মো. সিরাজুল ইসলাম, নিয়ামতপুর (নওগাঁ)
শহর ও গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেক বাড়িতে নলকূপের পরিবর্তে সাবমারসিবল মটর হয়ে গেছে। মানুষ সব কাজ এখন এর পানিতেই করে। এখন কেউ আর পুকুরের পানিতে গোসল করতে যায় না। তাই পুকুরে কারও কোনো জিনিসও হারায় না। ফলে আমাদেরও আর দরকার পড়ে না। আজ হোক, কাল হোক এই পেশা একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে ভাই।
আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন মো. রিপন মিয়া। পেশায় বেদে হলেও তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে পুকুরে হারানো গয়না, থাল, গ্লাসসহ হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন জিনিস খুঁজে দেন আর তাবিজ, বাতের চুরি, ঝুনঝুনি বিক্রি করেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে নিয়ামতপুর উপজেলার চৌরাপাড়া এলাকায় কথা হয় তাঁর সঙ্গে। রিপন মিয়ার বাড়ি ঢাকার সাভারে। তাঁরা বহর নিয়ে তাঁবু গেড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা এলাকায়।
তিনি জানান, বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের পুকুরে হারিয়ে যাওয়া জিনিসপত্র খুঁজে দিয়ে তার বিনিময়ে টাকা নেন আর তাবিজ, নজরকাঠি, বাতের চুরি, কড মাছের কাঁটা, ঝুনঝুনি বিক্রি করেন ফেরি করে।
রিপন মিয়া বলেন, ‘এটা আমার বাপ-দাদার পেশা। বংশ পরম্পরায় তাই আমিও এই পেশা বেছে নিয়েছি। আমার দাদা বেদে বহরের সর্দার ছিলেন। আমার বাবা এখন সর্দার। বাবার পরে আমি সর্দার হব। তবে আমার ছেলেমেয়েরা এই পেশায় থাকবে কি না বলতে পারছি না।’
আলাপচারিতায় জানা গেছে, তাঁরা এক মাস ধরে চৌডালাতে থাকছেন। আরও ১৫ দিন থাকবেন। তারপর চলে যাবেন অন্য কোনো এলাকায়। এভাবে ছয় মাস দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান তাঁরা। বাকি ছয় মাস থাকেন নিজ বাড়িতে। বাড়িতে থাকার সময় তখন তাবিজ-কবচ বিক্রি করেন না।
তাঁদের বহরে ১৫টি পরিবারে প্রায় ৮০ জন লোক রয়েছে। তাঁদের সবাই কোনো না কোনো কাজ করেন। কেউ সাপ ধরেন, কেউ সাপ খেলা দেখান। মেয়েরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঝাড়ফুঁক দেন, তাবিজ বিক্রি করেন।
রিপন মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম আর এই পেশায় আসতে চাচ্ছে না। তাঁরা বাপ-দাদার এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। তা ছাড়া লোকজন আগের চাইতে অনেক বেশি সচেতন হয়ে গেছে। তাবিজ-কবচ, ঝাড়ফুঁকে বিশ্বাস করে না। এখন আমাদের দিন চালানো খুব কষ্টকর হয়ে গেছে। আজকে এখন পর্যন্ত কোনো রোজগার হয় নাই। খালি হাতেই ফিরতে হবে মনে হয়।’
এই বলেই আবার বেরিয়ে পড়লেন রিপন মিয়া।
শহর ও গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেক বাড়িতে নলকূপের পরিবর্তে সাবমারসিবল মটর হয়ে গেছে। মানুষ সব কাজ এখন এর পানিতেই করে। এখন কেউ আর পুকুরের পানিতে গোসল করতে যায় না। তাই পুকুরে কারও কোনো জিনিসও হারায় না। ফলে আমাদেরও আর দরকার পড়ে না। আজ হোক, কাল হোক এই পেশা একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে ভাই।
আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন মো. রিপন মিয়া। পেশায় বেদে হলেও তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে পুকুরে হারানো গয়না, থাল, গ্লাসসহ হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন জিনিস খুঁজে দেন আর তাবিজ, বাতের চুরি, ঝুনঝুনি বিক্রি করেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে নিয়ামতপুর উপজেলার চৌরাপাড়া এলাকায় কথা হয় তাঁর সঙ্গে। রিপন মিয়ার বাড়ি ঢাকার সাভারে। তাঁরা বহর নিয়ে তাঁবু গেড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা এলাকায়।
তিনি জানান, বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের পুকুরে হারিয়ে যাওয়া জিনিসপত্র খুঁজে দিয়ে তার বিনিময়ে টাকা নেন আর তাবিজ, নজরকাঠি, বাতের চুরি, কড মাছের কাঁটা, ঝুনঝুনি বিক্রি করেন ফেরি করে।
রিপন মিয়া বলেন, ‘এটা আমার বাপ-দাদার পেশা। বংশ পরম্পরায় তাই আমিও এই পেশা বেছে নিয়েছি। আমার দাদা বেদে বহরের সর্দার ছিলেন। আমার বাবা এখন সর্দার। বাবার পরে আমি সর্দার হব। তবে আমার ছেলেমেয়েরা এই পেশায় থাকবে কি না বলতে পারছি না।’
আলাপচারিতায় জানা গেছে, তাঁরা এক মাস ধরে চৌডালাতে থাকছেন। আরও ১৫ দিন থাকবেন। তারপর চলে যাবেন অন্য কোনো এলাকায়। এভাবে ছয় মাস দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান তাঁরা। বাকি ছয় মাস থাকেন নিজ বাড়িতে। বাড়িতে থাকার সময় তখন তাবিজ-কবচ বিক্রি করেন না।
তাঁদের বহরে ১৫টি পরিবারে প্রায় ৮০ জন লোক রয়েছে। তাঁদের সবাই কোনো না কোনো কাজ করেন। কেউ সাপ ধরেন, কেউ সাপ খেলা দেখান। মেয়েরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঝাড়ফুঁক দেন, তাবিজ বিক্রি করেন।
রিপন মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম আর এই পেশায় আসতে চাচ্ছে না। তাঁরা বাপ-দাদার এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। তা ছাড়া লোকজন আগের চাইতে অনেক বেশি সচেতন হয়ে গেছে। তাবিজ-কবচ, ঝাড়ফুঁকে বিশ্বাস করে না। এখন আমাদের দিন চালানো খুব কষ্টকর হয়ে গেছে। আজকে এখন পর্যন্ত কোনো রোজগার হয় নাই। খালি হাতেই ফিরতে হবে মনে হয়।’
এই বলেই আবার বেরিয়ে পড়লেন রিপন মিয়া।
রাজধানীর মৌচাকে সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে থাকা প্রাইভেট কার থেকে উদ্ধার হওয়া দুই মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তাঁদের দুজনের বাড়ি একই এলাকায়।
৭ মিনিট আগেআগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ সোমবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জে র্যাব-১০ সদর দপ্তর, কেন্দ্রীয় কারাগার ও তেঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা এই তথ্য জানান।
১৭ মিনিট আগেসাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। এই নিয়ে ১২০ বারের মতো তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এই তারিখ ধার্য করেন।
২১ মিনিট আগেমৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন গণপিটুনির শিকার রূপলাল দাস ও প্রদীপ লাল। দুই হাতজোড় করে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘আমি চোর না, ডাকাত না।’ তবুও শেষরক্ষা হয়নি রূপলাল দাস ও প্রদীপ লালের। তাঁদের সেই মর্মস্পর্শী আকুতির ভিডিও এখন ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যা দেখে অনেকেই..
২১ মিনিট আগে