Ajker Patrika

‘নৌকার গেঞ্জি পরে জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা ভোট বানচাল করেছে’

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২২, ২০: ৪৯
‘নৌকার গেঞ্জি পরে জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা ভোট বানচাল করেছে’

আজ বুধবার সকালে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর একটি দুটি করে অর্ধ শতাধিক কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিতের পর বিকেলে এ আসনের ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রের সবগুলোতে ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এর আগে দুপুরে এ নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন বলে চার প্রার্থী ভোট বর্জন করলেও আওয়ামী লীগ বলছে, ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র ছিল আগে থেকেই।

আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নৌকা প্রতীক সংবলিত গেঞ্জি গায়ে জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভোট বানচাল করা হয় দাবি করে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।

সকালে নির্দিষ্ট সময়ে ভোট কেন্দ্রগুলোতে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। উপস্থিতি কম হলেও ভোটারেরা আসছিলেন কেন্দ্রে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রের সবকটিতে ইভিএমের ব্যবহারে চমক ছিল ভোটারদের জন্য। প্রার্থী হিসেবে ভোটদানের পর বিজয়ের আশাবাদও ছিল আওয়ামী লীগ প্রার্থীর। বেলা এগারোটার পর থেকে দু একটি করে বেশ কটি কেন্দ্রে হইচই ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এদিকে নানা অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে একে একে ভোট কেন্দ্র স্থগিতের ঘোষণা আসতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ভোট শুরুর চার ঘণ্টার মাথায় পাঁচ প্রার্থীর চারজনই দেন ভোট বর্জনের ঘোষণা। দুপুর দুইটা পর্যন্ত ৫১টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশন থেকে।

বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এমন ঘোষণায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন নৌকার কর্মী সমর্থকেরা। তারা দলে দলে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের সামনে রাস্তায় এসে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ফেরত আসা নির্বাচনী সরঞ্জামসহ সব ধরনের মালামাল নিয়ে আটকা পড়েন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের এ অবরোধ অব্যাহত থাকে।

অবরোধ চলাকালে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু, উদাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান বাদশা, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম, উদাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহদী মাসুদ পলাশসহ অনেকে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ভোট বর্জন ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। তাদের দাবি ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র ছিল আগে থেকেই। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নৌকা প্রতীক সংবলিত গেঞ্জি গায়ে জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভোট বানচাল করা হয়। সব কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাতিল করে যেসব কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে, সেসব কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত