Ajker Patrika

জেট ফুয়েলের দাম কমায় ফ্লাইটের ভাড়া কমাতে বললেন বেবিচক চেয়ারম্যান

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, ২১: ৫২
বেবিচক সদর দপ্তরে আয়োজিত বৈঠকে বেবিচক চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস প্রতিনিধিরা।
বেবিচক সদর দপ্তরে আয়োজিত বৈঠকে বেবিচক চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস প্রতিনিধিরা।

বিমান চলাচলে ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের দাম কমায় বিমানভাড়া কমানোর লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেল ৪টার দিকে বেবিচক সদর দপ্তরে আয়োজিত এক বৈঠকে মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া এই আহ্বান জানান। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘জেট ফুয়েলের দাম কমার ফলে যাত্রীসাধারণ যেন ভাড়ার ক্ষেত্রে এর সুফল পায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে এয়ারলাইনসগুলোর দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’

সভায় উপস্থিত এয়ারলাইনস প্রতিনিধিরা বেবিচক চেয়ারম্যানের আহ্বানের সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং খুব শিগগির বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

সভায় জানানো হয়, ২১ মে ২০২৫ থেকে নভোএয়ার পুনরায় তাদের ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে। এ উপলক্ষে বেবিচক চেয়ারম্যানসহ উপস্থিত এয়ারলাইনস প্রতিনিধিরা নভোএয়ারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

বেবিচক চেয়ারম্যান বৈঠকে জানান, বহুল প্রতীক্ষিত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্রম আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। তিনি বলেন, টার্মিনালের সব নির্মাণকাজ ও সেবামূলক কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে পরিচালিত হবে, যাতে দেশি-বিদেশি যাত্রীরা সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন ও আধুনিক সেবা পেতে পারেন।

বেবিচক চেয়ারম্যান আরও জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, নিরাপত্তা, কাস্টমস, ইমিগ্রেশনসহ অন্যান্য সুবিধা দ্রুতগতিতে উন্নত করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের জুন মাসের শেষভাগ বা জুলাই মাসের শুরুতেই কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে।

বেবিচক চেয়ারম্যান সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে আরও গতিশীল করতে এই দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অধিকসংখ্যক কার্গো অপারেশন চালু করা জরুরি।

বেবিচক চেয়ারম্যান সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। তিনি এয়ারলাইনস প্রতিনিধিদের এসব বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে নতুন আন্তর্জাতিক রুট চালু করার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে তিনি আশ্বাস দেন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, লজিস্টিক সহায়তা ও প্রশাসনিক সুবিধা নিশ্চিত করতে বেবিচক সব ধরনের সহায়তা দেবে।

বৈঠকে এয়ারলাইনস প্রতিনিধিরা গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। বেবিচক চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করে বলেন, ‘এই সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিমান চলাচলকে আরও সহজ, সাশ্রয়ী ও কার্যকর করতে এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রেখে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

সভায় বেবিচকের সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস), পরিচালকসহ (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস) দেশি ও বিদেশি এয়ারলাইনস কোম্পানির উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে তাঁরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতামত ও সমস্যাগুলোর সমাধানে পরামর্শ দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত