নীলফামারী প্রতিনিধি
শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে ডান হাতের কনুই ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সোহেল আরমান নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহত ওই শিক্ষার্থীকে গোপনে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলে শিক্ষার্থীকে নিজ কক্ষে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ওই কলেজের বাংলা বিষয় শিক্ষক প্রভাষক সোহেল আরমান শিক্ষাঙ্গনের হলরুমে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন। এ সময় পড়াশোনার বাইরে ভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে কয়েক দফা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আল মামুনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় তাঁর। প্রাইভেট পড়ানো শেষ হলে আল মামুনকে শিক্ষকদের কমনরুমে ডেকে পাঠানো হয়। আর সেখানেই চলে তাঁর ওপর নির্যাতন। পেটাতে পেটাতে আল মামুনের কনুই ফাটিয়ে দেন শিক্ষক। এ অবস্থায় কলেজশিক্ষক জাকির হোসেনের মাধ্যমে তাঁকে গোপনে পাঠানো হয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে।
কি কারণে ছাত্রকে নির্মমভাবে পেটানো হলো এমন প্রশ্নের জবাবে প্রভাষক সোহেল আরমান বলেন, ‘অধ্যক্ষ মহোদয় আমাকে কলেজের শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব দিয়েছেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কাজ করার কারণে আমি আমার ছাত্রকে সামান্য মেরেছি। যদিও জানি শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীকে পেটানো বিধি সম্মত নয়।’ এ সময় কলেজে প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান।
কলেজের হোস্টেলের নিজ কক্ষে থাকা আহত শিক্ষার্থী আল মামুন বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি। কেন আমাকে স্যার এভাবে মারলেন তাও জানি না।’ আর কিছু না বলে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন মামুন।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁর এক সহপাঠী বলেন, চলতি বছর প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে আদায় করে। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ওই স্যারের ধারণা সাংবাদিকদের আমরাই তথ্য দিয়েছি। ওই ক্ষোভ থেকে তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পেটাচ্ছেন। এর আগেও বাইকে হাত দেওয়ার অপরাধে শিক্ষার্থী রিজভী ও সোহেলকে বেধড়ক পেটান তিনি।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ওই শিক্ষক প্রতিটি ক্লাসেই শিক্ষার্থীদের অন্যায়ভাবে মারধর করে থাকেন। ওই শিক্ষকের আচরণ মোটেই ভালো নয় বলে জানান তাঁরা।
কলেজের কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বললে তারা অকপটে বলেন, ‘সোহেল আরমান একজন বদরাগী শিক্ষক। বিধিমালা ভেঙে তিনি প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট পড়ান। এ নিয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাই না আমরা।’
এ নিয়ে মোবাইলে কথা হয় অধ্যক্ষ গোলাম মো. ফারুকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। তবে শুনেছি একজন শিক্ষক অমানবিক আচরণ করেছেন। শিক্ষাঙ্গনের বিধি অনুযায়ী কোনো শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলা, হয়রানি, যৌন হয়রানি এসবের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কেন ওই শিক্ষক বারবার শিক্ষার্থী পেটাচ্ছেন আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করব। প্রয়োজনে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে ডান হাতের কনুই ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সোহেল আরমান নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহত ওই শিক্ষার্থীকে গোপনে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলে শিক্ষার্থীকে নিজ কক্ষে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ওই কলেজের বাংলা বিষয় শিক্ষক প্রভাষক সোহেল আরমান শিক্ষাঙ্গনের হলরুমে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন। এ সময় পড়াশোনার বাইরে ভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে কয়েক দফা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আল মামুনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় তাঁর। প্রাইভেট পড়ানো শেষ হলে আল মামুনকে শিক্ষকদের কমনরুমে ডেকে পাঠানো হয়। আর সেখানেই চলে তাঁর ওপর নির্যাতন। পেটাতে পেটাতে আল মামুনের কনুই ফাটিয়ে দেন শিক্ষক। এ অবস্থায় কলেজশিক্ষক জাকির হোসেনের মাধ্যমে তাঁকে গোপনে পাঠানো হয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে।
কি কারণে ছাত্রকে নির্মমভাবে পেটানো হলো এমন প্রশ্নের জবাবে প্রভাষক সোহেল আরমান বলেন, ‘অধ্যক্ষ মহোদয় আমাকে কলেজের শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব দিয়েছেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কাজ করার কারণে আমি আমার ছাত্রকে সামান্য মেরেছি। যদিও জানি শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীকে পেটানো বিধি সম্মত নয়।’ এ সময় কলেজে প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান।
কলেজের হোস্টেলের নিজ কক্ষে থাকা আহত শিক্ষার্থী আল মামুন বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি। কেন আমাকে স্যার এভাবে মারলেন তাও জানি না।’ আর কিছু না বলে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন মামুন।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁর এক সহপাঠী বলেন, চলতি বছর প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে আদায় করে। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ওই স্যারের ধারণা সাংবাদিকদের আমরাই তথ্য দিয়েছি। ওই ক্ষোভ থেকে তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পেটাচ্ছেন। এর আগেও বাইকে হাত দেওয়ার অপরাধে শিক্ষার্থী রিজভী ও সোহেলকে বেধড়ক পেটান তিনি।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ওই শিক্ষক প্রতিটি ক্লাসেই শিক্ষার্থীদের অন্যায়ভাবে মারধর করে থাকেন। ওই শিক্ষকের আচরণ মোটেই ভালো নয় বলে জানান তাঁরা।
কলেজের কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বললে তারা অকপটে বলেন, ‘সোহেল আরমান একজন বদরাগী শিক্ষক। বিধিমালা ভেঙে তিনি প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট পড়ান। এ নিয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাই না আমরা।’
এ নিয়ে মোবাইলে কথা হয় অধ্যক্ষ গোলাম মো. ফারুকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। তবে শুনেছি একজন শিক্ষক অমানবিক আচরণ করেছেন। শিক্ষাঙ্গনের বিধি অনুযায়ী কোনো শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলা, হয়রানি, যৌন হয়রানি এসবের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কেন ওই শিক্ষক বারবার শিক্ষার্থী পেটাচ্ছেন আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করব। প্রয়োজনে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের পিটুনিতে মানসিক ভারসাম্যহীন ছাত্রদল নেতা সুলতান বাপ্পীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সে অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে আজ মঙ্গলবার সকালে সুলতান বাপ্পীকে নিয়ে পরিবারের লোকজন ঢাকায় গিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনের দাবিতে চলমান আমরণ অনশন ভেঙেছেন ২ শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় ৩৭ ঘণ্টা পর সোমবার (১৮ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে অনশন ভাঙেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেএবার পানিতে গেল যশোরের মনিরামপুর মুক্তেশ্বরী ডিগ্রি কলেজের মাঠ ভরাটের সাড়ে তিন লাখ টাকা। টিআর ও কলেজ ফান্ডের বরাদ্দের টাকায় নদী খুঁড়ে বালু দিয়ে ভরাটের ১০-১৫ দিনের মাথায় ডুবে গেছে কলেজের মাঠ। এখন কলেজের মাঠে হাঁটুপানি। এ ছাড়া প্রায় এক ফুট পরিমাণ পানিতে ডুবে গেছে ভবনের নিচতলার শ্রেণিকক্ষ।
৮ ঘণ্টা আগেচার বছর ধরে বন্ধ এতিমখানার কার্যক্রম। কিন্তু সরকারি বরাদ্দের টাকা তোলা হচ্ছে নিয়মিত। সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে একটি এতিমখানার কমিটির লোকজনের বিরুদ্ধে এই টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে অবস্থিত এই এতিমখানার নাম ‘মোহাম্মদ আলী শিশুসদন’।
৮ ঘণ্টা আগে