নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে প্রেমিকার গায়ে পেট্রল ছুড়ে আগুন দেওয়ার দায়ে নাইম ইসলাম (২৩) নামের এক তরুণের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি অনুপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বেঞ্চ সহকারী মহব্বাত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামি নাইমের বাড়ি ঢাকার ধামরাইয়ের আইঙ্গন এলাকায়। তাঁর বাবার নাম হাসান আলী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি সকালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে প্রেমিকার শরীরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যান নাইম। এতে ওই নারীর (২৭) মুখ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ঝলসে যায়। তখন ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর বাসায় ফেরেন ওই নারী।
ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী নারীর ছোট ভাই পুঠিয়া থানায় মামলা করেছিলেন। পুঠিয়া থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মামলাটির তদন্ত করছিলেন। পাশাপাশি ছায়াতদন্ত শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। কিন্তু বোরকা পরা আসামি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাজশাহী পিবিআই আসামিকে শনাক্ত করে। ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী পিবিআইয়ের একটি দল ঢাকা থেকে নাইমকে গ্রেপ্তার করে আনে। ১৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদর দপ্তর মামলাটি পিবিআইকেই তদন্তভার দেয়। রাজশাহী পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন মামলাটি তদন্ত করেন।
পরবর্তীতে জামাল উদ্দিন আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীর বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলায়। স্বামী একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। ২০১৫ সালে ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। তখন তার স্ত্রী ইডেন কলেজে ডিগ্রিতে পড়াশোনা করতেন। ওই সময় ফেসবুকে ধামরাই কলেজের এইচএসসির ছাত্র নাইমের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁরা দেখা করেন। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নাইম ওই নারীর বাসায় যাতায়াত শুরু করেন। একপর্যায়ে নাইম কৌশলে তাঁদের একান্ত সময় কাটানোর মুহূর্তের কিছু ভিডিও করে রাখেন।
এরপর ২০১৬ সালে ওই নারীর স্বামী রাজশাহীর বানেশ্বরে বদলি হয়ে আসেন। ওই নারী তখন রাজশাহী কলেজে মাস্টার্সে ভর্তি হন। তখন নাইমও রাজশাহী কলেজে এসে তার সঙ্গে দেখা করে যেতেন। একপর্যায়ে নাইম তাঁর স্বামী-সন্তান ছেড়ে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু ছয় মাসের মেয়ে আর স্বামীকে ছেড়ে নাইমের সঙ্গে যেতে রাজি হননি ওই নারী। একপর্যায়ে তিনি নাইমের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ফেসবুকেও তাঁকে ব্লক করে দেওয়া হয়। এ কারণে ওই নারীকে ‘শিক্ষা’ দিতে চান নাইম।
ঘটনার আগের দিন নাইম ঢাকা থেকে বানেশ্বরে এসে একটি হোটেলে ওঠেন। এরপর বাজার থেকে বোরকা, ওড়না ও পেট্রল কিনে রাখেন। পরদিন সকালে নাইম তাঁর প্রেমিকার ভাড়া বাড়ির গলিতে বোরকা পরে অপেক্ষা করতে থাকেন। মেয়েকে স্কুলে দিতে যাওয়ার জন্য ওই নারী বের হলে নাইম তাঁর শরীরে পেট্রল ছুড়ে মারেন। এরপর একটি লাঠির মাধ্যমে শরীরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যান। আগুনে মুখ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ দগ্ধ হয় ওই নারীর। হাসপাতালে দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তিনি সুস্থ হন।
রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বেঞ্চ সহকারী মহব্বাত হোসেন জানান, গ্রেপ্তারের পর নাইম পরবর্তীতে জামিন পান। আদালতে হাজিরা দিতেন। সবশেষ গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আসামি পরীক্ষার দিন নাইম আদালতে হাজির হয়েছিলেন। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর সাফাই সাক্ষীর দিন তিনি আর হাজির হননি। তার আইনজীবী ফিরোজ কবির সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরপর থেকে আসামি নাইম আর আদালতে হাজির হননি। বৃহস্পতিবার আসামির অনুপস্থিতিতেই আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে আদালত সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন। রায় ঘোষণার দিন ভুক্তভোগী নারীও আদালতে আসেননি। তবে আসামি পরীক্ষার দিন তিনি আদালতে এসেছিলেন। সেদিন তিনি তার জব্দ থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়েছেন।
রাজশাহীতে প্রেমিকার গায়ে পেট্রল ছুড়ে আগুন দেওয়ার দায়ে নাইম ইসলাম (২৩) নামের এক তরুণের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি অনুপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বেঞ্চ সহকারী মহব্বাত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামি নাইমের বাড়ি ঢাকার ধামরাইয়ের আইঙ্গন এলাকায়। তাঁর বাবার নাম হাসান আলী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি সকালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে প্রেমিকার শরীরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যান নাইম। এতে ওই নারীর (২৭) মুখ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ঝলসে যায়। তখন ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর বাসায় ফেরেন ওই নারী।
ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী নারীর ছোট ভাই পুঠিয়া থানায় মামলা করেছিলেন। পুঠিয়া থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মামলাটির তদন্ত করছিলেন। পাশাপাশি ছায়াতদন্ত শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। কিন্তু বোরকা পরা আসামি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাজশাহী পিবিআই আসামিকে শনাক্ত করে। ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী পিবিআইয়ের একটি দল ঢাকা থেকে নাইমকে গ্রেপ্তার করে আনে। ১৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদর দপ্তর মামলাটি পিবিআইকেই তদন্তভার দেয়। রাজশাহী পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন মামলাটি তদন্ত করেন।
পরবর্তীতে জামাল উদ্দিন আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীর বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলায়। স্বামী একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। ২০১৫ সালে ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। তখন তার স্ত্রী ইডেন কলেজে ডিগ্রিতে পড়াশোনা করতেন। ওই সময় ফেসবুকে ধামরাই কলেজের এইচএসসির ছাত্র নাইমের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁরা দেখা করেন। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নাইম ওই নারীর বাসায় যাতায়াত শুরু করেন। একপর্যায়ে নাইম কৌশলে তাঁদের একান্ত সময় কাটানোর মুহূর্তের কিছু ভিডিও করে রাখেন।
এরপর ২০১৬ সালে ওই নারীর স্বামী রাজশাহীর বানেশ্বরে বদলি হয়ে আসেন। ওই নারী তখন রাজশাহী কলেজে মাস্টার্সে ভর্তি হন। তখন নাইমও রাজশাহী কলেজে এসে তার সঙ্গে দেখা করে যেতেন। একপর্যায়ে নাইম তাঁর স্বামী-সন্তান ছেড়ে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু ছয় মাসের মেয়ে আর স্বামীকে ছেড়ে নাইমের সঙ্গে যেতে রাজি হননি ওই নারী। একপর্যায়ে তিনি নাইমের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ফেসবুকেও তাঁকে ব্লক করে দেওয়া হয়। এ কারণে ওই নারীকে ‘শিক্ষা’ দিতে চান নাইম।
ঘটনার আগের দিন নাইম ঢাকা থেকে বানেশ্বরে এসে একটি হোটেলে ওঠেন। এরপর বাজার থেকে বোরকা, ওড়না ও পেট্রল কিনে রাখেন। পরদিন সকালে নাইম তাঁর প্রেমিকার ভাড়া বাড়ির গলিতে বোরকা পরে অপেক্ষা করতে থাকেন। মেয়েকে স্কুলে দিতে যাওয়ার জন্য ওই নারী বের হলে নাইম তাঁর শরীরে পেট্রল ছুড়ে মারেন। এরপর একটি লাঠির মাধ্যমে শরীরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যান। আগুনে মুখ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ দগ্ধ হয় ওই নারীর। হাসপাতালে দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তিনি সুস্থ হন।
রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বেঞ্চ সহকারী মহব্বাত হোসেন জানান, গ্রেপ্তারের পর নাইম পরবর্তীতে জামিন পান। আদালতে হাজিরা দিতেন। সবশেষ গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আসামি পরীক্ষার দিন নাইম আদালতে হাজির হয়েছিলেন। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর সাফাই সাক্ষীর দিন তিনি আর হাজির হননি। তার আইনজীবী ফিরোজ কবির সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরপর থেকে আসামি নাইম আর আদালতে হাজির হননি। বৃহস্পতিবার আসামির অনুপস্থিতিতেই আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে আদালত সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন। রায় ঘোষণার দিন ভুক্তভোগী নারীও আদালতে আসেননি। তবে আসামি পরীক্ষার দিন তিনি আদালতে এসেছিলেন। সেদিন তিনি তার জব্দ থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়েছেন।
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
২৫ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
২৮ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৩৯ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৪৩ মিনিট আগে