রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হল থেকে আবাসিক শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার ঘটনা থামছেই না। একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে আবাসিক শিক্ষার্থীদের বের করে দিচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতারা। তবে এসব ঘটনায় প্রাধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়ে মিলছে না কোনো প্রতিকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক বলছেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিতে ‘ব্যর্থ’ হয়েছে প্রশাসন। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের এক আবাসিক ছাত্রকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার রাতে হলে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সজিব কুমার নবাব আব্দুল লতিফ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি হলের ২০৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনা তুলে ধরে সজিব ফেসবুকে লেখেন, ‘আমার বাবা একজন হার্টের রোগী এবং আমার মা টেরিজিয়াম রোগে আক্রান্ত। এমতাবস্থায় আর্থিক সংকটে আমার লেখাপড়ার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। এর কারণে আমি গত চার মাস ধরে বিভাগের বড় ভাইয়ের সঙ্গে ২০৪ নম্বর রুমে বেড শেয়ারিং করে থাকি। পরে মানবিক কারণে হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ আমাকে ওই সিট বরাদ্দ দেয়।’
ভুক্তভোগী আরও বলেন, ‘গত কয়েক দিন আগে হলের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন আমাকে ২০৪ নম্বর রুম ছেড়ে ৩৩২ নম্বর রুমে ডাবলিং করে থাকতে বলে। পরবর্তীতে গতকাল রাত ১১টার দিকে শামীমের অনুসারীরা আমার রুমে এসে বিছানাপত্র নিচে ফেলে দেয়। পরে আমি রুমে এসে দেখি আমার সিটে আরেক শিক্ষার্থীকে তুলে দেওয়া হয়েছে।’ পোস্টে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চান।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হেসেন বলেন, ‘কাউকে হলে তুলিওনি, বেরও করিনি। এটি হল প্রশাসনের বিষয়।’ বের না করলে তাঁর বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ উঠল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে হেয় করতে এমনটি করছে। রাজনীতি তো বোঝেন। এখানে চক্রান্ত আছে।’
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান জানান, ‘ওই শিক্ষার্থীর বেডিংপত্র ফেলে দেওয়া হয়নি। এটি সমাধান হয়ে গেছে। দুজনকে একই রুমে থাকতে বলেছি। আগামী মাসে কিছু সিট খালি হবে যে কোনো একজনকে অন্য কক্ষে শিফট করে দেব।’
এদিকে হলগুলোতে শিক্ষার্থী নির্যাতন, সিট বাণিজ্য, শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দেওয়া, বৈষম্য বন্ধের দাবিতে গত সোমবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। এই কর্মসূচির একদিন পার না হতেই আবার শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা বলছেন, হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কর্মসূচি পালনকারী শিক্ষকদের কেউ কেউ।
জানতে চাইলে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘হলে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে সেটি স্পষ্ট। আমরা হলগুলোতে রাজনৈতিক দখলদারিত্ব বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো উন্নতি দেখিনি। বরং শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া, নির্যাতনের মতো অপসংস্কৃতি প্রকট হচ্ছে। আমি প্রশ্ন তুলতে চাই প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিতে পারছে না? এখানে তাঁদের মদদ আছে কিনা সেটির প্রশ্নও তোলা সমীচীন বলে মনে করি। প্রশাসন যদি ছাত্রলীগকে সুবিধা দেয় কিংবা দিতে বাধ্য হয় সেটি অপরাধ। শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার।’
রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘হলগুলোতে একটি বাজে সংস্কৃতি চলছে। এটি বেশ কয়েক বছর থেকে প্রকট আকার ধারণ করেছে। সে জন্য হয়তো প্রশাসন সময় নিচ্ছে। আমরা এটি বন্ধ চাই। সেদিন আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। এটি যদি বন্ধ না হয় তাহলে আমরা আবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাব।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হল থেকে আবাসিক শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার ঘটনা থামছেই না। একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে আবাসিক শিক্ষার্থীদের বের করে দিচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতারা। তবে এসব ঘটনায় প্রাধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়ে মিলছে না কোনো প্রতিকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক বলছেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিতে ‘ব্যর্থ’ হয়েছে প্রশাসন। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের এক আবাসিক ছাত্রকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার রাতে হলে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সজিব কুমার নবাব আব্দুল লতিফ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি হলের ২০৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনা তুলে ধরে সজিব ফেসবুকে লেখেন, ‘আমার বাবা একজন হার্টের রোগী এবং আমার মা টেরিজিয়াম রোগে আক্রান্ত। এমতাবস্থায় আর্থিক সংকটে আমার লেখাপড়ার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। এর কারণে আমি গত চার মাস ধরে বিভাগের বড় ভাইয়ের সঙ্গে ২০৪ নম্বর রুমে বেড শেয়ারিং করে থাকি। পরে মানবিক কারণে হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ আমাকে ওই সিট বরাদ্দ দেয়।’
ভুক্তভোগী আরও বলেন, ‘গত কয়েক দিন আগে হলের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন আমাকে ২০৪ নম্বর রুম ছেড়ে ৩৩২ নম্বর রুমে ডাবলিং করে থাকতে বলে। পরবর্তীতে গতকাল রাত ১১টার দিকে শামীমের অনুসারীরা আমার রুমে এসে বিছানাপত্র নিচে ফেলে দেয়। পরে আমি রুমে এসে দেখি আমার সিটে আরেক শিক্ষার্থীকে তুলে দেওয়া হয়েছে।’ পোস্টে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চান।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হেসেন বলেন, ‘কাউকে হলে তুলিওনি, বেরও করিনি। এটি হল প্রশাসনের বিষয়।’ বের না করলে তাঁর বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ উঠল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে হেয় করতে এমনটি করছে। রাজনীতি তো বোঝেন। এখানে চক্রান্ত আছে।’
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান জানান, ‘ওই শিক্ষার্থীর বেডিংপত্র ফেলে দেওয়া হয়নি। এটি সমাধান হয়ে গেছে। দুজনকে একই রুমে থাকতে বলেছি। আগামী মাসে কিছু সিট খালি হবে যে কোনো একজনকে অন্য কক্ষে শিফট করে দেব।’
এদিকে হলগুলোতে শিক্ষার্থী নির্যাতন, সিট বাণিজ্য, শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দেওয়া, বৈষম্য বন্ধের দাবিতে গত সোমবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। এই কর্মসূচির একদিন পার না হতেই আবার শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা বলছেন, হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কর্মসূচি পালনকারী শিক্ষকদের কেউ কেউ।
জানতে চাইলে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘হলে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে সেটি স্পষ্ট। আমরা হলগুলোতে রাজনৈতিক দখলদারিত্ব বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো উন্নতি দেখিনি। বরং শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া, নির্যাতনের মতো অপসংস্কৃতি প্রকট হচ্ছে। আমি প্রশ্ন তুলতে চাই প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিতে পারছে না? এখানে তাঁদের মদদ আছে কিনা সেটির প্রশ্নও তোলা সমীচীন বলে মনে করি। প্রশাসন যদি ছাত্রলীগকে সুবিধা দেয় কিংবা দিতে বাধ্য হয় সেটি অপরাধ। শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার।’
রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘হলগুলোতে একটি বাজে সংস্কৃতি চলছে। এটি বেশ কয়েক বছর থেকে প্রকট আকার ধারণ করেছে। সে জন্য হয়তো প্রশাসন সময় নিচ্ছে। আমরা এটি বন্ধ চাই। সেদিন আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। এটি যদি বন্ধ না হয় তাহলে আমরা আবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাব।’
এবার পানিতে গেল যশোরের মনিরামপুর মুক্তেশ্বরী ডিগ্রি কলেজের মাঠ ভরাটের সাড়ে তিন লাখ টাকা। টিআর ও কলেজ ফান্ডের বরাদ্দের টাকায় নদী খুঁড়ে বালু দিয়ে ভরাটের ১০-১৫ দিনের মাথায় ডুবে গেছে কলেজের মাঠ। এখন কলেজের মাঠে হাঁটুপানি। এ ছাড়া প্রায় এক ফুট পরিমাণ পানিতে ডুবে গেছে ভবনের নিচতলার শ্রেণিকক্ষ।
৬ ঘণ্টা আগেচার বছর ধরে বন্ধ এতিমখানার কার্যক্রম। কিন্তু সরকারি বরাদ্দের টাকা তোলা হচ্ছে নিয়মিত। সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে একটি এতিমখানার কমিটির লোকজনের বিরুদ্ধে এই টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে অবস্থিত এই এতিমখানার নাম ‘মোহাম্মদ আলী শিশুসদন’।
৬ ঘণ্টা আগেআইনি জটিলতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারছে না রাঙামাটি জেলা পরিষদ। পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে নিয়োগ কার্যক্রম। এতে সহকারী ও প্রধান শিক্ষকের হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে। শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষা থেকে। চাপ বেড়েছে শিক্ষকদেরও। পাশাপাশি বঞ্চিত হচ্ছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
৬ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এবং ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এফ এম শরীফুল ইসলামকে (৪২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সিটি সাইবার ক্রাইম অভিযান চালিয়ে
৮ ঘণ্টা আগে