আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
পুঁজিবাজারে ভয়াবহ দরপতন চলছে। ঈদের আগে প্রায় আড়াই মাসের লাগাতার দরপতনে লাখ কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন কমে যায়। ঈদের ছুটি শেষে গত সোমবার লেনদেন শুরু হওয়ার পর চার কর্মদিবসেই পতন দেখা গেছে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। এতে সূচক কমেছে ১৭৭ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশের বেশি। পুঁজিবাজারে এমন দীর্ঘ পতনের প্রধান কারণ চরম পর্যায়ের তারল্যসংকট।
গত জানুয়ারির শেষ দিকে এসে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর থেকে পুঁজিবাজারে দরপতন শুরু হয়। এই পতনকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার-পরবর্তী ‘বাজার সংশোধন’ বলে দাবি করে আসছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই বাজার সংশোধনের সময় মার্জিন ঋণের ফোর্সড সেল বাড়তে থাকে। এতে পতন আরও দীর্ঘায়িত হয়। তবে এখন দরপতন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, সাধারণ বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে আর কেউই এটাকে সাধারণ বাজার সংশোধন হিসেবে মানতে নারাজ।
ঈদের পর টানা চার দিন দরপতনের পেছনে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যবর্তী সংঘর্ষের বিষয়টি আলোচনায় এনেছেন বাজারসংশ্লিষ্ট অনেকে। যদিও দেশ দুটির দ্বন্দ্বের সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশে নেই। তবে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব রয়েছে বলে দাবি করছেন তাঁরা।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে বর্তমানে পুঁজিবাজারে একটি সংকটের অস্তিত্ব প্রকট। সেটি হলো তারল্যসংকট। এটিই পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক পতনকে ত্বরান্বিত করছে।
সুদের হার বেশি হওয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীরা সরকারি ট্রেজারি বিল, বন্ডে বিনিয়োগ করছেন। ব্যক্তিশ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীরা এফডিআরে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীরা টাকা নিয়ে নিরাপদ বিনিয়োগে চলে গেছেন। টাকা শেয়ারবাজারের বাইরে যাচ্ছে, কিন্তু ঢুকছে না।
আবু আহমেদ যোগ করেন, এটা শুরু হয়েছে বছরের শুরুর দিকে, যখন সরকারি ট্রেজারি বিলে সুদের হার সাড়ে ১০ শতাংশের মতো প্রস্তাব করা হয়, তখন থেকেই। চরম তারল্যসংকট চলছে।
ডিএসইর তথ্যমতে, গত জানুয়ারির শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে যখন বাজারে হাজার থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হয়েছে, তখন শেয়ারের লেনদেন বা ভলিউম হতো প্রায় ৩০ থেকে ৬০ কোটির ঘরে। অথচ বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে প্রতিদিন গড় ভলিউম সাড়ে ১৫ কোটি। অর্থাৎ লেনদেন তলানিতে চলে গেছে।
ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ বলেন, সুদের হার চড়া হওয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগ করছেন। একক বড় বিনিয়োগকারীরা যাচ্ছেন এফডিআরে। কারণ, সেখান থেকে যে রিটার্ন পাওয়া যাচ্ছে, তার অর্ধেকও এখন পুঁজিবাজার থেকে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বন্ড বা ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজে সব বিনিয়োগ নিয়ে চলে গেছে, এটা শতভাগ সত্য নয়। এটা সম্ভবও নয়। এটা ধারণার ওপর বলা হয়। বাজার এ রকম নিম্নমুখী হলে এই ধরনের বিশ্বাস তৈরি হয়। দীর্ঘ দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়েছেন। তবে এভাবে বাজার থাকবে না। এটা সময়ের ব্যাপার।
পুঁজিবাজারে ভয়াবহ দরপতন চলছে। ঈদের আগে প্রায় আড়াই মাসের লাগাতার দরপতনে লাখ কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন কমে যায়। ঈদের ছুটি শেষে গত সোমবার লেনদেন শুরু হওয়ার পর চার কর্মদিবসেই পতন দেখা গেছে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। এতে সূচক কমেছে ১৭৭ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশের বেশি। পুঁজিবাজারে এমন দীর্ঘ পতনের প্রধান কারণ চরম পর্যায়ের তারল্যসংকট।
গত জানুয়ারির শেষ দিকে এসে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর থেকে পুঁজিবাজারে দরপতন শুরু হয়। এই পতনকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার-পরবর্তী ‘বাজার সংশোধন’ বলে দাবি করে আসছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই বাজার সংশোধনের সময় মার্জিন ঋণের ফোর্সড সেল বাড়তে থাকে। এতে পতন আরও দীর্ঘায়িত হয়। তবে এখন দরপতন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, সাধারণ বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে আর কেউই এটাকে সাধারণ বাজার সংশোধন হিসেবে মানতে নারাজ।
ঈদের পর টানা চার দিন দরপতনের পেছনে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যবর্তী সংঘর্ষের বিষয়টি আলোচনায় এনেছেন বাজারসংশ্লিষ্ট অনেকে। যদিও দেশ দুটির দ্বন্দ্বের সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশে নেই। তবে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব রয়েছে বলে দাবি করছেন তাঁরা।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে বর্তমানে পুঁজিবাজারে একটি সংকটের অস্তিত্ব প্রকট। সেটি হলো তারল্যসংকট। এটিই পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক পতনকে ত্বরান্বিত করছে।
সুদের হার বেশি হওয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীরা সরকারি ট্রেজারি বিল, বন্ডে বিনিয়োগ করছেন। ব্যক্তিশ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীরা এফডিআরে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীরা টাকা নিয়ে নিরাপদ বিনিয়োগে চলে গেছেন। টাকা শেয়ারবাজারের বাইরে যাচ্ছে, কিন্তু ঢুকছে না।
আবু আহমেদ যোগ করেন, এটা শুরু হয়েছে বছরের শুরুর দিকে, যখন সরকারি ট্রেজারি বিলে সুদের হার সাড়ে ১০ শতাংশের মতো প্রস্তাব করা হয়, তখন থেকেই। চরম তারল্যসংকট চলছে।
ডিএসইর তথ্যমতে, গত জানুয়ারির শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে যখন বাজারে হাজার থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হয়েছে, তখন শেয়ারের লেনদেন বা ভলিউম হতো প্রায় ৩০ থেকে ৬০ কোটির ঘরে। অথচ বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে প্রতিদিন গড় ভলিউম সাড়ে ১৫ কোটি। অর্থাৎ লেনদেন তলানিতে চলে গেছে।
ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ বলেন, সুদের হার চড়া হওয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগ করছেন। একক বড় বিনিয়োগকারীরা যাচ্ছেন এফডিআরে। কারণ, সেখান থেকে যে রিটার্ন পাওয়া যাচ্ছে, তার অর্ধেকও এখন পুঁজিবাজার থেকে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বন্ড বা ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজে সব বিনিয়োগ নিয়ে চলে গেছে, এটা শতভাগ সত্য নয়। এটা সম্ভবও নয়। এটা ধারণার ওপর বলা হয়। বাজার এ রকম নিম্নমুখী হলে এই ধরনের বিশ্বাস তৈরি হয়। দীর্ঘ দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়েছেন। তবে এভাবে বাজার থাকবে না। এটা সময়ের ব্যাপার।
দেশের শিল্পকারখানায় চরম গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস না থাকায় অনেক স্থানে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও উৎপাদন নেমে এসেছে তিন ভাগের এক ভাগে। শুধু শিল্প নয়, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনেও চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার। গ্রীষ্মে লোডশেডিং কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোয় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে
৫ ঘণ্টা আগেহংকংয়ের একটি বিউটি সেলুনের মালিক ক্রিস্টাল এনজি এইচএসবিসি ও ডাহ সিং ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন করলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। তিনি জানান, ২০২৩ সালের শেষদিকে যখন তিনি নতুন অফিসে স্থানান্তর করেন, তখন ব্যাংকগুলোর একটির মাধ্যমে জানতে পারেন, তার নতুন ঠিকানাটি যুক্তরাষ্ট্রের এনটিটি তালিকাভুক্ত। ওই ঠিকানার..
১৩ ঘণ্টা আগেআদানি গ্রুপ আগে বলেছিল, প্রকল্পটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে, কিন্তু এখন ভারতীয় এই সংস্থার অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে দেখা গেছে, এই ব্যবসা থেকে কতটা চাহিদা তৈরি হবে, বিশেষ করে ভারতের বাজারে, সে সম্পর্কে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। এরপরই টাওয়ারের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেতিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সৌদি আরবের সরবরাহ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও এই দরপতনে প্রভাব ফেলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
২ দিন আগে