সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
ব্যবহারিক ক্লাসের পর্যাপ্ত সুবিধা না দেওয়ার প্রতিবাদ এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতাল চালুর দাবিতে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।
আজ বুধবার সকাল থেকে সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের সুনামগঞ্জ দিরাই রাস্তা এলাকায় মেডিকেল কলেজটির শিক্ষার্থীরা অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। একই সঙ্গে কলেজটির দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন কর্মসূচিও পালন করছেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবারও একই দাবিতে ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন করেছিলেন তাঁরা।
বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা ‘সিএ নাই, রেজিস্ট্রার নাই, ওয়ার্ড চালাবে কারা ভাই’; ‘ওয়ার্ড ক্লাসে অবহেলা, মানি না মানব না’; ‘হাসপাতাল ছাড়া মেডিকেল, চলবে না চলবে না’; ‘সদর হাসপাতালের উন্নয়ন চাই’–এমন নানা স্লোগান দেন।
এ সময় প্রিয়াস চন্দ্র দাস, মো. ইব্রাহীম, পৃথ্বীরাজ চৌধুরী, তাহরিম আক্তার, সায়মা আক্তার রিমা, সানজিয়া তাবাসসুম মাইসাসহ কলেজটির বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলছেন, মেডিকেল কলেজের হৃৎপিণ্ড বা হার্ট হচ্ছে হাসপাতাল। কিন্তু গত ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চালু হলেও হাসপাতাল চালু না হওয়ায় ক্লিনিক্যাল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। মেডিকেল কলেজে যদি হাসপাতাল চালু না থাকে, শিক্ষার্থীরা ওয়ার্ড ক্লাস, আউটডোরের কাজ, প্র্যাকটিক্যাল, সার্জারির কাজ হয় না। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালেও যাওয়ার মতো পরিবহন সুবিধা নেই।
শিক্ষার্থীরা আরও বলছেন, ‘মেডিকেল ও ওয়ার্ড ক্লাস ছাড়া কেউ ডাক্তার হলেও কোনো মূল্য থাকবে না। কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের যথাযথ সুবিধা না দিতে পারে, তাহলে কেন কলেজ চালু করেছে? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আমাদের দুই দফা দাবি মেনে না নিলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেব। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের শিক্ষাজীবনের ক্ষতির দায়ভার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।’
এদিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের দুপাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরোধের কারণে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আটকে পড়া যাত্রী ও স্থানীয় অনেককে কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা গেছে।
মাহবুব খান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটে যাচ্ছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জন্য পথে আটকা পড়েছি। এতে আমাদের কোনো কষ্ট নেই। কারণ শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরা সুনামগঞ্জবাসী একমত। আমাদের চিকিৎসার জন্য চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এই আন্দোলনে যদি সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে দ্রুত হাসপাতাল চালু হয়, তাহলে আমাদের এত দিনের আশা পূর্ণ হবে।’
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সদরের পাশের শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহা এসে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। তবে অবরোধ প্রত্যাহারে অনুরোধে শিক্ষার্থীরা সাড়া দেননি।
ব্যবহারিক ক্লাসের পর্যাপ্ত সুবিধা না দেওয়ার প্রতিবাদ এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতাল চালুর দাবিতে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।
আজ বুধবার সকাল থেকে সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের সুনামগঞ্জ দিরাই রাস্তা এলাকায় মেডিকেল কলেজটির শিক্ষার্থীরা অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। একই সঙ্গে কলেজটির দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন কর্মসূচিও পালন করছেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবারও একই দাবিতে ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন করেছিলেন তাঁরা।
বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা ‘সিএ নাই, রেজিস্ট্রার নাই, ওয়ার্ড চালাবে কারা ভাই’; ‘ওয়ার্ড ক্লাসে অবহেলা, মানি না মানব না’; ‘হাসপাতাল ছাড়া মেডিকেল, চলবে না চলবে না’; ‘সদর হাসপাতালের উন্নয়ন চাই’–এমন নানা স্লোগান দেন।
এ সময় প্রিয়াস চন্দ্র দাস, মো. ইব্রাহীম, পৃথ্বীরাজ চৌধুরী, তাহরিম আক্তার, সায়মা আক্তার রিমা, সানজিয়া তাবাসসুম মাইসাসহ কলেজটির বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলছেন, মেডিকেল কলেজের হৃৎপিণ্ড বা হার্ট হচ্ছে হাসপাতাল। কিন্তু গত ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চালু হলেও হাসপাতাল চালু না হওয়ায় ক্লিনিক্যাল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। মেডিকেল কলেজে যদি হাসপাতাল চালু না থাকে, শিক্ষার্থীরা ওয়ার্ড ক্লাস, আউটডোরের কাজ, প্র্যাকটিক্যাল, সার্জারির কাজ হয় না। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালেও যাওয়ার মতো পরিবহন সুবিধা নেই।
শিক্ষার্থীরা আরও বলছেন, ‘মেডিকেল ও ওয়ার্ড ক্লাস ছাড়া কেউ ডাক্তার হলেও কোনো মূল্য থাকবে না। কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের যথাযথ সুবিধা না দিতে পারে, তাহলে কেন কলেজ চালু করেছে? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আমাদের দুই দফা দাবি মেনে না নিলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেব। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের শিক্ষাজীবনের ক্ষতির দায়ভার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।’
এদিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের দুপাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরোধের কারণে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আটকে পড়া যাত্রী ও স্থানীয় অনেককে কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা গেছে।
মাহবুব খান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটে যাচ্ছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জন্য পথে আটকা পড়েছি। এতে আমাদের কোনো কষ্ট নেই। কারণ শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরা সুনামগঞ্জবাসী একমত। আমাদের চিকিৎসার জন্য চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এই আন্দোলনে যদি সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে দ্রুত হাসপাতাল চালু হয়, তাহলে আমাদের এত দিনের আশা পূর্ণ হবে।’
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সদরের পাশের শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহা এসে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। তবে অবরোধ প্রত্যাহারে অনুরোধে শিক্ষার্থীরা সাড়া দেননি।
বগুড়ায় আদালত চত্বরে শহর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিন সরকারকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় মতিনের শ্যালক ও তাঁর এক সহযোগীকে গণধোলাই দেওয়া। পরে পুলিশ মতিনের শ্যালক মিল্লাত হোসেনকে হেফাজতে নিয়েছে।
১১ মিনিট আগেআওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না তার সিদ্ধান্ত দেবে ইসি—প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি করেছেন বরিশাল জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। আজ রোববার বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
১২ মিনিট আগেকলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, আজ রোববার দুপুরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কলেজের পানি নিষ্কাশন পাইপ স্থাপন করতে গেলে বাবুল মিয়া ও তাঁর লোকজন কলেজের শিক্ষক ও পৌরসভার লোকজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া দিয়েছেন।
১৩ মিনিট আগেময়মনসিংহের নান্দাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমন্বয় কমিটিতে আকরাম হোসেন নামের এক সাংবাদিককে ৫ নম্বর সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। তবে ওই কমিটিতে সদস্যপদ কীভাবে পেলেন, তা ওই সাংবাদিক নিজেও জানেন না বলে দাবি করেছেন।
২৩ মিনিট আগে