প্রতিনিধি, সিলেট
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন এই আসনের সাবেক সাংসদ বিএনপির বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করায় শফি আহমদকে এর আগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। নির্বাচনে ভরাডুবির মধ্য দিয়ে তিনি সব কূলই হারিয়েছেন বলে অনেকে মন্তব্য করছেন।
গত শনিবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে শফি আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন মাত্র ৫ হাজার ১৩৫ ভোট। আর বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া পেয়েছেন মাত্র ৬৪০ ভোট।
সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদির জানান, নির্বাচনে মোট ভোট পড়ে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯১টি। প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ না পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিধান অনুযায়ী তাঁদের দুজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। শফি আহমদ চৌধুরী প্রদত্ত ভোটের ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
সিলেটের এই উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মোটরগাড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন শফি আহমদ চৌধুরী। প্রার্থী হওয়ায় দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যপদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে শফি চৌধুরী বলেছিলেন, এলাকার মানুষের চাপে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। এলাকার লোকজন তাঁকে প্রার্থী হতে অনুরোধ করছেন। তবে ভোটের ফলাফলে এই ‘চাপের’ কোনো প্রভাব মেলেনি। মাত্র হাজার পাঁচেক ভোট পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় সিলেট-৩ আসনের সাবেক এই সাংসদকে।
৮৩ বছর বয়সী শফি চৌধুরী এই নির্বাচনের প্রচারে এটাই তাঁর শেষ নির্বাচন বলে ঘোষণা দেন। শেষ নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার তিক্ত স্বাদ পেতে হলো তাঁকে।
এ ছাড়া অপর প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া নির্বাচনে প্রার্থী হলেও ভোটের মাঠে সক্রিয় ছিলেন না তিনি। ফলে তাঁর বাক্সে পড়ে মাত্র ৬৪০ ভোট।
এদিকে দলের নির্দেশ অমান্য করে প্রার্থী হয়ে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করে জামানত হারানো শফি সব কূল হারিয়েছেন বলে মনে করছেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা।
বিএনপির বহিষ্কৃত সাবেক এই এমপির এত বড় পরাজয় নিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বলেন, এদেশের নির্বাচনে দল বড় ভূমিকা পালন করে। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগে উনার তা চিন্তা করা উচিত ছিল।
সিলেট-৩ আসনের বিএনপির সব নেতা–কর্মী ও জনগণ শফি চৌধুরীকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও মন্তব্য করেন কামরুল হুদা জায়গীরদার।
শিল্পপতি শফি আহমদ চৌধুরী ১৯৮৬ সালে সর্বপ্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। এরপর ১৯৯৬ সালের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে কারো অংশগ্রহণ ছাড়াই তিনি বজয়ী হন। যদিও এই নির্বাচনের মাত্র কিছুদিন পর আরেকটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
তবে ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীকে হারিয়ে এমপির খাতায় নাম লেখান তিনি। এরপর ২০০৮ সাল ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর কাছে হেরে যান তিনি। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি শফি।
২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ভোট পেয়েছিলেন ৮৩ হাজার ২৮৮টি। আর মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ১ লাখ ৭৬ হাজার ৫৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অথচ এবারের নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র পাঁচ হাজার ১৩৫টি।
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন এই আসনের সাবেক সাংসদ বিএনপির বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করায় শফি আহমদকে এর আগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। নির্বাচনে ভরাডুবির মধ্য দিয়ে তিনি সব কূলই হারিয়েছেন বলে অনেকে মন্তব্য করছেন।
গত শনিবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে শফি আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন মাত্র ৫ হাজার ১৩৫ ভোট। আর বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া পেয়েছেন মাত্র ৬৪০ ভোট।
সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদির জানান, নির্বাচনে মোট ভোট পড়ে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯১টি। প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ না পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিধান অনুযায়ী তাঁদের দুজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। শফি আহমদ চৌধুরী প্রদত্ত ভোটের ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
সিলেটের এই উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মোটরগাড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন শফি আহমদ চৌধুরী। প্রার্থী হওয়ায় দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যপদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে শফি চৌধুরী বলেছিলেন, এলাকার মানুষের চাপে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। এলাকার লোকজন তাঁকে প্রার্থী হতে অনুরোধ করছেন। তবে ভোটের ফলাফলে এই ‘চাপের’ কোনো প্রভাব মেলেনি। মাত্র হাজার পাঁচেক ভোট পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় সিলেট-৩ আসনের সাবেক এই সাংসদকে।
৮৩ বছর বয়সী শফি চৌধুরী এই নির্বাচনের প্রচারে এটাই তাঁর শেষ নির্বাচন বলে ঘোষণা দেন। শেষ নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার তিক্ত স্বাদ পেতে হলো তাঁকে।
এ ছাড়া অপর প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া নির্বাচনে প্রার্থী হলেও ভোটের মাঠে সক্রিয় ছিলেন না তিনি। ফলে তাঁর বাক্সে পড়ে মাত্র ৬৪০ ভোট।
এদিকে দলের নির্দেশ অমান্য করে প্রার্থী হয়ে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করে জামানত হারানো শফি সব কূল হারিয়েছেন বলে মনে করছেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা।
বিএনপির বহিষ্কৃত সাবেক এই এমপির এত বড় পরাজয় নিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বলেন, এদেশের নির্বাচনে দল বড় ভূমিকা পালন করে। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগে উনার তা চিন্তা করা উচিত ছিল।
সিলেট-৩ আসনের বিএনপির সব নেতা–কর্মী ও জনগণ শফি চৌধুরীকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও মন্তব্য করেন কামরুল হুদা জায়গীরদার।
শিল্পপতি শফি আহমদ চৌধুরী ১৯৮৬ সালে সর্বপ্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। এরপর ১৯৯৬ সালের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে কারো অংশগ্রহণ ছাড়াই তিনি বজয়ী হন। যদিও এই নির্বাচনের মাত্র কিছুদিন পর আরেকটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
তবে ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীকে হারিয়ে এমপির খাতায় নাম লেখান তিনি। এরপর ২০০৮ সাল ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর কাছে হেরে যান তিনি। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি শফি।
২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ভোট পেয়েছিলেন ৮৩ হাজার ২৮৮টি। আর মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ১ লাখ ৭৬ হাজার ৫৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অথচ এবারের নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র পাঁচ হাজার ১৩৫টি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সরকারি দিঘির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রকৃতির কোলে অরণ্যবেষ্টিত গ্রামের নাম হাগুড়াকুড়ি। মধুপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে প্রতিদিন ছুটে আসে শত শত রোগী। আধুনিক চিকিৎসা নয়; আন্তরিক সেবার টানেই নির্ভাবনায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়ত তাদের ছুটে আসা।
৫ ঘণ্টা আগেদেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার মধ্যে আরেকটি ক্যারেজ কারখানা নির্মাণ প্রকল্প ৯ বছরেও বাস্তবায়ন করা হয়নি। দৃশ্যত সাইনবোর্ডেই সীমাবদ্ধ রয়েছে সব। ভারত সরকারের অর্থায়নে এ কারখানা নির্মাণ করার কথা ছিল। কিন্তু ভারত মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় প্রকল্পটি আদৌ বাস্তবায়ন হবে কি না, সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (আইইবি) এক্সট্রাঅর্ডিনারি জেনারেল মিটিংয়ে (ইওজিএম) যোগ দিতে আসা বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামী লীগপন্থি প্রকৌশলীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগে