দেশে উৎপাদিত রাইস ব্রান অয়েল ও রাইস ব্রান ক্রুড অয়েল দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি হয়ে আসছে। তবে এবার সরকার এই পণ্যগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানি পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পণ্য দুটি রপ্তানি পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আদেশে বলা হয়েছে, রপ্তানি নীতি ২০২৪–২৭–এর আওতায় রপ্তানি পণ্যের তালিকায় রাইস ব্রান, পরিশোধিত রাইস ব্রান অয়েল ও অপরিশোধিত রাইস ব্রান অয়েল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাইস ব্রান তেল রপ্তানির সুযোগ বহাল থাকবে।
এমন সময়ে রাইস ব্রানকে রপ্তানি পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলো, যখন দেশে ভোজ্যতেলের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি সরকারও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বহুমুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। সহজ করা হয়েছে আমদানি প্রক্রিয়া। একই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন দেশ থেকে তেল আমদানি বাড়ানোরও বড় রকমের চেষ্টা চলছে। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অপরিশোধিত রাইস ব্রান তেলের রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব রাখে। উদ্দেশ্য, যাতে রপ্তানিকারকেরা বাড়তি শুল্ক দিয়ে এই অপরিশোধিত রাইস ব্রান রপ্তানিতে নিরুৎসাহিত হন।
তবে ট্যারিফ কমিশনের এ সুপারিশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমলে নেয়নি। সেটি স্পষ্ট হলো রাইস ব্রানকে রপ্তানি পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে।
যখন ব্যয়বহুল সূর্যমুখী তেলও আমদানিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, তখন দেশের উৎপাদিত রাইস ব্রান বিদেশে রপ্তানির সিদ্ধান্তকে মোটেও যৌক্তিক মনে করছেন না সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ আদেশের ফলে দেশে রাইস ব্রান অয়েল ও ক্রুড উৎপাদনকারীরা এখন থেকে তা বিদেশে বাধাহীন রপ্তানি করতে পারবেন।
দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ টন। এই চাহিদার বিপরীতে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি করে স্থানীয়ভাবে পরিশোধনের মাধ্যমে চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশ পূরণ করা হয়। বাংলাদেশ রাইস ব্রান অয়েল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, দেশে মোট ২০টি রাইস ব্রান অয়েল মিল রয়েছে। এসব মিলের বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৪ লাখ ৫৩ হাজার টন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক দশক ধরে দেশে এই তেলের উৎপাদন বেড়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে বিক্রি বেড়েছে। তবে উৎপাদনের একটি বড় অংশ বিদেশে রপ্তানি হয়ে যাচ্ছে। এতে দেশীয় বাজারে সংকট তৈরি হচ্ছে। অল্প কয়েকজন উদ্যোক্তা বিদেশে এই তেল রপ্তানি করে বিপুল মুনাফা অর্জন করলেও দেশীয় ভোক্তারা প্রায় সময় ভোজ্য তেলের সংকট মোকাবিলা করছেন।
পাবনার ঈশ্বরদীতে ২০১১ সালে রশিদ অয়েল মিলস লিমিটেড হোয়াইট গোল্ড ব্রান্ড নামে প্রথম ধানের কুঁড়ার এই তেল উৎপাদন শুরু করে। এরপর বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান এই ব্যবসায় এসেছে।
দেশে উৎপাদিত রাইস ব্রান অয়েল ও রাইস ব্রান ক্রুড অয়েল দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি হয়ে আসছে। তবে এবার সরকার এই পণ্যগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানি পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পণ্য দুটি রপ্তানি পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আদেশে বলা হয়েছে, রপ্তানি নীতি ২০২৪–২৭–এর আওতায় রপ্তানি পণ্যের তালিকায় রাইস ব্রান, পরিশোধিত রাইস ব্রান অয়েল ও অপরিশোধিত রাইস ব্রান অয়েল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাইস ব্রান তেল রপ্তানির সুযোগ বহাল থাকবে।
এমন সময়ে রাইস ব্রানকে রপ্তানি পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলো, যখন দেশে ভোজ্যতেলের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি সরকারও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বহুমুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। সহজ করা হয়েছে আমদানি প্রক্রিয়া। একই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন দেশ থেকে তেল আমদানি বাড়ানোরও বড় রকমের চেষ্টা চলছে। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অপরিশোধিত রাইস ব্রান তেলের রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব রাখে। উদ্দেশ্য, যাতে রপ্তানিকারকেরা বাড়তি শুল্ক দিয়ে এই অপরিশোধিত রাইস ব্রান রপ্তানিতে নিরুৎসাহিত হন।
তবে ট্যারিফ কমিশনের এ সুপারিশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমলে নেয়নি। সেটি স্পষ্ট হলো রাইস ব্রানকে রপ্তানি পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে।
যখন ব্যয়বহুল সূর্যমুখী তেলও আমদানিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, তখন দেশের উৎপাদিত রাইস ব্রান বিদেশে রপ্তানির সিদ্ধান্তকে মোটেও যৌক্তিক মনে করছেন না সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ আদেশের ফলে দেশে রাইস ব্রান অয়েল ও ক্রুড উৎপাদনকারীরা এখন থেকে তা বিদেশে বাধাহীন রপ্তানি করতে পারবেন।
দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ টন। এই চাহিদার বিপরীতে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি করে স্থানীয়ভাবে পরিশোধনের মাধ্যমে চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশ পূরণ করা হয়। বাংলাদেশ রাইস ব্রান অয়েল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, দেশে মোট ২০টি রাইস ব্রান অয়েল মিল রয়েছে। এসব মিলের বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৪ লাখ ৫৩ হাজার টন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক দশক ধরে দেশে এই তেলের উৎপাদন বেড়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে বিক্রি বেড়েছে। তবে উৎপাদনের একটি বড় অংশ বিদেশে রপ্তানি হয়ে যাচ্ছে। এতে দেশীয় বাজারে সংকট তৈরি হচ্ছে। অল্প কয়েকজন উদ্যোক্তা বিদেশে এই তেল রপ্তানি করে বিপুল মুনাফা অর্জন করলেও দেশীয় ভোক্তারা প্রায় সময় ভোজ্য তেলের সংকট মোকাবিলা করছেন।
পাবনার ঈশ্বরদীতে ২০১১ সালে রশিদ অয়েল মিলস লিমিটেড হোয়াইট গোল্ড ব্রান্ড নামে প্রথম ধানের কুঁড়ার এই তেল উৎপাদন শুরু করে। এরপর বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান এই ব্যবসায় এসেছে।
রপ্তানি খাতকে প্রতিযোগী সক্ষম করতে আইএমএফের পরামর্শ মেনে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। তাঁরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সবচেয়ে প্রভাব পড়বে উৎপাদন ও সেবা খাতে।
১৫ মিনিট আগেবিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য তৈরি হয় চাল থেকে। কিন্তু এই মৌলিক খাদ্যশস্য এখন সংকটে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। কিন্তু অঞ্চলটি খরাপ্রবণ। এর পাশাপাশি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে দিন দিন কমছে ফলন। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে চালের দাম এখন
১ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) সিস্টেম ব্যবহারের জন্য পূবালী, যমুনা ও ডাচ বাংলা ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা নগদ-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সেতু বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়।
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
১১ ঘণ্টা আগে