রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দানকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে সহপাঠীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও রাবি শাখা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম।
নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম সাইমা আরাবী ইভা। তিনি চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ইভা রাজশাহীর কর্ণহার থানার দেবেরপাড়া গ্রামের মো. হারুন অর রশিদ ও তাসলীমা রশীদের মেয়ে।
আত্মহত্যার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছে নিহত শিক্ষার্থীর মা। ওই আবেদনপত্রটি মানববন্ধন কর্মসূচিতে পাঠ করেন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিম নাবিল।
নাবিল বলেন, ‘মেয়ে ও অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে একা বাড়িতে থাকায় জীবনের নিরাপত্তা ও সম্মানহানির ভয়ে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাইনি। পরে গত ১৪ জানুয়ারি ভেটেরিনারি ডাক্তার মো. নাজমুল হাসানের শাওনের সঙ্গে ইভার বিবাহ হয়। এতে পলাশ আমার মেয়ের অতীতের কিছু ছবি এবং ভিডিও এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে ১৫ জানুয়ারি পলাশ ও তাঁর সঙ্গীরা রাস্তা থেকে আমার মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করে। ফলে একপর্যায়ে ইভা গত ১৯ জানুয়ারি বিকেলে অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগ (ওষুধ) খেয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।’
মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের নেত্রী ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া বলেন, ‘সাইমা আরাবীর ওপর এতটা মানসিক চাপ তৈরি করা হয়েছিল যে, তার জীবনটাকে সে মূল্যহীন মনে করেছিল। সে কোথাও মানসিক সমর্থন পায়নি, একা বোধ করেছে। জীবনটা তাঁর কাছে অর্থহীন হয়ে গিয়েছে। তখনই একজন মানুষ তাঁর জীবনকে তুচ্ছ মনে করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তাঁর আত্মহত্যায় পরিবার, বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হবে না। এই রকম ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য প্ররোচনা দানকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম মাহবুব বলেন, ‘মানসিক সমস্যা হলে কীভাবে তা সমাধান করতে হবে সে বিষয়ে সাইমা আবীরা আপু ভালো করেই অবগত ছিলেন। তারপরেও তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। কি পরিমাণ চাপ সৃষ্টি করলে একজন মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে, সেটা অনেক বড় প্রশ্ন। এটা কি আসলেই আত্মহত্যা নাকি হত্যা সেটা আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। আমরা দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিভাগের শিক্ষকসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দানকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে সহপাঠীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও রাবি শাখা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম।
নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম সাইমা আরাবী ইভা। তিনি চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ইভা রাজশাহীর কর্ণহার থানার দেবেরপাড়া গ্রামের মো. হারুন অর রশিদ ও তাসলীমা রশীদের মেয়ে।
আত্মহত্যার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছে নিহত শিক্ষার্থীর মা। ওই আবেদনপত্রটি মানববন্ধন কর্মসূচিতে পাঠ করেন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিম নাবিল।
নাবিল বলেন, ‘মেয়ে ও অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে একা বাড়িতে থাকায় জীবনের নিরাপত্তা ও সম্মানহানির ভয়ে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাইনি। পরে গত ১৪ জানুয়ারি ভেটেরিনারি ডাক্তার মো. নাজমুল হাসানের শাওনের সঙ্গে ইভার বিবাহ হয়। এতে পলাশ আমার মেয়ের অতীতের কিছু ছবি এবং ভিডিও এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে ১৫ জানুয়ারি পলাশ ও তাঁর সঙ্গীরা রাস্তা থেকে আমার মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করে। ফলে একপর্যায়ে ইভা গত ১৯ জানুয়ারি বিকেলে অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগ (ওষুধ) খেয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।’
মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের নেত্রী ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া বলেন, ‘সাইমা আরাবীর ওপর এতটা মানসিক চাপ তৈরি করা হয়েছিল যে, তার জীবনটাকে সে মূল্যহীন মনে করেছিল। সে কোথাও মানসিক সমর্থন পায়নি, একা বোধ করেছে। জীবনটা তাঁর কাছে অর্থহীন হয়ে গিয়েছে। তখনই একজন মানুষ তাঁর জীবনকে তুচ্ছ মনে করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তাঁর আত্মহত্যায় পরিবার, বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হবে না। এই রকম ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য প্ররোচনা দানকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম মাহবুব বলেন, ‘মানসিক সমস্যা হলে কীভাবে তা সমাধান করতে হবে সে বিষয়ে সাইমা আবীরা আপু ভালো করেই অবগত ছিলেন। তারপরেও তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। কি পরিমাণ চাপ সৃষ্টি করলে একজন মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে, সেটা অনেক বড় প্রশ্ন। এটা কি আসলেই আত্মহত্যা নাকি হত্যা সেটা আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। আমরা দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিভাগের শিক্ষকসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গের এক কোণে বসে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন বালা দাস। তিনি নগরীতে পিকআপ ভ্যান দুর্ঘটনায় নিহত অজিত দাসের স্ত্রী। আজ সোমবার ভোরে নগরীর সিটি গেট এলাকায় থেমে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি পিকআপের সংঘর্ষ ঘটে।
১২ মিনিট আগেভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় সিলেটের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) সরানোর পর এবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারকে বদলি করা হয়েছে। আজ সোমবার সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
২০ মিনিট আগেদিনাজপুরের খানসামা উপজেলার একমাত্র চর মাঝিয়ালির বাসিন্দারা চলাচলের জন্য অবশেষে একটি নৌকা পেয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চরবাসীদের হাতে নৌকা বুঝিয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান সরকার।
২৯ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। প্রথম দিন আজ সোমবার ৪৭ জন শিক্ষার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া হল সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৮৬ শিক্ষার্থী। সন্ধ্যায় জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব...
৪১ মিনিট আগে