প্রতিনিধি
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার): চা বাগানে নিযুক্ত শ্রমিকদের মজুরির খসড়া সুপারিশ ২০২১ প্রত্যাহার এবং শ্রমিক বান্ধব গেজেট তৈরি করে সেটি প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ‘জংলা বালী কার্যকরী পরিষদ’। আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারস্থ ‘লংলা ভ্যালী কার্যকরী পরিষদের’ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ‘লংলা ভ্যালী কার্যকরী পরিষদের’ সাধারণ সম্পাদক সঞ্জু গোস্বামী বলেন, গত ১৩ জুন ‘নিম্নতম মজুরি বোর্ড’ কর্তৃক ১১৭ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত চা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করে খসড়া সুপারিশ প্রকাশ করেছে আগামী তিন বছরের জন্য। কিন্তু ওই মজুরি ২০১৯–২০ অর্থবছরে নির্ধারণের কথা ছিল। ২০২১ সালে এটি প্রকাশে চা বাগান মালিকদের সহায়ক হলেও শ্রমিকদের জন্য সেটা সময়োপযোগী নয়। যুগ যুগ ধরে অবহেলিত চা শ্রমিকেরা যে পরিশ্রম করেন আর বিনিময়ে যে পারিশ্রমিক পান সেটা খুবই কম। এ জন্য শ্রমিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী মজুরির খসড়া সুপারিশে স্বাক্ষর করেননি।
সঞ্জু গোস্বামী বলেন, আমরা চলতি বছরে মজুরির খসড়া প্রত্যাহার করে নতুন মজুরি ৩০০ টাকা হারে নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া খসড়া গেজেট এর ৭ ধারা বাতিল করে প্রতি দুই বছর পর পর নতুন মজুরি খসড়া প্রণয়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হোক। চা বাগানে শিক্ষানবিশ শ্রমিক নিয়োগের নিয়ম প্রত্যাহার করে জন্মসূত্রের অধিকারে বাগানে কাজ দেওয়া হোক। মজুরির পাশাপাশি সকল বাগানে শ্রমিকদের বৈশাখী ভাতা প্রদান ও পেনশনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
‘লংলা ভ্যালী কার্যকরী পরিষদের’ সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি বাগানে চুক্তি অনুযায়ী চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা, সুপেয় পানি, স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মজুরি ও শ্রমিকদের দাবি পূরণে শ্রমিক সংগঠনের একজন প্রতিনিধি শ্রম আইন সংশোধনী কমিটিতে রাখা উচিত। ওই প্রতিনিধিই শ্রমিকদের আসল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে কমিটিকে পরামর্শ ও সুপারিশ দিতে পারবেন।
এ সময় তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা বাগানের শ্রমিকেরা সব সময় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতীক হিসেবে ‘নৌকা’ মার্কায় ভোট দিয়ে আসছি। আমরা চা শ্রমিকেরা আজও অবহেলিত। এখনো নিজস্ব ভূমির অধিকার নেই। শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে এখনো সময়োপযোগী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। শ্রমিকদের জন্য চুক্তি অনুযায়ী যেসব সিদ্ধান্ত ও অধিকার রয়েছে সেগুলো অনেকটাই বাস্তবায়ন হয় না। সেগুলো বাস্তবায়নের দাবি তুললেই কোনো কারণ ছাড়া কালো আইনের ধারায় বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ছাঁটাই করে দেন।
তাঁরা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের আবেদন চা শ্রমিকেরা যাতে তাঁদের ন্যায্য অধিকারটুকু পায়, সে জন্য কার্যকরী ও শ্রমিকবান্ধব শ্রম আইন বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ‘লংলা ভ্যালী কার্যকরী পরিষদের’ সহ সভাপতি ডলি রানী নাইডুসহ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার): চা বাগানে নিযুক্ত শ্রমিকদের মজুরির খসড়া সুপারিশ ২০২১ প্রত্যাহার এবং শ্রমিক বান্ধব গেজেট তৈরি করে সেটি প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ‘জংলা বালী কার্যকরী পরিষদ’। আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারস্থ ‘লংলা ভ্যালী কার্যকরী পরিষদের’ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ‘লংলা ভ্যালী কার্যকরী পরিষদের’ সাধারণ সম্পাদক সঞ্জু গোস্বামী বলেন, গত ১৩ জুন ‘নিম্নতম মজুরি বোর্ড’ কর্তৃক ১১৭ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত চা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করে খসড়া সুপারিশ প্রকাশ করেছে আগামী তিন বছরের জন্য। কিন্তু ওই মজুরি ২০১৯–২০ অর্থবছরে নির্ধারণের কথা ছিল। ২০২১ সালে এটি প্রকাশে চা বাগান মালিকদের সহায়ক হলেও শ্রমিকদের জন্য সেটা সময়োপযোগী নয়। যুগ যুগ ধরে অবহেলিত চা শ্রমিকেরা যে পরিশ্রম করেন আর বিনিময়ে যে পারিশ্রমিক পান সেটা খুবই কম। এ জন্য শ্রমিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী মজুরির খসড়া সুপারিশে স্বাক্ষর করেননি।
সঞ্জু গোস্বামী বলেন, আমরা চলতি বছরে মজুরির খসড়া প্রত্যাহার করে নতুন মজুরি ৩০০ টাকা হারে নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া খসড়া গেজেট এর ৭ ধারা বাতিল করে প্রতি দুই বছর পর পর নতুন মজুরি খসড়া প্রণয়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হোক। চা বাগানে শিক্ষানবিশ শ্রমিক নিয়োগের নিয়ম প্রত্যাহার করে জন্মসূত্রের অধিকারে বাগানে কাজ দেওয়া হোক। মজুরির পাশাপাশি সকল বাগানে শ্রমিকদের বৈশাখী ভাতা প্রদান ও পেনশনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
‘লংলা ভ্যালী কার্যকরী পরিষদের’ সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি বাগানে চুক্তি অনুযায়ী চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা, সুপেয় পানি, স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মজুরি ও শ্রমিকদের দাবি পূরণে শ্রমিক সংগঠনের একজন প্রতিনিধি শ্রম আইন সংশোধনী কমিটিতে রাখা উচিত। ওই প্রতিনিধিই শ্রমিকদের আসল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে কমিটিকে পরামর্শ ও সুপারিশ দিতে পারবেন।
এ সময় তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা বাগানের শ্রমিকেরা সব সময় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতীক হিসেবে ‘নৌকা’ মার্কায় ভোট দিয়ে আসছি। আমরা চা শ্রমিকেরা আজও অবহেলিত। এখনো নিজস্ব ভূমির অধিকার নেই। শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে এখনো সময়োপযোগী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। শ্রমিকদের জন্য চুক্তি অনুযায়ী যেসব সিদ্ধান্ত ও অধিকার রয়েছে সেগুলো অনেকটাই বাস্তবায়ন হয় না। সেগুলো বাস্তবায়নের দাবি তুললেই কোনো কারণ ছাড়া কালো আইনের ধারায় বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ছাঁটাই করে দেন।
তাঁরা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের আবেদন চা শ্রমিকেরা যাতে তাঁদের ন্যায্য অধিকারটুকু পায়, সে জন্য কার্যকরী ও শ্রমিকবান্ধব শ্রম আইন বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ‘লংলা ভ্যালী কার্যকরী পরিষদের’ সহ সভাপতি ডলি রানী নাইডুসহ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৬ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৬ ঘণ্টা আগে