Ajker Patrika

প্রতারণার মামলায় ইউএস অ্যাগ্রিমেন্টের ব্যবস্থাপক মিলি কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮: ১১
প্রতারণার মামলায় ইউএস অ্যাগ্রিমেন্টের ব্যবস্থাপক মিলি কারাগারে

প্রতারণার মামলায় রাজশাহীতে মোবাইল অ্যাপ ইউএস অ্যাগ্রিমেন্টের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ফাতেমা তুজ জহুরা ওরফে মিলিকে (৩২) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার গোদাগাড়ী থানার আমলি আদালতের বিচারক মো. লিটন হোসেন এ আদেশ দেন। 

গত ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় ফাতেমা তুজ জহুরা ওরফে মিলি আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। ওই দিন মামলার বাদী ও বাদীপক্ষের কোনো আইনজীবী না থাকায় আদালত তাঁকে আজ সোমবার পর্যন্ত জামিন দেন। 

মামলার বাদীর আইনজীবী শামীম আখতার হৃদয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোদাগাড়ী থানায় প্রতারণা মামলার পরই ফাতেমা তুজ জহুরা ওরফে মিলি আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। সেদিন আদালতে মামলার বাদী কিংবা বাদীপক্ষের কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তাই আদালত আসামি মিলিকে আজ পর্যন্ত জামিন দেন। একই সঙ্গে এদিন বাদীপক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি হবে বলেও সেদিন সিদ্ধান্ত দেন আদালত। 

সে অনুযায়ী আসামি মিলি এদিন বেলা ১১টার দিকে আদালতে হাজির হন। এ সময় তাঁর আইনজীবী একরামুল হক  মিলির আবারও জামিনের প্রার্থনা করেন। তবে বাদীপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামিপক্ষের জামিনের আবেদন নাকচ করেন এবং আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ তাঁকে কারাগারে পাঠায়। 

তিনি আরও বলেন, ‘আসামি মিলি ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট অ্যাপের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ছিলেন। রাজশাহীতে যেখানে যেখানে এই অ্যাপের সেমিনার হয়েছে, সেখানে তিনি সেমিনার পরিচালনা করেছেন। বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকাও এনেছেন। আদালত আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে আর জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন।’ 

এর আগে ‘ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট’ বিদেশি অ্যাপ জানিয়ে প্রতারকেরা এখানে বিনিয়োগে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেন। এক লাখ টাকা বিনিয়োগে মাসে ১১ হাজার ২০০ টাকা মুনাফা দেওয়ার লোভ দেখানো হয় তাদের। অ্যাপের রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান ছিলেন আসামি মিলির স্বামী মো. ওয়াহেদুজ্জামান সোহাগ (৩৮)। এতে রাজশাহীর অন্তত শতাধিক নারী-পুরুষ প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। সারা দেশে অ্যাপে প্রায় ২ হাজার মানুষ বিনিয়োগ করে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। 

প্রতারণার বিষয়টি সামনে এলে গত ১৭ জানুয়ারি রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় প্রথম একটি মামলা হয়। এরপর ২৩ জানুয়ারি গোদাগাড়ী থানায় আরেকটি মামলাসহ এ পর্যন্ত ৯টি মামলা হয়েছে। সব মামলাতেই অন্য আসামিদের সঙ্গে মিলি ও তাঁর স্বামী আসামি হিসেবে আছেন। মামলাগুলো পুলিশ, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। 

রাজপাড়া থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়েরের পর রাজশাহী মহানগর পুলিশ আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগে চিঠি দিয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করতেও বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই প্রতারণার ঘটনায় এ পর্যন্ত শুধু মিলিই কারাগারে গেলেন। অন্য আসামিরা পলাতক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত