জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) খেলাপি ঋণ লাগামহীন হয়ে পড়েছে। মূলত নামে-বেনামে যাচাই ছাড়া ঋণ বিতরণে খেলাপি হু হু করে বাড়ছে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানেই খেলাপি বেড়েছে ৩ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮২১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তার মধ্যে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ৮৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। আর ৯৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ খেলাপির হার নিয়ে পিপলস লিজিং ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণ ও বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৮২১ কোটি টাকা। শতকরা হিসাবে ২৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। যদিও ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১৩ হাজার ১৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ৩ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জালিয়াতির মাধ্যমে যথাযথ যাচাই ছাড়া নামে-বেনামে ঋণ বিতরণ করায় খেলাপি লাগামহীন হয়ে পড়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান আমানত ফেরত দিতে পারছে না। এতে গ্রাহকদের আস্থা কমছে, যা অর্থনীতির জন্য একটি অশনিসংকেত।
প্রতিবেদন বলছে, দেশে কার্যরত ৩৫টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি। আর ১৫টিতে ২৫ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে ৯টির খেলাপি ৫০ শতাংশের বেশি। আর ৬টির খেলাপি ৮৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ নিয়ে পিপলস লিজিং শীর্ষে রয়েছে। আর ৯৬ দশমিক ২৭ শতাংশ নিয়ে বিআইএফসি দ্বিতীয় অবস্থানে এবং ৯৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফারইস্ট ফাইন্যান্স। ৯০ দশমিক ৪০ শতাংশ খেলাপির হার নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে এফএএস ফাইন্যান্স, ৮৭ দশমিক ৩২ শতাংশ নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এবং ৮৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ নিয়ে ফার্স্ট ফাইন্যান্স ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু অবাস্তব সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। এতে ঋণখেলাপিদের বাড়তি উৎসাহ সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন ভালো গ্রাহক। তাঁরা মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছাড় তো পাবই। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোও খেলাপি ঋণ আদায়ে বিমুখ হয়ে পড়েছে।
কারণ, এর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হয় না। তবে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ বা নীতিগুলো হতে হবে দীর্ঘস্থায়ী এবং ব্যাংকের জন্য কল্যাণকর। যাতে করে খেলাপি ঋণ, পুনঃ তফসিল, প্রভিশন ঘাটতি কমে আসে। এসব সমস্যা সমাধানে একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা উচিত। এর আগেও খেলাপি সমস্যার সমাধান হয়েছে ব্যাংকিং কমিশনের মাধ্যমে।’
নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) খেলাপি ঋণ লাগামহীন হয়ে পড়েছে। মূলত নামে-বেনামে যাচাই ছাড়া ঋণ বিতরণে খেলাপি হু হু করে বাড়ছে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানেই খেলাপি বেড়েছে ৩ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮২১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তার মধ্যে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ৮৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। আর ৯৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ খেলাপির হার নিয়ে পিপলস লিজিং ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণ ও বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৮২১ কোটি টাকা। শতকরা হিসাবে ২৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। যদিও ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১৩ হাজার ১৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ৩ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জালিয়াতির মাধ্যমে যথাযথ যাচাই ছাড়া নামে-বেনামে ঋণ বিতরণ করায় খেলাপি লাগামহীন হয়ে পড়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান আমানত ফেরত দিতে পারছে না। এতে গ্রাহকদের আস্থা কমছে, যা অর্থনীতির জন্য একটি অশনিসংকেত।
প্রতিবেদন বলছে, দেশে কার্যরত ৩৫টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি। আর ১৫টিতে ২৫ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে ৯টির খেলাপি ৫০ শতাংশের বেশি। আর ৬টির খেলাপি ৮৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ নিয়ে পিপলস লিজিং শীর্ষে রয়েছে। আর ৯৬ দশমিক ২৭ শতাংশ নিয়ে বিআইএফসি দ্বিতীয় অবস্থানে এবং ৯৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফারইস্ট ফাইন্যান্স। ৯০ দশমিক ৪০ শতাংশ খেলাপির হার নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে এফএএস ফাইন্যান্স, ৮৭ দশমিক ৩২ শতাংশ নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এবং ৮৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ নিয়ে ফার্স্ট ফাইন্যান্স ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু অবাস্তব সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। এতে ঋণখেলাপিদের বাড়তি উৎসাহ সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন ভালো গ্রাহক। তাঁরা মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছাড় তো পাবই। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোও খেলাপি ঋণ আদায়ে বিমুখ হয়ে পড়েছে।
কারণ, এর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হয় না। তবে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ বা নীতিগুলো হতে হবে দীর্ঘস্থায়ী এবং ব্যাংকের জন্য কল্যাণকর। যাতে করে খেলাপি ঋণ, পুনঃ তফসিল, প্রভিশন ঘাটতি কমে আসে। এসব সমস্যা সমাধানে একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা উচিত। এর আগেও খেলাপি সমস্যার সমাধান হয়েছে ব্যাংকিং কমিশনের মাধ্যমে।’
নগদ অর্থের সংকট সামলাতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই ব্যাংক খাত থেকে সরকারের নেওয়া ঋণ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। চলতি অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ৯৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য থাকলেও গত ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৯ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা।
৮ ঘণ্টা আগেকারিগরি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ‘টিভিইটি টিচার্স ফর দ্য ফিউচার (টিটিএফ)’ নামক একটি প্রকল্পে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) দেবে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, বাকি অংশ সরকারের।
৮ ঘণ্টা আগেইরানে ইসরায়েলের হামলার পর দুই দেশের যুদ্ধে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে। এতে আমদানিনির্ভর অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এই শঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে গত শনিবার ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা। ইতিমধ্যে ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন সতর্কবার্তার পর উদ্ভূত নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার সাময়িকভাবে আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে ঢাকা-কাতার রুটের ফ্লাইট চলাচলে। ফলে বাংলাদেশ থেকে দোহাগামী বেশ কয়েকটি ফ্লাইটের গন্তব্য পরিবর্তন বা বাতিল করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে