বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির মুখে পড়তে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। এরই মধ্যে অর্থবছরের ছয় মাসে ঘাটতি ২৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, প্রতি মাসের ক্রমাগত বড় রাজস্ব ঘাটতির চিত্রই অর্থনৈতিক-সংকটের প্রভাব কতটা গভীর হচ্ছে, তা দেখিয়ে দিচ্ছে। অনেকে বলছেন, অর্থনীতির অন্য সূচক ভালো না থাকলে, রাজস্ব আয়ও ভালো হওয়ার কোনো কারণ নেই।
দেশের অর্থনীতি একটা ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ডলার-সংকট পুরো অর্থনীতিকে ভোগাচ্ছে। আমদানি কমে গেছে। আমদানি কমায় শিল্পোৎপাদনে প্রভাব পড়েছে। ফলে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যেও ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আয় কমেছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আহামরি ভালো নয়। রেমিট্যান্স চলতি মাসে কিছুটা ইতিবাচক হলেও খুব বেশি বাড়ছে না। বলা যায়, অর্থনীতির সব সূচকই ঝুঁকির মধ্যে। এসবের সরাসরি প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আয়ে।
এনবিআরের তৈরি সবশেষ রাজস্ব পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ২৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকা কম রাজস্ব আয় হয়েছে। শুধু ডিসেম্বর মাসেই রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব আয় বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক দূরে রয়েছে এনবিআর। তথ্য বলছে, গত ছয় মাসের রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ সময়ে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৮ হাজার ৫৬৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। একই সময়ে আয়কর খাতে ঘাটতির পরিমাণ ৮ হাজার ৫৯২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটে ঘাটতি হয়েছে ৬ হাজার ৭০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, ওই সময়ে আমদানি খাতে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৭ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৪৯ হাজার ৬৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০ হাজার ৮০৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬৪ হাজার ৭৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। আয়কর ও ভ্রমণকর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৫১ হাজার ৮২৪ কোটি ২ লাখ টাকা।
এনবিআরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রাজস্ব আয়ের ব্যাপারে বলেন, রাজস্ব আগের অর্থবছরের চেয়ে বেশিই আদায় হচ্ছে। তবে আরও বেশি হলে হয়তো লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হতো। তিনি মনে করেন, ডলার সাশ্রয়ে আমদানিতে কড়াকড়ি চলছে। এর একটা প্রভাব আছে, আর আমদানি কম হলে এর প্রভাব উৎপাদন ও সেবা খাতেও পড়ে। সব মিলিয়ে ভ্যাট ও আয়করেও এর প্রভাব আছে। সুতরাং রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার পেছনে সার্বিক অর্থনীতিতে এক ধরনের শ্লথগতিই কিছুটা দায়ী। তবে তিনি আশা করেন, সামনের দিনগুলোতে ব্যবস-বাণিজ্যে আরও গতি ফিরবে। ডলার-সংকট ধীরে ধীরে কেটে যাবে। রেমিট্যান্সে একটি ইতিবাচক ধারা শুরু হয়েছে। এটা সামনের ঈদ ঘিরে আরও ভালো হবে। ফলে এসবের প্রভাবে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালে রাজস্ব আয়ও লক্ষ্যমাত্রা পূরণের দিকে যাবে।
জানা যায়, চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির মুখে পড়তে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। এরই মধ্যে অর্থবছরের ছয় মাসে ঘাটতি ২৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, প্রতি মাসের ক্রমাগত বড় রাজস্ব ঘাটতির চিত্রই অর্থনৈতিক-সংকটের প্রভাব কতটা গভীর হচ্ছে, তা দেখিয়ে দিচ্ছে। অনেকে বলছেন, অর্থনীতির অন্য সূচক ভালো না থাকলে, রাজস্ব আয়ও ভালো হওয়ার কোনো কারণ নেই।
দেশের অর্থনীতি একটা ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ডলার-সংকট পুরো অর্থনীতিকে ভোগাচ্ছে। আমদানি কমে গেছে। আমদানি কমায় শিল্পোৎপাদনে প্রভাব পড়েছে। ফলে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যেও ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আয় কমেছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আহামরি ভালো নয়। রেমিট্যান্স চলতি মাসে কিছুটা ইতিবাচক হলেও খুব বেশি বাড়ছে না। বলা যায়, অর্থনীতির সব সূচকই ঝুঁকির মধ্যে। এসবের সরাসরি প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আয়ে।
এনবিআরের তৈরি সবশেষ রাজস্ব পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ২৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকা কম রাজস্ব আয় হয়েছে। শুধু ডিসেম্বর মাসেই রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব আয় বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক দূরে রয়েছে এনবিআর। তথ্য বলছে, গত ছয় মাসের রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ সময়ে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৮ হাজার ৫৬৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। একই সময়ে আয়কর খাতে ঘাটতির পরিমাণ ৮ হাজার ৫৯২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটে ঘাটতি হয়েছে ৬ হাজার ৭০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, ওই সময়ে আমদানি খাতে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৭ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৪৯ হাজার ৬৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০ হাজার ৮০৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬৪ হাজার ৭৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। আয়কর ও ভ্রমণকর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৫১ হাজার ৮২৪ কোটি ২ লাখ টাকা।
এনবিআরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রাজস্ব আয়ের ব্যাপারে বলেন, রাজস্ব আগের অর্থবছরের চেয়ে বেশিই আদায় হচ্ছে। তবে আরও বেশি হলে হয়তো লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হতো। তিনি মনে করেন, ডলার সাশ্রয়ে আমদানিতে কড়াকড়ি চলছে। এর একটা প্রভাব আছে, আর আমদানি কম হলে এর প্রভাব উৎপাদন ও সেবা খাতেও পড়ে। সব মিলিয়ে ভ্যাট ও আয়করেও এর প্রভাব আছে। সুতরাং রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার পেছনে সার্বিক অর্থনীতিতে এক ধরনের শ্লথগতিই কিছুটা দায়ী। তবে তিনি আশা করেন, সামনের দিনগুলোতে ব্যবস-বাণিজ্যে আরও গতি ফিরবে। ডলার-সংকট ধীরে ধীরে কেটে যাবে। রেমিট্যান্সে একটি ইতিবাচক ধারা শুরু হয়েছে। এটা সামনের ঈদ ঘিরে আরও ভালো হবে। ফলে এসবের প্রভাবে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালে রাজস্ব আয়ও লক্ষ্যমাত্রা পূরণের দিকে যাবে।
জানা যায়, চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) ‘বাজারদর’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে এখন থেকে মোবাইল ফোনেই জানা যাবে সারা দেশের দৈনন্দিন খুচরা পণ্যের দামদর। আজ সোমবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলীম আক্তার খান এ মোবাইল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনের উদ্বোধন করেন।
৪ ঘণ্টা আগেদেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পেগাসাস লেদারস লিমিটেডের পরিবেশক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২১ জুন) যমুনা ফিউচার পার্কের কনভেনশন হলে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। দেশি ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জুতার ব্যান্ডগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত পরিবেশকেরা এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।
৭ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাব কী দেবে ইরান, এই প্রশ্ন পুরো বিশ্বের। তবে প্রথম প্রতিক্রিয়া হিসেবে হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়েছে, বিশ্বের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্যিক পথটি বন্ধ করা হবে ইরানের ‘অর্থনৈতিক...
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর বিমান হামলার পর বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের আশঙ্কা এবং জ্বালানির সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্ন ঘটতে পারে—এই আতঙ্কে আজ দিনের শুরুতেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
১২ ঘণ্টা আগে