জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সৌদিপ্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে (৩৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ৬ টুকরো করে লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত জিতেশ চন্দ্র গোপ দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে প্রধান আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডির) পরিদর্শক লিটন দেওয়ান বলেন, শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি জিতেশ চন্দ্র গোপ দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সিআইডি তিন আসামির ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত তাদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ৮ দিনের রিমান্ড শেষে গত রোববার দুপুরে জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহানের আদালতে হাজির করে আবারও তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩ আসামির আরও ৮ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিন আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে জগন্নাথপুরের সৌদিপ্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে (৩৫) কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর গভীর রাতে ফার্মেসির ভেতর এনার্জি ড্রিংকস খেয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করার কথা বলায় শ্বাসরোধে শাহনাজকে হত্যা করে লাশ ৬ টুকরা করা হয়। পরে লাশ গুমেরও পরিকল্পনা করে ধর্ষকেরা। ঘটনার পর ১৮ ফেব্রুয়ারি শাহনাজ হত্যার মূল ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করলে এসব তথ্য জানতে পারে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টের ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটের তালাবদ্ধ অভি মেডিকেল হল থেকে শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নার খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ভাই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্না ২০১৩ সাল থেকে পৌর শহরের নিজ মালিকানাধীন বাসায় ২ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তাঁর স্বামী ছুরুক মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে চাকরি করেন। পরিবারের সব সদস্যদের ওষুধ ‘অভি মেডিকেল হল’ নামের ফার্মেসি থেকে কেনার সুবাদে জিতেশের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। শাহনাজ পারভীন কিছুদিন ধরে বেশ কিছু গোপনীয় শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এ সমস্যার সমাধানে সুপরামর্শের জন্য ঘটনার দিন বিকেলে জিতেশের ফার্মেসিতে গেলে ফার্মেসির ভেতরে প্রাথমিক চিকিৎসা কক্ষে তাঁকে বসিয়ে রাখা হয়। কাস্টমারের ভিড় কমলে তাঁর সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক ওষুধ দেওয়া হবে বলে সময়ক্ষেপণ করা হয়। আসামি জিতেশচন্দ্র গোপ তার বন্ধু মুদি দোকানদার অনজিৎ গোপ (৩৩) ও পাশের অরূপ ফার্মেসির মালিক অসিত গোপকে (৩৬) নিয়ে শাহনাজ পারভীনকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী জিতেশ শাহনাজ পারভীনকে চিকিৎসার কথা বলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ালে সে ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তাঁকে ফার্মেসির ভেতর রেখেই জিতেশ বাইরে তালা দিয়ে চলে যায়। আশপাশের সব দোকান বন্ধ হলে এবং গভীর রাতে ফার্মেসি খুলে ভেতরে প্রবেশ করে এনার্জি ড্রিংকস পান করান। এরপর তারা শাহনাজ পারভীনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি শাহনাজ তার পরিবারের সদস্য ও অন্যদের কাছে প্রকাশ করার কথা বললে, আসামিরা তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক তারা পরস্পর যোগসাজশে শাহনাজ পারভীনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং বিশ্রাম কক্ষে থাকা বালিশ দিয়ে মুখ চেপে ধরে হত্যার পর ৬ টুকরো করা হয়।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সৌদিপ্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে (৩৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ৬ টুকরো করে লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত জিতেশ চন্দ্র গোপ দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে প্রধান আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডির) পরিদর্শক লিটন দেওয়ান বলেন, শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি জিতেশ চন্দ্র গোপ দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সিআইডি তিন আসামির ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত তাদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ৮ দিনের রিমান্ড শেষে গত রোববার দুপুরে জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহানের আদালতে হাজির করে আবারও তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩ আসামির আরও ৮ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিন আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে জগন্নাথপুরের সৌদিপ্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে (৩৫) কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর গভীর রাতে ফার্মেসির ভেতর এনার্জি ড্রিংকস খেয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করার কথা বলায় শ্বাসরোধে শাহনাজকে হত্যা করে লাশ ৬ টুকরা করা হয়। পরে লাশ গুমেরও পরিকল্পনা করে ধর্ষকেরা। ঘটনার পর ১৮ ফেব্রুয়ারি শাহনাজ হত্যার মূল ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করলে এসব তথ্য জানতে পারে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টের ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটের তালাবদ্ধ অভি মেডিকেল হল থেকে শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নার খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ভাই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্না ২০১৩ সাল থেকে পৌর শহরের নিজ মালিকানাধীন বাসায় ২ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তাঁর স্বামী ছুরুক মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে চাকরি করেন। পরিবারের সব সদস্যদের ওষুধ ‘অভি মেডিকেল হল’ নামের ফার্মেসি থেকে কেনার সুবাদে জিতেশের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। শাহনাজ পারভীন কিছুদিন ধরে বেশ কিছু গোপনীয় শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এ সমস্যার সমাধানে সুপরামর্শের জন্য ঘটনার দিন বিকেলে জিতেশের ফার্মেসিতে গেলে ফার্মেসির ভেতরে প্রাথমিক চিকিৎসা কক্ষে তাঁকে বসিয়ে রাখা হয়। কাস্টমারের ভিড় কমলে তাঁর সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক ওষুধ দেওয়া হবে বলে সময়ক্ষেপণ করা হয়। আসামি জিতেশচন্দ্র গোপ তার বন্ধু মুদি দোকানদার অনজিৎ গোপ (৩৩) ও পাশের অরূপ ফার্মেসির মালিক অসিত গোপকে (৩৬) নিয়ে শাহনাজ পারভীনকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী জিতেশ শাহনাজ পারভীনকে চিকিৎসার কথা বলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ালে সে ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তাঁকে ফার্মেসির ভেতর রেখেই জিতেশ বাইরে তালা দিয়ে চলে যায়। আশপাশের সব দোকান বন্ধ হলে এবং গভীর রাতে ফার্মেসি খুলে ভেতরে প্রবেশ করে এনার্জি ড্রিংকস পান করান। এরপর তারা শাহনাজ পারভীনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি শাহনাজ তার পরিবারের সদস্য ও অন্যদের কাছে প্রকাশ করার কথা বললে, আসামিরা তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক তারা পরস্পর যোগসাজশে শাহনাজ পারভীনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং বিশ্রাম কক্ষে থাকা বালিশ দিয়ে মুখ চেপে ধরে হত্যার পর ৬ টুকরো করা হয়।
রাজধানীর খিলক্ষেতের একটি পলিথিন কারখানায় সারা দিন পলিথিন তৈরির পর রাতের আঁধারে বস্তায় ভরে গাজীপুরের টঙ্গী বাজার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হতো। একবার সিলগালার পরও গোপনে পলিথিন তৈরি করা হতো। ফের সেনাবাহিনী ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
১৬ মিনিট আগেআগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা থেকে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার রাত ১২টায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণার সময় এ কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন।
২০ মিনিট আগেএখন থেকে ১৪ মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো দিবস হিসেবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. রইছ উদ্দিন। একই সময় উপদেষ্টার দিকে বোতল ছুড়ে মারা শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারে বিরত থাকতেও বলেছেন তিনি।
৩৪ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই সমাবেশে...
৩৯ মিনিট আগে