নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা হাসপাতাল ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। সরকারি ওষুধ কালোবাজারে বিক্রি, চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলা, রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যসহ নানা সমস্যা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এখানে। তবে কর্তৃপক্ষ এসব সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ না নিয়ে হাসপাতালের হীরক জয়ন্তী উদ্যাপনে ব্যস্ত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ফজলে রাব্বী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই হাসপাতাল অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জর্জরিত। রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছে না। চিকিৎসকদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতির কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করে বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী দেখায় ব্যস্ত থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি সরকারি ওষুধ কালোবাজারে বিক্রির সময় এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। অথচ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বিনা মূল্যে ওষুধ পাচ্ছে না। হাসপাতাল চত্বরে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবাধ বিচরণের কারণে রোগীদের বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’
অপর এক শিক্ষার্থী হাসিব চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বারবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এসব সমস্যা সমাধানের অনুরোধ করেছি, কিন্তু তারা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে তালা দিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত সমস্যার সমাধান করা না হবে, ততক্ষণ এই তালা খোলা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকদের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আপনারা আপনাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করুন। যদি চিকিৎসকেরা এই সমস্যার সমাধান না করে উল্টো আন্দোলনে যান, তাহলে আমরা সেটি প্রতিহত করব।’
এদিকে সাধারণ রোগীদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সেবা না পেয়ে তাঁরা বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিক ও ফার্মেসির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। এ অবস্থায় দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে জনসাধারণের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।
জানতে চাইলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন আবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে আসলে ঠিকমতো ওষুধ পাই না। সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। আমরা গরিব মানুষ, এত টাকা কোথায় পাব?’ আরেকজন রোগীর স্বজন শিরিন আক্তার বলেন, ‘ডাক্তাররা ঠিকমতো আসেন না, আসলেও তাড়াতাড়ি চলে যান। নার্সদের আচরণও ভালো না। আমরা এখানে এসে খুব কষ্ট পাই।’
এ বিষয়ে জানতে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি, ফলে তাঁর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা হাসপাতাল ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। সরকারি ওষুধ কালোবাজারে বিক্রি, চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলা, রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যসহ নানা সমস্যা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এখানে। তবে কর্তৃপক্ষ এসব সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ না নিয়ে হাসপাতালের হীরক জয়ন্তী উদ্যাপনে ব্যস্ত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ফজলে রাব্বী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই হাসপাতাল অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জর্জরিত। রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছে না। চিকিৎসকদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতির কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করে বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী দেখায় ব্যস্ত থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি সরকারি ওষুধ কালোবাজারে বিক্রির সময় এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। অথচ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বিনা মূল্যে ওষুধ পাচ্ছে না। হাসপাতাল চত্বরে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবাধ বিচরণের কারণে রোগীদের বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’
অপর এক শিক্ষার্থী হাসিব চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বারবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এসব সমস্যা সমাধানের অনুরোধ করেছি, কিন্তু তারা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে তালা দিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত সমস্যার সমাধান করা না হবে, ততক্ষণ এই তালা খোলা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকদের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আপনারা আপনাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করুন। যদি চিকিৎসকেরা এই সমস্যার সমাধান না করে উল্টো আন্দোলনে যান, তাহলে আমরা সেটি প্রতিহত করব।’
এদিকে সাধারণ রোগীদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সেবা না পেয়ে তাঁরা বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিক ও ফার্মেসির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। এ অবস্থায় দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে জনসাধারণের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।
জানতে চাইলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন আবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে আসলে ঠিকমতো ওষুধ পাই না। সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। আমরা গরিব মানুষ, এত টাকা কোথায় পাব?’ আরেকজন রোগীর স্বজন শিরিন আক্তার বলেন, ‘ডাক্তাররা ঠিকমতো আসেন না, আসলেও তাড়াতাড়ি চলে যান। নার্সদের আচরণও ভালো না। আমরা এখানে এসে খুব কষ্ট পাই।’
এ বিষয়ে জানতে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি, ফলে তাঁর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পপ্রবণ ১৯৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫তম অবস্থানে জানিয়ে পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম বলেন, দেশে সিলেট অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ। ঢাকায় উচ্চ জনঘনত্ব, মাটি দুর্বল ও নীতিমালা না মেনেই ভবন নির্মাণের কারণে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৫১ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমান সুজন খান (৪৮) নামে এক চালক নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত তিনটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুর বাইপাসের বাওয়ার কুমারজানী মা সিএনজি পাম্প সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালক সুজন খান বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইল গ্রামের ইউনুছ খানের ছেলে।
২৮ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
৪ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
৫ ঘণ্টা আগে