Ajker Patrika

গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২২, ১০: ৫৪
গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এবারই প্রথম ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে আসনটিতে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। সকাল ৮টার পরে কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটারদের উপস্থিতি একেবারে কম। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে।

আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। 

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয় ইভিএমসহ নির্বাচনী সব সরঞ্জাম। ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে এসব সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

বুধবার সকালে ভোট শুরুর পর ফুলছড়ি উপজেলার কাঠুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাপিতেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বুড়াইল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি তেমন লক্ষ করা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে। 

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার ও রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। 

চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থার কথা জানিয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন পুলিশ সদস্য ও ১২ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ভোটের মাঠে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ৯টি টিম, চার প্লাটুন বিজিবি ও পাঁচটি সাদা পোশাকের স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্বে রয়েছে। তা ছাড়া ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে আছেন। 

এ ছাড়া ১ হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকছে সবগুলো ভোটকেন্দ্র বলেও জানান তিনি। 

গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন। 

এ উপনির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

আসনটিতে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)। 

দুই উপজেলার উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী হলেও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কাসহ নানা অভিযোগ জাতীয় পার্টিসহ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত