ফাহিম হাসান, পঞ্চগড়
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, যা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান—চারটি দেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একমাত্র স্থলবন্দর; বর্তমানে সংকটে রয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৯১ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হলেও এখন আমদানি অর্ধেক কমে গেছে, যার কারণ ভুটান থেকে পাথর আমদানি বন্ধ হওয়া।
এ সমস্যা শুরু হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নতুন নিয়মের কারণে, যেখানে ভুটানের পণ্যবাহী ট্রাকের জন্য বাধ্যতামূলক স্লট বুকিং চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাবান্ধা বন্দরে কার্যত স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ ছাড়া রাজস্ব কমেছে এবং শ্রমিকেরা বেকার হয়ে পড়েছেন।
একসময় বাংলাবান্ধা বন্দর বহুজাতিক পণ্য আমদানি-রপ্তানির কেন্দ্র ছিল, তবে বর্তমানে এটি মূলত পাথর আমদানিনির্ভর বন্দর হয়ে উঠেছে। বিশেষত ভুটানের পাথর ভালো গুণমানের হওয়ায় এবং রাষ্ট্রীয় শুল্ক সুবিধা থাকায় ব্যবসায়ীরা মূলত ভুটানের পাথর আমদানিতে আগ্রহী। ভারতের তুলনায় কম খরচে পাথর পাওয়া যায়, যা দীর্ঘদিন ধরে ভারত ও ভুটানের ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের কারণ হয়েছে।
২০২৩ সালে ভারতের ফুলবাড়ী বন্দরের ট্রাকচালক ও ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের পর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার প্রথমে ভুটানের পণ্যবাহী ট্রাকের জন্য ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা স্লট বুকিং চার্জ আরোপের চেষ্টা করেছিল, যা তখন কার্যকর হয়নি। তবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একই দাবি পুনরায় উঠলে রাজ্য সরকার নতুন করে স্লট বুকিং চার্জ আরোপ করে, ফলে ৪ জানুয়ারি থেকে ভুটান থেকে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
ভারত ১২ জানুয়ারি থেকে পাথর রপ্তানি শুরু করলেও প্রতি টনে ৩-৪ ডলার বেশি দাম নিচ্ছে। কিছু ব্যবসায়ী বাধ্য হয়ে ভারতীয় পাথর আমদানি করলেও বেশির ভাগ তা বন্ধ রেখেছেন। বাংলাবান্ধায় আগে প্রতিদিন ৩০০-৩৫০টি পাথরবাহী ট্রাক এলেও এখন তা কমে ৭০-৮০টিতে নেমে এসেছে। ফলে বন্দর কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।
বাংলাবান্ধা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আকতারুল ইসলাম বলেন, ভুটানের পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় পাঁচ শর বেশি শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। পাথরভাঙার শ্রমিকেরাও কাজ হারিয়েছেন। বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের ব্যবসায়ীদের আলোচনায় বসে এর দ্রুত সমাধান করা দরকার।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, ভুটান ও ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে ভুটান থেকে পাথর আসছে না। এতে বন্দরে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, যা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান—চারটি দেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একমাত্র স্থলবন্দর; বর্তমানে সংকটে রয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৯১ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হলেও এখন আমদানি অর্ধেক কমে গেছে, যার কারণ ভুটান থেকে পাথর আমদানি বন্ধ হওয়া।
এ সমস্যা শুরু হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নতুন নিয়মের কারণে, যেখানে ভুটানের পণ্যবাহী ট্রাকের জন্য বাধ্যতামূলক স্লট বুকিং চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাবান্ধা বন্দরে কার্যত স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ ছাড়া রাজস্ব কমেছে এবং শ্রমিকেরা বেকার হয়ে পড়েছেন।
একসময় বাংলাবান্ধা বন্দর বহুজাতিক পণ্য আমদানি-রপ্তানির কেন্দ্র ছিল, তবে বর্তমানে এটি মূলত পাথর আমদানিনির্ভর বন্দর হয়ে উঠেছে। বিশেষত ভুটানের পাথর ভালো গুণমানের হওয়ায় এবং রাষ্ট্রীয় শুল্ক সুবিধা থাকায় ব্যবসায়ীরা মূলত ভুটানের পাথর আমদানিতে আগ্রহী। ভারতের তুলনায় কম খরচে পাথর পাওয়া যায়, যা দীর্ঘদিন ধরে ভারত ও ভুটানের ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের কারণ হয়েছে।
২০২৩ সালে ভারতের ফুলবাড়ী বন্দরের ট্রাকচালক ও ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের পর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার প্রথমে ভুটানের পণ্যবাহী ট্রাকের জন্য ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা স্লট বুকিং চার্জ আরোপের চেষ্টা করেছিল, যা তখন কার্যকর হয়নি। তবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একই দাবি পুনরায় উঠলে রাজ্য সরকার নতুন করে স্লট বুকিং চার্জ আরোপ করে, ফলে ৪ জানুয়ারি থেকে ভুটান থেকে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
ভারত ১২ জানুয়ারি থেকে পাথর রপ্তানি শুরু করলেও প্রতি টনে ৩-৪ ডলার বেশি দাম নিচ্ছে। কিছু ব্যবসায়ী বাধ্য হয়ে ভারতীয় পাথর আমদানি করলেও বেশির ভাগ তা বন্ধ রেখেছেন। বাংলাবান্ধায় আগে প্রতিদিন ৩০০-৩৫০টি পাথরবাহী ট্রাক এলেও এখন তা কমে ৭০-৮০টিতে নেমে এসেছে। ফলে বন্দর কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।
বাংলাবান্ধা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আকতারুল ইসলাম বলেন, ভুটানের পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় পাঁচ শর বেশি শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। পাথরভাঙার শ্রমিকেরাও কাজ হারিয়েছেন। বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের ব্যবসায়ীদের আলোচনায় বসে এর দ্রুত সমাধান করা দরকার।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, ভুটান ও ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে ভুটান থেকে পাথর আসছে না। এতে বন্দরে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), লালদিয়া ও বে টার্মিনাল পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে চায় চায় সরকার। এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা চার গুণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেদেশের বড় রপ্তানিমুখী ব্যাগ ও লাগেজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছিল মোংলার ইপিজেডে থাকা ভারতীয় মালিকানাধীন ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৪ সাল থেকে এখানে তাদের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছিল এবং সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ভিআইপির মোংলা কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
৯ ঘণ্টা আগেকাস্টমসের নতুন শুল্কনীতির কারণে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে মাছ আমদানি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকেরা। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি দুই দিনে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। ভারত থেকে যেসব খাদ্যদ্রব্য আমদানি করা হয়, তার মধ্যে বড় একটি অংশ হচ্ছে হিমায়িত মিঠাপানির ও সামুদ্রিক মাছ।
৯ ঘণ্টা আগেচাকরি পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনরত আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এ অভিযোগ এনে ঘটনার বিচার ও ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বাতিলের দাবি জানান। তাঁরা চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ারের নিকটাত্মীয়
১০ ঘণ্টা আগে