আশিস রহমান, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের মাছচাষি সিরাজ মিয়া। গত বছর বন্যায় তাঁর পুকুরের মাছ ভেসে যায়। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এবং প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধারদেনা করে আবার মাছের চাষ শুরু করেন তিনি। স্বপ্ন ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর।
কানলার হাওরপাড়ে ছোটবড় পাঁচটি পুকুরে চাষ করা প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ মজুত ছিল তাঁর। মাছ বিক্রির প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানিতে সিরাজ মিয়ার সব কটি পুকুর পানিতে তলিয়ে যায়। বানের পানিতে ভেসে যায় লাখ লাখ টাকার মাছ। জাল দিয়ে পুকুরপাড় ঘেরা করেও মাছ রক্ষা করতে পারেননি তিনি।
একই গ্রামের মাছচাষি সোহেল আহমদ। তাঁরও তিনটি পুকুরের প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
টেংরাটিলা গ্রামের মাছচাষি শের মাহমুদ ভূঁইয়া। বাড়ির পাশে ৪০০ শতক জমির তিনটি পুকুর রয়েছে তাঁর। বন্যায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।
মাছচাষি সিরাজ মিয়া, সোহেল আহমদ ও শের মাহমুদ ভূঁইয়ার মতো উপজেলার দুই শতাধিক মাছচাষির স্বপ্ন ভেসে গেছে বানের জলে। পুঁজি হারিয়ে এখন দিশেহারা এসব মাছচাষি।
স্থানীয় মাছচাষিরা জানান, বেশির ভাগ মাছচাষি পুকুর লিজ নিয়ে মাছের চাষ করে থাকেন। মাছের খাদ্যের ডিলারদের সঙ্গে চুক্তি করে সারা বছর বাকিতে মাছের খাবার কিনে খাওয়ান। বছর শেষে মাছ বড় হয়ে গেলে স্থানীয় বাজারে খুচরা অথবা পাইকারিতে এসব মাছ বিক্রি করেন। পরে এসব মাছ বিক্রির টাকা দিয়ে মাছের খাদ্যের ডিলারদের টাকা পরিশোধ করেন। একেকটি পুকুরে এক বছর মাছের চাষ করতে কয়েক লাখ টাকার খাবারের প্রয়োজন হয়। সেই সঙ্গে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ ছাড়াও আনুষঙ্গিক খরচও রয়েছে। কিন্তু অকালবন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কারণে প্রতিবছরই লোকসান গুনতে হচ্ছে মাছচাষিদের।
টেংরাটিলা গ্রামের মাছচাষি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এককভাবে ১৬ একর জমি নিয়ে পাঁচটি পুকুর রয়েছে। বন্যায় পুকুরের প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। রাতদিন অনেক চেষ্টা করেও মাছ আটকাতে পারিনি। বন্যার পানির তীব্র স্রোতে মাছ ভেসে গেছে। এখন কী করব ভেবে পাচ্ছি না।’
আলীপুর গ্রামের মাছচাষি আব্দুর রহিম জানান, উপজেলার বেশির ভাগ মাছচাষি এবারের বন্যায় পথে নামতে বসেছেন। এমনিতেই গত বছরের বন্যায় পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর সারা বছর ঋণ ও ধারদেনা করে মাছের চাষ করতে হয়। তা ছাড়া এখন সহজে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া যায় না, ডিলাররাও বাকিতে মাছের খাদ্য দিতে চান না। এই দুঃসময়ে সরকার যদি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষিদের পাশে না দাঁড়ায়, তাঁরা দেউলিয়া হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে নামবেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুষার কান্তি বর্মণ জানান, উপজেলায় ৪ হাজার ৬৬৬টি মাছ চাষের পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে ২৫৮টি বাণিজ্যিক পুকুরের মাছ সম্প্রতি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তালিকা করা হচ্ছে। মৎস্যচাষিদের পুকুরপাড় মেরামত এবং পুকুরপাড়ের চারপাশ জাল দিয়ে ঘেরাও করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের মাছচাষি সিরাজ মিয়া। গত বছর বন্যায় তাঁর পুকুরের মাছ ভেসে যায়। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এবং প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধারদেনা করে আবার মাছের চাষ শুরু করেন তিনি। স্বপ্ন ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর।
কানলার হাওরপাড়ে ছোটবড় পাঁচটি পুকুরে চাষ করা প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ মজুত ছিল তাঁর। মাছ বিক্রির প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানিতে সিরাজ মিয়ার সব কটি পুকুর পানিতে তলিয়ে যায়। বানের পানিতে ভেসে যায় লাখ লাখ টাকার মাছ। জাল দিয়ে পুকুরপাড় ঘেরা করেও মাছ রক্ষা করতে পারেননি তিনি।
একই গ্রামের মাছচাষি সোহেল আহমদ। তাঁরও তিনটি পুকুরের প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
টেংরাটিলা গ্রামের মাছচাষি শের মাহমুদ ভূঁইয়া। বাড়ির পাশে ৪০০ শতক জমির তিনটি পুকুর রয়েছে তাঁর। বন্যায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।
মাছচাষি সিরাজ মিয়া, সোহেল আহমদ ও শের মাহমুদ ভূঁইয়ার মতো উপজেলার দুই শতাধিক মাছচাষির স্বপ্ন ভেসে গেছে বানের জলে। পুঁজি হারিয়ে এখন দিশেহারা এসব মাছচাষি।
স্থানীয় মাছচাষিরা জানান, বেশির ভাগ মাছচাষি পুকুর লিজ নিয়ে মাছের চাষ করে থাকেন। মাছের খাদ্যের ডিলারদের সঙ্গে চুক্তি করে সারা বছর বাকিতে মাছের খাবার কিনে খাওয়ান। বছর শেষে মাছ বড় হয়ে গেলে স্থানীয় বাজারে খুচরা অথবা পাইকারিতে এসব মাছ বিক্রি করেন। পরে এসব মাছ বিক্রির টাকা দিয়ে মাছের খাদ্যের ডিলারদের টাকা পরিশোধ করেন। একেকটি পুকুরে এক বছর মাছের চাষ করতে কয়েক লাখ টাকার খাবারের প্রয়োজন হয়। সেই সঙ্গে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ ছাড়াও আনুষঙ্গিক খরচও রয়েছে। কিন্তু অকালবন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কারণে প্রতিবছরই লোকসান গুনতে হচ্ছে মাছচাষিদের।
টেংরাটিলা গ্রামের মাছচাষি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এককভাবে ১৬ একর জমি নিয়ে পাঁচটি পুকুর রয়েছে। বন্যায় পুকুরের প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। রাতদিন অনেক চেষ্টা করেও মাছ আটকাতে পারিনি। বন্যার পানির তীব্র স্রোতে মাছ ভেসে গেছে। এখন কী করব ভেবে পাচ্ছি না।’
আলীপুর গ্রামের মাছচাষি আব্দুর রহিম জানান, উপজেলার বেশির ভাগ মাছচাষি এবারের বন্যায় পথে নামতে বসেছেন। এমনিতেই গত বছরের বন্যায় পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর সারা বছর ঋণ ও ধারদেনা করে মাছের চাষ করতে হয়। তা ছাড়া এখন সহজে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া যায় না, ডিলাররাও বাকিতে মাছের খাদ্য দিতে চান না। এই দুঃসময়ে সরকার যদি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষিদের পাশে না দাঁড়ায়, তাঁরা দেউলিয়া হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে নামবেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুষার কান্তি বর্মণ জানান, উপজেলায় ৪ হাজার ৬৬৬টি মাছ চাষের পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে ২৫৮টি বাণিজ্যিক পুকুরের মাছ সম্প্রতি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তালিকা করা হচ্ছে। মৎস্যচাষিদের পুকুরপাড় মেরামত এবং পুকুরপাড়ের চারপাশ জাল দিয়ে ঘেরাও করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
৪ মিনিট আগেরাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
৩ ঘণ্টা আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের শিবচরে নিজের ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে আড়িয়াল খাঁ নদে ফেলে দিয়েছেন এক মা। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের হাজি শরীয়তুল্লাহ সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবন্ধী ছেলের বোঝা বইতে না পেরে ছেলেকে নদে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই নারী।
৪ ঘণ্টা আগে