অর্চি হক, ঢাকা
পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ই-কমার্স গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু করে আজ বুধবার ১১ মে পর্যন্ত বিতর্কিত ১২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা ১০০ কোটি ৪৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২ টাকা ফেরত পেয়েছেন। মোট ৯ হাজার ৬৮৯ জন গ্রাহককে এই টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেলের সচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী।
সচিব বলেন, ‘১২টি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া চলছে। পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা বাকিদের টাকাও যেন ফিরিয়ে দেওয়া যায়, সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়েতে ২৫টি ই-কমার্সের ৫৫৯ কোটি ৫২ লাখ ৭২ হাজার ৩০৪ টাকা জমা ছিল। এই টাকাগুলো গ্রাহকেরা বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করার পর পরিশোধ করেছিলেন।
২৪ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে গেটওয়েতে আটকে থাকা এই টাকা গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া শুরু হয়। এরপর গত ১০৮ দিনে ১২ হাজার ৭৮টি ট্রানজেকশনের মাধ্যমে গ্রাহকের ওয়ালেটে ১০০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কিউকমের ৬ হাজার ১৬০ জন গ্রাহক পেয়েছেন ৬০ কোটি ৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, আলেশা মার্টের ১ হাজার ৮১৯ জন গ্রাহক পেয়েছেন ৩১ কোটি ৯৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, দালাল প্লাসের ৮২৫ জন গ্রাহক পেয়েছেন ৬ কোটি ২১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া বুমবুম, আনন্দের বাজার, থলে ডটকম, ধামাকা, শ্রেষ্ঠ ডট কম, আলিফ ওয়ার্ল্ড, বাংলাদেশ ডিল, সফেটিক ও ৯৯ গ্লোবালের কিছুসংখ্যক গ্রাহক টাকা ফেরত পেয়েছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পেমেন্ট গেটওয়েতে যে টাকা আটকে আছে, তার পুরোটাই গ্রাহকদের পাওনা অর্থ নয়। কিছু পেমেন্টের বিনিময়ে গ্রাহককে পণ্য ডেলিভারিও দিয়েছিল কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু পেমেন্ট গেটওয়ে এবং তাদের সমস্ত ব্যংক হিসাব ফ্রিজ হয়ে যাওয়ায় ডেলিভারির পরও কিছু টাকা প্রতিষ্ঠানগুলো বুঝে পায়নি। তাই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে গ্রাহকদের তালিকা নিয়ে ডেলিভারির বিষয়টি যাচাই করে গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়া হচ্ছে। যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সমস্ত তথ্য দিয়েছে তাদের গ্রাহকদের টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া চলছে। গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা বাকি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেলিভারি তথ্যসহ পূর্ণাঙ্গ গ্রাহক তালিকা দিতে ২৬ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই সময়ের মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান গ্রাহক তালিকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে তাদের তালিকা যাচাই করে গ্রাহকদের পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ইতিমধ্যেই পণ্য ডেলিভারি হয়ে থাকলে সেই টাকা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আর যারা ২৬ মের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেবে না, পেমেন্ট গেটওয়েতে এবং অন্যান্য জায়গায় আটকে থাকা তাদের সমস্ত অর্থ দিয়ে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেলের প্রধান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমরা ২৬ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। এরপরও যারা আমাদের তথ্য দেবে না, তাদের ব্যাপারে আমরা হার্ড লাইনে যাব। বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা তাদের সমস্ত টাকা দিয়ে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’
২০২১ সালের ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা অনুযায়ী, একজন গ্রাহককে বিক্রেতা নির্ধারিত সময়ে পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে অগ্রিম অর্থ প্রদানের সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে সেই টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ফেরত যাবে। মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার পরও গ্রাহকের টাকা ফিরে পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ই-কমার্স খাতে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। যে কারণে গ্রাহকের টাকা ফিরিয়ে দিতে কিছুটা সময় লেগেছে। তা ছাড়া এখানে যাচাই-বাছাইয়েরও প্রয়োজন আছে। তাই পুরো কাজটা শেষ করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগছে।’
পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ই-কমার্স গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু করে আজ বুধবার ১১ মে পর্যন্ত বিতর্কিত ১২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা ১০০ কোটি ৪৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২ টাকা ফেরত পেয়েছেন। মোট ৯ হাজার ৬৮৯ জন গ্রাহককে এই টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেলের সচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী।
সচিব বলেন, ‘১২টি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া চলছে। পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা বাকিদের টাকাও যেন ফিরিয়ে দেওয়া যায়, সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়েতে ২৫টি ই-কমার্সের ৫৫৯ কোটি ৫২ লাখ ৭২ হাজার ৩০৪ টাকা জমা ছিল। এই টাকাগুলো গ্রাহকেরা বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করার পর পরিশোধ করেছিলেন।
২৪ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে গেটওয়েতে আটকে থাকা এই টাকা গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া শুরু হয়। এরপর গত ১০৮ দিনে ১২ হাজার ৭৮টি ট্রানজেকশনের মাধ্যমে গ্রাহকের ওয়ালেটে ১০০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কিউকমের ৬ হাজার ১৬০ জন গ্রাহক পেয়েছেন ৬০ কোটি ৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, আলেশা মার্টের ১ হাজার ৮১৯ জন গ্রাহক পেয়েছেন ৩১ কোটি ৯৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, দালাল প্লাসের ৮২৫ জন গ্রাহক পেয়েছেন ৬ কোটি ২১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া বুমবুম, আনন্দের বাজার, থলে ডটকম, ধামাকা, শ্রেষ্ঠ ডট কম, আলিফ ওয়ার্ল্ড, বাংলাদেশ ডিল, সফেটিক ও ৯৯ গ্লোবালের কিছুসংখ্যক গ্রাহক টাকা ফেরত পেয়েছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পেমেন্ট গেটওয়েতে যে টাকা আটকে আছে, তার পুরোটাই গ্রাহকদের পাওনা অর্থ নয়। কিছু পেমেন্টের বিনিময়ে গ্রাহককে পণ্য ডেলিভারিও দিয়েছিল কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু পেমেন্ট গেটওয়ে এবং তাদের সমস্ত ব্যংক হিসাব ফ্রিজ হয়ে যাওয়ায় ডেলিভারির পরও কিছু টাকা প্রতিষ্ঠানগুলো বুঝে পায়নি। তাই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে গ্রাহকদের তালিকা নিয়ে ডেলিভারির বিষয়টি যাচাই করে গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়া হচ্ছে। যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সমস্ত তথ্য দিয়েছে তাদের গ্রাহকদের টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া চলছে। গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা বাকি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেলিভারি তথ্যসহ পূর্ণাঙ্গ গ্রাহক তালিকা দিতে ২৬ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই সময়ের মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান গ্রাহক তালিকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে তাদের তালিকা যাচাই করে গ্রাহকদের পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ইতিমধ্যেই পণ্য ডেলিভারি হয়ে থাকলে সেই টাকা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আর যারা ২৬ মের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেবে না, পেমেন্ট গেটওয়েতে এবং অন্যান্য জায়গায় আটকে থাকা তাদের সমস্ত অর্থ দিয়ে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেলের প্রধান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমরা ২৬ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। এরপরও যারা আমাদের তথ্য দেবে না, তাদের ব্যাপারে আমরা হার্ড লাইনে যাব। বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা তাদের সমস্ত টাকা দিয়ে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’
২০২১ সালের ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা অনুযায়ী, একজন গ্রাহককে বিক্রেতা নির্ধারিত সময়ে পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে অগ্রিম অর্থ প্রদানের সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে সেই টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ফেরত যাবে। মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার পরও গ্রাহকের টাকা ফিরে পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ই-কমার্স খাতে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। যে কারণে গ্রাহকের টাকা ফিরিয়ে দিতে কিছুটা সময় লেগেছে। তা ছাড়া এখানে যাচাই-বাছাইয়েরও প্রয়োজন আছে। তাই পুরো কাজটা শেষ করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগছে।’
নগদ অর্থের সংকট সামলাতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই ব্যাংক খাত থেকে সরকারের নেওয়া ঋণ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। চলতি অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ৯৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য থাকলেও গত ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৯ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগেকারিগরি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ‘টিভিইটি টিচার্স ফর দ্য ফিউচার (টিটিএফ)’ নামক একটি প্রকল্পে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) দেবে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, বাকি অংশ সরকারের।
১ ঘণ্টা আগেইরানে ইসরায়েলের হামলার পর দুই দেশের যুদ্ধে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে। এতে আমদানিনির্ভর অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এই শঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে গত শনিবার ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা। ইতিমধ্যে ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন সতর্কবার্তার পর উদ্ভূত নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার সাময়িকভাবে আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে ঢাকা-কাতার রুটের ফ্লাইট চলাচলে। ফলে বাংলাদেশ থেকে দোহাগামী বেশ কয়েকটি ফ্লাইটের গন্তব্য পরিবর্তন বা বাতিল করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে