বিবিএসের চূড়ান্ত হিসাব
অনলাইন ডেস্ক
২০২৩-২৪ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। অর্থনীতি বেহাল দেখে পরে প্রত্যাশা ৫ দশমিক ৮২ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল তারা। কিন্তু সেই প্রত্যাশাও পূরণ হয়নি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চূড়ান্ত হিসাব বলছে, ওই অর্থবছরে জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির এই হার চার অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
গতকাল সোমবার জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করে বিবিএস। চূড়ান্ত হিসাবে পাওয়া জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই অঙ্ক বিবিএসেরই করা সাময়িক হিসাবের চেয়ে ১ দশমিক ৬ শতাংশ কম। বিবিএস বলছে, সাময়িক হিসাবের তুলনায় চূড়ান্ত হিসাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমার উল্লেখযোগ্য প্রধান কারণ শিল্প উৎপাদনে নিম্নগতি।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২১-২২ অর্থবছরে। ওই বছর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ১ শতাংশে। আর সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি হয় ২০১৯-২০ অর্থবছরে (৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ), যা কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। এরপর ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলো।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে শিল্প খাতে। বিবিএসের তথ্য বলছে, গত অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। এটি সাময়িক হিসাবে ছিল ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সেই হিসাবে চূড়ান্ত হিসাবে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রায় অর্ধেক।
শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি কমলেও সাময়িক হিসাবের তুলনায় চূড়ান্ত হিসাবে কৃষির প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি খাতে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে, এটি সাময়িক হিসাবে ছিল ৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
কমেছে মাথাপিছু আয়ও
বিবিএসের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৪৫০ বিলিয়ন ডলার। জিডিপির এই অঙ্কও সাময়িক হিসাবের তুলনায় কম। গত বছর প্রকাশিত সাময়িক হিসাবে জিডিপির আকার ধরা হয়েছিল ৪৫৯ বিলিয়ন ডলার। জিডিপি কমায় দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় (পার ক্যাপিটা জিএনআই) কমেছে।
বিবিএসের হিসাবে, মাথাপিছু আয় কমে ২ হাজার ৭৩৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এক বছর আগেও মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৪৯ ডলার। এক বছরে দেশজ উৎপাদন থেকে যে আয় হয়, তার সাথে রেমিট্যান্স যোগ করে জাতীয় আয় বের করা হয়। সেই জাতীয় আয়কে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে গড় মাথাপিছু বের করা হয়।
প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় কমার বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে বিবিএস যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দুশ্চিন্তার কারণ দেখি না। কারণ, এটাই দেশের জিডিপি ও মাথাপিছু আয়ের প্রকৃত চিত্র। এর আগে বিবিএস মাঠের চিত্র না নিয়ে কারও আদিষ্ট হয়ে মনগড়া প্রতিবেদন তৈরি করত, এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। আশা করছি, বিবিএস এই চিত্র ধরে রাখবে। তাহলে সরকার বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে স্পষ্ট ধারণা পাবে।’ তবে দেশ ও অর্থনীতির স্বার্থে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়াতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। অর্থনীতি বেহাল দেখে পরে প্রত্যাশা ৫ দশমিক ৮২ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল তারা। কিন্তু সেই প্রত্যাশাও পূরণ হয়নি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চূড়ান্ত হিসাব বলছে, ওই অর্থবছরে জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির এই হার চার অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
গতকাল সোমবার জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করে বিবিএস। চূড়ান্ত হিসাবে পাওয়া জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই অঙ্ক বিবিএসেরই করা সাময়িক হিসাবের চেয়ে ১ দশমিক ৬ শতাংশ কম। বিবিএস বলছে, সাময়িক হিসাবের তুলনায় চূড়ান্ত হিসাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমার উল্লেখযোগ্য প্রধান কারণ শিল্প উৎপাদনে নিম্নগতি।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২১-২২ অর্থবছরে। ওই বছর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ১ শতাংশে। আর সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি হয় ২০১৯-২০ অর্থবছরে (৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ), যা কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। এরপর ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলো।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে শিল্প খাতে। বিবিএসের তথ্য বলছে, গত অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। এটি সাময়িক হিসাবে ছিল ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সেই হিসাবে চূড়ান্ত হিসাবে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রায় অর্ধেক।
শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি কমলেও সাময়িক হিসাবের তুলনায় চূড়ান্ত হিসাবে কৃষির প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি খাতে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে, এটি সাময়িক হিসাবে ছিল ৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
কমেছে মাথাপিছু আয়ও
বিবিএসের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৪৫০ বিলিয়ন ডলার। জিডিপির এই অঙ্কও সাময়িক হিসাবের তুলনায় কম। গত বছর প্রকাশিত সাময়িক হিসাবে জিডিপির আকার ধরা হয়েছিল ৪৫৯ বিলিয়ন ডলার। জিডিপি কমায় দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় (পার ক্যাপিটা জিএনআই) কমেছে।
বিবিএসের হিসাবে, মাথাপিছু আয় কমে ২ হাজার ৭৩৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এক বছর আগেও মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৪৯ ডলার। এক বছরে দেশজ উৎপাদন থেকে যে আয় হয়, তার সাথে রেমিট্যান্স যোগ করে জাতীয় আয় বের করা হয়। সেই জাতীয় আয়কে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে গড় মাথাপিছু বের করা হয়।
প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় কমার বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে বিবিএস যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দুশ্চিন্তার কারণ দেখি না। কারণ, এটাই দেশের জিডিপি ও মাথাপিছু আয়ের প্রকৃত চিত্র। এর আগে বিবিএস মাঠের চিত্র না নিয়ে কারও আদিষ্ট হয়ে মনগড়া প্রতিবেদন তৈরি করত, এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। আশা করছি, বিবিএস এই চিত্র ধরে রাখবে। তাহলে সরকার বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে স্পষ্ট ধারণা পাবে।’ তবে দেশ ও অর্থনীতির স্বার্থে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়াতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
দেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
৭ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১১ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
১২ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
১৫ ঘণ্টা আগে