তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
মাঝ রাত, ভারি বৃষ্টি, বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। শব্দ থামতেই মানুষের হাউমাউ চিৎকার। বৃষ্টির পানিতে ভেষে যাচ্ছে রক্ত। গাড়ির সামনে ঝুলে আছে একজনের লাশ। রংপুরের তারাগঞ্জের যাত্রীবাহী নৈশকোচের মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনার বর্ণনা এভাবেই দেন প্রত্যক্ষদর্শী উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া সড়ক ঘেঁষা খারুভাজ নদীরপার গ্রামের রফিকুল ইসলাম।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘর থেকে বের হয়েই দেখি সড়কে দুটি বাস মুখোমুখি। পাশের বাড়ির আলতাফ হোসেন, সাদেকুল ইসলামও ছুটে আসেন। এরপর দৌড়ে গিয়ে গাড়ির জানালা ভেঙে লোকজনকে বের করি। বৃষ্টিতে দুর্ঘটনায় আহত মানুষের দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়েছিল। খবর পেয়ে ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চলে আসেন। রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলে।’
মহাসড়কের ওই স্থানের বাসিন্দা আলতাফ হোসেন বলেন, ‘এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ২ সেপ্টেম্বর একটি মাইক্রোবাস একটি ভ্যানকে ধাক্কা দিলে ৬ জন গুরুত্ব আহত হয়। ৩১ জুলাই একই স্থানে নৈশকোচ উল্টে ২৫ জন আহত হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এই স্থানে বিশেষ নজর রাখা।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার দিবাগত রাতে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের ইকরচালী হাজীপাড়া খারুভাজ সেতুর কাছে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সৈয়দপুগামী নৈশকোচ জোয়ানা পরিবহন ও ঠাকুরগাও থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ইসলাম পরিবহনের মুখোমুখে সংর্ঘষ বাঁধলে ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হন, আহত হয় অর্ধশতাধিক যাত্রী। পরে হাসপাতালে পর্যাক্রমে মারা যান আরও চার জন।
নিহত ৯ জনের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় মিলেছে। জোয়ানা পরিবহনের হেলপার তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৩৫), ইসলাম পরিবহনের হেলপার লক্ষীপুর জেলার রায়পুরের নয়ন ইসলাম (২৬), নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর কুন্দলপূর্বপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মহসিন হোসেন সাগর (৪২), তারাগঞ্জের সয়ার কাজীপাড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আনিছুর রহমান (৪৮), গাইবান্ধার উত্তর কিদারী এলাকার সাদেক আলী (৫৬) ও নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা কামারপুকুর ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অলিউল হাসান জুয়েল (২৭)।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে কথা হয় প্রত্যক্ষদর্শী ইসলাম পরিবহেনর যাত্রী ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার একান্নপুর গ্রামের রুবেল হোসেনের সঙ্গে। তিনি দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরুর পর হঠাৎ বাসটি বাম থেকে ডান দিকে চলে যায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসটির সঙ্গে আমাদের বাসটির মুখোমুখি সংর্ঘষ বাঁধে। গাড়ির বিকট শব্দে হাউমাউ করতে থাকে সবাই। স্থানীয় লোকজন বৃষ্টিতে ভিজে গাড়ির জানালা ভেঙে আমাদের উদ্ধার করেন। আমাদের বাসটি (ইসলাম পরিবহন) বাম থেকে ডান পুরোপুরি চলে না গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটতো তো। গাড়ির সামনের দিকে যারা ছিল তাঁরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মো. মাহাবুব মোরশেদ বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। প্রবল বৃষ্টিতে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এতে স্থানীয় লোকজন ব্যাপক সহায়তা করেছে। ঘটনাস্থলে ৫ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পর্যাক্রমে আরও চার জন মারা যান। সংর্ঘষে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বাস দুটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী।
মাঝ রাত, ভারি বৃষ্টি, বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। শব্দ থামতেই মানুষের হাউমাউ চিৎকার। বৃষ্টির পানিতে ভেষে যাচ্ছে রক্ত। গাড়ির সামনে ঝুলে আছে একজনের লাশ। রংপুরের তারাগঞ্জের যাত্রীবাহী নৈশকোচের মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনার বর্ণনা এভাবেই দেন প্রত্যক্ষদর্শী উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া সড়ক ঘেঁষা খারুভাজ নদীরপার গ্রামের রফিকুল ইসলাম।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘর থেকে বের হয়েই দেখি সড়কে দুটি বাস মুখোমুখি। পাশের বাড়ির আলতাফ হোসেন, সাদেকুল ইসলামও ছুটে আসেন। এরপর দৌড়ে গিয়ে গাড়ির জানালা ভেঙে লোকজনকে বের করি। বৃষ্টিতে দুর্ঘটনায় আহত মানুষের দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়েছিল। খবর পেয়ে ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চলে আসেন। রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলে।’
মহাসড়কের ওই স্থানের বাসিন্দা আলতাফ হোসেন বলেন, ‘এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ২ সেপ্টেম্বর একটি মাইক্রোবাস একটি ভ্যানকে ধাক্কা দিলে ৬ জন গুরুত্ব আহত হয়। ৩১ জুলাই একই স্থানে নৈশকোচ উল্টে ২৫ জন আহত হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এই স্থানে বিশেষ নজর রাখা।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার দিবাগত রাতে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের ইকরচালী হাজীপাড়া খারুভাজ সেতুর কাছে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সৈয়দপুগামী নৈশকোচ জোয়ানা পরিবহন ও ঠাকুরগাও থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ইসলাম পরিবহনের মুখোমুখে সংর্ঘষ বাঁধলে ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হন, আহত হয় অর্ধশতাধিক যাত্রী। পরে হাসপাতালে পর্যাক্রমে মারা যান আরও চার জন।
নিহত ৯ জনের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় মিলেছে। জোয়ানা পরিবহনের হেলপার তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৩৫), ইসলাম পরিবহনের হেলপার লক্ষীপুর জেলার রায়পুরের নয়ন ইসলাম (২৬), নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর কুন্দলপূর্বপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মহসিন হোসেন সাগর (৪২), তারাগঞ্জের সয়ার কাজীপাড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আনিছুর রহমান (৪৮), গাইবান্ধার উত্তর কিদারী এলাকার সাদেক আলী (৫৬) ও নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা কামারপুকুর ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অলিউল হাসান জুয়েল (২৭)।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে কথা হয় প্রত্যক্ষদর্শী ইসলাম পরিবহেনর যাত্রী ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার একান্নপুর গ্রামের রুবেল হোসেনের সঙ্গে। তিনি দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরুর পর হঠাৎ বাসটি বাম থেকে ডান দিকে চলে যায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসটির সঙ্গে আমাদের বাসটির মুখোমুখি সংর্ঘষ বাঁধে। গাড়ির বিকট শব্দে হাউমাউ করতে থাকে সবাই। স্থানীয় লোকজন বৃষ্টিতে ভিজে গাড়ির জানালা ভেঙে আমাদের উদ্ধার করেন। আমাদের বাসটি (ইসলাম পরিবহন) বাম থেকে ডান পুরোপুরি চলে না গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটতো তো। গাড়ির সামনের দিকে যারা ছিল তাঁরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মো. মাহাবুব মোরশেদ বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। প্রবল বৃষ্টিতে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এতে স্থানীয় লোকজন ব্যাপক সহায়তা করেছে। ঘটনাস্থলে ৫ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পর্যাক্রমে আরও চার জন মারা যান। সংর্ঘষে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বাস দুটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে