জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
দেশে প্রচলিত ব্যাংকিং ধারার পর আশির দশকে যাত্রা শুরু করে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকিং। ধর্মীয় বিশ্বাসে নির্ভরশীল এই ব্যাংকিং পদ্ধতি দিন দিন প্রসার হচ্ছে। বাংলাদেশের মোট ব্যাংকিং খাতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অবদান শরিয়াহ ব্যাংকের। তবে ব্যাংকিংয়ের জন্য পৃথক কোনো আইন নেই।
আজ বুধবার ঘোষিত হতে যাওয়া মুদ্রানীতিতেও ইসলামি ব্যাংকিংয়ের সুদ কিংবা বিনিয়োগ বিষয়ে নির্দেশনা থাকছে না। তাহলে সুদের হারকে কেন্দ্র করে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের ভূমিকা কী, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধিকে অন্যতম কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছে। চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) শুরু থেকেই সুদের হারে সর্বোচ্চ সীমা তুলে দিয়েছে। সুদের হার বাড়িয়ে বাজারে টাকার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সভায় খসড়া অনুমোদনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার আজ বেলা ৩টায় মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন; সেখানে ইসলামি শরিয়াহ নিয়ে কোনো শব্দ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য থাকবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। আজ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। ইসলামি ব্যাংকিং বিষয়ে পৃথক নির্দেশনা অতীতের কোনো মুদ্রানীতিতেও ছিল না। ব্যাংক কোম্পানি আইন ও বিশেষ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক চলছে। এতে কোনো সমস্যা নেই।
ইসলামি ব্যাংকিং নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইসলামি ব্যাংকিংয়ে মোট আমানত দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। মোট বিনিয়োগ ৪ লাখ ২৯ হাজার ৭১ কোটি টাকা। অপর দিকে ব্যাংক খাতের মোট আমানতের পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জানান, বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এই খাতে সুদ বা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ বলে কোনো শব্দ নেই। এখানে বিনিয়োগপদ্ধতি চালু রয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন ও প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ব্যাংকিং চলে। তবে পৃথক আইন হলে ভালো হবে। আর মুদ্রানীতিতে বিশেষ ধারা উল্লেখ করা উচিত। তা না হলে মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে সুদের হার বৃদ্ধির সুযোগ থাকছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে ১৯৮৩ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের হাত ধরে ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে দেশে মোট ১০টি ইসলামি ব্যাংক পরিপূর্ণ ইসলামি ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে। এ ছাড়া অন্য ৬টি ব্যাংকের পৃথক শাখা ও উইন্ডো রয়েছে। ইসলামি ব্যাংকের মোট শাখা ১ হাজার ৬৭১টি, প্রচলিত ব্যাংকের শাখা ১৫টি এবং উইন্ডো ১৫টি। সব মিলিয়ে প্রচলিত ব্যাংকের উইন্ডো ৬১৫টি।
অর্থনীতিবিদ মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ইসলামি ব্যাংকগুলো প্রফিট শেয়ারিং নীতিতে চলে। এ জন্য ধর্মীয় অনুভূতি বিরাট ভূমিকা রাখে। ফলে প্রচলিত ব্যাংকগুলোর তুলনায় ইসলামি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণও কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রচলিত ব্যাংকে আমানতে সুদ নির্ধারিত। কিন্তু ইসলামি শাখা ও ইসলামি উইন্ডোগুলোর সুদ নির্ধারিত নয়। প্রচলিত ব্যাংকগুলো নির্ধারিত সুদের চেয়ে বেশি লাভ দিতে পারে না, কিন্তু ইসলামি ব্যাংকগুলো চাইলে বেশি লাভ দিতে পারে। তবে সুনির্দিষ্ট আইন ও মুদ্রানীতিতে ব্যাখ্যা না থাকাটা হতাশাজনক।
দেশে প্রচলিত ব্যাংকিং ধারার পর আশির দশকে যাত্রা শুরু করে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকিং। ধর্মীয় বিশ্বাসে নির্ভরশীল এই ব্যাংকিং পদ্ধতি দিন দিন প্রসার হচ্ছে। বাংলাদেশের মোট ব্যাংকিং খাতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অবদান শরিয়াহ ব্যাংকের। তবে ব্যাংকিংয়ের জন্য পৃথক কোনো আইন নেই।
আজ বুধবার ঘোষিত হতে যাওয়া মুদ্রানীতিতেও ইসলামি ব্যাংকিংয়ের সুদ কিংবা বিনিয়োগ বিষয়ে নির্দেশনা থাকছে না। তাহলে সুদের হারকে কেন্দ্র করে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের ভূমিকা কী, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধিকে অন্যতম কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছে। চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) শুরু থেকেই সুদের হারে সর্বোচ্চ সীমা তুলে দিয়েছে। সুদের হার বাড়িয়ে বাজারে টাকার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সভায় খসড়া অনুমোদনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার আজ বেলা ৩টায় মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন; সেখানে ইসলামি শরিয়াহ নিয়ে কোনো শব্দ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য থাকবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। আজ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। ইসলামি ব্যাংকিং বিষয়ে পৃথক নির্দেশনা অতীতের কোনো মুদ্রানীতিতেও ছিল না। ব্যাংক কোম্পানি আইন ও বিশেষ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক চলছে। এতে কোনো সমস্যা নেই।
ইসলামি ব্যাংকিং নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইসলামি ব্যাংকিংয়ে মোট আমানত দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। মোট বিনিয়োগ ৪ লাখ ২৯ হাজার ৭১ কোটি টাকা। অপর দিকে ব্যাংক খাতের মোট আমানতের পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জানান, বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এই খাতে সুদ বা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ বলে কোনো শব্দ নেই। এখানে বিনিয়োগপদ্ধতি চালু রয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন ও প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ব্যাংকিং চলে। তবে পৃথক আইন হলে ভালো হবে। আর মুদ্রানীতিতে বিশেষ ধারা উল্লেখ করা উচিত। তা না হলে মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে সুদের হার বৃদ্ধির সুযোগ থাকছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে ১৯৮৩ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের হাত ধরে ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে দেশে মোট ১০টি ইসলামি ব্যাংক পরিপূর্ণ ইসলামি ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে। এ ছাড়া অন্য ৬টি ব্যাংকের পৃথক শাখা ও উইন্ডো রয়েছে। ইসলামি ব্যাংকের মোট শাখা ১ হাজার ৬৭১টি, প্রচলিত ব্যাংকের শাখা ১৫টি এবং উইন্ডো ১৫টি। সব মিলিয়ে প্রচলিত ব্যাংকের উইন্ডো ৬১৫টি।
অর্থনীতিবিদ মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ইসলামি ব্যাংকগুলো প্রফিট শেয়ারিং নীতিতে চলে। এ জন্য ধর্মীয় অনুভূতি বিরাট ভূমিকা রাখে। ফলে প্রচলিত ব্যাংকগুলোর তুলনায় ইসলামি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণও কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রচলিত ব্যাংকে আমানতে সুদ নির্ধারিত। কিন্তু ইসলামি শাখা ও ইসলামি উইন্ডোগুলোর সুদ নির্ধারিত নয়। প্রচলিত ব্যাংকগুলো নির্ধারিত সুদের চেয়ে বেশি লাভ দিতে পারে না, কিন্তু ইসলামি ব্যাংকগুলো চাইলে বেশি লাভ দিতে পারে। তবে সুনির্দিষ্ট আইন ও মুদ্রানীতিতে ব্যাখ্যা না থাকাটা হতাশাজনক।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য তৈরি হয় চাল থেকে। কিন্তু এই মৌলিক খাদ্যশস্য এখন সংকটে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। কিন্তু অঞ্চলটি খরাপ্রবণ। এর পাশাপাশি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে দিন দিন কমছে ফলন। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে চালের দাম এখন
২৫ মিনিট আগেপদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) সিস্টেম ব্যবহারের জন্য পূবালী, যমুনা ও ডাচ বাংলা ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা নগদ-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সেতু বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়।
১ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
১০ ঘণ্টা আগেদেশের ভোজ্যতেলের বাজারে এখনো মানের ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ তেল সরবরাহ বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা অনেকটা উপেক্ষিত। সরকারি আইন অনুযায়ী তেলে ভিটামিন এ মেশানো আবশ্যক হলেও বাজারের বিশাল একটি অংশে তা অনুপস্থিত কিংবা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
১০ ঘণ্টা আগে