মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
মৌলভীবাজারে মনু ও ধলাই নদীর ১৬টি প্রতিরক্ষা বাঁধসহ অন্যান্য ছোট নদীর অসংখ্য বাঁধ ভেঙে গত বছর জেলায় চার দফা বন্যা হয়েছে। বন্যায় ফসল ও ঘরবাড়ি হারিয়েছে হাজারো মানুষ। পানিবন্দী হয়ে পড়ে প্রায় চার লাখ মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৬০০ কোটি টাকার অধিক। এত কিছুর পরও জেলার অন্যতম প্রধান দুই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভাঙা ও ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও বন্যা-পরবর্তী সাত মাসেও এগুলো মেরামতের কাজ শুরু করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে চৈত্র-বৈশাখ মাসে বৃষ্টি হলে ফের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।
ঝুঁকিপূর্ণ নদীপাড়ের লোকজন বলেন, ‘বৃষ্টি আসলেই আমরা আতঙ্কে থাকি, কখন যে বৃষ্টি হয় আর উজানের পাহাড়ি ঢলে নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। মনু ও ধলাই নদীর অন্ততপক্ষে ২৫-৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রয়েছে। এগুলো মেরামত করা খুবই প্রয়োজন। বন্যা-পরবর্তী দীর্ঘদিন চলে গেলেও এখনো বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়নি। শুষ্ক মৌসুমে কাজ না করালে আমরা ফের বন্যায় প্লাবিত হব।’
বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, এখন নদীর পানি কম। কাজ করালে ঠিকাদার চুরি করতে পারবে না। তাই নদীতে পানি হলে কাজ শুরু করবে। আর একটু কাজ করে বলবে নদীর স্রোতে সব তলিয়ে গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে জেলার মনু নদীর কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নের অংশে ও ধলাই নদীর কমলগঞ্জের রহিমপুর, মুন্সিবাজার, সদর ইউনিয়নের বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে দেখা গেছে, বন্যা-পরবর্তী প্রায় সাত মাস অতিবাহিত হলেও বেড়িবাঁধগুলো মেরামতের কাজ শুরু হয়নি এখনো। ফলে নদীর পাড়ের বাসিন্দারা ঝুঁকিতে রয়েছেন। নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাঁধগুলো দ্রুত মেরামত করা না হলে অল্প বৃষ্টিতে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন নদীর ১৬টি ভাঙা পয়েন্টে খুব শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে। এর মধ্যে ধলাই নদীর ১২টি স্থান ও মনু নদীর দুটি স্থান মেরামত করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ কাজের কিছু টেন্ডার প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। এগুলো সম্পন্ন করে খুব শিগগিরই ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। রোজার পর থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হবে।
কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা জুনেদ আহমদ বলেন, ‘প্রতিবছর নদী ভেঙে আমার সবকিছু নিয়ে গেছে। এ বছর যদি আবার বন্যা হয় তাহলে ভিটামাটি নদীর পেটে চলে যাবে। বাঁধ যখন ভাঙে তখন ভালোভাবে মেরামত করা হয় না। বন্যার পরে এত এত মাস চলে গেল অথচ কাজই শুরু হয়নি। আমরা কীভাবে বিশ্বাস করব যে বাকি এক মাসে কাজ শেষ হবে।’
কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর চৈত্রঘাট এলাকার নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর আমাদের এলাকা দিয়ে ধলাই নদী ভেঙে আমাদের সবকিছু নিয়ে গেছে। এখনো নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে এই অংশে আবার ভাঙন দেখা দেবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন অলীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এই অর্থবছরে জেলার বিভিন্ন নদীর ১৬টি পয়েন্ট মেরামত করব। আশা করছি ঈদের পর কাজ শুরু করতে পারব। অনেকগুলো কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কিছু কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো মেরামত করা হবে।’
মৌলভীবাজারে মনু ও ধলাই নদীর ১৬টি প্রতিরক্ষা বাঁধসহ অন্যান্য ছোট নদীর অসংখ্য বাঁধ ভেঙে গত বছর জেলায় চার দফা বন্যা হয়েছে। বন্যায় ফসল ও ঘরবাড়ি হারিয়েছে হাজারো মানুষ। পানিবন্দী হয়ে পড়ে প্রায় চার লাখ মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৬০০ কোটি টাকার অধিক। এত কিছুর পরও জেলার অন্যতম প্রধান দুই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভাঙা ও ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও বন্যা-পরবর্তী সাত মাসেও এগুলো মেরামতের কাজ শুরু করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে চৈত্র-বৈশাখ মাসে বৃষ্টি হলে ফের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।
ঝুঁকিপূর্ণ নদীপাড়ের লোকজন বলেন, ‘বৃষ্টি আসলেই আমরা আতঙ্কে থাকি, কখন যে বৃষ্টি হয় আর উজানের পাহাড়ি ঢলে নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। মনু ও ধলাই নদীর অন্ততপক্ষে ২৫-৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রয়েছে। এগুলো মেরামত করা খুবই প্রয়োজন। বন্যা-পরবর্তী দীর্ঘদিন চলে গেলেও এখনো বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়নি। শুষ্ক মৌসুমে কাজ না করালে আমরা ফের বন্যায় প্লাবিত হব।’
বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, এখন নদীর পানি কম। কাজ করালে ঠিকাদার চুরি করতে পারবে না। তাই নদীতে পানি হলে কাজ শুরু করবে। আর একটু কাজ করে বলবে নদীর স্রোতে সব তলিয়ে গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে জেলার মনু নদীর কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নের অংশে ও ধলাই নদীর কমলগঞ্জের রহিমপুর, মুন্সিবাজার, সদর ইউনিয়নের বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে দেখা গেছে, বন্যা-পরবর্তী প্রায় সাত মাস অতিবাহিত হলেও বেড়িবাঁধগুলো মেরামতের কাজ শুরু হয়নি এখনো। ফলে নদীর পাড়ের বাসিন্দারা ঝুঁকিতে রয়েছেন। নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাঁধগুলো দ্রুত মেরামত করা না হলে অল্প বৃষ্টিতে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন নদীর ১৬টি ভাঙা পয়েন্টে খুব শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে। এর মধ্যে ধলাই নদীর ১২টি স্থান ও মনু নদীর দুটি স্থান মেরামত করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ কাজের কিছু টেন্ডার প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। এগুলো সম্পন্ন করে খুব শিগগিরই ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। রোজার পর থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হবে।
কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা জুনেদ আহমদ বলেন, ‘প্রতিবছর নদী ভেঙে আমার সবকিছু নিয়ে গেছে। এ বছর যদি আবার বন্যা হয় তাহলে ভিটামাটি নদীর পেটে চলে যাবে। বাঁধ যখন ভাঙে তখন ভালোভাবে মেরামত করা হয় না। বন্যার পরে এত এত মাস চলে গেল অথচ কাজই শুরু হয়নি। আমরা কীভাবে বিশ্বাস করব যে বাকি এক মাসে কাজ শেষ হবে।’
কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর চৈত্রঘাট এলাকার নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর আমাদের এলাকা দিয়ে ধলাই নদী ভেঙে আমাদের সবকিছু নিয়ে গেছে। এখনো নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে এই অংশে আবার ভাঙন দেখা দেবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন অলীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এই অর্থবছরে জেলার বিভিন্ন নদীর ১৬টি পয়েন্ট মেরামত করব। আশা করছি ঈদের পর কাজ শুরু করতে পারব। অনেকগুলো কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কিছু কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো মেরামত করা হবে।’
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
২৯ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৩২ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৪৩ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে