ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডিমলায় ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ১০ সদস্য। গত ১৮ ডিসেম্বর উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তাঁরা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ অভিযোগ দেওয়ার জেরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে সংরক্ষিত নারী আসনের দুই সদস্যকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঝুনাগাছ চাপানী ইউপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ডিমলা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলমান বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী সদস্যদের একজন লিলি বেগম।
অভিযোগপত্রে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেন, একরামুল হক চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সদস্যদের তোয়াক্কা না করে তিনি ভিজিডি, ভিজিএফ, কাবিখা, কাবিটা, টিআর, প্রকল্পের তালিকা বণ্টনসহ নানা ধরনের প্রকল্পের কাজ একাই করছেন। পরিষদের উন্নয়নকাজে বরাদ্দ এক শতাংশ টাকাও চেয়ারম্যান সঠিকভাবে বণ্টন করেননি। তিনি সদস্যদের বঞ্চিত করেছেন। এখন পর্যন্ত সরকারি ভাতাও দেওয়া হচ্ছে না। টিসিবির পণ্য সঠিকভাবে বণ্টন হচ্ছে না। পছন্দের লোকদের দেওয়া হচ্ছে। এসব কাজে তাঁকে সহযোগিতা করছেন ইউপি সচিব সুবাস চন্দ্র।
তাঁদের অভিযোগ, জন্মনিবন্ধনের জন্য সরকারি ফি ছাড়াও অতিরিক্ত ফি আদায় এবং ভুয়া ওয়ারিশ সনদ দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন চেয়ারম্যান একরামুল। এ ছাড়া রেজুলেশন না লিখেই সচিব সুবাস চন্দ্রের মাধ্যমে আগেই সাক্ষর করিয়ে নেন তিনি।
অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন, ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হালিমুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রশিদ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অহিদুজ্জামান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তহিদুল ইসলাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খাইরুল ইসলাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাক, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নুর হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আনোয়ারা বেগম, লিলি বেগম ও রশিদা বেগম। তবে এ ইউপির ৩ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যরা এ অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেননি।
৪,৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য লিলি বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘বিভিন্ন প্রকল্পের তালিকা তৈরিতে আমাদের কোনো ধরনের অধিকার দেওয়া হয় না। চেয়ারম্যান প্রথম থেকে একাই সব কাজ করছেন। এসব কাজের হিসাব চাইতে গেলে অন্যায়ভাবে আমাদের গালিগালাজসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি, হুমকি দেন। কোনো সদস্য তাঁর ভয়ে কথা বলতে সাহস পান না। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান একরামুলের মাস্তানবাহিনী ও ভাতিজারা তার সামনেই আমাকে ও আনোয়ারা বেগমকে মারধর করে হুমকি দিয়েছেন। এ সময় সুবিধা ভোগীদের জন্য পাওয়া পাঁচ প্যাকেট শুকনো খাবারও ছিনিয়ে নেয় চেয়ারম্যানের খাস লোক কপিল ও সাদ্দাম।’
২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের সব অভিযোগই সত্য। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান পরিষদের ভেতরে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী দেখিয়ে আমাদের ভয়ভীতি দেখান।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সব বরাদ্দের সুষম বণ্টন হয়েছে। ইউপি সদস্যকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
ডিমলা থানার তদন্ত কর্মকর্তা বিশ্বদেব রায় বলেন, ‘ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনাটি আমাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ইউপি সদস্যদের লাঞ্ছিত করার বিষয়টি জানা নেই। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নীলফামারীর ডিমলায় ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ১০ সদস্য। গত ১৮ ডিসেম্বর উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তাঁরা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ অভিযোগ দেওয়ার জেরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে সংরক্ষিত নারী আসনের দুই সদস্যকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঝুনাগাছ চাপানী ইউপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ডিমলা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলমান বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী সদস্যদের একজন লিলি বেগম।
অভিযোগপত্রে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেন, একরামুল হক চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সদস্যদের তোয়াক্কা না করে তিনি ভিজিডি, ভিজিএফ, কাবিখা, কাবিটা, টিআর, প্রকল্পের তালিকা বণ্টনসহ নানা ধরনের প্রকল্পের কাজ একাই করছেন। পরিষদের উন্নয়নকাজে বরাদ্দ এক শতাংশ টাকাও চেয়ারম্যান সঠিকভাবে বণ্টন করেননি। তিনি সদস্যদের বঞ্চিত করেছেন। এখন পর্যন্ত সরকারি ভাতাও দেওয়া হচ্ছে না। টিসিবির পণ্য সঠিকভাবে বণ্টন হচ্ছে না। পছন্দের লোকদের দেওয়া হচ্ছে। এসব কাজে তাঁকে সহযোগিতা করছেন ইউপি সচিব সুবাস চন্দ্র।
তাঁদের অভিযোগ, জন্মনিবন্ধনের জন্য সরকারি ফি ছাড়াও অতিরিক্ত ফি আদায় এবং ভুয়া ওয়ারিশ সনদ দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন চেয়ারম্যান একরামুল। এ ছাড়া রেজুলেশন না লিখেই সচিব সুবাস চন্দ্রের মাধ্যমে আগেই সাক্ষর করিয়ে নেন তিনি।
অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন, ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হালিমুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রশিদ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অহিদুজ্জামান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তহিদুল ইসলাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খাইরুল ইসলাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাক, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নুর হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আনোয়ারা বেগম, লিলি বেগম ও রশিদা বেগম। তবে এ ইউপির ৩ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যরা এ অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেননি।
৪,৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য লিলি বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘বিভিন্ন প্রকল্পের তালিকা তৈরিতে আমাদের কোনো ধরনের অধিকার দেওয়া হয় না। চেয়ারম্যান প্রথম থেকে একাই সব কাজ করছেন। এসব কাজের হিসাব চাইতে গেলে অন্যায়ভাবে আমাদের গালিগালাজসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি, হুমকি দেন। কোনো সদস্য তাঁর ভয়ে কথা বলতে সাহস পান না। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান একরামুলের মাস্তানবাহিনী ও ভাতিজারা তার সামনেই আমাকে ও আনোয়ারা বেগমকে মারধর করে হুমকি দিয়েছেন। এ সময় সুবিধা ভোগীদের জন্য পাওয়া পাঁচ প্যাকেট শুকনো খাবারও ছিনিয়ে নেয় চেয়ারম্যানের খাস লোক কপিল ও সাদ্দাম।’
২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের সব অভিযোগই সত্য। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান পরিষদের ভেতরে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী দেখিয়ে আমাদের ভয়ভীতি দেখান।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সব বরাদ্দের সুষম বণ্টন হয়েছে। ইউপি সদস্যকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
ডিমলা থানার তদন্ত কর্মকর্তা বিশ্বদেব রায় বলেন, ‘ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনাটি আমাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ইউপি সদস্যদের লাঞ্ছিত করার বিষয়টি জানা নেই। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারের তমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সতর্ক পাহারায় রয়েছে।
৪ মিনিট আগেরংপুরের বদরগঞ্জে স্কুলছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও দেখানোর অভিযোগ উঠেছে রবিউল ইসলাম নামের এক দপ্তরির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। ওই দপ্তরির শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না বলে অভিভাবকেরা হুমকি দিয়েছেন। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এক অভিভাবক গত বৃহস্পতিবার ইউএন
৭ মিনিট আগেরাজধানীর মৌচাকে সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে থাকা প্রাইভেট কার থেকে উদ্ধার হওয়া দুই মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তাঁদের দুজনের বাড়ি একই এলাকায়।
১৬ মিনিট আগেআগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ সোমবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জে র্যাব-১০ সদর দপ্তর, কেন্দ্রীয় কারাগার ও তেঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা এই তথ্য জানান।
২৭ মিনিট আগে