শিপুল ইসলাম, রংপুর
পৌষের শেষে উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। ছয় দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই এ অঞ্চলে। গরম কাপড়ের অভাবে শীতার্ত মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধের শিকার হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি দগ্ধ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন আরও ৪২ জন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন–রংপুর নগরের তাজহাট এলাকার বাসিন্দা নাসরিন বেগম (৩৫)। তিনি আজ রোববার সকালে মারা যান। এ ছাড়া রংপুরের পীরগাছা উপজেলার বাসিন্দা আমেনা বেগম (৬০)। তিনি গতকাল শনিবার সকালে মারা যান।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ দিনের ব্যবধানে শীতে আগুন পোহানোসহ গরম পানি ব্যবহার করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ৪৪ জনের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুজন মারা যান। ১১ জন বার্ন ইউনিটে এবং সার্জারি, শিশু ও মহিলা ওয়ার্ডে ৩১ জন ভর্তি রয়েছেন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সাজু মিয়ার স্ত্রী ববিতা বেগম (৩৫) আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সাজু মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বউটা শীত থাকি বাঁচপের জন্য আগুন পোহার গেছল। কিন্তু আগুন গাওত নাগি পোড়া ওর শরীর পোড়া গেইছে। অ্যালা আধা মরা। আল্লাহ জানে কত দিনে ভালো হইবে। গরিবে এক পেকেও বাঁচোন নাই।’
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গৃহবধূ খাদিজা বেগমও শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। খাদিজা বেগম বলেন, ‘ঠান্ডার কামর সহ্য হয় নাই জন্য আগুনোত গাও তাপার (গরম) করার গেছনু। অল্পের জন্য বাঁচি গেছু। শরীরোত জনটা বাঁচি আছে। আল্লাহর কাছোত শুকরিয়া করোং মোক যে তাড়াতাড়ি ভালো করে।’
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার বাসিন্দা পলি রানী (৩০) বলেন, শীতের তীব্রতায় কখন তাঁর গায়ে আগুন লেগেছ তিনি বলতেই পারেন না।
রমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক ফারুক আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার ও রোববার সকালে অগ্নিদগ্ধ দুজন রোগী মারা গেছেন। মারা যাওয়া দুজনেই নারী। হাসপাতালে ভর্তি অগ্নিদগ্ধের অধিকাংশই নারী ও শিশু।’
অগ্নিদগ্ধদের কারও ১০ থেকে ৪০ ও ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে জানিয়ে এ চিকিৎসক আরও বলেন, ‘কনকনে শীত থেকে রেহাই পেতে গ্রামাঞ্চলের মানুষজন এখন খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। শীত বেশি হওয়ায় গরম পানির ব্যবহারও বেড়ে গেছে। এসব করতে গিয়ে অসাবধানতা বসত অগ্নিদগ্ধের মতো দুর্ঘটনা ঘটছে।’
পৌষের শেষে উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। ছয় দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই এ অঞ্চলে। গরম কাপড়ের অভাবে শীতার্ত মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধের শিকার হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি দগ্ধ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন আরও ৪২ জন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন–রংপুর নগরের তাজহাট এলাকার বাসিন্দা নাসরিন বেগম (৩৫)। তিনি আজ রোববার সকালে মারা যান। এ ছাড়া রংপুরের পীরগাছা উপজেলার বাসিন্দা আমেনা বেগম (৬০)। তিনি গতকাল শনিবার সকালে মারা যান।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ দিনের ব্যবধানে শীতে আগুন পোহানোসহ গরম পানি ব্যবহার করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ৪৪ জনের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুজন মারা যান। ১১ জন বার্ন ইউনিটে এবং সার্জারি, শিশু ও মহিলা ওয়ার্ডে ৩১ জন ভর্তি রয়েছেন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সাজু মিয়ার স্ত্রী ববিতা বেগম (৩৫) আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সাজু মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বউটা শীত থাকি বাঁচপের জন্য আগুন পোহার গেছল। কিন্তু আগুন গাওত নাগি পোড়া ওর শরীর পোড়া গেইছে। অ্যালা আধা মরা। আল্লাহ জানে কত দিনে ভালো হইবে। গরিবে এক পেকেও বাঁচোন নাই।’
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গৃহবধূ খাদিজা বেগমও শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। খাদিজা বেগম বলেন, ‘ঠান্ডার কামর সহ্য হয় নাই জন্য আগুনোত গাও তাপার (গরম) করার গেছনু। অল্পের জন্য বাঁচি গেছু। শরীরোত জনটা বাঁচি আছে। আল্লাহর কাছোত শুকরিয়া করোং মোক যে তাড়াতাড়ি ভালো করে।’
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার বাসিন্দা পলি রানী (৩০) বলেন, শীতের তীব্রতায় কখন তাঁর গায়ে আগুন লেগেছ তিনি বলতেই পারেন না।
রমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক ফারুক আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার ও রোববার সকালে অগ্নিদগ্ধ দুজন রোগী মারা গেছেন। মারা যাওয়া দুজনেই নারী। হাসপাতালে ভর্তি অগ্নিদগ্ধের অধিকাংশই নারী ও শিশু।’
অগ্নিদগ্ধদের কারও ১০ থেকে ৪০ ও ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে জানিয়ে এ চিকিৎসক আরও বলেন, ‘কনকনে শীত থেকে রেহাই পেতে গ্রামাঞ্চলের মানুষজন এখন খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। শীত বেশি হওয়ায় গরম পানির ব্যবহারও বেড়ে গেছে। এসব করতে গিয়ে অসাবধানতা বসত অগ্নিদগ্ধের মতো দুর্ঘটনা ঘটছে।’
’যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় গত ২০ জুন ৩ সেন্টিমিটার, ২১ জুন ৮ সেন্টিমিটার ও ২২ জুন ১৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। একই সময় কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে গত তিন দিনে ২৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে পানি বাড়লেও সিরাজগঞ্জে বিপদসীমার ২৯৭ সেন্টিমিটার ও কাজী
১৯ মিনিট আগেসরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের ১১ নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
৩৫ মিনিট আগেসাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ১৮ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শনিবার কুশখালী ও কৈখালী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
৩৭ মিনিট আগেতামিম রাতে ইটেরপুল এলাকায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনটি মোটরসাইকেলে একদল দুর্বৃত্ত এসে তামিমের উপর হামলা চালায়। এ সময় তামিমকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
১ ঘণ্টা আগে