রংপুর প্রতিনিধি
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) ওএসডি করা তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। দাবি পূরণ না হলে উত্তরবঙ্গ ব্লকেড এবং লংমার্চ টু বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী এবং প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় আলোচনায় আছেন তিনি।
আজ সোমবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটে রংপুরে আবু সাঈদ গেটের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন বেরোবির সমন্বয়কেরা। এ সময় ‘ঊর্মির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ঊর্মিকে গ্রেপ্তার কর, করতে হবে; আবু সাঈদ–মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেনও অংশ নেন।
সমাবেশে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক রিমা মুর্মু বলেন, আবু সাঈদকে কীভাবে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে—সেটা বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্ব অবহিত। কিন্তু লালমনিরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর ফেসবুকে বলেছে আবু সাঈদ একজন সন্ত্রাসী। এই যে কথাটা বলার সাহস তিনি রাখেন কীভাবে। তারই প্রতিবাদে আমরা মাঠে।’
তিনি বলেন, ‘আবু সাঈদের মৃত্যুটা সারা বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে, সারা বিশ্বের মানুষ দেখেছে। কিন্তু আবু সাঈদকে তিনি সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছেন। এটার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ঊর্মিকে অপসারণ এবং তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা আন্দোলন শুরু করেছি।’
সমাবেশে অপর সমন্বয়ক রুমন বকশি বলেন, ‘আমাদের স্পষ্ট ম্যাসেজ হচ্ছে, ঊর্মিসহ যারা রাষ্ট্রের দোসর, যারা আমলাতান্ত্রিক বেড়াজালে এই আবু সাঈদের রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় এবং আমাদের শহীদ আবু সাঈদসহ সব শহীদ ও আহত ভাইদের কটূক্তি করে তাদের গ্রেপ্তার করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বর্তমানে ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার সরকার যদি সেটা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আবারও মাঠে নামবে ছাত্র-জনতা।’
কারমাইকেল কলেজের সমন্বয়ক তারেক ইমতিয়াজ বলেন, ‘ঊর্মি আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের দোসর এই ফ্যাসিস্ট সরকারি কর্মকর্তা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ করেছেন। তাকে অবিলম্বে স্থায়ীভাবে অপসারণ এবং গ্রেপ্তার করতে হবে। একই সঙ্গে প্রশাসনে হাসিনার ফ্যাসিবাদীদেরও অপসারণ করতে হবে। ঊর্মিকে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সংযুক্ত করে আবু সাঈদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছে প্রশাসন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানলে লংমার্চ টু বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।’সমাবেশে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন বলেন, ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে আইনের আওতায় আনা না হয়, তাহলে উত্তরবঙ্গ ব্লকেড, বিভাগীয় কমিশনারসহ সব প্রশাসনিক অফিস ঘেরাও করব।’
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী বলা মানে হলো ফ্যাসিবাদের পক্ষে সাফাই গাওয়া এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করা। এখনো সরকার তাকে স্থায়ীভাবে অপসারণ এবং গ্রেপ্তার না করায় আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ সব শহীদের আত্মা আর্তনাদ করছে। আমরা চাই কত দ্রুত সরকার সেটা পূরণ করেন।’
আবু সাঈদ হত্যা মামলার বাদী ও বড় ভাই রমজান আলী বলেন, ‘আমার ভাইকে যারা সন্ত্রাসী বলতেছে, তাদের উদ্দেশে বলি, আমার ভাই বৈষম্য দূর করার জন্য আন্দোলন করেছে। আমার ভাইকে আন্দোলন করার অপরাধে শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। আজকে ঊর্মি আমার ভাইকে সন্ত্রাসী বলেছে, আমিও মনে করি তিনি আমার ভাইয়ের খুনি। তাকে অপসারণ করে গ্রেপ্তার করা না হলে ড. ইউনূস যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।’
উল্লেখ্য, তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি ফেসবুকে আবু সাঈকে সন্ত্রাসী এবং প্রধান উপদেষ্টার কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে এমন পোস্ট করেন। গতকাল তাঁকে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বদলি করা হয়। বদলির আদেশের অনুলিপি পেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাঁকে পুনরায় ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) ওএসডি করা তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। দাবি পূরণ না হলে উত্তরবঙ্গ ব্লকেড এবং লংমার্চ টু বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী এবং প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় আলোচনায় আছেন তিনি।
আজ সোমবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটে রংপুরে আবু সাঈদ গেটের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন বেরোবির সমন্বয়কেরা। এ সময় ‘ঊর্মির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ঊর্মিকে গ্রেপ্তার কর, করতে হবে; আবু সাঈদ–মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেনও অংশ নেন।
সমাবেশে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক রিমা মুর্মু বলেন, আবু সাঈদকে কীভাবে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে—সেটা বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্ব অবহিত। কিন্তু লালমনিরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর ফেসবুকে বলেছে আবু সাঈদ একজন সন্ত্রাসী। এই যে কথাটা বলার সাহস তিনি রাখেন কীভাবে। তারই প্রতিবাদে আমরা মাঠে।’
তিনি বলেন, ‘আবু সাঈদের মৃত্যুটা সারা বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে, সারা বিশ্বের মানুষ দেখেছে। কিন্তু আবু সাঈদকে তিনি সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছেন। এটার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ঊর্মিকে অপসারণ এবং তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা আন্দোলন শুরু করেছি।’
সমাবেশে অপর সমন্বয়ক রুমন বকশি বলেন, ‘আমাদের স্পষ্ট ম্যাসেজ হচ্ছে, ঊর্মিসহ যারা রাষ্ট্রের দোসর, যারা আমলাতান্ত্রিক বেড়াজালে এই আবু সাঈদের রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় এবং আমাদের শহীদ আবু সাঈদসহ সব শহীদ ও আহত ভাইদের কটূক্তি করে তাদের গ্রেপ্তার করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বর্তমানে ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার সরকার যদি সেটা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আবারও মাঠে নামবে ছাত্র-জনতা।’
কারমাইকেল কলেজের সমন্বয়ক তারেক ইমতিয়াজ বলেন, ‘ঊর্মি আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের দোসর এই ফ্যাসিস্ট সরকারি কর্মকর্তা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ করেছেন। তাকে অবিলম্বে স্থায়ীভাবে অপসারণ এবং গ্রেপ্তার করতে হবে। একই সঙ্গে প্রশাসনে হাসিনার ফ্যাসিবাদীদেরও অপসারণ করতে হবে। ঊর্মিকে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সংযুক্ত করে আবু সাঈদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছে প্রশাসন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানলে লংমার্চ টু বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।’সমাবেশে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন বলেন, ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে আইনের আওতায় আনা না হয়, তাহলে উত্তরবঙ্গ ব্লকেড, বিভাগীয় কমিশনারসহ সব প্রশাসনিক অফিস ঘেরাও করব।’
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী বলা মানে হলো ফ্যাসিবাদের পক্ষে সাফাই গাওয়া এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করা। এখনো সরকার তাকে স্থায়ীভাবে অপসারণ এবং গ্রেপ্তার না করায় আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ সব শহীদের আত্মা আর্তনাদ করছে। আমরা চাই কত দ্রুত সরকার সেটা পূরণ করেন।’
আবু সাঈদ হত্যা মামলার বাদী ও বড় ভাই রমজান আলী বলেন, ‘আমার ভাইকে যারা সন্ত্রাসী বলতেছে, তাদের উদ্দেশে বলি, আমার ভাই বৈষম্য দূর করার জন্য আন্দোলন করেছে। আমার ভাইকে আন্দোলন করার অপরাধে শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। আজকে ঊর্মি আমার ভাইকে সন্ত্রাসী বলেছে, আমিও মনে করি তিনি আমার ভাইয়ের খুনি। তাকে অপসারণ করে গ্রেপ্তার করা না হলে ড. ইউনূস যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।’
উল্লেখ্য, তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি ফেসবুকে আবু সাঈকে সন্ত্রাসী এবং প্রধান উপদেষ্টার কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে এমন পোস্ট করেন। গতকাল তাঁকে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বদলি করা হয়। বদলির আদেশের অনুলিপি পেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাঁকে পুনরায় ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে টর্নেডো সৃষ্টি হয়ে পানি আকাশে উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে এ দৃশ্যের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া...
৩৮ মিনিট আগে২০০৭ সালে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তাঁর স্ত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালে হাইকোর্ট তাঁদের খালাস দেন। পরবর্তীতে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল কর
৪১ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের এক ইমামকে গত ২০ এপ্রিল সকালে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ইমামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ধর্ষণের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কারাগারে অসুস্থ হয়ে ওই ইমামের মৃত্যু হয়। ইমামের এই মৃত্যুকে পরিকল্পিত...
১ ঘণ্টা আগেসহপাঠীদের থেকে জানা যায়, বিকেলে এক যুবক ওই শিক্ষার্থীকে মেস থেকে উদ্ধার করে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে সূত্রাপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর নাম ইয়াসিন মজুমদার।
২ ঘণ্টা আগে