আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। বিএসইসি কর্তৃক গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের আংশিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, পুঁজিবাজারে সংঘটিত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে এসব বিভাগের প্রায় সব কর্মকর্তাই কোনো না কোনোভাবে জড়িত।
বিগত সময়ে পুঁজিবাজারে সংঘটিত অনিয়মের মধ্যে ১২টি বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর বিএসইসি একটি কমিটি গঠন করে। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, যেখানে দুর্নীতি ও অনিয়মের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যাপিটাল রেইজিং ইস্যু বিভাগ (আইপিও), মিউচুয়াল ফান্ড বিভাগ, এনফোর্সমেন্ট বিভাগ এবং সুপারভিশন অ্যান্ড রেগুলেশনস অব ইস্যুয়ার কোম্পানিজ (এসআরআইসি) বিভাগের কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তদন্ত কমিটি তাঁদের বিরুদ্ধে বিএসইসির সার্ভিস রুল অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা
বিএসইসি আশ্বাস দিলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি বা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, কমিশনের ভেতরের শক্তিশালী সিন্ডিকেট জড়িত থাকায় পদক্ষেপ নিতে সাহস পাচ্ছে না বিএসইসি কর্তৃপক্ষ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এক পরিচালক এ বিষয়ে বলেন, কমিশন যদি স্বচ্ছ হতে চায়, তবে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, নইলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও কমবে।
দুর্নীতির ধরন ও কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্নীতির অন্যতম ক্ষেত্র আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়া, যেখানে স্বল্পমূল্যের কোম্পানিগুলোকে নানা অনিয়মের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে। এনফোর্সমেন্ট বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা পুঁজিবাজারে কারসাজির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাঁদের আড়াল করতে কাজ করেছেন বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ ছাড়া, এসআরআইসি বিভাগেও নীতিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান জিয়া ইউ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপনারা কিছুটা শুনেছেন, অস্বীকার করছি না। তবে এখন কিছু বলব না। অফিশিয়ালি প্রকাশ হলে জানতে পারবেন।’
বিএসইসিতে আতঙ্ক, টানাপোড়েন
তদন্ত প্রতিবেদনে নাম আসায় কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। কমিশন ২০ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করলেও এখনো বড় কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি, যা কমিশনের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিএসইসির এক কর্মকর্তা জানান, চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের সম্পর্ক চরম উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যা বড় ধরনের আন্দোলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত দুই দিনে বিএসইসিতে ঘটে যাওয়া কর্মকাণ্ড তারই বহিঃপ্রকাশ।
দুদকের তদন্ত ও পাসপোর্ট বাতিলের ঘটনা
এর আগে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, সাবেক কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহমেদসহ বর্তমান ৭ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত শুরু হয় এবং তাঁদের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। এসব কারণেই বিএসইসি বর্তমানে ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে।
পুঁজিবাজারে আস্থাহীনতা ও ভবিষ্যৎ শঙ্কা
তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলে বিএসইসির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠতে পারে। বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, যদি অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা আরও কমবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে।
বর্তমানে বিএসইসি এক চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন ও দুর্নীতি দমন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, কমিশন স্বচ্ছতার প্রমাণ দিতে কী পদক্ষেপ নেয়।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। বিএসইসি কর্তৃক গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের আংশিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, পুঁজিবাজারে সংঘটিত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে এসব বিভাগের প্রায় সব কর্মকর্তাই কোনো না কোনোভাবে জড়িত।
বিগত সময়ে পুঁজিবাজারে সংঘটিত অনিয়মের মধ্যে ১২টি বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর বিএসইসি একটি কমিটি গঠন করে। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, যেখানে দুর্নীতি ও অনিয়মের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যাপিটাল রেইজিং ইস্যু বিভাগ (আইপিও), মিউচুয়াল ফান্ড বিভাগ, এনফোর্সমেন্ট বিভাগ এবং সুপারভিশন অ্যান্ড রেগুলেশনস অব ইস্যুয়ার কোম্পানিজ (এসআরআইসি) বিভাগের কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তদন্ত কমিটি তাঁদের বিরুদ্ধে বিএসইসির সার্ভিস রুল অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা
বিএসইসি আশ্বাস দিলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি বা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, কমিশনের ভেতরের শক্তিশালী সিন্ডিকেট জড়িত থাকায় পদক্ষেপ নিতে সাহস পাচ্ছে না বিএসইসি কর্তৃপক্ষ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এক পরিচালক এ বিষয়ে বলেন, কমিশন যদি স্বচ্ছ হতে চায়, তবে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, নইলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও কমবে।
দুর্নীতির ধরন ও কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্নীতির অন্যতম ক্ষেত্র আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়া, যেখানে স্বল্পমূল্যের কোম্পানিগুলোকে নানা অনিয়মের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে। এনফোর্সমেন্ট বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা পুঁজিবাজারে কারসাজির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাঁদের আড়াল করতে কাজ করেছেন বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ ছাড়া, এসআরআইসি বিভাগেও নীতিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান জিয়া ইউ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপনারা কিছুটা শুনেছেন, অস্বীকার করছি না। তবে এখন কিছু বলব না। অফিশিয়ালি প্রকাশ হলে জানতে পারবেন।’
বিএসইসিতে আতঙ্ক, টানাপোড়েন
তদন্ত প্রতিবেদনে নাম আসায় কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। কমিশন ২০ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করলেও এখনো বড় কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি, যা কমিশনের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিএসইসির এক কর্মকর্তা জানান, চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের সম্পর্ক চরম উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যা বড় ধরনের আন্দোলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত দুই দিনে বিএসইসিতে ঘটে যাওয়া কর্মকাণ্ড তারই বহিঃপ্রকাশ।
দুদকের তদন্ত ও পাসপোর্ট বাতিলের ঘটনা
এর আগে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, সাবেক কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহমেদসহ বর্তমান ৭ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত শুরু হয় এবং তাঁদের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। এসব কারণেই বিএসইসি বর্তমানে ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে।
পুঁজিবাজারে আস্থাহীনতা ও ভবিষ্যৎ শঙ্কা
তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলে বিএসইসির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠতে পারে। বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, যদি অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা আরও কমবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে।
বর্তমানে বিএসইসি এক চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন ও দুর্নীতি দমন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, কমিশন স্বচ্ছতার প্রমাণ দিতে কী পদক্ষেপ নেয়।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার ৩৯ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করা হবে, যা গত অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার কোটি। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য ২৫ হাজার ১২০ কোটি।
২ ঘণ্টা আগেএক বছর আগে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের যখন পতন হয়, তখন দেশের অর্থনীতি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতির সেই অবস্থায় কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে বলে মনে করেন তিনি...
৩ ঘণ্টা আগেসদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কিছু প্রাথমিক চিহ্ন দেখা গেলেও কাঠামোগত সমস্যা এখনো অর্থনীতির গতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য...
৬ ঘণ্টা আগেবৈশ্বিক বাজারের অনিশ্চয়তা, কাঁচামালের দাম ওঠানামা ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন সংকটের মধ্যেও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি মিলিয়ে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার; যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৬.৫ শতাংশ বেশি। এই লক্ষ্য শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়, বরং বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের...
৬ ঘণ্টা আগে