪ লিটার পানি ব্যবহার করেন হাত ধোয়ার জন্য, আর শহরে এ পরিমাণ ৩০ হাজার ৬৮৩ লিটার। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে
১০ ঘণ্টা আগে