আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া (রংপুর)
বেলা পৌনে ১টা। সূর্য ঠিক মাথার ওপরে। পেছনে বাঁশের তৈরি ডালি, বাউঙ্কা (বাকুয়া) ও কোদাল বেঁধে সাইকেল চালিয়ে রংপুর নগরী থেকে গঙ্গাচড়ার দিকে যাচ্ছেন কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষ। প্রচণ্ড গরমে তাঁদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঘাম গড়িয়ে পড়ছে।
রংপুর নগরীর কদমতলী এলাকায় গতকাল রোববার দেখা তাঁদের সঙ্গে। চাচা আজকে কোনো কাজ পান নাই? জিজ্ঞেস করতে মমিনুর ইসলাম (৩৯) নামের এক দিনমজুর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠলেন, ‘বাবা আর কন না বাহে, কাতি মাস নাই আসতে মনে হয় অভাব শুরু হইছে। প্রায় দেড় মাস, থাকি শহরত। আসা-যাওয়া করি চোল কেনো কাম নাই। মনে হয় শহরতও অভাব নাগছে। কী যে হয় চোল দ্যাশত কিছু বুঝবার পাই চোল না।’
কথা বলে জানা গেল, মমিনুর ইসলামের বাড়ি গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের মাঝাপাড়া এলাকায়। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তাঁর চার সদস্যের সংসার। তিস্তার ভাঙনে ঘর-বাড়ি বিলীন হওয়ার পর তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মাঝাপাড়া এলাকায় চলে আসেন। নিজের কেনো আবাদি জমি না থাকায় রংপুর শহরে বিভিন্ন স্থানে কাজ করে সংসার চালান।
একই ইউনিয়নের ধামুর এলাকার সুবল চন্দ্র দাস (২৮) বলেন, ‘যখন থাকি দ্যাশত গণ্ডগোল শুরু হইছে, তখন থাকি কাম-কাজ নাই। খুব টানটুন করি সংসার চালাই চোল। শহরের যে মানুষগুলা কাম করাইবে, সেই মানুষগুলায় কয় কাম করাই কেমন করি, ব্যাংক টাকা দেয় না, আর যে টাকা আছে বাজার খরচ করি খাই, না কামে করাই। দ্যাশ আগত স্বাভাবিক হোক তখন দেখা যাইবে।’ এ সময় সুবল চন্দ্র দাস চোখেমুখে হতাশার ছাপ নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে দাদা, এই দেড় মাসে কামাই হইছে মাত্র ১ হাজার ৩০০ টাকা। গতকাইল ৫ হাজার টাকা লাভের ওপর নিছি, জীবন তো বাঁচা নাগবে।’
শুধু মমিনুর ইসলাম ও সুবল চন্দ্র দাসেই নয়, জীবিকা নির্বাহের জন্য এই উপজেলার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন রংপুর নগরীর বিভিন্ন স্থানে কাজের সন্ধানে যান। ১৫-২০ জন শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশে আন্দোলন শুরুর পর থেকে শহরে কাজ-কর্ম কমে যাওয়ায় একরকম কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এখনো কাজ মেলে না অনেক দিনই। এই উপজেলার কয়েক হাজার দিনমজুর। কাজ-কর্ম না থাকায় ধারদেনা করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনো রকমে দিন পার করছেন তাঁরা।
বেলা পৌনে ১টা। সূর্য ঠিক মাথার ওপরে। পেছনে বাঁশের তৈরি ডালি, বাউঙ্কা (বাকুয়া) ও কোদাল বেঁধে সাইকেল চালিয়ে রংপুর নগরী থেকে গঙ্গাচড়ার দিকে যাচ্ছেন কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষ। প্রচণ্ড গরমে তাঁদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঘাম গড়িয়ে পড়ছে।
রংপুর নগরীর কদমতলী এলাকায় গতকাল রোববার দেখা তাঁদের সঙ্গে। চাচা আজকে কোনো কাজ পান নাই? জিজ্ঞেস করতে মমিনুর ইসলাম (৩৯) নামের এক দিনমজুর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠলেন, ‘বাবা আর কন না বাহে, কাতি মাস নাই আসতে মনে হয় অভাব শুরু হইছে। প্রায় দেড় মাস, থাকি শহরত। আসা-যাওয়া করি চোল কেনো কাম নাই। মনে হয় শহরতও অভাব নাগছে। কী যে হয় চোল দ্যাশত কিছু বুঝবার পাই চোল না।’
কথা বলে জানা গেল, মমিনুর ইসলামের বাড়ি গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের মাঝাপাড়া এলাকায়। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তাঁর চার সদস্যের সংসার। তিস্তার ভাঙনে ঘর-বাড়ি বিলীন হওয়ার পর তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মাঝাপাড়া এলাকায় চলে আসেন। নিজের কেনো আবাদি জমি না থাকায় রংপুর শহরে বিভিন্ন স্থানে কাজ করে সংসার চালান।
একই ইউনিয়নের ধামুর এলাকার সুবল চন্দ্র দাস (২৮) বলেন, ‘যখন থাকি দ্যাশত গণ্ডগোল শুরু হইছে, তখন থাকি কাম-কাজ নাই। খুব টানটুন করি সংসার চালাই চোল। শহরের যে মানুষগুলা কাম করাইবে, সেই মানুষগুলায় কয় কাম করাই কেমন করি, ব্যাংক টাকা দেয় না, আর যে টাকা আছে বাজার খরচ করি খাই, না কামে করাই। দ্যাশ আগত স্বাভাবিক হোক তখন দেখা যাইবে।’ এ সময় সুবল চন্দ্র দাস চোখেমুখে হতাশার ছাপ নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে দাদা, এই দেড় মাসে কামাই হইছে মাত্র ১ হাজার ৩০০ টাকা। গতকাইল ৫ হাজার টাকা লাভের ওপর নিছি, জীবন তো বাঁচা নাগবে।’
শুধু মমিনুর ইসলাম ও সুবল চন্দ্র দাসেই নয়, জীবিকা নির্বাহের জন্য এই উপজেলার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন রংপুর নগরীর বিভিন্ন স্থানে কাজের সন্ধানে যান। ১৫-২০ জন শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশে আন্দোলন শুরুর পর থেকে শহরে কাজ-কর্ম কমে যাওয়ায় একরকম কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এখনো কাজ মেলে না অনেক দিনই। এই উপজেলার কয়েক হাজার দিনমজুর। কাজ-কর্ম না থাকায় ধারদেনা করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনো রকমে দিন পার করছেন তাঁরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর পৃথক থানার হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল–মামুনকে বিভিন্ন মেয়াদে আবার রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাক
২ মিনিট আগেরাজধানীর বনশ্রী, ফকিরাপুল ও বিমানবন্দরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বুধবার বিকেল পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশ ও ঢাকা মেডিকেল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
২ মিনিট আগেবগুড়ায় আজগর আলী পিয়াল নামের এক অটোরিকশাচালককে হত্যার মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় আরও একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
৮ মিনিট আগেজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ৯০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে আনা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে