এনবিআরে আন্দোলন
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শেষ পর্যন্ত এনবিআরে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা।
কঠোর কর্মসূচি দিয়ে হঠাৎ আন্দোলন প্রত্যাহার কেন—তা জানতে চাইলে এ বিষয়ে পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাদের কয়েকজন বলেন, চাপে পড়ে আন্দোলন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এনবিআর কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদেরও। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ ছিল সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে। ফলে আন্দোলন থামাতে কঠোর অবস্থানে ছিল সরকার। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। আইনের কৌশলী ব্যবহার, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা বেশ তৎপর ভূমিকা রেখেছে এ ক্ষেত্রে, তৈরি করেছে ফিয়ার ফ্যাক্টর বা ভয়ের উপাদান। যদিও সরকারের দাবি, এনবিআরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদককে তদন্তে নামাতে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করেই গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআরকে দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। সেটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মীরা। আন্দোলনের মধ্যে ২২ অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার কথা জানায় সরকার। এরপর কাজে যোগ দিলেও রাজস্ব খাতের সংস্কারে এনবিআর কর্মকর্তাদের উপেক্ষা ও অসহযোগিতা করার অভিযোগে আন্দোলনকারীরা চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অটল থাকেন। আন্দোলন তীব্র করতে গত শনি ও রোববার পালন করা হয় কমপ্লিট শাটডাউন। এতে সব কর অঞ্চল, কাস্টম হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে সরকার এনবিআরের সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করে। এসব সেবার ক্ষেত্রে চাকরিরত ব্যক্তি ধর্মঘট করা বা চালিয়ে যেতে পারবেন না। আদেশ অমান্য করলে ১ বছর জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে উভয় দণ্ড হতে পারে। এটি চাকরি হারানোর শঙ্কা সৃষ্টি করে কর্মকর্তাদের মধ্যে।
একই দিনে এনবিআরের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানায় দুদক। এটিও সরকারের অন্যতম কৌশল বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। এরপরই আন্দোলনকারীরা এনবিআর ভবন ত্যাগ করেন। সন্ধ্যায় শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান তাঁরা।
এনবিআরের একজন অতিরিক্ত কমিশনার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢালাওভাবে দুর্নীতির অভিযোগ দিলে বাংলাদেশের সব কর্মকর্তার নামেই দেওয়া যায়। সুনির্দিষ্টভাবে বলেন এই ফাইলে, এত টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ঢালাওভাবে অভিযোগ দিয়ে তদন্ত করলে কিছু হবে না; কিন্তু হয়রানি হবে। একজনকে দিয়ে আরেকজনকে ভয় দেখানো। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে দেখেছি, সরকারের বিপক্ষে কিছু গেলেই সরকারের টুলসগুলো ব্যবহার করা হয়। এগুলো তো ঠিক নয়।
আন্দোলনকারী আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘এনবিআরের চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ, আমরা কাজে না ফিরলে সরকার কাস্টমসে আর্মি বসিয়ে মালপত্র ছাড় করার পরিকল্পনা করেছিল। ডিপার্টমেন্ট আর্মিদের হাতে তুলে দিতে পারব না। সারাজীবন লোকে এ কথা শোনাবে। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছি।’
এনবিআরের একজন যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘সংকটের সমাধানে কালকে যখন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার বৈঠক চলছিল, তখনই দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়টা এল। ফলে কারোরই বোঝার অপেক্ষা রাখে না, হঠাৎ করে সম্মুখসারির আন্দোলনকারীদের নিয়ে এটা কেন হলো? যখনই আমরা যৌক্তিক দাবির কথা বলতে গেছি, তখনই একসঙ্গে কতগুলো বিষয় সামনে চলে এসেছে, ফিয়ার ফ্যাক্টর তৈরি করা হয়েছে।’
আন্দোলনের মধ্যে ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় বা সরকার থেকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং আগের কোনো কোনো গভর্নর অতীতে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতেন, সে সংস্কৃতি এখন বদলেছে।
তবে সবকিছু ভুলে কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের রেভিনিউ অফিসারদের বলব, যা কিছু হয়েছে, সবকিছু ভুলে গিয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সব কাজ করব এবং আমাদের যে কাজগুলো আছে, সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
ব্যবসায়ীদের স্বস্তি
এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কর্মকর্তারা কাজে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। চালু হয়েছে বন্দরগুলো। শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এতে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আমাদের বেশ কিছু পণ্য শুল্কায়ন করা হয়েছে আজ। এটি আমাদের জন্য ভালো একটি খবর এবং স্বস্তির বিষয়।’
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, ‘আমরা অর্থ উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, যাতে শক্ত কিছু না করেন। বরং এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেন সমস্যার সুরাহা হয়।’
বৈদেশিক বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট কাস্টমসের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কাস্টম হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনগুলোর সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার এই গেজেট প্রকাশ করেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান গতকাল বলেন, ‘এনবিআরের কর্মচারীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এনবিআর ও এর অধীন সব দপ্তর-সংস্থার সবার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার পর শুধু জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনবিআরের দপ্তর-সংস্থার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।’

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শেষ পর্যন্ত এনবিআরে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা।
কঠোর কর্মসূচি দিয়ে হঠাৎ আন্দোলন প্রত্যাহার কেন—তা জানতে চাইলে এ বিষয়ে পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাদের কয়েকজন বলেন, চাপে পড়ে আন্দোলন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এনবিআর কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদেরও। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ ছিল সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে। ফলে আন্দোলন থামাতে কঠোর অবস্থানে ছিল সরকার। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। আইনের কৌশলী ব্যবহার, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা বেশ তৎপর ভূমিকা রেখেছে এ ক্ষেত্রে, তৈরি করেছে ফিয়ার ফ্যাক্টর বা ভয়ের উপাদান। যদিও সরকারের দাবি, এনবিআরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদককে তদন্তে নামাতে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করেই গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআরকে দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। সেটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মীরা। আন্দোলনের মধ্যে ২২ অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার কথা জানায় সরকার। এরপর কাজে যোগ দিলেও রাজস্ব খাতের সংস্কারে এনবিআর কর্মকর্তাদের উপেক্ষা ও অসহযোগিতা করার অভিযোগে আন্দোলনকারীরা চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অটল থাকেন। আন্দোলন তীব্র করতে গত শনি ও রোববার পালন করা হয় কমপ্লিট শাটডাউন। এতে সব কর অঞ্চল, কাস্টম হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে সরকার এনবিআরের সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করে। এসব সেবার ক্ষেত্রে চাকরিরত ব্যক্তি ধর্মঘট করা বা চালিয়ে যেতে পারবেন না। আদেশ অমান্য করলে ১ বছর জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে উভয় দণ্ড হতে পারে। এটি চাকরি হারানোর শঙ্কা সৃষ্টি করে কর্মকর্তাদের মধ্যে।
একই দিনে এনবিআরের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানায় দুদক। এটিও সরকারের অন্যতম কৌশল বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। এরপরই আন্দোলনকারীরা এনবিআর ভবন ত্যাগ করেন। সন্ধ্যায় শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান তাঁরা।
এনবিআরের একজন অতিরিক্ত কমিশনার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢালাওভাবে দুর্নীতির অভিযোগ দিলে বাংলাদেশের সব কর্মকর্তার নামেই দেওয়া যায়। সুনির্দিষ্টভাবে বলেন এই ফাইলে, এত টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ঢালাওভাবে অভিযোগ দিয়ে তদন্ত করলে কিছু হবে না; কিন্তু হয়রানি হবে। একজনকে দিয়ে আরেকজনকে ভয় দেখানো। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে দেখেছি, সরকারের বিপক্ষে কিছু গেলেই সরকারের টুলসগুলো ব্যবহার করা হয়। এগুলো তো ঠিক নয়।
আন্দোলনকারী আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘এনবিআরের চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ, আমরা কাজে না ফিরলে সরকার কাস্টমসে আর্মি বসিয়ে মালপত্র ছাড় করার পরিকল্পনা করেছিল। ডিপার্টমেন্ট আর্মিদের হাতে তুলে দিতে পারব না। সারাজীবন লোকে এ কথা শোনাবে। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছি।’
এনবিআরের একজন যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘সংকটের সমাধানে কালকে যখন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার বৈঠক চলছিল, তখনই দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়টা এল। ফলে কারোরই বোঝার অপেক্ষা রাখে না, হঠাৎ করে সম্মুখসারির আন্দোলনকারীদের নিয়ে এটা কেন হলো? যখনই আমরা যৌক্তিক দাবির কথা বলতে গেছি, তখনই একসঙ্গে কতগুলো বিষয় সামনে চলে এসেছে, ফিয়ার ফ্যাক্টর তৈরি করা হয়েছে।’
আন্দোলনের মধ্যে ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় বা সরকার থেকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং আগের কোনো কোনো গভর্নর অতীতে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতেন, সে সংস্কৃতি এখন বদলেছে।
তবে সবকিছু ভুলে কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের রেভিনিউ অফিসারদের বলব, যা কিছু হয়েছে, সবকিছু ভুলে গিয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সব কাজ করব এবং আমাদের যে কাজগুলো আছে, সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
ব্যবসায়ীদের স্বস্তি
এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কর্মকর্তারা কাজে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। চালু হয়েছে বন্দরগুলো। শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এতে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আমাদের বেশ কিছু পণ্য শুল্কায়ন করা হয়েছে আজ। এটি আমাদের জন্য ভালো একটি খবর এবং স্বস্তির বিষয়।’
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, ‘আমরা অর্থ উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, যাতে শক্ত কিছু না করেন। বরং এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেন সমস্যার সুরাহা হয়।’
বৈদেশিক বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট কাস্টমসের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কাস্টম হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনগুলোর সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার এই গেজেট প্রকাশ করেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান গতকাল বলেন, ‘এনবিআরের কর্মচারীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এনবিআর ও এর অধীন সব দপ্তর-সংস্থার সবার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার পর শুধু জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনবিআরের দপ্তর-সংস্থার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।’
এনবিআরে আন্দোলন
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শেষ পর্যন্ত এনবিআরে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা।
কঠোর কর্মসূচি দিয়ে হঠাৎ আন্দোলন প্রত্যাহার কেন—তা জানতে চাইলে এ বিষয়ে পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাদের কয়েকজন বলেন, চাপে পড়ে আন্দোলন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এনবিআর কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদেরও। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ ছিল সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে। ফলে আন্দোলন থামাতে কঠোর অবস্থানে ছিল সরকার। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। আইনের কৌশলী ব্যবহার, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা বেশ তৎপর ভূমিকা রেখেছে এ ক্ষেত্রে, তৈরি করেছে ফিয়ার ফ্যাক্টর বা ভয়ের উপাদান। যদিও সরকারের দাবি, এনবিআরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদককে তদন্তে নামাতে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করেই গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআরকে দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। সেটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মীরা। আন্দোলনের মধ্যে ২২ অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার কথা জানায় সরকার। এরপর কাজে যোগ দিলেও রাজস্ব খাতের সংস্কারে এনবিআর কর্মকর্তাদের উপেক্ষা ও অসহযোগিতা করার অভিযোগে আন্দোলনকারীরা চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অটল থাকেন। আন্দোলন তীব্র করতে গত শনি ও রোববার পালন করা হয় কমপ্লিট শাটডাউন। এতে সব কর অঞ্চল, কাস্টম হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে সরকার এনবিআরের সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করে। এসব সেবার ক্ষেত্রে চাকরিরত ব্যক্তি ধর্মঘট করা বা চালিয়ে যেতে পারবেন না। আদেশ অমান্য করলে ১ বছর জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে উভয় দণ্ড হতে পারে। এটি চাকরি হারানোর শঙ্কা সৃষ্টি করে কর্মকর্তাদের মধ্যে।
একই দিনে এনবিআরের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানায় দুদক। এটিও সরকারের অন্যতম কৌশল বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। এরপরই আন্দোলনকারীরা এনবিআর ভবন ত্যাগ করেন। সন্ধ্যায় শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান তাঁরা।
এনবিআরের একজন অতিরিক্ত কমিশনার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢালাওভাবে দুর্নীতির অভিযোগ দিলে বাংলাদেশের সব কর্মকর্তার নামেই দেওয়া যায়। সুনির্দিষ্টভাবে বলেন এই ফাইলে, এত টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ঢালাওভাবে অভিযোগ দিয়ে তদন্ত করলে কিছু হবে না; কিন্তু হয়রানি হবে। একজনকে দিয়ে আরেকজনকে ভয় দেখানো। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে দেখেছি, সরকারের বিপক্ষে কিছু গেলেই সরকারের টুলসগুলো ব্যবহার করা হয়। এগুলো তো ঠিক নয়।
আন্দোলনকারী আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘এনবিআরের চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ, আমরা কাজে না ফিরলে সরকার কাস্টমসে আর্মি বসিয়ে মালপত্র ছাড় করার পরিকল্পনা করেছিল। ডিপার্টমেন্ট আর্মিদের হাতে তুলে দিতে পারব না। সারাজীবন লোকে এ কথা শোনাবে। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছি।’
এনবিআরের একজন যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘সংকটের সমাধানে কালকে যখন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার বৈঠক চলছিল, তখনই দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়টা এল। ফলে কারোরই বোঝার অপেক্ষা রাখে না, হঠাৎ করে সম্মুখসারির আন্দোলনকারীদের নিয়ে এটা কেন হলো? যখনই আমরা যৌক্তিক দাবির কথা বলতে গেছি, তখনই একসঙ্গে কতগুলো বিষয় সামনে চলে এসেছে, ফিয়ার ফ্যাক্টর তৈরি করা হয়েছে।’
আন্দোলনের মধ্যে ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় বা সরকার থেকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং আগের কোনো কোনো গভর্নর অতীতে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতেন, সে সংস্কৃতি এখন বদলেছে।
তবে সবকিছু ভুলে কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের রেভিনিউ অফিসারদের বলব, যা কিছু হয়েছে, সবকিছু ভুলে গিয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সব কাজ করব এবং আমাদের যে কাজগুলো আছে, সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
ব্যবসায়ীদের স্বস্তি
এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কর্মকর্তারা কাজে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। চালু হয়েছে বন্দরগুলো। শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এতে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আমাদের বেশ কিছু পণ্য শুল্কায়ন করা হয়েছে আজ। এটি আমাদের জন্য ভালো একটি খবর এবং স্বস্তির বিষয়।’
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, ‘আমরা অর্থ উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, যাতে শক্ত কিছু না করেন। বরং এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেন সমস্যার সুরাহা হয়।’
বৈদেশিক বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট কাস্টমসের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কাস্টম হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনগুলোর সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার এই গেজেট প্রকাশ করেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান গতকাল বলেন, ‘এনবিআরের কর্মচারীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এনবিআর ও এর অধীন সব দপ্তর-সংস্থার সবার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার পর শুধু জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনবিআরের দপ্তর-সংস্থার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।’

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শেষ পর্যন্ত এনবিআরে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা।
কঠোর কর্মসূচি দিয়ে হঠাৎ আন্দোলন প্রত্যাহার কেন—তা জানতে চাইলে এ বিষয়ে পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাদের কয়েকজন বলেন, চাপে পড়ে আন্দোলন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এনবিআর কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদেরও। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ ছিল সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে। ফলে আন্দোলন থামাতে কঠোর অবস্থানে ছিল সরকার। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। আইনের কৌশলী ব্যবহার, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা বেশ তৎপর ভূমিকা রেখেছে এ ক্ষেত্রে, তৈরি করেছে ফিয়ার ফ্যাক্টর বা ভয়ের উপাদান। যদিও সরকারের দাবি, এনবিআরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদককে তদন্তে নামাতে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করেই গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআরকে দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। সেটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মীরা। আন্দোলনের মধ্যে ২২ অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার কথা জানায় সরকার। এরপর কাজে যোগ দিলেও রাজস্ব খাতের সংস্কারে এনবিআর কর্মকর্তাদের উপেক্ষা ও অসহযোগিতা করার অভিযোগে আন্দোলনকারীরা চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অটল থাকেন। আন্দোলন তীব্র করতে গত শনি ও রোববার পালন করা হয় কমপ্লিট শাটডাউন। এতে সব কর অঞ্চল, কাস্টম হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে সরকার এনবিআরের সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করে। এসব সেবার ক্ষেত্রে চাকরিরত ব্যক্তি ধর্মঘট করা বা চালিয়ে যেতে পারবেন না। আদেশ অমান্য করলে ১ বছর জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে উভয় দণ্ড হতে পারে। এটি চাকরি হারানোর শঙ্কা সৃষ্টি করে কর্মকর্তাদের মধ্যে।
একই দিনে এনবিআরের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানায় দুদক। এটিও সরকারের অন্যতম কৌশল বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। এরপরই আন্দোলনকারীরা এনবিআর ভবন ত্যাগ করেন। সন্ধ্যায় শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান তাঁরা।
এনবিআরের একজন অতিরিক্ত কমিশনার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢালাওভাবে দুর্নীতির অভিযোগ দিলে বাংলাদেশের সব কর্মকর্তার নামেই দেওয়া যায়। সুনির্দিষ্টভাবে বলেন এই ফাইলে, এত টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ঢালাওভাবে অভিযোগ দিয়ে তদন্ত করলে কিছু হবে না; কিন্তু হয়রানি হবে। একজনকে দিয়ে আরেকজনকে ভয় দেখানো। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে দেখেছি, সরকারের বিপক্ষে কিছু গেলেই সরকারের টুলসগুলো ব্যবহার করা হয়। এগুলো তো ঠিক নয়।
আন্দোলনকারী আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘এনবিআরের চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ, আমরা কাজে না ফিরলে সরকার কাস্টমসে আর্মি বসিয়ে মালপত্র ছাড় করার পরিকল্পনা করেছিল। ডিপার্টমেন্ট আর্মিদের হাতে তুলে দিতে পারব না। সারাজীবন লোকে এ কথা শোনাবে। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছি।’
এনবিআরের একজন যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘সংকটের সমাধানে কালকে যখন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার বৈঠক চলছিল, তখনই দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়টা এল। ফলে কারোরই বোঝার অপেক্ষা রাখে না, হঠাৎ করে সম্মুখসারির আন্দোলনকারীদের নিয়ে এটা কেন হলো? যখনই আমরা যৌক্তিক দাবির কথা বলতে গেছি, তখনই একসঙ্গে কতগুলো বিষয় সামনে চলে এসেছে, ফিয়ার ফ্যাক্টর তৈরি করা হয়েছে।’
আন্দোলনের মধ্যে ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় বা সরকার থেকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং আগের কোনো কোনো গভর্নর অতীতে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতেন, সে সংস্কৃতি এখন বদলেছে।
তবে সবকিছু ভুলে কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের রেভিনিউ অফিসারদের বলব, যা কিছু হয়েছে, সবকিছু ভুলে গিয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সব কাজ করব এবং আমাদের যে কাজগুলো আছে, সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
ব্যবসায়ীদের স্বস্তি
এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কর্মকর্তারা কাজে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। চালু হয়েছে বন্দরগুলো। শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এতে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আমাদের বেশ কিছু পণ্য শুল্কায়ন করা হয়েছে আজ। এটি আমাদের জন্য ভালো একটি খবর এবং স্বস্তির বিষয়।’
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, ‘আমরা অর্থ উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, যাতে শক্ত কিছু না করেন। বরং এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেন সমস্যার সুরাহা হয়।’
বৈদেশিক বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট কাস্টমসের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কাস্টম হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনগুলোর সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার এই গেজেট প্রকাশ করেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান গতকাল বলেন, ‘এনবিআরের কর্মচারীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এনবিআর ও এর অধীন সব দপ্তর-সংস্থার সবার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার পর শুধু জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনবিআরের দপ্তর-সংস্থার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।’

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ প্রকল্পের ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৩০ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ৬১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
৩ ঘণ্টা আগে
অর্থনীতি বহুমুখীকরণ ও বৈশ্বিক বাণিজ্যে ভূমিকা জোরদারের লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের একটি বৃহৎ অবকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কুয়েত। এই চুক্তির আওতায় দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর মুবারক আল-কাবির বন্দরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, প্রতি আউন্সের দাম প্রায় ৪ হাজার ৫০০ ডলারের কাছাকাছি। ডলারের দুর্বলতা এবং স্থায়ী ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকেছেন। একই সময়ে রুপাও নতুন সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভ্যাটসংক্রান্ত সব অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম এখন থেকে একক প্ল্যাটফর্ম ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আগে এসব সেবা দেওয়া হতো আইভাস সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে সরকারি হিসাব ব্যবস্থাপনার আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ প্রকল্পের ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৩০ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ৬১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ১৪টি ও সংশোধিত প্রকল্প পাঁচটি এবং মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প তিনটি।
সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘কর্ণফুলী টানেল (আনোয়ারা) থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের গাছবাড়িয়া পর্যন্ত সংযোগ সড়ক (জেড-১০৪০) উন্নয়ন’ প্রকল্প, ‘দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়ক (এন-৫২১) যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্টসমূহ পুনর্নির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প: সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নারায়ণগঞ্জের আলীগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আটটি ১৫তলা ভবনে ৬৭২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা ওয়াসা প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা একাডেমি স্থাপন’ প্রকল্প, ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প, ‘জলবায়ু সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন বা ক্লাইমেট রেজলিয়েন্ট অ্যান্ড লাইভলিহুড ইনহ্যান্সমেন্ট প্রোজেক্ট (সিআরএএলইপি)’ প্রকল্প, ‘পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটির মধ্যে মোংলা কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টের (কমফ্লোট ওয়েস্ট) অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প এবং সাভারে আর্মি ইনস্টিটিউট অব ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘Modernization and Expansion of Eastern Refinery Limited (ERL) প্রকল্প।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পুনর্নির্মাণ কোনাবাড়ী, গাজীপুর (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘Education and Research Capacity Building of National Institute of Advanced Nursing Education and Research (NIANER) প্রকল্প।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উন্নয়ন (তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কর্ণফুলী এবং সংযুক্ত নদীসমূহের (কাচালং, রাইখিয়ং ও শলক নদী) টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’, ‘গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসন’ প্রকল্প, ‘সুরমা-কুশিয়ারা নদী অববাহিকার উন্নয়ন এবং বন্যা ও সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’ এবং ‘Disaster Risk Management Enhancement Project (Component-1, BWDB Part) (proposed 2nd Revision) প্রকল্প’।
এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দারুল আরকাম ইসলামি শিক্ষা পরিচালনা ও সুসংহতকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন; খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ; স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ প্রকল্পের ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৩০ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ৬১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ১৪টি ও সংশোধিত প্রকল্প পাঁচটি এবং মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প তিনটি।
সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘কর্ণফুলী টানেল (আনোয়ারা) থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের গাছবাড়িয়া পর্যন্ত সংযোগ সড়ক (জেড-১০৪০) উন্নয়ন’ প্রকল্প, ‘দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়ক (এন-৫২১) যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্টসমূহ পুনর্নির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প: সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নারায়ণগঞ্জের আলীগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আটটি ১৫তলা ভবনে ৬৭২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা ওয়াসা প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা একাডেমি স্থাপন’ প্রকল্প, ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প, ‘জলবায়ু সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন বা ক্লাইমেট রেজলিয়েন্ট অ্যান্ড লাইভলিহুড ইনহ্যান্সমেন্ট প্রোজেক্ট (সিআরএএলইপি)’ প্রকল্প, ‘পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটির মধ্যে মোংলা কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টের (কমফ্লোট ওয়েস্ট) অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প এবং সাভারে আর্মি ইনস্টিটিউট অব ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘Modernization and Expansion of Eastern Refinery Limited (ERL) প্রকল্প।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পুনর্নির্মাণ কোনাবাড়ী, গাজীপুর (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘Education and Research Capacity Building of National Institute of Advanced Nursing Education and Research (NIANER) প্রকল্প।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উন্নয়ন (তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কর্ণফুলী এবং সংযুক্ত নদীসমূহের (কাচালং, রাইখিয়ং ও শলক নদী) টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’, ‘গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসন’ প্রকল্প, ‘সুরমা-কুশিয়ারা নদী অববাহিকার উন্নয়ন এবং বন্যা ও সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’ এবং ‘Disaster Risk Management Enhancement Project (Component-1, BWDB Part) (proposed 2nd Revision) প্রকল্প’।
এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দারুল আরকাম ইসলামি শিক্ষা পরিচালনা ও সুসংহতকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন; খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ; স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে
০১ জুলাই ২০২৫
অর্থনীতি বহুমুখীকরণ ও বৈশ্বিক বাণিজ্যে ভূমিকা জোরদারের লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের একটি বৃহৎ অবকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কুয়েত। এই চুক্তির আওতায় দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর মুবারক আল-কাবির বন্দরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, প্রতি আউন্সের দাম প্রায় ৪ হাজার ৫০০ ডলারের কাছাকাছি। ডলারের দুর্বলতা এবং স্থায়ী ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকেছেন। একই সময়ে রুপাও নতুন সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভ্যাটসংক্রান্ত সব অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম এখন থেকে একক প্ল্যাটফর্ম ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আগে এসব সেবা দেওয়া হতো আইভাস সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে সরকারি হিসাব ব্যবস্থাপনার আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার...
৩ ঘণ্টা আগেএএফপি, কুয়েত সিটি

অর্থনীতি বহুমুখীকরণ ও বৈশ্বিক বাণিজ্যে ভূমিকা জোরদারের লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের একটি বৃহৎ অবকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কুয়েত। এই চুক্তির আওতায় দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর মুবারক আল-কাবির বন্দরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে।
কুয়েত সরকারের অর্থ ব্যয়ের তদারকি সংস্থা স্টেট অডিট ব্যুরো গতকাল সোমবার জানিয়েছে, বন্দর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রকৌশল, সরবরাহ ও নির্মাণ (ইপিসি) চুক্তির ব্যয় ধরা হয়েছে ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন কুয়েতি দিনার, যা যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রায় প্রায় ৪ দশমিক ১৬৪ বিলিয়ন ডলারের সমান।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুবিয়ান দ্বীপে অবস্থিত মুবারক আল-কাবির বন্দরের নির্মাণসংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমদ আল-আবদুল্লাহ আল-আহমদ আল-সাবাহ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কৌশলগত প্রকল্প আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কুয়েতের অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে দেশটির অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে।
এদিকে চীনের ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স লিউ শিয়াং বলেন, এই চুক্তি চীনের বহুল আলোচিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’র অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এর আগে ২০২৩ সালে কুয়েত ও চীন সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এসব চুক্তির আওতায় মুবারক আল-কাবির বন্দর ছাড়াও আবাসন, পানি শোধনাগার এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে যৌথ প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে গত এক দশকে গড়ে ওঠা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে অবকাঠামো ও বিনিয়োগ কার্যক্রম জোরদার করছে বেইজিং।

অর্থনীতি বহুমুখীকরণ ও বৈশ্বিক বাণিজ্যে ভূমিকা জোরদারের লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের একটি বৃহৎ অবকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কুয়েত। এই চুক্তির আওতায় দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর মুবারক আল-কাবির বন্দরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে।
কুয়েত সরকারের অর্থ ব্যয়ের তদারকি সংস্থা স্টেট অডিট ব্যুরো গতকাল সোমবার জানিয়েছে, বন্দর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রকৌশল, সরবরাহ ও নির্মাণ (ইপিসি) চুক্তির ব্যয় ধরা হয়েছে ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন কুয়েতি দিনার, যা যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রায় প্রায় ৪ দশমিক ১৬৪ বিলিয়ন ডলারের সমান।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুবিয়ান দ্বীপে অবস্থিত মুবারক আল-কাবির বন্দরের নির্মাণসংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমদ আল-আবদুল্লাহ আল-আহমদ আল-সাবাহ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কৌশলগত প্রকল্প আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কুয়েতের অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে দেশটির অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে।
এদিকে চীনের ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স লিউ শিয়াং বলেন, এই চুক্তি চীনের বহুল আলোচিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’র অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এর আগে ২০২৩ সালে কুয়েত ও চীন সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এসব চুক্তির আওতায় মুবারক আল-কাবির বন্দর ছাড়াও আবাসন, পানি শোধনাগার এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে যৌথ প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে গত এক দশকে গড়ে ওঠা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে অবকাঠামো ও বিনিয়োগ কার্যক্রম জোরদার করছে বেইজিং।

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে
০১ জুলাই ২০২৫
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ প্রকল্পের ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৩০ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ৬১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
৩ ঘণ্টা আগে
সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, প্রতি আউন্সের দাম প্রায় ৪ হাজার ৫০০ ডলারের কাছাকাছি। ডলারের দুর্বলতা এবং স্থায়ী ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকেছেন। একই সময়ে রুপাও নতুন সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভ্যাটসংক্রান্ত সব অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম এখন থেকে একক প্ল্যাটফর্ম ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আগে এসব সেবা দেওয়া হতো আইভাস সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে সরকারি হিসাব ব্যবস্থাপনার আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, প্রতি আউন্সের দাম প্রায় ৪ হাজার ৫০০ ডলারের কাছাকাছি। ডলারের দুর্বলতা এবং স্থায়ী ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকেছেন। একই সময়ে রুপাও নতুন সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার স্পট মার্কেটে সোনার দর প্রতি আউন্সে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার ৪৮৬ দশমিক ৩৪ ডলারে পৌঁছেছে। দিনের শুরুতে এটি ৪ হাজার ৪৯৭ দশমিক ৫৫ ডলারে পৌঁছায়। ইউএস সোনার ফেব্রুয়ারি ডেলিভারির ফিউচার মার্কেটে দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৫১৮ দশমিক ৯০ ডলার হয়েছে।
সুইসকোট ব্যাংকিং গ্রুপের বিশ্লেষক কার্লো আলবার্টো ডে কাসার মতে, ফেডের নরম নীতি, ডলারের দুর্বলতা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রয় এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীরা সোনার প্রতি এখনো ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ডলারের দাম দ্বিতীয় দিনের মতো হ্রাস পেয়েছে এবং এটি ২০১৭ সালের পর বছরের সবচেয়ে বড় পতনের পথে রয়েছে।
এদিকে বাজার ২০২৬ সালে দুবার সুদের হ্রাসের সম্ভাবনা হিসাব করছে, যখন ট্রাম্পের নতুন ফেড চেয়ারম্যান মনোনয়নের খবর নরম অর্থনৈতিক নীতির প্রত্যাশাকে আরও জোরদার করছে।
চলতি বছর সোনার দাম ইতিমধ্যেই ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রুপাও শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৬৯ দশমিক ৬৩ ডলার হয়েছে, বছরের শুরু থেকে ১৪১ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সোনা ও রুপার দামের ক্ষেত্রে ৪ হাজার ৫০০ ডলার এবং ৭০ ডলারকে সীমা হিসেবে না দেখে চলমান প্রবণতার রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে, ফলে বড়দিনের ছুটির সময়ে উভয় ধাতুই শক্ত অবস্থানে থাকবে।

সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, প্রতি আউন্সের দাম প্রায় ৪ হাজার ৫০০ ডলারের কাছাকাছি। ডলারের দুর্বলতা এবং স্থায়ী ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকেছেন। একই সময়ে রুপাও নতুন সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার স্পট মার্কেটে সোনার দর প্রতি আউন্সে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার ৪৮৬ দশমিক ৩৪ ডলারে পৌঁছেছে। দিনের শুরুতে এটি ৪ হাজার ৪৯৭ দশমিক ৫৫ ডলারে পৌঁছায়। ইউএস সোনার ফেব্রুয়ারি ডেলিভারির ফিউচার মার্কেটে দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৫১৮ দশমিক ৯০ ডলার হয়েছে।
সুইসকোট ব্যাংকিং গ্রুপের বিশ্লেষক কার্লো আলবার্টো ডে কাসার মতে, ফেডের নরম নীতি, ডলারের দুর্বলতা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রয় এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীরা সোনার প্রতি এখনো ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ডলারের দাম দ্বিতীয় দিনের মতো হ্রাস পেয়েছে এবং এটি ২০১৭ সালের পর বছরের সবচেয়ে বড় পতনের পথে রয়েছে।
এদিকে বাজার ২০২৬ সালে দুবার সুদের হ্রাসের সম্ভাবনা হিসাব করছে, যখন ট্রাম্পের নতুন ফেড চেয়ারম্যান মনোনয়নের খবর নরম অর্থনৈতিক নীতির প্রত্যাশাকে আরও জোরদার করছে।
চলতি বছর সোনার দাম ইতিমধ্যেই ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রুপাও শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৬৯ দশমিক ৬৩ ডলার হয়েছে, বছরের শুরু থেকে ১৪১ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সোনা ও রুপার দামের ক্ষেত্রে ৪ হাজার ৫০০ ডলার এবং ৭০ ডলারকে সীমা হিসেবে না দেখে চলমান প্রবণতার রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে, ফলে বড়দিনের ছুটির সময়ে উভয় ধাতুই শক্ত অবস্থানে থাকবে।

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে
০১ জুলাই ২০২৫
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ প্রকল্পের ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৩০ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ৬১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
৩ ঘণ্টা আগে
অর্থনীতি বহুমুখীকরণ ও বৈশ্বিক বাণিজ্যে ভূমিকা জোরদারের লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের একটি বৃহৎ অবকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কুয়েত। এই চুক্তির আওতায় দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর মুবারক আল-কাবির বন্দরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভ্যাটসংক্রান্ত সব অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম এখন থেকে একক প্ল্যাটফর্ম ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আগে এসব সেবা দেওয়া হতো আইভাস সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে সরকারি হিসাব ব্যবস্থাপনার আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটসংক্রান্ত সব অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম এখন থেকে একক প্ল্যাটফর্ম ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আগে এসব সেবা দেওয়া হতো আইভাস সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে সরকারি হিসাব ব্যবস্থাপনার আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার আইভাস—এই দুই সিস্টেমের নামের উচ্চারণগত মিল থেকে দীর্ঘদিন ধরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় ভ্যাট ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর জানায়, সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার আইভাস—এই দুই সিস্টেমের নাম কাছাকাছি হওয়ায় করদাতা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রায়ই বিভ্রান্তি দেখা দিচ্ছিল। এই জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যেই আইভাস সিস্টেমের নাম পরিবর্তন করে ই-ভ্যাট সিস্টেম রাখা হয়েছে। নাম পরিবর্তন হলেও কার্যক্রমে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আইভাস সিস্টেমে যেসব সেবা ও কার্যক্রম ছিল, সেগুলোই এখন থেকে ই-ভ্যাট সিস্টেম নামে পরিচালিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইনভিত্তিক ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে ভ্যাট-সংক্রান্ত সব গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাট-সংক্রান্ত অনলাইনভিত্তিক নিবন্ধন কার্যক্রম; অনলাইনে মূসক বা ভ্যাট রিটার্ন দাখিল; এ-চালান ও ই-পেমেন্টভিত্তিক সব কার্যক্রম; রাজস্ব আদায়ের জন্য ভ্যাট-সংক্রান্ত উপকরণ উৎপাদ সহগ বা ইনপুট-আউটপুট কো-এফিসিয়েন্ট মূসক ৪.৩ দাখিল; পিকেআই সফটওয়্যারভিত্তিক অ্যাপসের মাধ্যমে রিয়েলটাইম ভ্যাট আদায় কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভ্যাট ব্যবস্থাপনায় একক ও স্পষ্ট নামকরণ কর প্রশাসনের ডিজিটাল কার্যক্রমকে আরও সুসংহত করবে। নাম পরিবর্তনের ফলে করদাতা ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিভ্রান্তি কমবে এবং অনলাইনভিত্তিক সেবা গ্রহণ আরও সহজ হবে।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ বলেন, ভ্যাট দাতাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়াকে আধুনিক করার লক্ষ্যেই ই-ভ্যাট সিস্টেম চালু, উন্নত ও সহজীকরণ করে চলেছে এনবিআর।

ভ্যাটসংক্রান্ত সব অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম এখন থেকে একক প্ল্যাটফর্ম ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আগে এসব সেবা দেওয়া হতো আইভাস সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে সরকারি হিসাব ব্যবস্থাপনার আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার আইভাস—এই দুই সিস্টেমের নামের উচ্চারণগত মিল থেকে দীর্ঘদিন ধরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় ভ্যাট ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর জানায়, সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার আইভাস—এই দুই সিস্টেমের নাম কাছাকাছি হওয়ায় করদাতা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রায়ই বিভ্রান্তি দেখা দিচ্ছিল। এই জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যেই আইভাস সিস্টেমের নাম পরিবর্তন করে ই-ভ্যাট সিস্টেম রাখা হয়েছে। নাম পরিবর্তন হলেও কার্যক্রমে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আইভাস সিস্টেমে যেসব সেবা ও কার্যক্রম ছিল, সেগুলোই এখন থেকে ই-ভ্যাট সিস্টেম নামে পরিচালিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইনভিত্তিক ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে ভ্যাট-সংক্রান্ত সব গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাট-সংক্রান্ত অনলাইনভিত্তিক নিবন্ধন কার্যক্রম; অনলাইনে মূসক বা ভ্যাট রিটার্ন দাখিল; এ-চালান ও ই-পেমেন্টভিত্তিক সব কার্যক্রম; রাজস্ব আদায়ের জন্য ভ্যাট-সংক্রান্ত উপকরণ উৎপাদ সহগ বা ইনপুট-আউটপুট কো-এফিসিয়েন্ট মূসক ৪.৩ দাখিল; পিকেআই সফটওয়্যারভিত্তিক অ্যাপসের মাধ্যমে রিয়েলটাইম ভ্যাট আদায় কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভ্যাট ব্যবস্থাপনায় একক ও স্পষ্ট নামকরণ কর প্রশাসনের ডিজিটাল কার্যক্রমকে আরও সুসংহত করবে। নাম পরিবর্তনের ফলে করদাতা ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিভ্রান্তি কমবে এবং অনলাইনভিত্তিক সেবা গ্রহণ আরও সহজ হবে।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ বলেন, ভ্যাট দাতাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়াকে আধুনিক করার লক্ষ্যেই ই-ভ্যাট সিস্টেম চালু, উন্নত ও সহজীকরণ করে চলেছে এনবিআর।

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে
০১ জুলাই ২০২৫
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ প্রকল্পের ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৩০ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ৬১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
৩ ঘণ্টা আগে
অর্থনীতি বহুমুখীকরণ ও বৈশ্বিক বাণিজ্যে ভূমিকা জোরদারের লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের একটি বৃহৎ অবকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কুয়েত। এই চুক্তির আওতায় দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর মুবারক আল-কাবির বন্দরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, প্রতি আউন্সের দাম প্রায় ৪ হাজার ৫০০ ডলারের কাছাকাছি। ডলারের দুর্বলতা এবং স্থায়ী ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকেছেন। একই সময়ে রুপাও নতুন সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
৩ ঘণ্টা আগে