Ajker Patrika

‘অন্যায় যেই করুক, তার বিরুদ্ধেই কথা বলবে শিক্ষার্থীরা’

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
নদীতে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধে শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে আয়োজিত সভায় বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নদীতে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধে শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে আয়োজিত সভায় বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের যেকোনো উপদেষ্টাকে নামাতে শিক্ষার্থীদের মাত্র ২৪ ঘণ্টা যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক আবু নাসিম। তিনি বলেন, অন্যায় যে করুক, তার বিরুদ্ধেই শিক্ষার্থীরা কথা বলবে।

আজ সোমবার জেলার বিভিন্ন নদীতে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধে শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দিক।  

সুনামগঞ্জের ধোপাজান চলতি নদী থেকে গত তিন মাসে ১০০ কোটি টাকার বালু ও পাথর লুট হয়েছে। কীভাবে এই নদী রক্ষা করা যায় সেটি নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সুনামগঞ্জ জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এসব লুটের সঙ্গে জড়িতের অভিযোগ তোলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

সভায় তারা পুলিশ সুপারের (এসপি) আ ফ ম আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের দাবি করেন। এতে সভায় হট্টগোল বেধে যায়। একপর্যায়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভা স্থলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সভায় উপস্থিত বিভাগীয় কেন্দ্রীয় দুই সমন্বয়ক মাইকে ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

তবে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি এই জেলায় নতুন যোগদান করেছি। নদী লুটের সঙ্গে যে পুলিশ সদস্যরা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দিক বলেন, সুনামগঞ্জের নদী লুট বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা নদী লুটের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। ইজারা দেওয়া বালু মহালগুলোতে বালু আছে কি না তা আবারও খতিয়ে দেখা হবে। যারা বালু লুট করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সুনামগঞ্জের ধোপাজান চলতি নদীতে হঠাৎ ড্রেজার দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন শুরু হয়। দফায় দফায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি অভিযান চালিয়ে এই অবৈধ বালু ও পাথর লুট বন্ধ করতে পারেনি। এ কারণে গত শুক্রবার বিকেলে সুনামগঞ্জ সদর থানার উদ্যোগে মানুষের চলাচলের রাস্তা রেখে নদীর প্রবেশ মুখে বড় তিনটি ব্যারিকেড দেয়। এতে বন্ধ হয় লুট। পরে গত দুদিনে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে লুটের সঙ্গে জড়িত মূল হোতা বাবুল ও নিজামকে গ্রেপ্তার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত