চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রে গড়ে তোলা হয়েছে ‘শস্য মিউজিয়াম’। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন এবং ফসলের বহুবিধতা নিশ্চিতে এটি গড়ে তোলা হয়েছে। শস্য মিউজিয়াম এই এলাকার কৃষির উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষক, কৃষিশিক্ষার্থীদের আগ্রহের অন্যতম বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে শস্য মিউজিয়াম।
শস্য মিউজিয়ামে ঠাঁই পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত সবজি, মসলা, কন্দাল, ডাল ও তৈলবীজ এবং অপ্রধান দানাজাতীয় পুষ্টিসমৃদ্ধ ৬০টি জাতের ফসল। সফলতা পাওয়া গেছে প্রদর্শনীতেও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে শুধু কৃষকদের জ্ঞান বাড়বে। পাশাপাশি জ্ঞান ব্যবহারের মাধ্যমে বাড়বে ফসলের উৎপাদন, যা ভূমিকা রাখবে এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে।
কৃষক ও উদ্যোক্তা মুনজের আলম মানিক বলেন, ‘এটা একটি ভালো উদ্যোগ। আমাদের দেশে হাইব্রিড ও স্থানীয় এই দুই জাতের ফসল চলে। হাইব্রিড ফসলের মাধ্যমে বেশি ফসল পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তাতে বীজ থাকছে না। গবেষকেরা স্থানীয় এসব জাত তৈরি করছেন। এগুলো যদি আমাদের এলাকার আবহাওয়ার জন্য উপযোগী হয়, তবে সেটা ভালো হবে। এ ক্ষেত্রে কীটনাশকের ব্যবহার কমবে। প্লাস্টিক ফার্টিলাইজারের ব্যবহার কম হবে। দিন শেষে দেখতে হবে প্রোডাকশন ঠিক আছে কি না। রোগবালাই কম আছে কি না। এটা যদি এনশিউর করতে পারে, তা হলে এটা ভালো হবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. নিলয় বেশ কয়েকবার শস্য জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন। তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের লেখাপড়া জীবনে ফিল্ড ওয়ার্কটাই প্রধান। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে পুঁথিগত বিদ্যা পড়ি। সেসব আসলে ম্যাটার করে। কিন্তু, ফিল্ডে এসে আমরা কোনটির জীবনকাল কত, কোনটির বেডিং কীভাবে করা হচ্ছে—সবকিছু হাতে-কলমে জানতে পারছি। এসবই মূলত কৃষির কোর। এই জাদুঘর আমাদের ছাত্রজীবনে যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা রাখছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য গবেষক ড. অসীম কুমার সাহা বলেন, ‘আম-নির্ভর কৃষি অর্থনীতির এই জেলায় ফসলে বৈচিত্র্য আনতেই গড়ে তোলা হয়েছে ৬০টি জাত নিয়ে এই শস্য মিউজিয়াম। লাভজনক উপায়ে ফসল উৎপাদন, শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং সার্বিকভাবে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন সাধনের পাশাপাশি, ফসল ধারার উন্নয়ন ও বীজ উৎপাদনে কৃষকদের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে এই শস্য মিউজিয়াম ভূমিকা রাখছে।’
এই গবেষণাকেন্দ্রের আরেকজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোরশেদুল বারী বলেন, ‘শস্য মিউজিয়ামটির প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে মোড়ক ও ক্যানসার প্রতিরোধী আলু থেকে শুরু করে উন্নত জাতের সরিষা, পেঁয়াজ, কাউন, তিশি, চিয়া ও কিনুয়ার মতো সুপার ফুডও। এই প্রদর্শনী থেকে কৃষকেরা হাতে-কলমে শিখে তা মাঠ পর্যায়ে নিজের পছন্দমতো ফসল বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাবে।’
এ প্রসঙ্গে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘এই এলাকায় যে ফসলগুলো উপযোগী, সেগুলো আমরা এখানে নিয়ে এসেছি। শস্য প্যাটার্নে যেটা সেট হবে, এখান থেকে সেটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সে অনুযায়ী আমরা করেছি। কৃষক আমাদের এখানে আসবে, শস্য পছন্দ করবে। আর সেটা উৎপাদনের জন্য যে প্রযুক্তি ও সহযোগিতা দরকার। সেটা আমাদের কাছ থাকে পাবে। আমরা যে লক্ষ্যে এটা করেছি। তার সুফল পাচ্ছি। কোন কৃষক এগুলো করলে আমরা তাকে বীজ দিয়ে সহযোগিতা করব। এ ছাড়া কৃষককে সব ধরনের সহায়তাও করা হবে।’
এদিকে, এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন উদ্যোক্তা চাষি ও কৃষকেরা। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বলছেন, এটি তাঁদের ব্যবহারিক জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রে গড়ে তোলা হয়েছে ‘শস্য মিউজিয়াম’। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন এবং ফসলের বহুবিধতা নিশ্চিতে এটি গড়ে তোলা হয়েছে। শস্য মিউজিয়াম এই এলাকার কৃষির উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষক, কৃষিশিক্ষার্থীদের আগ্রহের অন্যতম বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে শস্য মিউজিয়াম।
শস্য মিউজিয়ামে ঠাঁই পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত সবজি, মসলা, কন্দাল, ডাল ও তৈলবীজ এবং অপ্রধান দানাজাতীয় পুষ্টিসমৃদ্ধ ৬০টি জাতের ফসল। সফলতা পাওয়া গেছে প্রদর্শনীতেও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে শুধু কৃষকদের জ্ঞান বাড়বে। পাশাপাশি জ্ঞান ব্যবহারের মাধ্যমে বাড়বে ফসলের উৎপাদন, যা ভূমিকা রাখবে এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে।
কৃষক ও উদ্যোক্তা মুনজের আলম মানিক বলেন, ‘এটা একটি ভালো উদ্যোগ। আমাদের দেশে হাইব্রিড ও স্থানীয় এই দুই জাতের ফসল চলে। হাইব্রিড ফসলের মাধ্যমে বেশি ফসল পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তাতে বীজ থাকছে না। গবেষকেরা স্থানীয় এসব জাত তৈরি করছেন। এগুলো যদি আমাদের এলাকার আবহাওয়ার জন্য উপযোগী হয়, তবে সেটা ভালো হবে। এ ক্ষেত্রে কীটনাশকের ব্যবহার কমবে। প্লাস্টিক ফার্টিলাইজারের ব্যবহার কম হবে। দিন শেষে দেখতে হবে প্রোডাকশন ঠিক আছে কি না। রোগবালাই কম আছে কি না। এটা যদি এনশিউর করতে পারে, তা হলে এটা ভালো হবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. নিলয় বেশ কয়েকবার শস্য জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন। তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের লেখাপড়া জীবনে ফিল্ড ওয়ার্কটাই প্রধান। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে পুঁথিগত বিদ্যা পড়ি। সেসব আসলে ম্যাটার করে। কিন্তু, ফিল্ডে এসে আমরা কোনটির জীবনকাল কত, কোনটির বেডিং কীভাবে করা হচ্ছে—সবকিছু হাতে-কলমে জানতে পারছি। এসবই মূলত কৃষির কোর। এই জাদুঘর আমাদের ছাত্রজীবনে যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা রাখছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য গবেষক ড. অসীম কুমার সাহা বলেন, ‘আম-নির্ভর কৃষি অর্থনীতির এই জেলায় ফসলে বৈচিত্র্য আনতেই গড়ে তোলা হয়েছে ৬০টি জাত নিয়ে এই শস্য মিউজিয়াম। লাভজনক উপায়ে ফসল উৎপাদন, শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং সার্বিকভাবে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন সাধনের পাশাপাশি, ফসল ধারার উন্নয়ন ও বীজ উৎপাদনে কৃষকদের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে এই শস্য মিউজিয়াম ভূমিকা রাখছে।’
এই গবেষণাকেন্দ্রের আরেকজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোরশেদুল বারী বলেন, ‘শস্য মিউজিয়ামটির প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে মোড়ক ও ক্যানসার প্রতিরোধী আলু থেকে শুরু করে উন্নত জাতের সরিষা, পেঁয়াজ, কাউন, তিশি, চিয়া ও কিনুয়ার মতো সুপার ফুডও। এই প্রদর্শনী থেকে কৃষকেরা হাতে-কলমে শিখে তা মাঠ পর্যায়ে নিজের পছন্দমতো ফসল বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাবে।’
এ প্রসঙ্গে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘এই এলাকায় যে ফসলগুলো উপযোগী, সেগুলো আমরা এখানে নিয়ে এসেছি। শস্য প্যাটার্নে যেটা সেট হবে, এখান থেকে সেটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সে অনুযায়ী আমরা করেছি। কৃষক আমাদের এখানে আসবে, শস্য পছন্দ করবে। আর সেটা উৎপাদনের জন্য যে প্রযুক্তি ও সহযোগিতা দরকার। সেটা আমাদের কাছ থাকে পাবে। আমরা যে লক্ষ্যে এটা করেছি। তার সুফল পাচ্ছি। কোন কৃষক এগুলো করলে আমরা তাকে বীজ দিয়ে সহযোগিতা করব। এ ছাড়া কৃষককে সব ধরনের সহায়তাও করা হবে।’
এদিকে, এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন উদ্যোক্তা চাষি ও কৃষকেরা। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বলছেন, এটি তাঁদের ব্যবহারিক জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।
মানিকগঞ্জের মুলজানে আবাসিক এলাকা থেকে পৌরসভার ভাগাড় স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুলজান এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দ্রুত ভাগাড় স্থানান্তরের দাবি জানায়। এসময় এলাকার নানা বয়সী নারী-পুরুষও তাদের সঙ্গে মানবন্ধনে...
২৬ মিনিট আগেগাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম (বিপিজেএফ)। আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
৩৪ মিনিট আগেআগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ফাঁসি কার্যকরের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারিখ ঘোষণা না হলে তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাবে।
১ ঘণ্টা আগেযশোরের মনিরামপুরে চোর ধরতে গিয়ে চোরের আঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার ভোরের দিকে উপজেলার মনিরামপুর-খেদাপাড়া সড়কে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুই পুলিশকে আহত করে গরুসহ পিকআপ নিয়ে পালিয়ে যায় চোরের দল। পরে পুলিশের অন্য সদস্যরা যশোর-চুকনগর সড়কের কেশবপুর অঞ্চল থেকে চোরাই...
১ ঘণ্টা আগে