Ajker Patrika

আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২ 

শিপুল ইসলাম, রংপুর
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২০: ৫১
আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২ 

পৌষের শেষে উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। ছয় দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই এ অঞ্চলে। গরম কাপড়ের অভাবে শীতার্ত মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধের শিকার হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি দগ্ধ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন আরও ৪২ জন। 

মৃত ব্যক্তিরা হলেন–রংপুর নগরের তাজহাট এলাকার বাসিন্দা নাসরিন বেগম (৩৫)। তিনি আজ রোববার সকালে মারা যান। এ ছাড়া রংপুরের পীরগাছা উপজেলার বাসিন্দা আমেনা বেগম (৬০)। তিনি গতকাল শনিবার সকালে মারা যান। 

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ দিনের ব্যবধানে শীতে আগুন পোহানোসহ গরম পানি ব্যবহার করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ৪৪ জনের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুজন মারা যান। ১১ জন বার্ন ইউনিটে এবং সার্জারি, শিশু ও মহিলা ওয়ার্ডে ৩১ জন ভর্তি রয়েছেন। 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সাজু মিয়ার স্ত্রী ববিতা বেগম (৩৫) আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সাজু মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বউটা শীত থাকি বাঁচপের জন্য আগুন পোহার গেছল। কিন্তু আগুন গাওত নাগি পোড়া ওর শরীর পোড়া গেইছে। অ্যালা আধা মরা। আল্লাহ জানে কত দিনে ভালো হইবে। গরিবে এক পেকেও বাঁচোন নাই।’ 

রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি দগ্ধ রোগীনীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গৃহবধূ খাদিজা বেগমও শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। খাদিজা বেগম বলেন, ‘ঠান্ডার কামর সহ্য হয় নাই জন্য আগুনোত গাও তাপার (গরম) করার গেছনু। অল্পের জন্য বাঁচি গেছু। শরীরোত জনটা বাঁচি আছে। আল্লাহর কাছোত শুকরিয়া করোং মোক যে তাড়াতাড়ি ভালো করে।’ 

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার বাসিন্দা পলি রানী (৩০) বলেন, শীতের তীব্রতায় কখন তাঁর গায়ে আগুন লেগেছ তিনি বলতেই পারেন না। 

রমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক ফারুক আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার ও রোববার সকালে অগ্নিদগ্ধ দুজন রোগী মারা গেছেন। মারা যাওয়া দুজনেই নারী। হাসপাতালে ভর্তি অগ্নিদগ্ধের অধিকাংশই নারী ও শিশু।’ 

অগ্নিদগ্ধদের কারও ১০ থেকে ৪০ ও ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে জানিয়ে এ চিকিৎসক আরও বলেন, ‘কনকনে শীত থেকে রেহাই পেতে গ্রামাঞ্চলের মানুষজন এখন খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। শীত বেশি হওয়ায় গরম পানির ব্যবহারও বেড়ে গেছে। এসব করতে গিয়ে অসাবধানতা বসত অগ্নিদগ্ধের মতো দুর্ঘটনা ঘটছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত