ড. মো. আজহারুল ইসলাম
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো একটা ঘটনা। এইচএসসি পর্যন্ত স্বপ্ন যা-ই থাকুক, মা-বাবা কিংবা আত্মীয়স্বজন যে ধারণাই পোষণ করুন না কেন, সবকিছু নির্ভর করছে এক-দেড় ঘণ্টার এই ছোট্ট পরীক্ষার ওপর। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা এমনিতেই মানসিক চাপের বিষয়। পারিপার্শ্বিক নানা কিছু সেই চাপ অনেক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব কারণে ভর্তি পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফল না-ও আসতে পারে। এসব বাড়তি চাপ মোকাবিলা করে পরীক্ষায় ভালো করতে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে।
মনোযোগ এক ঘণ্টার জন্য
পরীক্ষা শুরুর আগে সিটে বসে মিনিট দুয়েক গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস নিলে মন স্থির হবে। মস্তিষ্ক স্বচ্ছভাবে কাজ করবে। এই এক ঘণ্টার জন্য যদি আপনার মনকে পরীক্ষার হলে আর প্রশ্নপত্রে ধরে রাখতে পারেন, তাহলে নিশ্চিত—আপনি ভালো করতে পারবেন।
প্রস্তুতি থাকতে হবে সব দিকে
বইয়ের প্রস্তুতি তো আছেই, সঙ্গে আনুষঙ্গিক প্রস্তুতিও থাকতে হবে। যেমন পরীক্ষার সেন্টার, আপনার বাসা থেকে সেন্টারে যেতে কত সময় লাগতে পারে, কীভাবে যাবেন ইত্যাদি। এ সবকিছু যেন আপনাকে বাড়তি চাপে না ফেলে।
নির্দেশনা রপ্ত করুন
যেকোনো পরীক্ষায় ভালো করার অন্যতম নির্দেশক হলো পরীক্ষার্থী নির্দেশনা কতটা সফলভাবে অনুসরণ করেছেন, সেটা দেখা। যদি আপনাকে টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়, তাহলে সেটাই করতে হবে। সেভাবে বাবার নাম, মায়ের নাম যে স্থানে, যেভাবে লিখতে বলা হয়েছে, সেভাবে লিখতে হবে। এ ছাড়া আপনার বিষয়ভিত্তিক বিশেষ নির্দেশনা থাকলে সেগুলোও যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। এসব বিষয় একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একেক রকম হতে পারে।
পরীক্ষার হলে আনা যাবে না নিষিদ্ধ কিছুই
যা কিছু বারণ, তার কোনো কিছুই সঙ্গে রাখা যাবে না। আগে থেকে সচেতন থাকলে ঘড়ি, মোবাইল ফোন কোথায় রাখবেন, কীভাবে রাখবেন, তা নিয়ে পরীক্ষা হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাহাস করে পরীক্ষা শুরুর আগেই মাথা গরম হবে না।
প্রশ্ন ও উত্তরপত্র পরখ করে নিন
প্রশ্ন হাতে পাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে ভালোভাবে খেয়াল করে দেখুন। প্রিন্টিং মিসটেক থাকা অস্বাভাবিক নয়। অনেক সময় চলে যাওয়ার পর যদি উত্তরপত্র বদলাতে হয়, আবার নাম-ঠিকানা লিখতে হয়, তাতে সময় বেশি লাগবে। এটি মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে বেশি। তাই এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
ভরসা রাখুন নিজের ওপর
পরীক্ষার আগে অনেক উড়োকথা শুনবেন। তবে অস্বাভাবিক কোনো কিছুর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, সহজে কিছু পাওয়া যায় না। যেটা পাওয়া যায়, সেটা গুজব। এতে কান না দিয়ে নিজের ওপর আস্থা রাখুন।
জীবনের জন্য পড়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বা প্রিয় বিষয়ে পড়তে পারা জরুরি, কিন্তু অবশ্যম্ভাবী নয়। পছন্দের বিষয়ে পড়তে না পারলে জীবন শেষ, এটি
ভাবা বোকামি। এটিই জীবন নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া জীবনকে চালানোর একটা উপায় মাত্র। তাই সনদের জন্য নয়, জীবনের জন্য পড়াটা জরুরি এবং সেভাবে নিজেকে তৈরি করাটা আরও জরুরি।
ড. মো. আজহারুল ইসলাম চেয়ারম্যান, এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো একটা ঘটনা। এইচএসসি পর্যন্ত স্বপ্ন যা-ই থাকুক, মা-বাবা কিংবা আত্মীয়স্বজন যে ধারণাই পোষণ করুন না কেন, সবকিছু নির্ভর করছে এক-দেড় ঘণ্টার এই ছোট্ট পরীক্ষার ওপর। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা এমনিতেই মানসিক চাপের বিষয়। পারিপার্শ্বিক নানা কিছু সেই চাপ অনেক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব কারণে ভর্তি পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফল না-ও আসতে পারে। এসব বাড়তি চাপ মোকাবিলা করে পরীক্ষায় ভালো করতে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে।
মনোযোগ এক ঘণ্টার জন্য
পরীক্ষা শুরুর আগে সিটে বসে মিনিট দুয়েক গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস নিলে মন স্থির হবে। মস্তিষ্ক স্বচ্ছভাবে কাজ করবে। এই এক ঘণ্টার জন্য যদি আপনার মনকে পরীক্ষার হলে আর প্রশ্নপত্রে ধরে রাখতে পারেন, তাহলে নিশ্চিত—আপনি ভালো করতে পারবেন।
প্রস্তুতি থাকতে হবে সব দিকে
বইয়ের প্রস্তুতি তো আছেই, সঙ্গে আনুষঙ্গিক প্রস্তুতিও থাকতে হবে। যেমন পরীক্ষার সেন্টার, আপনার বাসা থেকে সেন্টারে যেতে কত সময় লাগতে পারে, কীভাবে যাবেন ইত্যাদি। এ সবকিছু যেন আপনাকে বাড়তি চাপে না ফেলে।
নির্দেশনা রপ্ত করুন
যেকোনো পরীক্ষায় ভালো করার অন্যতম নির্দেশক হলো পরীক্ষার্থী নির্দেশনা কতটা সফলভাবে অনুসরণ করেছেন, সেটা দেখা। যদি আপনাকে টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়, তাহলে সেটাই করতে হবে। সেভাবে বাবার নাম, মায়ের নাম যে স্থানে, যেভাবে লিখতে বলা হয়েছে, সেভাবে লিখতে হবে। এ ছাড়া আপনার বিষয়ভিত্তিক বিশেষ নির্দেশনা থাকলে সেগুলোও যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। এসব বিষয় একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একেক রকম হতে পারে।
পরীক্ষার হলে আনা যাবে না নিষিদ্ধ কিছুই
যা কিছু বারণ, তার কোনো কিছুই সঙ্গে রাখা যাবে না। আগে থেকে সচেতন থাকলে ঘড়ি, মোবাইল ফোন কোথায় রাখবেন, কীভাবে রাখবেন, তা নিয়ে পরীক্ষা হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাহাস করে পরীক্ষা শুরুর আগেই মাথা গরম হবে না।
প্রশ্ন ও উত্তরপত্র পরখ করে নিন
প্রশ্ন হাতে পাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে ভালোভাবে খেয়াল করে দেখুন। প্রিন্টিং মিসটেক থাকা অস্বাভাবিক নয়। অনেক সময় চলে যাওয়ার পর যদি উত্তরপত্র বদলাতে হয়, আবার নাম-ঠিকানা লিখতে হয়, তাতে সময় বেশি লাগবে। এটি মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে বেশি। তাই এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
ভরসা রাখুন নিজের ওপর
পরীক্ষার আগে অনেক উড়োকথা শুনবেন। তবে অস্বাভাবিক কোনো কিছুর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, সহজে কিছু পাওয়া যায় না। যেটা পাওয়া যায়, সেটা গুজব। এতে কান না দিয়ে নিজের ওপর আস্থা রাখুন।
জীবনের জন্য পড়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বা প্রিয় বিষয়ে পড়তে পারা জরুরি, কিন্তু অবশ্যম্ভাবী নয়। পছন্দের বিষয়ে পড়তে না পারলে জীবন শেষ, এটি
ভাবা বোকামি। এটিই জীবন নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া জীবনকে চালানোর একটা উপায় মাত্র। তাই সনদের জন্য নয়, জীবনের জন্য পড়াটা জরুরি এবং সেভাবে নিজেকে তৈরি করাটা আরও জরুরি।
ড. মো. আজহারুল ইসলাম চেয়ারম্যান, এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫