নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি। ডিসিকে ‘সিলেটবিদ্বেষী, অদক্ষ ও ব্যর্থ’ দাবি করে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘সহকারী রিটার্নিং অফিসার’ ছিলেন বলেও দাবি করেন আরিফুল হক।
আজ বুধবার নগরের ব্যস্ততম কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আরিফুল হক চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকেরা। কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিক নেতারাও যোগ দেন। বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুকের সঞ্চালনায় সমাবেশ শুরু হয়। বেলা ১টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়।
সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সহসম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবদুর রহিম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসম্পাদক মো. আবদুস সালাম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ডিসির উদ্দেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘৪ তারিখের মধ্যে পরিবহনশ্রমিকদের কথা না শুনলে ৫ তারিখ থেকে পরিবহন সেক্টরের আন্দোলন কর্মসূচিতে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আগামী ৫ তারিখের আগে জরুরি ভিত্তিতে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বসেন, আপামর জনসাধারণের কথা শুনেন, এরপর অতীতে যেভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক দলের এবং পরিবহন সেক্টরের নেতৃবৃন্দ মিলে... আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘জেলা প্রশাসক, আপনি যদি মনে করেন, আমাদের মধ্যে বিভাজন করার পাঁয়তারা যেটা করছেন, গুটিকয়েক দুম্বা, দুয়েকজন নেতাকে বশ করে মনে করবেন না আপনে পার পেয়ে যাবেন। আমরা তাদের চিহ্নিত করে রাখব। আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা যাবে, তারা জেলা প্রশাসকের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমাদের যে আলটিমেটাম, ৫ তারিখের পরে কিন্তু আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবেন না। আমি মনে করি, এই জেলা প্রশাসক বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের মধ্যে যাতে সিলেটে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, তার পাঁয়তারা করছেন। তা যদি না হতো, তিনি অবশ্যই সিলেটের রাজনৈতিক নেতাদের ও প্রত্যেকটা স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলে আজকের এই অবস্থা হতো না।’
আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘জালালাবাদ চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেছেন, এই হাসপাতালেরই অনুমোদন দিয়েছিলেন উনার চেয়ারে বসা একজন জেলা প্রশাসক। আজ থেকে প্রায় ৭০-৮০ জন জেলা প্রশাসক আসছেন, গেছেন; প্রত্যেকে এই অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালের সভাপতি ছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাকে সাবধান করে বলে দিতে চাই, সিলেটের মানুষকে অশ্রদ্ধা যারা করেছে, তাদের কোনো ধরনের ক্ষমা নেই। আজকে বলে গেলাম, ৫ তারিখের পরে ‘‘তুমি’’ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।’
বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে আরিফুল হক বলেন, ‘আপনারা খবর নেন, সিলেটের মানুষদের ফুসলে তোলার জন্য এই জেলা প্রশাসকই যথেষ্ট। এই জেলা প্রশাসকের কারণে সরকারের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ী জনগণের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালসহ কয়েকটি ইস্যুতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরীর বিরোধ চলছে। এখন ইজারা বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং মেজরটিলা এলাকায় উচ্ছেদের শিকার ব্যবসায়ীদের ক্ষুব্ধতার সুযোগে আরিফুল হক চৌধুরী ‘সেই ক্ষোভ’ মেটাতে রাজপথে নেমেছেন।
তবে কর্মসূচি শেষে আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো পাথরশ্রমিকদের নীতিগত কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছি। আমি বারবার বলেছিলাম স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বসেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সবাইকে নিয়ে বসেন। উনি আমারে বলেন—আপনি তো জনপ্রতিনিধি না।’
সমাবেশ থেকে পরিবহনমালিক ও শ্রমিক নেতারা আগামী শুক্রবারের মধ্যে সিলেটের ডিসিকে অপসারণ না করলে শনিবার থেকে সিলেটের সব সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। ৫ দফা দাবি হচ্ছে—বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংসের অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটক না করা, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করা এবং সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ।
রাত ৮টায় মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আরিফুল হক চৌধুরীর জেলা প্রশাসকের অপসারণ কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা একান্তই তাঁর নিজস্ব কর্মসূচি। দলীয় কর্মসূচি হলে তো আমরাও থাকতাম, তখন আমরা ডিসির সঙ্গে মিটিংয়ে ছিলাম।’
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো ইজারা ও পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ চালুর দাবিতে সম্প্রতি পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিকেরা কর্মবিরতি, পরিবহন বন্ধ রাখাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে রাজনৈতিক নেতা, পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে বৈঠকে বসেন ডিসি। সেই বৈঠকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. শাহজাহান আলীসহ পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘উনার অভিযোগগুলো সত্য নয়। কেন উনি এসব বলছেন, তিনিই ভালো বলতে পারবেন, আমার জানা নেই।’
আরও খবর পড়ুন:
সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি। ডিসিকে ‘সিলেটবিদ্বেষী, অদক্ষ ও ব্যর্থ’ দাবি করে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘সহকারী রিটার্নিং অফিসার’ ছিলেন বলেও দাবি করেন আরিফুল হক।
আজ বুধবার নগরের ব্যস্ততম কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আরিফুল হক চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকেরা। কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিক নেতারাও যোগ দেন। বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুকের সঞ্চালনায় সমাবেশ শুরু হয়। বেলা ১টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়।
সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সহসম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবদুর রহিম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসম্পাদক মো. আবদুস সালাম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ডিসির উদ্দেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘৪ তারিখের মধ্যে পরিবহনশ্রমিকদের কথা না শুনলে ৫ তারিখ থেকে পরিবহন সেক্টরের আন্দোলন কর্মসূচিতে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আগামী ৫ তারিখের আগে জরুরি ভিত্তিতে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বসেন, আপামর জনসাধারণের কথা শুনেন, এরপর অতীতে যেভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক দলের এবং পরিবহন সেক্টরের নেতৃবৃন্দ মিলে... আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘জেলা প্রশাসক, আপনি যদি মনে করেন, আমাদের মধ্যে বিভাজন করার পাঁয়তারা যেটা করছেন, গুটিকয়েক দুম্বা, দুয়েকজন নেতাকে বশ করে মনে করবেন না আপনে পার পেয়ে যাবেন। আমরা তাদের চিহ্নিত করে রাখব। আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা যাবে, তারা জেলা প্রশাসকের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমাদের যে আলটিমেটাম, ৫ তারিখের পরে কিন্তু আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবেন না। আমি মনে করি, এই জেলা প্রশাসক বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের মধ্যে যাতে সিলেটে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, তার পাঁয়তারা করছেন। তা যদি না হতো, তিনি অবশ্যই সিলেটের রাজনৈতিক নেতাদের ও প্রত্যেকটা স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলে আজকের এই অবস্থা হতো না।’
আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘জালালাবাদ চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেছেন, এই হাসপাতালেরই অনুমোদন দিয়েছিলেন উনার চেয়ারে বসা একজন জেলা প্রশাসক। আজ থেকে প্রায় ৭০-৮০ জন জেলা প্রশাসক আসছেন, গেছেন; প্রত্যেকে এই অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালের সভাপতি ছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাকে সাবধান করে বলে দিতে চাই, সিলেটের মানুষকে অশ্রদ্ধা যারা করেছে, তাদের কোনো ধরনের ক্ষমা নেই। আজকে বলে গেলাম, ৫ তারিখের পরে ‘‘তুমি’’ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।’
বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে আরিফুল হক বলেন, ‘আপনারা খবর নেন, সিলেটের মানুষদের ফুসলে তোলার জন্য এই জেলা প্রশাসকই যথেষ্ট। এই জেলা প্রশাসকের কারণে সরকারের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ী জনগণের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালসহ কয়েকটি ইস্যুতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরীর বিরোধ চলছে। এখন ইজারা বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং মেজরটিলা এলাকায় উচ্ছেদের শিকার ব্যবসায়ীদের ক্ষুব্ধতার সুযোগে আরিফুল হক চৌধুরী ‘সেই ক্ষোভ’ মেটাতে রাজপথে নেমেছেন।
তবে কর্মসূচি শেষে আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো পাথরশ্রমিকদের নীতিগত কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছি। আমি বারবার বলেছিলাম স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বসেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সবাইকে নিয়ে বসেন। উনি আমারে বলেন—আপনি তো জনপ্রতিনিধি না।’
সমাবেশ থেকে পরিবহনমালিক ও শ্রমিক নেতারা আগামী শুক্রবারের মধ্যে সিলেটের ডিসিকে অপসারণ না করলে শনিবার থেকে সিলেটের সব সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। ৫ দফা দাবি হচ্ছে—বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংসের অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটক না করা, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করা এবং সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ।
রাত ৮টায় মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আরিফুল হক চৌধুরীর জেলা প্রশাসকের অপসারণ কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা একান্তই তাঁর নিজস্ব কর্মসূচি। দলীয় কর্মসূচি হলে তো আমরাও থাকতাম, তখন আমরা ডিসির সঙ্গে মিটিংয়ে ছিলাম।’
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো ইজারা ও পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ চালুর দাবিতে সম্প্রতি পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিকেরা কর্মবিরতি, পরিবহন বন্ধ রাখাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে রাজনৈতিক নেতা, পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে বৈঠকে বসেন ডিসি। সেই বৈঠকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. শাহজাহান আলীসহ পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘উনার অভিযোগগুলো সত্য নয়। কেন উনি এসব বলছেন, তিনিই ভালো বলতে পারবেন, আমার জানা নেই।’
আরও খবর পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বেতন বৃদ্ধি ও নির্বাহী পরিচালক আবিদুর রহমানের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন মদিনা মেরিটাইম গ্রুপের শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মেঘনা শিল্পাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত কোম্পানির চত্বরে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়। প্রায় ৯০০ শ্রমিক এতে অংশ নেন।
২ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ডাকাতদের হামলায় রাশিদা বেগম (৫৫) নামের এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের পশ্চিম বাইলজুড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
৩ মিনিট আগেমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের চরগোয়াল গ্রাম থেকে দুটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে গাংনী থানার পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চরগোয়াল গ্রামের ক্লাব বাজারের রহিতুল্লাহ সুপার মার্কেটের সামনে থেকে দুটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়ার কাহালু উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় ডাকাতদলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কাহালু থানা-পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কালাই ইউনিয়নের বার মাইল-তিন দিঘি গামী পাকা রাস্তার কুর্নিপাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে