মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেছেন, সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি ৫ হাজার সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্র্যাকেট তুলে দিয়ে আরও ১৩ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
আজ শনিবার রংপুরের মিঠাপুকুরে অনুষ্ঠিত শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিজি এসব কথা বলেন। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যদি ছেলেমেয়েদের নিজ স্কুলে না পড়ান, তাহলে অন্যরা কেন আপনার স্কুলে ছেলেমেয়েদের পড়াবেন?’
উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ডিজি শামসুজ্জামান আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ শিশু বাংলা পড়তে পারে না। ৩৪ শতাংশ শিশু যুক্তবর্ণ দিয়ে গঠিত শব্দ পড়তে পারে না। বিশ্বব্যাংকের জরিপের এমন তথ্য যাচাই করতে আমরাও জরিপ করেছি। আমাদের জরিপেও বিশ্বব্যাংকের কাছাকাছি প্রমাণ পাওয়া গেছে।’ তিনি বলেন, ‘এটা লজ্জার বিষয়। শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতে হবে। লেখাপড়ায় দুর্বল শিশুদের চিহ্নিত করে বিশেষ কেয়ার নিতে হবে। এরপরও যদি শিশুদের উন্নতি করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনাদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে ঢাকায় তদবির করতে যান, কিন্তু কেউই বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা বলেন না। তাঁরা জেলা শহরে বদলির জন্য তদবির করেন। কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘‘ছেলেমেয়েরা প্রাইভেট স্কুলে লেখাপড়া করছে, তাই সেখানে থাকা প্রয়োজন।’’ এই হলো আমাদের অবস্থা।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক কামরুল হাসান এনডিসি, উপপরিচালক জয়নাল আবেদীন, রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালক আজিজুর রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভায় ২৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও খবর পড়ুন:
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেছেন, সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি ৫ হাজার সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্র্যাকেট তুলে দিয়ে আরও ১৩ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
আজ শনিবার রংপুরের মিঠাপুকুরে অনুষ্ঠিত শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিজি এসব কথা বলেন। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যদি ছেলেমেয়েদের নিজ স্কুলে না পড়ান, তাহলে অন্যরা কেন আপনার স্কুলে ছেলেমেয়েদের পড়াবেন?’
উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ডিজি শামসুজ্জামান আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ শিশু বাংলা পড়তে পারে না। ৩৪ শতাংশ শিশু যুক্তবর্ণ দিয়ে গঠিত শব্দ পড়তে পারে না। বিশ্বব্যাংকের জরিপের এমন তথ্য যাচাই করতে আমরাও জরিপ করেছি। আমাদের জরিপেও বিশ্বব্যাংকের কাছাকাছি প্রমাণ পাওয়া গেছে।’ তিনি বলেন, ‘এটা লজ্জার বিষয়। শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতে হবে। লেখাপড়ায় দুর্বল শিশুদের চিহ্নিত করে বিশেষ কেয়ার নিতে হবে। এরপরও যদি শিশুদের উন্নতি করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনাদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে ঢাকায় তদবির করতে যান, কিন্তু কেউই বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা বলেন না। তাঁরা জেলা শহরে বদলির জন্য তদবির করেন। কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘‘ছেলেমেয়েরা প্রাইভেট স্কুলে লেখাপড়া করছে, তাই সেখানে থাকা প্রয়োজন।’’ এই হলো আমাদের অবস্থা।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক কামরুল হাসান এনডিসি, উপপরিচালক জয়নাল আবেদীন, রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালক আজিজুর রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভায় ২৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও খবর পড়ুন:
ভবন নির্মাণের পর আর তেমন কোনো সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ভবনগুলো ভেঙে পড়ার মতো ঝুঁকিতে রয়েছে। একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ছাত্রদের আবাসিক হোস্টেলে বড় বড় ফাটল থাকায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় পলেস্তারা খসে পড়ে, কোথাও কোথাও রড বের হয়ে গেছে।
১ মিনিট আগে২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৩৫ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৩৮ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে