জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
কলা একটি বারোমাসি ফসল হিসেবে পরিচিত। চাষিরাও কলা উৎপাদনের জন্য সারা বছর ব্যাংকঋণ পেয়ে আসছেন। কিন্তু গত ২৯ আগস্ট এক বছরের স্থলে মাত্র দুই মাস কলা চাষে ঋণ বিতরণের সময়সীমা ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণ কর্মসূচিতে কলা চাষের ঋণ বিতরণের সময় বেঁধে দেওয়া হয় ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস। অথচ আগের নীতিমালায় ঋণের সময় ছিল সারা বছর। এই দুই মাসে আগের তুলনায় ২০-৩০ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করা সম্ভব নয় বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণের নতুন শর্তে উদ্বিগ্ন চাষিরা। ঋণের সময়সীমা বছরব্যাপী না করলে সহজ শর্তের স্বল্প সুদের ঋণ তলানিতে নামার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ নীতিমালা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বিভিন্ন খাতের ঋণ বিতরণের জন্য সময়সীমা এবং শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সেই শর্তের বেড়াজালে আটকে গেছে কলাচাষিদের ভাগ্য। চলতি অর্থবছরে ফল ক্যাটাগরিতে কলা চাষের জন্য ঋণ বিতরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ (১৯ মাঘ থেকে ১৭ চৈত্র) পর্যন্ত মাত্র দুই মাস। অথচ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত কৃষি ও পল্লিঋণ নীতিমালায় কলার ঋণ বিতরণে সময়সীমা ছিল সারা বছর। নতুন নীতিমালায় কলা কর্তনের সময় ধরা হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর (৩০ ফাল্গুন-১৫ অগ্রহায়ণ)। আগে ছিল সারা বছর। আবার নতুন ঋণ আদায়ের সময় ধরা হয়েছে ৩১ মার্চ (১৬ চৈত্র) থেকে পরের বছরের পুরো সময়।
রংপুরের কলাচাষি আলতাফ মিয়া বলেন, ‘কলা একটি বারোমাসি ফসল। এ খাতে ব্যাংকগুলো ঋণ দেয় সারা বছর। আবার কিছু ব্যাংক জনবল ও খরচ বিবেচনায় ছোট ঋণে সময় বেশি নেয়। তবে ঋণ আদায়ের রেকর্ড ভালো বলে কলা চাষে ঋণ দিতে আগ্রহ বাড়ছে ব্যাংকের। কিন্তু বারো মাসের ঋণ কীভাবে দুই মাসে দেবেন, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে আগের বছরের চেয়ে ৭০ শতাংশ চাষি ঋণবঞ্চিত হবেন।’
বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত চরম শীত ও বর্ষাকাল ছাড়া বছরের যেকোনো সময় কলার চারা লাগানো যায়। তবে চারা লাগানোর সবচেয়ে ভালো সময় হলো বর্ষা শেষে আশ্বিন-কার্তিক মাস। এ ছাড়া মাঘ ও বৈশাখ মাসে চারা লাগানো যায়।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কলা চাষে ঋণ আদায়ের রেকর্ড ভালো। আমাদের মোট ঋণের ৬০ শতাংশের বেশি কলা চাষে বিতরণ করা হয়। কিন্তু চাষিদের ঋণ দিতে জনবল এবং খরচ বেশি পড়ে। তবু ঋণ আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত নীতিমালায় ঋণ বিতরণের সময় দুই মাসের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে গত সপ্তাহে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
বিবিএসের সর্বশেষ জরিপ বলছে, সারা দেশে ২ লাখ ৭২ হাজার ৮৭২ একর জমিতে কলার চাষ হয়েছে। এতে ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ২৪৯ টন কলা উৎপাদিত হয়েছে, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
কলা একটি বারোমাসি ফসল হিসেবে পরিচিত। চাষিরাও কলা উৎপাদনের জন্য সারা বছর ব্যাংকঋণ পেয়ে আসছেন। কিন্তু গত ২৯ আগস্ট এক বছরের স্থলে মাত্র দুই মাস কলা চাষে ঋণ বিতরণের সময়সীমা ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণ কর্মসূচিতে কলা চাষের ঋণ বিতরণের সময় বেঁধে দেওয়া হয় ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস। অথচ আগের নীতিমালায় ঋণের সময় ছিল সারা বছর। এই দুই মাসে আগের তুলনায় ২০-৩০ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করা সম্ভব নয় বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণের নতুন শর্তে উদ্বিগ্ন চাষিরা। ঋণের সময়সীমা বছরব্যাপী না করলে সহজ শর্তের স্বল্প সুদের ঋণ তলানিতে নামার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ নীতিমালা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বিভিন্ন খাতের ঋণ বিতরণের জন্য সময়সীমা এবং শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সেই শর্তের বেড়াজালে আটকে গেছে কলাচাষিদের ভাগ্য। চলতি অর্থবছরে ফল ক্যাটাগরিতে কলা চাষের জন্য ঋণ বিতরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ (১৯ মাঘ থেকে ১৭ চৈত্র) পর্যন্ত মাত্র দুই মাস। অথচ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত কৃষি ও পল্লিঋণ নীতিমালায় কলার ঋণ বিতরণে সময়সীমা ছিল সারা বছর। নতুন নীতিমালায় কলা কর্তনের সময় ধরা হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর (৩০ ফাল্গুন-১৫ অগ্রহায়ণ)। আগে ছিল সারা বছর। আবার নতুন ঋণ আদায়ের সময় ধরা হয়েছে ৩১ মার্চ (১৬ চৈত্র) থেকে পরের বছরের পুরো সময়।
রংপুরের কলাচাষি আলতাফ মিয়া বলেন, ‘কলা একটি বারোমাসি ফসল। এ খাতে ব্যাংকগুলো ঋণ দেয় সারা বছর। আবার কিছু ব্যাংক জনবল ও খরচ বিবেচনায় ছোট ঋণে সময় বেশি নেয়। তবে ঋণ আদায়ের রেকর্ড ভালো বলে কলা চাষে ঋণ দিতে আগ্রহ বাড়ছে ব্যাংকের। কিন্তু বারো মাসের ঋণ কীভাবে দুই মাসে দেবেন, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে আগের বছরের চেয়ে ৭০ শতাংশ চাষি ঋণবঞ্চিত হবেন।’
বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত চরম শীত ও বর্ষাকাল ছাড়া বছরের যেকোনো সময় কলার চারা লাগানো যায়। তবে চারা লাগানোর সবচেয়ে ভালো সময় হলো বর্ষা শেষে আশ্বিন-কার্তিক মাস। এ ছাড়া মাঘ ও বৈশাখ মাসে চারা লাগানো যায়।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কলা চাষে ঋণ আদায়ের রেকর্ড ভালো। আমাদের মোট ঋণের ৬০ শতাংশের বেশি কলা চাষে বিতরণ করা হয়। কিন্তু চাষিদের ঋণ দিতে জনবল এবং খরচ বেশি পড়ে। তবু ঋণ আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত নীতিমালায় ঋণ বিতরণের সময় দুই মাসের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে গত সপ্তাহে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
বিবিএসের সর্বশেষ জরিপ বলছে, সারা দেশে ২ লাখ ৭২ হাজার ৮৭২ একর জমিতে কলার চাষ হয়েছে। এতে ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ২৪৯ টন কলা উৎপাদিত হয়েছে, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সরকার কর ও শুল্কছাড়ের মাধ্যমে বাজারে পণ্যের দাম কমানোর চেষ্টা করলেও তা কার্যত সাধারণ ভোক্তার দামের বোঝা কমাতে পারেনি। গত অর্থবছরে ভোজ্যতেল, মোবাইল ফোন, পোলট্রি, ফ্রিজ, এসি উৎপাদনের উপকরণসহ বিভিন্ন খাতে কোটি কোটি টাকা শুল্কছাড় দেওয়া হয়েছে। সরকারের যুক্তি ছিল, এতে ভোক্তারা কম দামে পণ্য পাবে।
১ ঘণ্টা আগেদেশের বিমা খাত ডিজিটালাইজেশনে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। তবে গত বছর পিছিয়ে থাকা নেপাল এখন বাংলাদেশের সমপর্যায়ে পৌঁছেছে। গতকাল বুধবার ‘বিমা খাতের আধুনিকায়নে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরেন চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। গত এক মাসে ১০টি কারখানা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের ‘লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন’ (লিড) সনদ পেয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ গতকাল বুধবার একসঙ্গে পাঁচটি কারখানা নতুন সনদ অর্জন করেছে।
১ ঘণ্টা আগেবাজারে আবারও হঠাৎ লাফিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। কোনো উৎসব বা উপলক্ষ না থাকা সত্ত্বেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২৫-৩০ টাকা বেড়েছে। এতে সাধারণ ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, টানা বৃষ্টিপাত ও মৌসুমের শেষ দিকে...
১ ঘণ্টা আগে